লাইফ স্টাইল:-রাস্তার ধারে ভাপা পিঠা খাওয়ার মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আমি আজকে একটি লেখার পোস্ট এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে অথবা কোথাও ঘুরতে গেলে ওইসব বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখতে অনেক ভালো লাগে। বেশিরভাগ সুন্দর মুহূর্ত গুলোর পোস্ট পড়তে এবং লিখতে অনেক ভালো লাগে। সব সময় চেষ্টা করি আমার সুন্দর মুহূর্তের অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ঘুরতে গেলে নিজে মনটাও ফ্রেশ থাকে। তাই সবসময় চেষ্টা করি কোথাও ঘুরতে যাওয়ার হাসিখুশির মুহূর্তটা আপনাদের মাঝেও শেয়ার করার জন্য। আশা করি আপনাদেরও পোস্টটি অনেক ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব রাস্তার ধারে ভাপা পিঠা খাওয়ার মুহূর্ত। এখন শীতকাল এই কারণে রাস্তার পাশে বিভিন্ন ধরনের পিঠা বানিয়ে বিক্রি করা হয়। তবে রাস্তার ধারে পিঠাগুলো খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। কালকে বিকেল বেলা আমি আর রকি ভাই দুইজন চিন্তা করলাম হক হোটেলে চা প্রাণ করার জন্য যাব। আসলে আমাদের এখানে হক হোটেলের চা গুলো খুব ভালো। আমি যদি কখনো দাগনভূঞা বাজারে আসি হক হোটেলে গিয়ে চা প্রাণ করি।
যদিও আমাদের এখানে প্রচুর ঠান্ডা পড়তেছে আজ কয়েকদিন যাবত। এরপর আসরের নামাজের পর আমরা দুইজন বাইক নিয়ে বাইর হলাম চা প্রাণ করার উদ্দেশ্যে। আমি আর রকি ভাই দুইজনে হক হোটেলে গিয়ে চা প্রাণ করতেছি। এমন সময় দেখি রাস্তার ওপর সাইটে দুই তিনটা পিঠা দোকান বসেছে এবং সেখানে পিঠা বানাচ্ছে। সাথে সাথে আমি রকি ভাইকে বললাম আজকে ভাপা পিঠা খাব। এরপর রকি ভাই বলল ঠিক আছে তাড়াতাড়ি করে চা প্রাণ করে ভাপা পিঠা খাওয়ার জন্য গেলাম।
প্রথমে আমি পিঠা বানাচ্ছে সেগুলো ফটোগ্রাফি করলাম কয়টি। এখানে পাশাপাশি দুটো দোকান বসেছে। একটি মহিলা পিঠা বানাচ্ছে অন্যটিতে একটি ছেলে পিঠা বানাচ্ছে। আমরা ছেলে যেটি পিঠা বানাচ্ছে তার পিঠা দোকানে গেলাম। এরপর আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম পিঠাগুলোর দাম কত। তখন লোকটি আমাকে বলতেছে একটি খেলে পনেরো টাকা আর বেশি খান তাহলে ১০ টাকা করে দিতে হবে। আমি বললাম আমরা মোটামুটি কয়েকটা পিঠা খাব। কারণ ভাপা পিঠা আমার খুব পছন্দের একটি পিঠা।
ছোটকালে যখন বাড়িতে মা এই পিঠাগুলো বানাত খেতে খুব ভালো লাগতো। এখন সময়ের কারণে এই পিঠাগুলো তেমন বাড়িতে বানানো হয় না। তবে শীতকালে ভাপা পিঠার খাওয়ার মজাই আলাদা। এরপর আমি ভাপা পিঠা তিনটা খেলাম। রকি ভাই দুটো পিঠা খেলো এবং তার এক বন্ধু দুটো পিঠা খেলো। আমি চেষ্টা করলে আরো খেতে পারতাম চিন্তা করলাম এখন বাড়িতে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করব। তবে পিঠাগুলোর মধ্যে নারিকেল দেওয়ার কারণে খেতে খুব মজা লাগলো। যদিও ওই সময় লোকটির দোকানে কাস্টমার কম ছিল।
আমি তাকে আরও জিজ্ঞেস করলাম কাস্টমার কেমন হয়। লোকটি বলল কাস্টমার প্রচুর হয় তবে এগুলো সব কিছুক্ষণের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। এরপর লোকটিকে আমি ৭০ টাকা দিলাম। আমরা তিনজন মিলে সাতটি পিঠা খেলাম। আসলে পিঠাগুলো খাওয়ার মজাই আলাদা। এরপর লোকটিকে আরো জিজ্ঞেস করলাম সব সময় এখানে বসে নাকি পিঠা বিক্রি করার জন্য। লোকটি বলতেছে আমি বাজারে একেক জায়গায় একেক দিন বসি। ভ্যান গাড়ির মধ্যে তার দোকান। এরপর আমরা ভাপা পিঠা খেয়ে ওখান থেকে চলে আসলাম। তাই আজকে ভাপা পিঠা খাওয়ার মুহূর্ত আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আশা করি আমার ভাপা পিঠা খাওয়ার মুহূর্ত পড়েই আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/Jamal7183151345/status/1748290285451325733?t=r3gWp3exOuaIR3wOVg8sTQ&s=19
শীতের সময় পিঠাপুলি খাওয়ার মজাই আলাদা । আর ভাপা পিঠা হলে তো কথাই নেই। আর পিঠার মধ্যে নারকেল ব্যবহার করলে খেতে আরো বেশ ভালো লাগে। আপনার ফটোগ্রাফিতে পিঠাগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে পিঠাগুলো খেতে খুবই মজার ছিল। এবং সাথে আপনার পিঠা খাবার অনুভূতি পড়েও আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ পিঠা খাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন শীতের সময় পিঠাগুলো খাওয়ার মজাই আলাদা। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
রাস্তার ধারে ভাপা পিঠা খাওয়ার মূহুর্ত শেয়ার দেয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া। রকি ভাই সহ হকের দোকানে চা খেতে যেয়ে ভাপা পিঠা খাওয়া নিয়ে সুন্দর পোস্ট দিয়েছেন। শীত আসলেই বিভিন্ন জায়গায় এরকম শীতের পিঠার দোকান দেখতে পাওয়া যায়। আপনি ঠিকেই বলেছেন, নারিকেল দিয়ে ভাপা পিঠা বেশ মজার হয়।ছবি গুলোও সুন্দর হয়েছে। পোস্টটি শেয়ার দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
এটি ঠিক নারিকেল দিয়ে ভাপা পিঠা খেতে বেশ মজা হয়। আশা করি সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকবেন।
শীতকালেই যেন পিঠা উৎসব গুলা এখন রাস্তার ধার এবং বাজার কেন্দ্রিক শুরু হয়ে যায়।
আমিও আপনার মত করে মাঝে মাঝেই রাস্তার পাশ থেকে ভাপা পিঠা সহ আরো অন্যান্য পিঠা খেয়ে থাকি।
আপনার পিঠা খোর অনুভূতি এবং ফটোগ্রাফি গুলো খুব ভালো লাগলো আমার কাছে
পোস্টটি পড়ে গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ তাহলে বুঝা যাচ্ছে পিঠার বিল যেহেতু ৭০ টাকা দিলেন তাহলে সাতটা পিঠা খেলেন। গরম গরম ভাপা পিঠা খেতে খুব ভালো লাগে। মাঝে মধ্যে রাস্তার ধারের হকারের পিঠা গুলো বেশ মজার হয়। যেহেতু এগুলো তাদের বিজনেস। তাই তারা চেষ্টা করেন সব সময় ভালো কিছু তৈরি করে খাওয়ানোর জন্য মানুষকে। যতই তাদের পিঠা গুলো মজার হবে কাস্টমার তত বেশি হবে। বিকেল বেলায় চা খাওয়ার সাথে পিঠার খাওয়ার মুহূর্তটি অসাধারণ ছিল।
হ্যাঁ আপু গরম গরম পিঠাগুলো খেতে অনেক ভালো লাগে। আমরা তিনজন মিলে সাতটি ভাপা পিঠা খেয়েছি। সুন্দর মন্তব্য করছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
চারিদিকে শুধু ভাপা পিঠার বাহার।শীতকালে গরম গরম চা ও পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা।আপনারা দারুণ একটা সময় কাটিয়েছেন।আর দারুণ একটা অফার দিয়েছেন দোকানদার আপনাদের, ধন্যবাদ ভাইয়া।
হ্যাঁ ঐদিন আমরা দারুণ সময় কাটিয়েছিলাম। শীতকালে এই পিঠাগুলো খেতে খুব মজা লাগে। অসাধারণ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
শীতকালে ভাপা পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। শীতকালে বিকেল বেলা রাস্তার আশেপাশের বিভিন্ন জায়গায় ভাপা পিঠা বিক্রি করা হয়। বেশ ভালোই লাগে ভাপা পিঠাগুলো খেতে। যাইহোক আপনারা তিনজন মিলে ৭ টি পিঠা খেয়েছেন তাহলে। পিঠার মধ্যে বেশ ভালোই নারিকেল দিয়েছে দেখা যাচ্ছে। সেই হিসেবে দাম কম নিয়েছে। যাইহোক আপনারা বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন ভাই। এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে ভাইয়া পিঠাগুলোর দাম বড় কথা নয় খাওয়াটাই বড় কথা। সুন্দর মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ।
ঐদিন আপনি এবং রকি ভাই ও তার বন্ধু মিলে খুব মজা করে ভাপা পিঠা খেলেন। তবে হক হোটেলের চা গুলো খেতে খুব মজা লাগে। রাস্তার পাশে ঐদিন আমি নিজেও দেখেছি এই ভাপা পিঠা বানাচ্ছে। তবে পিঠাগুলো দশ টাকা হল খেতে খুব মজা লাগে। আপনি এবং রকি ভাই এবং তার বন্ধু তিনজন মিলে সাতটি ভাপা পিঠা খেয়েছেন। তবে শীতকালে পিঠা এবং চা খেতে অনেক ভালো লাগে। অনেক সুন্দর করে বাবা ভাপা পিঠা খাওয়ার মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
হ্যাঁ হক হোটেলের চা গুলো খেতে খুব মজা লাগে। ঐদিন পিঠাগুলো খেতে খুব ভালো লাগলো। সুন্দর মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আপুদের একা রেখে দু'জন বাহিরে গিয়ে পিঠা খেয়ে এসেছেন। তবে যাই বলেন বাহিরে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে এভাবে পিঠা খাওয়ার অনুভূতি কিন্তু অসাধারন। আমিও মাঝে মাঝে চলে যাই পিঠা খেতে তবে চা খেতেও ইচ্ছে করে কিন্তু দোকানে বসে খেলে মানুষ কি নাকি মনে করে তাই খাওয়া হয় না। ঠিক বলেছেন ভাইয়া ছোটবেলায় মায়ের হাতে তৈরি এই পিঠা খেতে খুব ভালো লাগতো। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে যেন এগুলো কোথায় হারিয়ে যাচ্ছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
আসলে ঐদিন আমরা ঘুরতে গিয়ে পিঠা খেলাম। আপনার সুন্দর মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো। তাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভাইয়া দশ টাকা করে হলে অনেক ভালো হয়েছে। এটা ঢাকা শহরে হলে পঞ্চাশ টাকা রাখতো। আমি প্রায় সময় খায় এখানে চার ভাগের এক ভাগও দেয় না। দশ টাকা রাখে। এগুলো খেতে অনেক ভালো লাগে। খুবই টেষ্টি। ধন্যবাদ।