ভ্রমণ :- মুছাপুর ঘুরতে যাওয়া মুহূর্ত।( শেষ পর্ব)
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করবো। আসলে ঘুরতে যেতে কমবেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর আমি মনে করি মাঝেমধ্যে ঘুরতে গেলে মন ফ্রেশ থাকে। সেই জন্য আমি চেষ্টা করি কাজের ফাঁকে মাঝেমধ্যে ঘুরতে যাওয়ার। তেমনি আজকেও আপনাদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার কিছুটা মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব মুছাপুর ঘুরতে যাওয়া মুহূর্ত শেষ পর্ব। আসলে মুসাপুর জায়গাতে নতুন করে নতুন সুইচগেট হওয়ার কারণে জায়গাটি এখন পর্যটক কেন্দ্র হয়ে গেল। অনেকে আবার এই জায়গা কে মিনি কক্সবাজার ও বলে থাকে। যদিও আগে পুরান সুইচগেট আমাদের বাড়ির পাশেই ছিল। এখন নতুন সুইচগেট আমাদের বাড়ি থেকে অনেক অনেক দূরে চলে গেল প্রায় বিশ কিলোমিটার দূরে। যখন আমরা নতুন সুইচগেট গেলাম অপেক্ষা করতে লাগলাম জোয়ারের পানির জন্য। কিছুক্ষণের মধ্যে অতিরিক্ত জোয়ার আসলো এবং পানি অনেক বেড়ে গেল। তবে একটি ইয়াং ছেলে জোয়ারের পানিতে গোসল করতে লাগলো।
এত জোরে জোয়ারের পানি আসলো ছেলেটি নদীর পানিতে দাঁড়াতে পারতেছে না এবং অনেক দূর পর্যন্ত চলে গেল নদীর পানিতে। সবাই তার এই অবস্থা দেখে তাড়াতাড়ি তাকে হেল্প করার চেষ্টা করতে লাগলো। তবে সব জায়গাতে অতিরিক্ত কিছু করা ভালো না। হয়তোবা ছেলেটি ওইখানে সবাইকে দেখে তার ভিতরে একটি আবেগ কাজ করতে লাগলো। এবং ছেলেটি জোয়ারের পানির সাথে অনেক বড় পাথরের সাথে ধাক্কা গেলেন। তবে অবাক করা বিষয় হচ্ছে অল্প সময়ের মধ্যে অতিরিক্ত পানি এবং পানির সুত বেড়ে গেল। এবং ইঞ্জিনের নৌকা গুলো ওই সময় ওই নদীতে চলতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। এবং অনেক মানুষ দূরদূরান্ত থেকে এসে এই জোয়ারে সৌন্দর্য দেখতে লাগলো। অনেকে ফটো এবং ভিডিও করতেছে জোয়ারের। তবে ওইখানে তাজা মাছ পাওয়া যায় যদিও তাজা মাছগুলো বিক্রি করতেছে জেলেরা দাম অনেক বেশি।
আমাদের বাড়ি অনেক দূর এই কারণে আমরা ঐদিন ঐখান থেকে মাছ কিনি নাই। এবং আমার ওয়াইফ ও ফ্যামিলির লোকগুলো ওখানে ফুচকা এবং অন্যান্য নাস্তা খেলো। তবে সবকিছুর দাম এত বেশি বলে বোঝানো যাবে না। ২০ টাকার পানি ৩০ টাকা বিক্রি করে ওখানে। আর চল্লিশ টাকার পানি আরো বেশি বিক্রি করে। বলতে গেলে সামান্য কিছু দাম ওখানে স্বর্ণের দামের মতো। ছোট ছোট দোকান গুলোর মধ্যে সব কিছুর দাম অনেক বেশি। সামান্য রং চায়ের দামও অনেক বেশি নিতেছে। তবে ওইখানে নদীর ধারে অতিরিক্ত বাতাস এবং বাতাসগুলো ঠান্ডা। বলতে গেলে গায়ের সাথে বাতাসগুলো যখন লাগতেছে খুব ভালো লাগতেছে। আর কিছু হাত থেকে পড়লে অনেক দূর চলে যাচ্ছে। আমার মেয়ের হাত থেকে একটি চিপস পড়েছে কিন্তু চিপস অনেক দূরে চলে গেল আর নিতে পারেনি। তবে সামনে থেকে এই ধরনের সৌন্দর্য দেখতে এমনিতে বেশ ভালো লাগে।
তবে মজার বিষয় হচ্ছে ওখানে গরুর এবং মহিষের দুধের তাজা চা পাওয়া যায়। এবং এই চা গুলো খেতে বেশ মজাই লাগে। আমি আমার পরিবারের লোকগুলোকে রেখে অনেক দূর হতে গিয়ে গরুর দুধের চা খেতে গেলাম। যদিও আমি কাউকে বলি নাই প্রথমে। এবং পরে সবাই শোনার পর বলতেছে তাদেরকে কেন নিয়ে যায় নাই। তবে আমার ওয়াইফ ওইখানে ফুচকা খেয়ে অনেক মজা পেয়েছে। যদিও এক প্লেট ফুচকা দাম নিয়েছে ৬০ টাকা। আর একটি পানির দাম নিয়েছে ৩০ টাকা। তবে দাম এর কথা আমার ওয়াইফ শুনে নাই। যখন আমি বলেছি সেই বিশ্বাস করতেছে না।
তবে জায়গাটি যেভাবে সুন্দর করেছে আমার কাছে মনে হয় সামনে আরো পর্যটক বেড়ে যাবে। কারণ দূর দূরান্ত থেকে এই সুইচগেট নাম সবাই শুনতেছে। এবং মুক্ত বাতাস ও নদীর সৌন্দর্য দেখতে মানুষ এমনিতে মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছে। সত্যি বলতে মুছাপুর সুইচগেট গিয়ে আমি নিজেও মুগ্ধ হয়ে গেলাম। তবে ওইখানে নতুন নতুন অনেক ধরনের দোকান হচ্ছে বিশেষ করে পর্যটকের কারণে। যদিও সব কিছু দাম অনেক বেশি। আসলে এই ধরনের পরিবেশে ঘুরতে গেলে টাকা হিসাব করে নিলে চলবে না। আর ওইখানে ছোট ছোট নৌকা আছে ওই নৌকার মধ্যে ১০ মিনিট ঘুরলে ৫০ টাকা করে নেই একজনের।
যদিও আমার ওয়াইফ কে আমি বলেছি নৌকায় উঠবে নাকি। কিন্তু সেই নৌকায় উঠতে ভয় পাই এই কারণে উঠে নাই। ঐদিন আমরা সবাই মিলে খুব ভালোই সময় কাটিয়েছি মুসাপুর সুইচগেট ঘুরতে গিয়ে। ঐদিন পরিবারের সবাই সত্যি অনেক খুশি হয়েছে। আর পরিবেশ মানুষকে বেশি মুগ্ধ করেছে। আমার মুছাপুর সুইজগেট ঘুরতে যাওয়া শেষ পর্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আশা করি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
device : Huawei
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
https://x.com/Jamal7183151345/status/1812745811874484589?t=Igf9ABNF5Kh4eaYKF_YXBQ&s=19
পানির যে ঢেউ ভাইয়া আপু নৌকাতে না উঠে বেশ ভালোই করেছে। তবে মুছাপুর সুইচগেট পরিবেশটা কিন্তু দারুন। যে কেউ দেখলে মনটা ভালো হয়ে যাবে। ভীষণ ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার আজকের শেষ পর্বটি পড়ে।
হ্যাঁ আপু মুছাপুর সুইচগেট পরিবেশটা কিন্তু দারুন লাগে সবার কাছে। ভালো লাগলো অসাধারণ মন্তব্য শুনে।
সবাই একসাথে মিলে ঘুরাঘুরি করার মজাটাই আলাদা। আপনাদের পরিবারের সবাই মিলে মুছাপুর ঘুরতে গিয়েছেন। আগের পর্বগুলোও দেখা হয়েছিল। আজকের পর্ব দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপনাদের ছবিগুলো দেখেও বেশ ভালো লেগেছে। খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপনারা। আর জায়গাটা বেশ সুন্দর এবং নিরিবিলি পরিবেশ।
হ্যাঁ সবাই মিলে সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম ঐদিন। আপনি আমার আগের পোস্টগুলো দেখেছেন। মন্তব্য করে সাপোর্ট করার জন্য ধন্যবাদ।
পরিবার নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন দেখে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। পরিবারের সবার সাথে ঘুরতে যেতে অনেক ভালো লাগে। আর সুন্দর মুহূর্ত গুলো ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সবার মাঝে তুলে ধরেছেন এজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
আসলে ভাইয়া কিছু কিছু সময় পরিবারকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়া দরকার। আপনার অসাধারণ মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো।
অনেকগুলো ব্লগ পড়েছি আপনাদের মাধ্যমে মুছাপুর ঘুরতে যাওয়ার। মুছাপুর জায়গাটি খুবই সুন্দর। আর এভাবে সবাই মিলে ঘুরতে গেলে বেশ ভালো লাগে। অনেক সুন্দর সুন্দর দৃশ্য শেয়ার করলেন ফটোগ্রাফির মাধ্যমে। আর আপনাদের মুহূর্তগুলো খুবই সুন্দর লাগলো পড়ে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে ব্লগ শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু এটা ঠিক বলেছেন এভাবে সবাই মিলে ঘুরতে গেলে বেশ ভালই লাগে। ঘুরতে গেলে আপন মানুষগুলো পাশে থাকলে অন্যরকম ভালো লাগে। ভালো থাকবেন।
মুছাপুরে সবাই মিলে বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন ভাই। এমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের স্থানে ঘুরতে গেলে খুব ভালো লাগে। নদীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য চমৎকার ভাবে উপভোগ করেছেন। আপনাদের ফটোগ্রাফি দারুন হয়েছে। মুছাপুরে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্তের আজকের শেষ পর্ব পড়ে খুব ভালো লাগলো। বেশ চমৎকার অনুভূতি শেয়ার করেছেন আপনি। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
প্রকৃত সৌন্দর্যের মধ্যে ঘুরতে গেলে অন্যরকম একটা অনুভূতি আছে। আর প্রকৃতি সৌন্দর্য মানুষকে বেশি আকৃষ্ট করে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
মুসাপুর সবাই মিলে অনেক সুন্দর একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। সবাই একসাথে মিলে ঘুরাঘুরি করার মজাটাই আলাদা তাও যদি হয় আবার পরিবারের সাথে। ভীষণ ভালো লাগলো আপনার আজকে শেষ পর্বটি পড়ে ভাইয়া।