লাইফ স্টাইল :- ছোট বোনের মেয়ের আকিকা দেওয়ার মুহূর্ত।

in আমার বাংলা ব্লগ6 months ago

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আমি আজকে একটি লেখার পোস্ট এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে অথবা কোথাও ঘুরতে গেলে ওইসব বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখতে অনেক ভালো লাগে। বেশিরভাগ সুন্দর মুহূর্ত গুলোর পোস্ট পড়তে এবং লিখতে অনেক ভালো লাগে। সব সময় চেষ্টা করি আমার সুন্দর মুহূর্তের অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আর এই পোস্টটি আমার রমজান মাসে করা পোস্ট ছিল। আসলে পোস্টটি আমার পুরোপুরি রেডি করা ছিল। কিন্তু অন্যান্য পোস্ট করার কারণে এই পোস্টটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে ভুলে গিয়েছিলাম। তাই ভাবলাম আজকে যখন হঠাৎ পোস্টটি আবার চোখে পড়লো তখন আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। আসলে রমজান মাসে এরকম ইফতার পার্টি গুলো অনেকেই করে থাকে। আশা করি আজকে হঠাৎ করে এই পোস্টটি আবার দেখতে পেরে আপনাদেরও বেশ ভালো লাগবে।

IMG_20240521_231312.jpg

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব ছোট বোনের মেয়ের আকিকা দেওয়ার মুহূর্ত। আমার ছোট বোন এর মেয়ে হয়েছে রমজানের আগে। তার মেয়েটির নাম রাখলেন এবং ইসলামিক মোতাবেক মেয়েটির আকিকা দিতে হবে। তবে ছেলেদের দুটি ছাগল দিতে হয় আকিকার মধ্যে আর মেয়েদের একটি। যেহেতু আমার বোনের হাজব্যান্ড বিদেশ থাকে এই কারণে এই রমজানে আকিকার অনুষ্ঠান আমাকে দিয়ে করানো হলো। যদিও আমার সাথে তার একজন চাচাতো ভাই ও ছিল। সকালবেলা আমি ছাগলের খামারে গিয়ে ছাগল কিনে নিলাম। যদিও ছাগলটি আকার একটু বড় ছিল।

IMG_20240521_231351.jpg

IMG_20240521_231419.jpg

কারণ ছাগলটি আমার পছন্দ হলো এবং ছাগলের দাম লোকটি পঁচিশ হাজার টাকা চাইলো। যদিও আমি নিজেও জানি ছাগলের এত দাম হবে না। তারপর আমি ছাগলটি 15 হাজার 500 টাকা দিয়ে কিনে নিলাম। এবং বাজার থেকে অন্যান্য মাই মশলা সব কিনলাম। তবে ঐদিন অবাক করার বিষয় হল আমি বাজার থেকে যখন তরমুজ কিনতে গেলাম। এক একটি তরমুজ আমি ৩০০ টাকা করে কিনেছিলাম ছয়টি। যদিও আমাদের গ্রামে তরমুজ ক্ষেত থেকে এই তরমুজগুলো কিনলে হয়তোবা ১৫০ টাকা হবে একটি।

এবং বাজার ও অন্যান্য জিনিস ছোট বোনের হাজবেন্ডের বাড়িতে নিয়ে আসলাম। তারপর রান্না করার লোকের হাতে দিয়ে দিলাম সবগুলো। যদিও আমি রান্না করার লোক কে বলেছি ৩০০ লোকের জন্য বিরায়ানি তৈরি করার জন্য। কারণ ইফতারের সময় হয়তোবা লোক আরো বেড়ে যাবে। এরপর সবকিছু দেওয়ার পর রান্না করার লোকটি খুব সুন্দর করে ইফতারি বিরায়ানি তৈরি করেছে। আর ইফতারি গুলো দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। এরপর বিকেল বেলা কিছু বিরিয়ানি তাদের বাড়িতে মহিলাদের জন্য দিয়ে গেলাম। আর বাকি ইফতার গুলো আমি মসজিদে নিয়ে গেলাম লোক দিয়ে।

IMG_20240521_231450.jpg

IMG_20240521_231517.jpg

প্রথমে আমি বলেছি সবগুলো বিরায়ানি প্লেটের মধ্যে সাজানোর জন্য। কারণ সবগুলো প্লেট এক ভাবে সাজানোর জন্য বলেছি। ওই সময় আমি কয়েকটা ফটোগ্রাফি করে নিলাম। আসলে যখন প্লেটগুলো সাজানো হয়েছে কিছু বিরায়ানি ছিল। যদিও যেই মসজিদে বিরায়ানি দেওয়া হয়েছে ওর পাশে একটি বাজার ছিল। হঠাৎ করে এমনভাবে লোক আসলো আমি খুব ভয় পেয়ে গেলাম যদি বিরায়ানি কম হয়। তবে রান্না করার লোক টি আমাকে বলতেছে বিরিয়ানি কম হবেনা। ৩০০ জনের লোকের বিরিয়ানি ৪০০ লোক খেতে পারবে।

আর রমজানের সময় ইফতারি হিসেবে বিরায়ানি খাবে। যদিও আমি ওখানে শরবত ও তরমুজের ব্যবস্থা করেছিলাম। সব লোকদেরকে খুব সুন্দর করে প্লেটের মধ্যে বিরিয়ানি দেওয়া হলো। এবং কিছু লোক বেশি থাকার কারণে বড় বলের মধ্যে বিরিয়ানি গুলো তাদেরকে দিয়ে দিলাম। তারপর আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতেছি কোন লোকের কোন সমস্যা হয় নাকি। যদিও আমার জন্য এক প্লেট বিরিয়ানি রাখা হয়েছিল। ওই প্লেটটিও আমি একজন লোককে দিয়ে দিলাম। পরবর্তীতে আমি হালকা কিছু তরমুজ ও শরবত খেয়ে নিলাম। আসলে আমি চেয়েছি বিরিয়ানি গুলো সুন্দরভাবে সবার যেন হয়। তবে ওই দিন বিরিয়ানি আয়োজন করে আমি খুব চিন্তায় ছিলাম।

IMG_20240521_231152.jpg

IMG_20240521_231229.jpg

কারন আমাকে দিয়ে এই অনুষ্ঠান করেছিল আমার বোনের হাসবেন্ড। যদি কোন কারণে অসুবিধা হয় তাহলে আমার নিজেরও বদনাম হবে। তবে আলহামদুলিল্লাহ খুব সুন্দর করে ঐদিন ইফতার পার্টির আয়োজন সম্পূর্ণ করতে পারলাম। এই হচ্ছে ইফতার পার্টি আয়োজন করা সুন্দর একটি মুহূর্ত।

আমার পরিচয়

IMG_20221006_094439.jpg

আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।

35FHZ8gBpndbrF88KC8i6DmfoqNdVfSnhzJshZCJksDJs27YpCCUjp1oaP6ko3mLJbQtLE76ZKc5r3aFXKh8EK2Xg2XbxHP97436Dksrat...K3RRDcGvdyC6bx3TE39Zctd2ho1pJ1hm9nj6RC6gfhhSEVDEf6zHmiqsgBwDTEDG8onxfxrWKe5ZMmiwAvtnX6XvsCqykCT5aFqMFBq2wcdKNs74j1RgTuza3g.png

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjde9gvbjDSDFUe2t87sHycAo9yh4cXNBQ2uKuZLC2jPzA8Qx5HRSqkJDxCm2F1P...XMCuWWrUK8WEzc1spvbtGymKcxp9cSaiY7YD7nmGv2yy3TJjQK1R5Bx6mMsJqHLdPZ4gBXB1M3ZGWR3ESWZxh8hd9tvb68pfdL8xHrioiqDnHuRUqd8FYt5aog.png

ধন্যবাদ সবাইকে

Sort:  
 6 months ago 

সত্যি ভাইয়া আমাদের প্রতিটি বাবা মার দ্বায়িত্ব সন্তান জন্মের পরপরই তাদের আকিকা দেওয়া। যেহেতু আপনার বোনের হাসবেন্ড বিদেশ থাকে তাই আপনার দ্বায়িত্ব পালন করতে হয়েছে। যাইহোক আপনি অনেক সুন্দর ভাবে সবাইকে রান্না করে খাওয়ালেন। অনেক সুন্দর মূহুর্ত কাটিয়েছেন নিশ্চয়। ধন্যবাদ ভাইয়া।

 6 months ago 

এটি একদম ঠিক বলেছেন আপু প্রত্যেক মা-বাবার দায়িত্ব ছেলে-মেয়েদের আকিকা দেওয়া। আপনার মন্তব্য শুনে খুব ভালো লাগলো।

 6 months ago 

ইসলামী শরীয়ত বিধান অনুযায়ী মেয়ে হলে একটি ছাগল আকিকা দিতে হয় এটা ইসলামের বিধান। ছোট বোনের মেয়েরা আকিকার দেয়ার মুহূর্তটা আপনি দারুন ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আয়োজনটা বেশ বড় ছিল 300 জন লোকের আয়োজন অনেক বড়।

 6 months ago 

হ্যাঁ ভাইয়া আয়োজনটা বেশ বড় ছিল। সুন্দর মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে।

 6 months ago 

বিষয়টি রমজান মাসের ভিতরে আজকে আপনি সময় মতো করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। রমজান মাসে আপনার বোনের মেয়ে হয়েছে জেনে অনেক খুশি হলাম। তার আকিকা বেশ সুন্দরভাবে সম্পূর্ণ করা হলো। অত্যন্ত সুন্দরভাবে কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন। অনেক অনেক দোয়া রইল আপনার ছোট বোনের মেয়ের জন্য।

 6 months ago 

আমি চেষ্টা করেছি সুন্দরভাবে আকিকাটা সম্পূর্ণ করার জন্য। সুন্দর মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে।

 6 months ago 

মাশাল্লাহ দেখে অনেক ভালো লাগলো সবাই বসে খাওয়া দাওয়া করলেন। আকিকা অনুষ্ঠান যদি এভাবে হয় গ্রামের এতিম বাচ্চারা খেতে পারে ভীষণ ভালো লাগে। আর ছাগলের দাম যা বললো ২৫ হাজার টাকা এত বাড়িয়ে বললো। আপনি 15000 টাকা দিয়ে নিতে পারলেন ভালো লাগলো। খুব সুন্দর করে আকিকা অনুষ্ঠানটি আপনি পালন করলেন এবং সব কিছু ভালোমতো করে নিলেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে বিষয়টা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 6 months ago 

হ্যাঁ আপু ঐদিন সবাই বসে একসাথে ইফতারি খাওয়া দাওয়া করেছিলাম। তবে আপনার অসাধারণ মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো।

 6 months ago 

অনেক সুন্দর মুহূর্ত গুলো অনেক সময় শেয়ার করার সুযোগ হয় না। অবশেষে আপনি আপনার ভাগ্নির আকিকার মুহূর্তগুলো সবার মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। আপনার ভাগ্নির জন্য শুভকামনা রইল।

 6 months ago 

হ্যাঁ ভাই অনেক সময় সুন্দর মুহূর্ত গুলো অনেক সময় সুযোগ হয় না পোস্ট করার। ভালো থাকবেন ভাই।

 6 months ago 

বোনের মেয়ের আকিকা দেয়া উপলক্ষে বেশ সুন্দর আয়োজন করেছেন। আপনাদের এই সুন্দর কার্যক্রম দেখে খুবই ভালো লাগলো। তবে এখনকার সময় কিন্তু এমন আয়োজন করে না। বেশিরভাগ সময় আকিকার মাংস বিতরণ করে দেওয়া হয়। যাইহোক অনেক ভালো লাগলো।

 6 months ago 

তবে এটি ঠিক বলেছেন এখনকার সময় বেশিরভাগ মানুষ আকিকার মাংস বিতরণ করে দেয়। আপনার সুন্দর মন্তব্য শুনে খুব ভালো লাগলো ।

 6 months ago 

ভাই আপনার পোস্ট দেখে খুবই ভালো লাগলো। সেই সাথে আপনি আজকে খুব সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করুন। আসলে মুসলমান হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের আকিকা দেওয়া ফরজ। এটা ছেলেদের জন্য দুইটা এবং মেয়েদের জন্য একটা। আর আপনি ছোট বোনের মেয়ের আকিকা দেওয়ার জন্য খুব সুন্দর একটি ছাগল ক্রয় করলেন যার মূল্য নিয়েছিল ১৫ হাজার ৫০০ টাকা। এছাড়াও তরমুজ ক্রয় করেছিলেন সাথে অনেক ছেলেদের একসাথে বসিয়ে খেয়ে দিলেন। বিষয়টা খুবই ভালো লাগলো। আর এত সুন্দর একটা মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। পোস্টটি দেখে অত্যন্ত খুশি হলাম।

 6 months ago 

আসলে ভাই ঐদিন তরমুজগুলোর দাম অনেক বেশি নিয়ে নিলেন। তবে আমি চেষ্টা করেছি সুন্দর ভাবে আকিকার ইফতারি আয়োজনটা করার জন্য। ভালো থাকবেন।

 6 months ago 

আকিকার দেওয়ার সময় বড় ছাগল বাছাই করাটাই আমার মনে হয় বুদ্ধিমানের কাজ। আকিকার আমাদের মুসলমানের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা জিনিস আপনি বেশ সুন্দর একটি টপিকের উপর আজকে পোস্ট করেছেন আপনার গল্পটা শুনে বেশ ভালো লাগলো ভাই।

 6 months ago 

হ্যাঁ ভাই আকিকা আমাদের মুসলমানের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে আপনার অসাধারণ মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো।

 6 months ago 

ছোট বোনের মেয়ের আকিকা অনুষ্ঠান রমজানের মধ্যে করলেন।বোনের জামাই দেশের বাইরে তাই আপনি ই সবকিছু আয়োজন করলেন।আর সবকিছু খুব সুন্দর ভাবে হয়েছে।এটা শুনে আরো ভালো লাগলো।সবাই একসাথে বসে খাওয়া-দাওয়া করলেন। সেই অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।

 6 months ago 

আসলে আপু সবাই একসাথে বসে ইফতারি করা বা খাওয়া-দাওয়া করার অনুভূতি অন্যরকম থাকে। আপনার সুন্দর মন্তব্য শুনে খুব ভালো লাগলো।

Coin Marketplace

STEEM 0.21
TRX 0.20
JST 0.033
BTC 92098.56
ETH 3097.80
USDT 1.00
SBD 3.03