গল্প:-সন্তান যখন অমানুষ হয়।(শেষ পর্ব)
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।
কামালের ওয়াইফ বলে বড় ছেলে তার মাকে খাওয়া-দাওয়া করায় না এবং ওষুধের টাকা দেয় না। আমরা কেন করব এই বলে কামালের সাথে তার ওয়াইফ অনেক কথা বলে। প্রথম প্রথম কামাল তার ওয়াইফ কে বোঝানোর চেষ্টা করেছে। পরবর্তীতে কামাল তার মাকে বলল বড় ছেলে যদি তাকে খাওয়া-দাওয়া করায়। তাহলে কামালও তার মাকে খাওয়া-দাওয়া করাবে। বড় ছেলে যদি না দেখে কামানো তার মাকে দেখতে পারবেনা।
এই কথা শুনে কামালের মা অনেক কান্নাকাটি করল। বলে এত কষ্ট করে তোদের বাবা মারা যাবার পর আমি তোদেরকে মানুষ করেছি। আজ তোমরা বিয়ে করার পর আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করতেছ। এরপর বাড়ির কয়েকজন লোককে কামালের মা ডেকেছেন। এবং কামালকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। কামাল কোনমতে রাজি না তার মাকে খাওয়া দাওয়া করাতে। এরপর বাড়ির লোক সবাই বলতেছে তোমার মা এত কষ্ট করে তোমাদের লালন পালন করেছে আজ তোমরা এই কথা বলতেছ।
কিন্তু কামাল কথাগুলো শুনতে রাজি না। এরপর কামাল তার ওয়াইফ কে নিয়ে আলাদা খাওয়া-দাওয়া করতেছে। এবং ছোট বোন আসলে কখনো তাকে এক বেলা খাওয়া-দাওয়া করায় না। আর কামালের মা বাড়ির মানুষদের থেকে এবং তার বাইরে থেকে কিছু এনে খাওয়া দাওয়া করে। বলতে গেলে কামাল এবং আলাম এর মায়ের কষ্টের শেষ নেই। এবং রোজা আসলেও তার খোঁজ খবর নেয় না। এদিকে এলাকার সবাই বলে ছেলের দুটি অমানুষ হয়েছে।
কিছুদিন আগে আলাম ভাই বাড়িতে আসলো। খুব অসুস্থ হয়ে এসে ডাক্তার দেখাচ্ছে। কিন্তু আলাম ভাই তার মায়ের সাথে কথা বলতেছে না এবং মা ও ছেলের সাথে কথা বলতেছে না। তবে এত অসুস্থর পরও একবারের জন্য তার মাকে সে ডাকে নাই। এবং একবেলা ভাতও খাওয়া নাই। আসলে বিয়ে করলে অনেকে বলে মা বাবা পর হয়ে যায়। সেরকম কাহিনী দেখাচ্ছে আলম ভাই এবং কামাল। যদিও আলম ভাইয়ের ছেলে এবং মেয়ে তার দাদুর জন্য অনেক আন্তরিকতা।
তারা দাদুর কাছে গিয়ে কথা বলে এবং দাদু কিছু দিলে সেটি খায়। তবে আলাম ভাইয়ের ওয়াইফ এবং কামারের ওয়াইফ তার মাকে দেখলে মনে করে খারাপ কোন আবর্জনা সামনে পড়েছে। আসলে আলাম ভাইয়ের মা এবং কামালের মা এই কথাগুলো মানুষকে বলে সব সময় কান্নাকাটি করে। আর বাড়ির মানুষদের থেকে নিয়ে খাওয়া দাওয়া করে। এবং লোকটি মোটামুটি অনেক বয়স্ক হয়ে গেছে। বলে আমি অসুস্থ হলে আমাকে দেখার কেউ নেই। আর সারাক্ষণ দুই চোখ দিয়ে তার পানি পড়ে। এই হচ্ছে সন্তান যখন অমানুষ হয় তার কাহিনী। আশা করি আমার গল্পটি পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/Jamal7183151345/status/1773694656607293877?t=mglzJOB_w4IhU5dsFdiK1A&s=19
ঠিক বলেছেন ভাইয়া সন্তান যখন অমানুষ হয় তখন বাবা মার কিছু করার থাকে না। আসলে ভাইয়া মা বাবাকে এভাবে অমান্য করলে তাদের সন্তানেরা কোন একদিন তাদের অবহেলা করবে।এটা শুধু কামাল নয় আমার মনে হয় অনেকেই বাবা মার সাথে এমন করে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
হ্যাঁ এটি ঠিক বলেছেন সন্তান যখন অমানুষ হলে মা-বাবার কিছু করার থাকে না। আপনার সুন্দর মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো।
আপনার গল্পের প্রথম পর্ব আমার পড়া হয়নি। তবে আজকের পর্ব পড়ে বুঝতে পারলাম। দুটি সন্তান মা কে দেখাশোনা করে না। এরকম অনেক ফ্যামিলিতে আছে বড় ভাই যখন মাকে দেখাশোনা না করে ছোট ভাইও করতে চায়না। তবে এরা এটা চিন্তা করে না মা বাবা তাদেরকে অনেক কষ্ট করে লালন পালন করে। আর বিয়ের পরে বউ আসে তার আগে নয়। তবে সবাই মায়ের দায়িত্ব পালন করা দরকার। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি আমার পোস্ট পড়ে অনেক সুন্দর মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার গল্পের আগের পর্ব পড়া হয়নি।তবুও এই পর্ব পড়ে বুঝতে পারছি বাবা-মায়ের প্রতি তীব্র ঘৃণা সন্তানের।বর্তমানে সন্তানেরা বাবা-মাকে আবর্জনা ভাবতে শুরু করেছে এটা আসলেই হৃদয়বিদারক।সেই বাবা-মায়ের দুঃখের শেষ নেই, ঈশ্বর তাদের সুস্থতা এবং ধৈর্য্য দান করুন।ধন্যবাদ ভাইয়া, বাস্তবধর্মী গল্প শেয়ার করার জন্য।
তবে বর্তমানে অনেক সন্তান আছে মা-বাবাকে আবর্জনা মনে করে। আপনার চমৎকার মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো।
ছেলে দুটো সত্যিই অমানুষ হয়েছে, তা না হলে এই কথা অন্তত বলত না যে, বড় ছেলে যদি না খেতে দেয় তাহলে ছোট ছেলেও খেতে দেবে না। এটা আবার কেমন কথা! আমাদের প্রত্যেকের উচিত বাবা-মায়ের সেবা করা এবং বৃদ্ধ বয়সে তাদের দেখাশোনা করা। বিয়ে হওয়ার পর, এই পরিবর্তন তো একেবারেই কাম্য নয়। তবে তারা যেমন তাদের মায়ের সাথে করছে, আশা করি তাদের ছেলে মেয়েরাও এরকম করবে তাদের সাথে। আপনার গল্পটা পড়ে সত্যিই বেশ খানিকটা খারাপ লাগলো ভাই।
আসলে এরকম ঘটনা কোনভাবে মেনে নেওয়া যায় না৷ যেভাবে প্রতিনিয়ত তারা তাদের মা বাবার দেখাশোনা না করে তাদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করছে তার থেকে দুঃখের বিষয় আর কিছুই হতে পারে না৷ এরকম সন্তান থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো৷ যেভাবে তারা তাদেরকে আবর্জনা মনে করছে এবং তাদেরকে মানুষই মনে করছে না তা দেখে খুবই খারাপ লাগছে৷ আসলে সকল সন্তানের উচিত যে তাদের পিতা মাতাকে ভালোভাবে রাখার এবং পিতা মাতার যেকোনো ধরনের সমস্যা তাদেরকে সমাধান করে দেওয়ার৷ তবে এই ক্ষেত্রে কোনমতেই তারা এই সমস্যার সমাধান করছে না৷ অথচ পিতা মাতাদের শুধুমাত্র আবর্জনা মনে করে যাচ্ছে৷