গল্প :- শিক্ষিত সন্তান যখন অদক্ষ হয়।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।
আজকে আমি বাস্তব একটি ঘটনা আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। কটনাটিই হচ্ছে আমাদের এলাকার একটি ফ্যামিলির ঘটনা। একটি ফ্যামিলিতে দুটি সন্তান আছে। এবং তাদের আর কোন ভাই বোন। ছেলে দুটির নাম হচ্ছে মঞ্জু এমন সুমন। ছোটকাল থেকে তাদের মা-বাবা ছেলে দুটিকে অনেক সুন্দর করে লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষ করেছেন। তাদের বাবা ছোটকালে থেকে এলাকায় ছোটখাটো ব্যবসা করে তাদেরকে মানুষ করলেন। তবে তাদের সংসারে অভাব বলতে কিছুই নেই। তার বাবার বড় চাওয়া পাওয়া কিছু ছিল না শুধু ছেলে দুটিকে মানুষ করার চেষ্টা করেছে।
মঞ্জু ফ্যামিলি বড় ছেলে এবং সুমন ফ্যামিলির ছোট ছেলে। মোটামুটি পড়ালেখা করে মানুষ হয়েছে। মঞ্জু বর্তমানে একটি ব্যাংকে চাকরি করে। সুমন একটি স্কুলে চাকরি করে মোটামুটি দুজনেই ভালো অবস্থায় আছে। প্রথম অবস্থা চাকরি হওয়ার কারণে তার বাবা কিছু টাকা ধার করে চাকরির জন্য দিয়েছে। বাংলাদেশের কোন চাকরি পেতে হলে গুস ছাড়া হয় না। কিন্তু তারা দুই ভাই চাকরি করে সেই টাকাগুলো পর্যন্ত তার বাবাকে দেয়নি। বর্তমানে দুটি সন্তানের নিজের পছন্দমত চুরি করে বিয়ে করেছেন।
তাদের মা বাবা আছে এই কথা তাদের মনে নেই। শুধু প্রেম করে বিয়ে করে স্ত্রী ও তাদের পরিবার নিয়ে আসে। অথচ তাদের চাকরির টাকাগুলো সুদের টাকা এখনো তার বাবা চালাচ্ছে। বর্তমানে দুই সন্তানের বাবা অটোরিকশা চালায়। নির্মম পরিহাস তাদের বাবা রিক্সা চালিয়ে খাচ্ছে। মা-বাবা দুইজন বৃদ্ধ তারা রিকশা চালিয়ে মোটামুটি চলতে পারে। কিন্তু দুই সন্তানের চাকরির জন্য যে টাকা নিয়েছে সেই টাকাগুলো সুদ চালাতে তাদের অনেক কষ্ট হয়ে যায়। তবে সন্তান দুটি তাদের দিকে কোন খেয়াল নেই। কিছুদিন আগেই ঈদের সময় বাড়িতে আসলো।
দুই সন্তান এসে ঝগড়া করে চলে গেল বউকে নিয়ে। যখন তাদের বাবা মা বলতে লাগলো টাকা-পয়সার কথা। তারা ঝগড়া করে বাড়ি থেকে চলে গেলেন। বর্তমানে তার বাবা অনেক চিন্তায় আছে। এতগুলো সুদের টাকা আছে কিভাবে দেবে। কিন্তু ছেলে দুটি একটু মায়া হচ্ছে না। অথচ ছোটকাল থেকে তার বাবা-মা কত কষ্ট করে দুই সন্তানকে মানুষ করেছে। কিন্তু শিক্ষিত করে তাদের মা-বাবা মনে হয় ভুল করেছে। এই কথাটি মঞ্জু এবং সুমনের বাবা বলতেছে। তাদের বাবা বলতে লাগলো যদি একটি মেয়ে সন্তান থাকতো আমার তাহলে আমাদের কষ্টটা বুঝতেন।
অথচ বাড়ির লোক গুলো একটু বুঝিয়ে কিছু কথা বলতেন তাহলে ভালো হতো। এদিকে মঞ্জু এবং সুমন বিয়ে করে বউকে নিয়ে বাসায় নিয়ে থাকে বাইরে। কিন্তু কখনো জিজ্ঞেস করে না বাবা-মা কি খাইছে। আসলে অতি শিক্ষিত হলেও অনেক সময় মা বাবার কথা ভুলে যায়। যেমন মঞ্জু এবং সুমনের বেলা হয়েছে। বর্তমানে তাদের বাবা মা চিন্তা করতেছে বাড়ির যেটুকু জায়গা সম্পত্তি আছে তা বিক্রি করে দেবে। এই টাকা পরিশোধ করার জন্য আর কোন রাস্তা নেই।
যদি মঞ্জু এবং সুমন টাকাগুলো দিয়ে দিতেন তাহলে তাদের এই সমস্যা হতো না। যদিও টাকাগুলো তেমন বেশি না তারপরও একটা লোক রিকশা চালিয়ে কত টাকায় পায়। কিছুদিন আগে ও মঞ্জু এবং সুমনের বাবা দোকানের কথাগুলো একজন লোকের সাথে বলতেছে। লোকটি তাকে জিজ্ঞেস করল আপনি কেন রিক্সা চালাচ্ছেন। আপনার দুটি সন্তান সরকারি চাকরি করে। এই কথা বলার সাথে সাথে সেই কান্নাকাটি করে এই কথাগুলো বলতেছে। সকল মা-বাবায় চিন্তা করে বড় সন্তান বড় হলে তাদের দেখাশুনা করবে। এই হচ্ছে শিক্ষিত সন্তান যখন অদক্ষ হয় গল্পটি।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/Jamal7183151345/status/1680195336328089600?s=20
আসলে শিক্ষিত হলেও অনেক সময় মানুষ মনুষত্বহীন হয়ে যায়। তাই তো শেষ বয়সে বাবা-মাকে ছুড়ে ফেলে দেয়। শেষ বয়সে বৃদ্ধ লোকটি রিক্সা চালিয়েছে জেনে সত্যিই খারাপ লাগলো। এই লেখাগুলো একেবারে সমাজের বাস্তবতা থেকে লেখা। দারুন লিখেছেন ভাইয়া।
ঠিক বলেছেন আপু শিক্ষিত হলেও অনেক সময় মানুষ মনুষ্যত্বহীন হয়ে যায়। সুন্দর মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার লেখা গল্পটি পড়ে আমার কাছে খুবই খারাপ লেগেছে। সুমন এবং মঞ্জু দুই ভাই পড়ালেখা করে ভালো চাকরি করার পরেও তার বাবা রিকশা চালিয়ে তার জীবন যাপন করছে। এবং তাদের চাকরি পাওয়ার জন্য যে টাকা দিয়েছে সে টাকা পর্যন্ত তারা পরিশোধ করছে না। আসলে অনেক সময় কিছু কিছু মানুষ শিক্ষিত হয়েও মনুষত্ববোধ তাদের মধ্যে থাকে না। গল্পটি পড়ে তার সুমন এবং মঞ্জু তার বাবার জন্য আমার অনেক খারাপ লাগছে।
সত্যি আমার কাছে খারাপ লাগলো মন্জু এবং সুমনের মা বাবার জন্য। তার বাবা এই বয়সে রিক্সা চালাই। সুন্দর করে মন্তব্য করায় অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
বর্তমান সমাজে সুমন এবং মঞ্জুর মত অনেক লোক আছে যারা মা বাবার সেবা করে না। তাদের চিন্তা করা দরকার ছিল ছোটকাল থেকে কত কষ্ট করে তার মা বাবা তাদেরকে মানুষ করেছে। তবে আমার কাছে বেশি খারাপ লাগলো তাদের সরকারি চাকরির জন্য যে টাকাগুলো তার বাবা ঋণ করেছে সেই টাকাগুলো পর্যন্ত তাঁরা দিতেছে না। অথচ বৃদ্ধ বয়সে সেই রিকশা চালিয়ে তাদের খরচ চালাচ্ছে এবং ঋণ গুলো পরিশোধ করতেছে। মঞ্জু এবং সুমন তাদের ওয়াইফদের বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে মনে হয়। সত্যি বলতে আপনার পোষ্টটি পড়ে অনেক খারাপ লাগলো। বাস্তব একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন মঞ্জু এবং সুমন তাদের ওয়াইফদের বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। তাদের চিন্তা করা দরকার ছিল তার মা-বাবা তাদের জন্য কি করেছে। চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বর্তমান সমাজে বাচ্চাদেরকে বেশি লেখাপড়া করালেও সমস্যা। কিন্তু তারা চাকরি করে যার যার বউ নিয়ে সংসার করে শেষ বয়সে এসে মা-বাবাদেরকে দেখাশোনা করে না। এমন ঘটনা অনেক আছে সব জায়গায় খুব তিক্ততার কিছু বিষয়। আপনার গল্পটি পড়ে অনেক খারাপ লাগলো এমন সন্তানদেরকে ধিক্কার জানাই এমন শিক্ষাকে ধিক্কার জানাই। অনেক সুন্দর একটি দুঃখের মুহূর্তের গল্প শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলে শিক্ষিত হলে তাদের মনের ভিতর অনেক রকমের চিন্তা থাকে। তখন তারা তাদের মা-বাবাকে ভুলে যায়। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আসলে প্রত্যেকটা মানুষ শিক্ষিত হলেও কিছু কিছু মানুষ রয়েছে অদক্ষ। এইরকম মানুষগুলো বাবা-মায়ের পাশে থাকে না। তখন বাবা-মা অনেক বেশি কষ্ট করে, আর এ বিষয়টা দেখলে নিজের কাছেও খুব খারাপ লাগে। মঞ্জু এবং সুমনের এরকম কথা শুনে আমার তো তাদের প্রতি অনেক বেশি ঘিন্না জেগেছে। এরকম সন্তানের জন্য বাবা-মা এত কিছু করেছে, কিন্তু তারা তাদের বাবা মায়ের পাশে নেই এখন। অনেক কিছুই বুঝতে পারলাম আপনার এই পোস্টটা পড়ে।