গল্প:- পর মানুষকে ফ্যামিলিতে আপন করলেও সমস্যা।(প্রথম পর্ব)
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।
আজকে আমি বাস্তব একটি গল্প আপনাদের মাঝে খুব সুন্দর করে শেয়ার করব। আমি যে গল্পটি শেয়ার করব আমাদের পাশের এলাকার একটি ফ্যামিলির ঘটনা। একটি ফ্যামিলিতে দুটি ভাই আর কোন বোন নেই। তাদের মা বাবা নিয়ে ফ্যামিলি খুব সুন্দর ভাবে চলতেছে। দুটি ভাইয়ের নাম হচ্ছে ফরিদ ও আলম। এবং এই দুটি ভাই খুব ভালো এবং মা-বাবাকে অনেক বিশ্বাস করে। এবং দুটি ভাই বিদেশ ওমান থাকে। যদিও আমিও ওদের সাথে ওমান একই জায়গা থাকতাম।
এবং ফরিদ ও আলাম এর একটি মামাতো ভাই আছে। ফরিদ এবং আলাম এর মা অনেক বছর আগে ছেলেদের কাছে আবদার করেছে ।তার ভাই ছেলেকে বিদেশ নেওয়ার জন্য। এই কারণে ফরিদ এবং আলাম তার মামাতো ভাইকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সবকিছু ঠিক করলো। তাদের মামাতো ভাইয়ের নাম হচ্ছে পারভেজ। পারভেজ অত্যন্ত দুষ্ট লোক এবং অনেক চালাক। আমাদের সাথে কিছু মাস ওমানে একসাথে রুমে ছিল। এবং ছেলেটির কথাবার্তা অন্যরকম।
যখন তাকে তার ফুফাতো ভাইয়েরা বিদেশ নিলেন তাদের সাথে খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। বিগত চার পাঁচ বছর ওমানে ফুপাতো ভাইয়ের সাথে থাকতেন। তাদেরকে অনেক ইজ্জত করতেন এবং তার ও পারভেজকে ছোট ভাইয়ের মতো দেখতেন। ফরিদ দোকান করতে আর আলম ভাই পাইভেট গাড়ি চালাতেন। বলতে গেলে দুইজন অনেক ব্যস্ত লোক ছিলেন। এদিকে পারভেজ ওমানে কি হয় তা ডেইলি বাড়িতে খোঁজখবর পাঠাতেন। এবং এই নিয়ে দুই ভাইয়ের ওয়াইফ বাড়িতে মিলতেন না একজনের সাথে একজন ঝগড়া করতেন।
যদিও ফরিদ এবং আলম ভাই অনেক মিল ছিল। তারা সবসময়ই তাদের ওয়াইফদের শাসন করতেন। তবে তাদের এই ফ্যামিলির সমস্যা কি কারনে হচ্ছে তারা কিছুই বুঝতে পারতেন না। হঠাৎ করে পারভেজকে তার ওমানে আরবাব বাড়িতে পাঠিয়ে দিবেন। ওই সময় ওমানি বলতেছে তার কোন লোক লাগবে না। যদিও পারভেজ বাহিরে ডেইলি কাজ করতেন। এরপর তার দুই ফুতাতো ভাই বলতেছে সমস্যা নেই তাকে দেশে পাঠিয়ে দেবে। নতুন করে তাকে আবার ও মানেই নিয়ে যাবে।
এরপর কিছুদিনের মধ্যে পারভেজকে তার আরবাব দেশে পাঠিয়ে দিলেন। দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার পর পারভেজ ফরিদ এবং আলম ভাইদের বাড়িতে থাকতেন। এবং তাদের বাড়িতে মোটামুটি দুই তিন মাস থাকার পর ভালোই চলতেছে। হঠাৎ করে একদিন পারভেজ বলতেছে সেই চট্টগ্রামে যাবে। বন্ধুর বাড়িতে যাবে এই বলে বাড়ি থেকে বাইর হল। কিছুক্ষণ পর ফরিদের ওয়াইফ এবং তার ছোট বাচ্চাকে পাওয়া যাচ্ছে না। ফ্যামিলির সবাই নিজ কাজে ব্যস্ত কখন যে ফরিদের ওয়াইফ বাড়ি থেকে কোথায় চলে গেল বুঝতে পারল না।
(চলবে)
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/Jamal7183151345/status/1740368641592586554?t=KF1fCYDYlKbe0Xu2zA4X7Q&s=19
ফরিদ ও আলম এর বাস্তব গল্পটি পড়ে যতোটুকু বুঝতে পেলাম তাতে তাদের মামাত ভাই তাদের অশান্তির কারণ হবে।দুভাই এর সুখের সংসারে তৃতীয় ব্যাক্তির আগমন। পারভেজ দুষ্ট প্রকৃতির লোক তা বোঝা যাচ্ছে পোস্টের গল্পে।পরবর্তী পর্বে বিস্তারিত জানতে পারবো নিশ্চয়ই। ধন্যবাদ
খুব সুন্দর করে গল্পটি পড়ে মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
ফরিদ এর ওয়াইফ আর বাচ্চা কোথায় গেলো জানার আগ্রহ থেকে গেলো। আর গল্পটি পড়ে মনে হচ্ছিল পারভেজ এর জন্য হয়তো ফরিদ আর আলম এর ওয়াইফ এর মধ্যে ঝগড়া হতো। আসলে ভাই, যেকোনো মানুষ চেনা বড়ো দুষ্কর। যাইহোক, পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
আশা করি বিস্তারিত দ্বিতীয় পর্বে জানতে পারবেন। অসাধারণ মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার গল্পের প্রথম পর্ব পড়ে আমার কাছে রহস্যময় মনে হচ্ছে। ফরিদ এবং আলম তার মামাতো ভাই পারভেজকে বিদেশ নিয়েছে। এবং বিদেশ থেকে আসার পর তাদের বাড়িতে থাকে। যেইদিন পারভেজ চট্টগ্রামে গেল ঐ দিন ফরিদের ওয়াইফ এবং মেয়েকে পাওয়া যাচ্ছে না। আমার মনে হয় ফরিদ ভাইয়ের ওয়াইফ এখানে পারভেজ ভাইয়ের সাথে পালিয়ে গিয়েছে। যদিও এটি আমার ধারণা। দেখি আশা করি পরের পর্বে কি ঘটে সেই অপেক্ষায় রইলাম। আশা করি পরের পর্ব টি তাড়াতাড়ি আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন।
অপেক্ষা করেন পরে করবে সব জানতে পারবেন। তবে এটি ঠিক পারভেজ এর কারণে তাদের ফ্যামিলিতে ঝগড়া হবে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে।
বর্তমান যুগে পর মানুষকে বাড়িতে জায়গা দেওয়া মোটেই উচিত না। কারণ কিভাবে ক্ষতি করে ফেলবে সেটা টের ও পাওয়া যাবে না। যাইহোক পারভেজ যেহেতু ওমানে থাকা অবস্থায়, ফরিদ এবং আলমের বাসায় ফোন দিয়ে ঝগড়ার সৃষ্টি করতো তাদের দুই ভাইয়ের স্ত্রীদের মধ্যে, সেহেতু পারভেজ দেশে আসার পর মনে হচ্ছে ফরিদের বউয়ের সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়েছে এবং তাদেরকে নিয়ে বাসা থেকে পালিয়ে চট্টগ্রাম চলে গিয়েছে। কারণ পারভেজের মতো মানুষের কাছ থেকে এর চেয়ে ভালো কিছু আশা করা যায় না। পারভেজ হচ্ছে কৃতঘ্ন টাইপের লোক। তারা দুই ভাই এতো উপকার করলো পারভেজের,আবার বলেছে ওমান নিয়ে যাবে, তবুও কিভাবে পারলো এভাবে ক্ষতি করতে ফরিদের। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই।
ঠিক বলেছেন বর্তমান যুগে পর মানুষকে বাড়িতে জায়গা দেওয়া মোটে উচিত না। এবং অনেকে মানুষের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে। সুন্দর মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে।