গল্প:-চালাক মানুষ।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে একজন চালাক মানুষের গল্প শেয়ার করব। লোকটি আমাদের পাশের বাড়ির তবে তার গল্পটি শুনেছে আমার বড় ভাইয়ের কাছ থেকে। আমাদের পাশের বাড়ির একটি লোকের নাম হচ্ছে হারুন। তবে সবাই তাকে বিংসা হারুন নামে চিনে। লোকটি এখনো জীবিত আছে তবে বয়স অনেক। এই হারুন মিয়া অনেক গরিব ফ্যামিলির মানুষ। ছোটকাল থেকে অনেক কষ্ট করে সে বড় হয়েছে। যখন সে বড় হয়েছে তার ঘরটি ছিল মাটির ঘর। মাটি দিয়ে খুব সুন্দর করে ঘর দিয়েছে। আমাদের আশেপাশের মানুষগুলো তার মাটির ঘরটি দেখতে যেত। তবে সেই মানুষের সাথে খুব মজা করে কথা বলতেন।
অনেক বছর আগে বর্ষাকাল ছিল। ওই সময় তার এলাকাতে কোন কাজ ছিল না। তার ফ্যামিলিতে দুটি মেয়ে একটি ছোট সন্তান ছিল। বাড়িতে ভাত পাকানোর জন্য কোন চাউল নেই বিগত ২-৩ দিন ধরে। সকালবেলা তার ওয়াইফ হারুন মিয়াকে বলতে লাগলো আজকে যদি ভাতের চাউল না আনে তাহলে ছেলে মেয়ে রেখে তার ওয়াইফ বাপের বাড়িতে চলে যাবে। এই কথা শুনে হারুন ভাই চিন্তায় পড়ে গেলেন। অনেক করে বললেন তার ওয়াইফকে দুই একদিনের মধ্যে চাউলের বস্তা নিয়ে আসবে। তার কথা কোনমতে তার ওয়াইফ বিশ্বাস করতেছে না। এরপর হারুন মিয়া বলে গেল দুপুরের আগে আমি চাউল নিয়ে আসব।
এই বলে সে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেল। এবং দুখানে ও আরো কিছু জায়গার মধ্যে গেলেন। এলাকার কিছু লোকে বলতেছে তার ঘরের পিছনে বড় কড়ই গাছটি বিক্রি করবে। এমন সময় কিছু কিছু লোক বলতেছে কত টাকা বিক্রি করবেন। এবং হারুন মিয়া কড়ই গাছের দাম চেয়েছেন ওই সময় পাঁচ হাজার টাকা। তবে গাছটি অনেক বড় ছিল। এক লোক বলেছিল 2000 টাকা দেবে। এবং হারুন মিয়া বলতেছে টাকা দেন । এবং লোকটিকে একটা তারিখ দিয়েছো ঐদিন গাছটি কাটার জন্য। এই বলে এই লোক থেকে ২০০০ টাকা নিয়ে নিল। এরপর অন্য জায়গায় গিয়ে বলতেছে গাছ বিক্রি করবে। ওখানে কথা বলে গাছটি ১৫০০ টাকা বিক্রি করলেন।
এরপর সেই আরেক জায়গায় গিয়ে গাছ বিক্রি করবেন বলে আর একটি লোকের কাছে ২০০০ টাকা বিক্রি করেছেন। এভাবে তিন জায়গায় গাছটি বিক্রি করে ৫৫০০ টাকা পেল। এবং তিনজনকে একই দিনে ডেট দিলেন গাছ কেটে নেওয়ার জন্য। ঐদিন সে এই টাকাগুলো দিয়ে ঘরের সম্পূর্ণ বাজার করে দিলেন। এর পরের দিন সেই চট্টগ্রামে চলে গেলেন কাজ করার জন্য। এক সপ্তাহ পর একই দিনে তিন পক্ষ আসল গাছ কাটার জন্য। এবং গাছ কাটতে এসে তিন পক্ষ ঝগড়া লেগে গেল এবং সবাই বলতেছে তারা গাছ কিনেছে। এরপর হারুন মিয়ার বড় ভাই বলতেছে তোমরা গাছ কাটবেনা। হারুন মিয়া আসার পর কথা বলার পর গাছ কাটবে।
এর দুই মাস পর হারুন মিয়া যখন গ্রামে আসলেন। তখন গাছ কিনার লোক গুলো তিনজনে হারুন মিয়াকে ধরে দোকানে বসালেন। তখন হারুন মিয়াকে জিজ্ঞেস করল গাছটি কেন তিনজনের কাছে বিক্রি করলেন। তখন হারুন মিয়া দোকানে লোকগুলোকে নিয়ে গাছটি দেখালেন। এবং সবাইকে জিজ্ঞেস করলেন এই গাছের দাম কত হবে। কেউ বলে ৫ হাজার কেউবা বলে 6 হাজার। তখন হারুন মিয়া বলতে লাগলো আমার ঘরের মধ্যে কোন বাজার ছিল না। তখন আমি এই গাছটি বিক্রি করব বললাম। আমার অভাবের সময় এই লোকগুলো আমাকে অল্প টাকা দিয়েছে গাছ নেবে বলে। এবং আমি অভাবের কারণে এই গাছটি বিক্রি করব বলে এই লোকগুলো থেকে টাকা নিয়ে নিয়েছি।
এখন আমার এই গাছ ৫০০০ টাকা যে দিবে সে নিতে পারবে। নয়তোবা আমি তাদের টাকাগুলো দিয়ে দেব। তখন এক লোক জিজ্ঞেস করল সবাইকে একদিন ডেট দিয়ে গাছ কাটার জন্য কেন বললেন। তখন হারুন মিয়া বলতে লাগলো আমি যদি ভিন্ন ভিন্ন ডেট দিতাম তাহলে আমার গাছটি কেটে নিয়ে যেত। এই কারণে আমি একই দিন গাছ কাটার ডেট দিয়েছি তিনজনকে। এরপর গাছ কেনার জন্য যে লোকগুলো টাকা দিয়েছে তারা বলতেছে গাছ দেবে না তাদের টাকাগুলো দিয়ে দেওয়ার জন্য। এরপর হারুন মিয়া তাদের টাকাগুলো দিয়ে দিলেন। এবং সে অনেক চালাকি কাজ করলেন। আশা করে আমার এই গল্পটি পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/Jamal7183151345/status/1690022034816847873?s=20
আসলে হারুন মিয়ার ব্রেইন আছে বলা যায় । কি চালাকি বুদ্ধিটা বের করেছে বাবা। এরকম বুদ্ধি বের করা সত্যিই অনেক ব্রেইনের দরকার ।দারুন ব্রেন খাটিয়ে তার গাছ টিকে সে বাঁচিয়ে ফেলল এবং অভাবের সময় টাকাগুলো বেশ কাজেও দিল ।সত্যিই বুদ্ধি থাকলে অনেক কিছু করা সম্ভব। ভালো ছিল গল্পটি ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন দারুন ব্রেন খাটিয়ে তার গাছটিও বাঁচিয়েছেন ।এবং অভাবের সময় টাকাগুলো তার বেশ কাজে দিল। সুন্দর মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে।
হারুন মিয়ার বুদ্ধি আছে সেই একটি গাছকে তিনজনের কাছে বিক্রি করেছে। যদিও ওই সময় তার টাকা দরকার ছিল ফ্যামিলির মধ্যে কোন বাজার ছিল না। এই কারণে সেই চালাকি করে গাছটির তিন জনের কাছে বিক্রি করেছেন। আসলে তার বুদ্ধির প্রশংসা করতে হয়। তবে হারুন মিয়া অতিরিক্ত চালাক লোক। আপনার গল্পটি পড়ে সত্যিই অনেক ভালো লাগলো। আপনার ভাইয়ের মুখ থেকে সোনা গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন।
হারুন মিয়াকে আমাদের এখানে সবাই অতি চালাক লোক বলে। সুন্দর মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে চালাক মানুষের দারুন একটি গল্প শেয়ার করেছেন। আসলে হারুন মিয়ার সেই সময় অভাব ছিল বলে গাছটি বিক্রয় করতে চেয়েছিল এবং তিনজন ব্যক্তির কাছে গাছটি বিক্রয় করেছিল। যেহেতু তিনজন ব্যক্তির কাছে বিক্রয় করেছিল তাই গাছটি কাটার জন্য তিনজন ব্যক্তিকে একদিনে ডেট দিয়েছিল। তারপরে সবাই যখন গাছটি কাটতে আসলো তখন হারুন মিয়া ৫ হাজার টাকা দিলে গাছটি বিক্রয় করতে চেয়েছিল এবং দুইজনের টাকা ফেরত দিতে চেয়েছিল। হারুন মিয়া সুযোগে সৎ ব্যবহার করেছিল যাইহোক হারুন মিয়ার মাথায় অনেক বুদ্ধি আছে ভাই।
আমার গল্পটা নিয়ে স্বাভাবিক মন্তব্য করাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
হারুন মিয়ার মাথায় দেখছি অনেক বুদ্ধি। এরকম বুদ্ধি যদি থাকে তাহলে তো আর কাউকে ভাতে মরতে হয় না। হারুন মিয়া বুদ্ধি করে সবার থেকে টাকা নিয়ে এক ডেটে সবাইকে গাছ কাটার জন্য বলেছিল এবং পরে সে আসার পরে সবাইকে সবকিছু বুঝিয়ে বলেছিল। গাছটা বিক্রি না করে পরবর্তীতে টাকা দিয়ে ভালোই করেছে। বাজার করার জন্য তো সে সময় মত টাকাটা জোগাড় করে নিয়েছিল বুদ্ধি খাটিয়ে।
হ্যাঁ আপু গাছটির বিক্রির টাকা গুলো পরে সবাইকে দিয়ে দিলেন। এবং চালাকি করে গাছটিও টিকিয়ে রাখলেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনি সব সময় সত্য ঘটনা অবলম্বনে গল্প লিখে থাকেন যেগুলো পড়লে খুব ভালো লাগে। আজকেও অনেক সুন্দর করে এই গল্পটি লিখেছেন একটা সত্য ঘটনা অবলম্বনে। লোকটার বুদ্ধির কথা শুনে আমি তো নিজেই অবাক। এরকম বন্ধু থাকলে আর কি লাগে। সেই মানুষটা তো কখনোই না খেয়ে তাহলে থাকবে না। তবে লোকটি সবশেষে ওই লোকগুলোকে ওনার গাছ এবং টাকার বিষয়টা বুঝিয়ে দিয়েছিল। টাকাগুলো ফেরত দিয়েছিল এবং কি গাছ কেটে ফেলতে আর দেয়নি। সম্পূর্ণটা খুব ভালো লাগলো।
হারুন মিয়ার বুদ্ধির কথা শুনে পরে অনেক লোকেই অবাক হয়ে গেল। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে অনেক সুন্দর করে মন্তব্য করায়।