জেনারেল রাইটিং :- বাবা হলেন একটি বাড়ির ছাদ, যে নিজে পুড়ে সন্তানদের ছায়া দেয়।
বাবা হলেন একটি বাড়ির ছাদ, যে নিজে পুড়ে সন্তানদের ছায়া দেয় কিন্তু মুখ ফুটে কিছু বলে না।
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আমি আজকে একটি লেখার পোস্ট এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে। আমাদের চারপাশে এবং বাস্তবে কিছু শিক্ষনীয় বিষয় ঘটে যেগুলো আমাদেরকে অনেক কিছু শিক্ষা দেয়। আমাদের সবার উচিত ঐসব কিছু শিক্ষার বিষয় থেকে নিজেদেরও কিছু শিখা। আপনাদের সবাইকে দেখি এরকম বিভিন্ন রকম শিক্ষার বিষয় নিয়ে পোস্ট করতে। তাই আমিও চেষ্টা করতেছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষার বিষয় নিয়ে পোস্ট করার জন্য। আপনাদেরও আমার পোস্টে আশা করি খুবই ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে অনেক সুন্দর করে শেয়ার করব একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট। পোস্টটি হচ্ছে বাবা হলেন একটি বাড়ির ছাদ, যে নিজে পুড়ে সন্তানদের ছায়া দেয় কিন্তু মুখ ফুটে কিছু বলে না। বাবা এমন একটি শব্দ যা বলে শেষ করা যাবে না। বাবা মানে ছেলেমেয়েদের জন্য একটি বাড়ির ছাদ। যেই ছাদ থেকে বাবা ছেলেমেয়েদেরকে ছায়া দিয়ে থাকে। পৃথিবীতে একমাত্র নিঃস্বার্থ ভালবাসে যারা তাদের মধ্যে একজন হচ্ছে বাবা। বাবার ঘুন বলে কখনো ছেলে-মেয়ে শেষ করতে পারবে না।
বাবা ঘরের ছাদের মত বা গাছের মত ছেলেমেয়েদেরকে ছায়া দিয়ে থাকে। শত কষ্ট এবং দুঃখ আসুক কখনো ছেলে-মেয়েকে কষ্ট দেয় না। বাবা হাজার কষ্টের মাঝেও ছেলে মেয়ের সামনে হাসিখুশি কথা বলে। যেন ছেলেমেয়ে বুঝতে পারে তার বাবা অনেক সুখেই আছে তাদেরকে নিয়ে। বাবা নিজের না খেয়ে ছেলেমেয়েদের খাওয়ান। এবং ছেলে মেয়ে ছোট থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত বাবা চাই ছেলে মেয়ে সুখে এবং ভবিষ্যতে ভালো কিছু করতে পারে এরকম তাদের জন্য কাজ করে।
আর বাবা সব সময় মন থেকে দোয়া করে এবং ভালোবাসে ছেলেটি যেন বড় হয়ে অনেক বড় প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। ছেলে মেয়ের হাজার কষ্ট বুকে নিয়ে বাবা ছেলেমেয়েদেরকে সুখী করতে চায়। বাবা নিজে পুড়ে এবং কষ্ট করে হলেও ছেলে মেয়ের মুখে হাসি ফুটায়। অথচ এই বাবাকে আমরা ছেলে মেয়েরা অনেক সময় অনেক বড় আঘাত দিয়ে থাকি। যেমন ধরুন আমরা যখন বড় হই বাবার অবাধ্য হয়ে তাদেরকে কষ্ট দিয়ে থাকি। তারপরও বাবা আমাদেরকে ক্ষমা করে দেন। সব সময় চিন্তা করে ছেলে মেয়ের ভালো এবং কখনো খারাপ কিছু চিন্তা করে না।
যখন ছেলে মেয়ে জন্মগ্রহণ করে তখন বাবা অনেক স্বপ্ন দেখে তার ছেলে মেয়েকে নিয়ে। শত কষ্ট করে ছেলেমেয়েকে বড় করতে চাই এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। আর আমরা বাবার ঋণ কখনো শেষ করতে পারবো না। বাবা এমন একটি বাড়ির ছাদ যে নিজেই রোদে বৃষ্টিতে পুড়বে কখনো ছেলে মেয়েকে রোদ বৃষ্টিতে ভিজতে দেবে না। শত আঘাত এবং কষ্টের পরেও বাবা সব সময় ছেলে-মেয়ের জন্য দোয়া করে। এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাবা ছেলে মেয়ের জন্য দোয়া করে যেন তারা সুখী হয়। আর আমরা এই বাড়ির ছাদ বাবাকে কষ্ট দিয়ে থাকি।
কখনো বাবার কষ্টের কথা আমরা বুঝতে পারিনা। যখন ছেলে মেয়ে একদিন বাবা হয় তখন তারাও ছেলে মেয়েরা বাবার কষ্ট বুঝে। হয়তোবা ওই সময় বাবা আমাদের মাঝে থাকে না এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যায়। আসলে পৃথিবীতে একমাত্রই হচ্ছে বাবা নিঃস্বার্থে ছেলে-মেয়েকে ভালবাসে এবং ছেলে মেয়ের মঙ্গল কামনা করে। আর বাবার সাথে কারো তুলনা করা যায় না। বাবার নামটি ছোট হলেও এই নামের মধুরতা অনেক। আর বৃদ্ধ বয়সে অনেক ছেলে মেয়ে বাবাকে কষ্ট দিয়ে থাকে। সত্যিই বাবা এমন একজন মানুষ তার সাথে কারো তুলনা করা যায় না। আশা করি আমার আজকের পোষ্টের পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
https://x.com/Jamal7183151345/status/1839918808561340684?t=QBubnon1cXBmrgZZ3tUllQ&s=19
প্রত্যেকটা বাবা প্রতিনিয়ত কষ্ট করে নিজের পরিবারকে আগলে রেখেছেন। সন্তানদের মাথার উপর চাঁদ হয়ে আছেন। যাদের বাবা নেই তাদের মাথার উপর ছাদ নেই। বাবার যতই কষ্ট হোক না কেন, তিনি সেই কষ্ট কখনো প্রকাশ করেন না। সেই কষ্টটাকে লুকিয়ে রাখার জন্য সব সময় মুখে হাসি রাখেন। কোনো রকম স্বার্থ ছাড়া সন্তানদেরকে ভালোবাসেন, আগলে রাখেন। নিজের খাওয়ার কথা চিন্তা করেন না। কিন্তু সন্তানদেরকে মানুষের মতো মানুষ করার চিন্তা মাথায় রাখেন সব সময়।
অনেক সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে আপনি লিখেছেন। আপনার লেখা দেখে বেশ ভালো লাগলো। বাবার দায়িত্ব বাবা পালন করে যায় মুখ বুঝে। কিন্তু সন্তানরা সব সময় বুঝতে পারে না। পিতা সব সময় সন্তানের জন্য বটবৃক্ষ।