ভ্রমণ :- মাইসুনকে টিকা দেওয়ার মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব মাইসুনকে টিকা দেওয়ার মুহূর্ত।
কিছুদিন আগে আমি আমার একমাত্র মেয়েকে নিয়ে টিকা দেওয়ার জন্য টিকা কেন্দ্রে গিয়েছিলাম। যদিও প্রথমে আমার ওয়াইফ মেয়েকে নিয়ে টিকা কেন্দ্রে গেলেন। এবং অনেক মানুষ থাকার কারণে আমার ওয়াইফ বাড়িতে চলে আসলেন। আসার আগে আমার ওয়াইফ আমাকে মোবাইলে কল করলেন। বলতেছে এখানে অনেক মানুষ অনেকক্ষণ টাইম লাগবে এখন আমি কি করবো। তখন আমি বললাম বাড়ির সামনে যখন আছে দুপুর বেলা আবার নিয়ে যাবে।কারন টিকা কেন্দ্রটি আমাদের বাড়ির সামনে এই কারণে পরে আবার যেতে পারবে। এর কিছুক্ষণ পর আমার ওয়াইফ আমাকে আবার ও মোবাইলে কল করে বলল। কখন আমি মাদ্রাসা থেকে আসব।
এবং আমি আমার ওয়াইফ কে বললাম বারোটা বাজে মাদ্রাসা থেকে আসব। এবং তুমি আরো কিছুক্ষণ অপেক্ষা কর বারোটা বাজে আমি চলে আসবো। এরপর বারোটা বাজে আসলাম এবং আমার ওয়াইফ ও আমি আমার মেয়েকে নিয়ে টিকা কেন্দ্র গেলাম। যখন অন্যান্য বাচ্চাদেরকে টিকা দিতেছে তখন দেখে আমার কাছে অনেক ভয় লাগলো। কারন আমার ছোট্ট মেয়েটিকে টিকা দেবে। যেসব বাচ্চাদেরকে টিকা দিচ্ছে তারা অনেক কান্নাকাটি করতেছে। আমার ছোট বাচ্চাটিকে টিকা দিতে লাগলে কান্নাকাটি করবে এই ভয়ে আমি কেমন যে করতেছি। ওখানে প্রথম টিকা দেওয়ার অনেক বাচ্চা ছিল। কারণ একসাথে ওই সময় যারা নতুন টিকা দিচ্ছে তাদেরকে চারটি করে টিকা দেওয়া হচ্ছে। হাতে দুটি পায়ে দুটি। এই কারণে আমার কাছে বেশি ভয় লাগলো আমার ছোট মেয়েটিকে কিভাবে চারটি টিকা দেব।
যখন কিছুক্ষণ পর আমার বাচ্চাটিকে টিকা দিচ্ছে তখন আমার ওয়াইফ তাকে নিয়ে টেবিলে বসলেন। এবং সামনে থেকে দাঁড়িয়ে দেখতেছি। এরপর আমি কয়েকটা ফটো তুললাম। যখন আমার মেয়ে মাইসুনের হাতের মধ্যে টিকা দেওয়ার জন্য ডাক্তার টিকা টি সামনে নিলেন। তখন ডাক্তার বলতে লাগলো আপনার বাচ্চাকে এখন একটা টিকা দেব। কারণ আপনার বাচ্চা এখনো পর্যন্ত পাঁচচল্লিশ দিন হয় নাই জন্মগ্রহণ করেছে। কারণ পাঁচচল্লিশ দিন পরে চারটি টিকা দেওয়া হয় এর আগে হলে একটি টিকা দেওয়া হবে। তখনও আমি দাঁড়িয়ে সামনে থেকে দেখতেছি। যখন শুনলাম একটি টিকা দেওয়া হবে তখন একটু ভালো লাগলো। পরের মাসে বাকি তিনটি টিকা দেওয়া হবে।যখন টিকাটি আমার মেয়ের শরীলে দিলেন। তখন মেয়েটি অনেক জোরে কান্না শুরু করল তখন আমার বুকের মধ্যে ধুপধাপ করে উঠলো।
সত্যি বলতে আমার মেয়েটিকে টিকা দিয়েছে এবং সে একটু কান্নাকাটি করল আমার কাছে অনেক খারাপ লাগলো। যদিও দুপুরবেলা ওই সময় লোকজন কম ছিল। সকালবেলা যেভাবে লোক ছিল ওই সময় সিরিয়াল অনেক বড় ছিল। এরপর আমি টিকার কার্ড বানিয়ে এবং ডাক্তারি পরামর্শ নিয়ে চলে আসতে লাগলাম। এমন সময় এমন জোরে বৃষ্টি আসলো যে আমরা বাড়িতে আসবো সে রাস্তা নেই। এবং চারিদিকে অনেক বাতাস হচ্ছে। এমন সময় ডাক্তার বলতে লাগলো বাতাস লাগলে বাচ্চার ক্ষতি হবে। এবং স্কুলের নিচে জায়গাটি একদম দোলা ছিল। কারণ নিচে চারদিকে কোন দেয়াল ছিল না।
device : Huawei
এই কারণে বৃষ্টিতে ভিজে বাড়িতে এসে ছাতা নিয়ে গেলাম। তারপর আমার ওয়াইফ ও আমার মেয়েকে ছাতাই করে বাড়িতে নিয়ে আসলাম। তখন আমার মনের মধ্যে একটি ভয় কাজ করল আর যদি আমার মেয়ের গায়ে ঠান্ডা লাগে তাহলে তার অসুখ হয়ে যাবে। তার বাবার হিসাবে এটা তো আমি মানতে পারব না। এই কারণে আমি নিজে বিজে আমার ওয়াইফ এবং বাচ্চাকে নিয়ে আসলাম। সত্যি বলতে আমার মেয়ের প্রথম টিকার মুহূর্তটা এখনো আমার চোখের উপর বাসে। বিশেষ করে আমার মেয়ে টিকা দেওয়ার সময় কান্নাকাটি করেছে সে কষ্টটা আমার এখনো মনের মধ্যে দোপাট করে। এই হচ্ছে আমার মেয়ে মাইসুনকে প্রথম টিকা দেওয়ার অনুভূতি।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
মাইসুনকে টিকা দিয়েছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধির জন্য ছয়টি টিকা দেওয়া খুবই জরুরী শিশুদের জন্য। মাইসুনকে এখন যত্ন বেশি করে নিবেন কারন টিকা দিলে শরীরে জ্বর দেখা দেয়। মাইসুনে ভবিষ্যৎ জীবনের উজ্জ্বল সফলতা কামনা করি। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনার মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
সেদিন মাইসুনকে টিকা দেওয়ার জন্য নিয়ে গিয়ে আমার কাছে অনেক ভয় লাগলো। কারণ সামনের বাচ্চাগুলো টিকা দেওয়ার কারণে অনেক কান্নাকাটি করতেছে। যখন জানতে পারলাম ৪৫ দিনের আগে হলে তাকে একটি টিকা দেওয়া হয়। বাকিগুলো পরের মাসে দেওয়া হবে। তখন তোমার মত আমার কাছে ভালো লাগলো। কারণ একসাথে চারটি টিকা দিলে অনেক ব্যথা করবে এবং ডাক্তার বলেছে অনেক সময় জ্বর আসবে। সত্যি বলতে তোমার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
ঠিক বলেছ চারটি টিকা একসাথে দিলে শরীরের জ্বর আসে যায়। মন্তব্যের জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।
বর্তমান সময়ে ছোট ছোট বাচ্চাদেরকে এক সাথে তিন চারটা টিকা দেয় বেশ কান্নাকাটি করে ভীষণ খারাপ অবস্থা। তবে আপনারা প্রথম ঝামেলাতে না দাঁড়িয়ে পরবর্তীতে আবার গেছেন অনেক ভালো হয়েছে। মেয়েকে প্রথমবার টিকা দেওয়ার অনুভূতিটা অসাধারণ ছিল পড়ে অনেক ভালো লেগেছে।
বাড়ির সামনে টিকা কেন্দ্র এই কারণে পরে আবার গেলাম বাচ্চাকে নিয়ে। আপনার মন্তব্য শুনে ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
ভাইয়া টিকা দেয়ার অনুভূতি গুলো পড়ে আমার ছেলের টিকা দেয়ার অনুভূতি গুলো আমার মনে পরে গেলো।কি যে এক কষ্ট। সারারাত পায়ে নাড়া লাগাতে দেয়নি।কেঁদে কেঁদে উঠতো।খুব খারাপ লাগতো তখন।৯ মাস পর্যন্ত টিকা দিতে হতো। প্রতিবারই ভাবতাম দিবনা।তারপর ভালো রাখার জন্য দিতে যেতাম।😐 অনেক ভালো লাগলো অনুভূতি গুলো পড়ে। আমিও হারিয়ে গেলাম সেদিনে।
আপনার মন্তব্য শুনে ভালো লাগলো। সুন্দর মন্তব্য করায় ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
ভালোই লাগলো মাইসুন কে টিকা দেওয়ার অনুভূতি গুলো জেনে। আসলে বাচ্চাদের কে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য টিকা দেওয়া অবশ্যই দরকার। আর আমাদের দেশের সরকারী নিয়ম অনুযায়ী সম্ভবত ৯ মাস পর্যন্ত ৬টি টিকা দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। তবে এখন কিন্ত মাইসুন কে বেশী যত্ন নিতে হবে। কারন এ সময়ে কিন্তু বাচ্চাদের জ্বর আসে।
ঠিক বলেছেন এই সময় বাচ্চাদের বেশি যত্ন দিতে হবে। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।