গল্প :- অতি চালাকি ও বিপদ।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমাদের পাশের এলাকা বাস্তব একটি ঘটনা শেয়ার করব। ঘটনাটি অনেক বছর আগের ঘটনা। একজন সুখী মানুষ সে ফ্যামিলির সব কাজ করে বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষ করে এবং নিজের কাজ করে। সে এমনভাবে ফসল বা কাজ করে কারো কাছে কিছু বিক্রি করে না। তার দুটি বড় বড় খেজুর গাছ আছে। খেজুর গাছগুলো শীতকাল সাফাই করলে গাছ থেকে রস পড়ে এটা আপনার সবাই জানে। এলাকার কিছু লোক তাকে বলল কিছু গাছের রস দিতে তারা সিন্নি রান্না করে খাবে। কিন্তু লোকটি রাজি হয় নাই সে কাউকে রস দেবে না। এরপর কিছুদিন ওই ভদ্রলোকটি লক্ষ্য করলেন তার খাজুর গাছের রস প্রতিরাাত্রে কে যেন চুরি করে নিয়ে যায়।
লোকটি অনেক জনের কাছে বিচার দিলেন এবং নিজেও অনেক পাহারা দিলেন। কিন্তু কে বা কারা তার খেজুর গাছের রস নিয়ে যা সে বলতে পারে না। এবং হঠাৎ করে লোকটি চিন্তা করলেন চোরগুলোকে কিভাবে ধরা যায়। এই কারণে লোকটি তৎখানে চিন্তা করল চোর ধরার উপায়। একদিন লোকটি খেজুর গাছের উপরে যেখানে দাঁড়িয়ে রস নেই এবং গাছ সাফাই করে। ওখানে গাছের একটি বড় টুকরা গাছের সাথে বেঁধে রাখে। মূলত সুবিধার জন্য। ঐদিন ওই লোকটি কলা গাছের ভিতরের যেই বুগলেটি আছে সাদা ওটি একটি সংগ্রহ করলেন চোর ধরার জন্য।
রাত্রেবেলা সেই খেজুর গাছের উপরে কাঠটি সরিয়ে কলা গাছের ভৌগলি রেখে দিল। রাত্রেবেলা তাদের এলাকার একটি চোর সে গাছে উঠে খেজুর গাছে রসগুলো নেওয়ার জন্য যখন দাঁড়ালো। তখন গাছ থেকে নিচে পড়ে গেল চোরটি। সাথে সাথে চোর ওখানে বেহুশ হয়ে গেলেন। সকাল বেলা কখন গাছের নিচে গেল তখন দেখতে পেল চোরটি ওখানে পড়ে রইলো। তারপর তাড়াহুড়া করে চোরটিকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেল। এবং তার দুটি পা ভেঙে গেল চোরের। অনেকদিন পর্যন্ত চোরটি সুস্থ হয় নাই। যখন মোটামুটি চোর সুস্থ হয়েছে তখন অনেক বড় করে বিচার হলো খেজুর গাছওয়ালা লোকের জন্য। এবং গাছওয়ালার কথা ও শুনলেন এবং চোরের কথা শুনলে।
চোর বলতেছে আমি অনেকবার ওকে বলেছি খেজুরের রস একদিন আমাকে দিতে আমি প্রয়োজনের টাকা দেব। কিন্তু লোকটি আমাকে খেজুরের রস দেয় নাই। এইবার গাছ ওয়ালাকে জিজ্ঞেস করল। সে বলতেছে এই গাছ দুটি আমি অনেক শখ করে চিলেছি এবং এগুলোর রস আমি নিজে খাই এবং আত্মীয়-স্বজনদের দি। সে আমাকে বলেছে কিন্তু আমি তাকে রস দেই নাই। কিন্তু কিছুদিন যাবত প্রতিদিন রাতে আমার খেজুর গাছের রস গুলো কে যেন নিয়ে যায়। এই কারণে আমি গাছের উপরে বাঁশের টুকরোটি সরিয়ে কলা গাছের বুগলেটি রেখেছি। যাতে করে আমি তোরটা ধরতে পারি।
এখন সে আমার গাছের রস চুরি করতে এসে এক্সিডেন্ট হয়েছে। এরপর চেয়ারম্যান কথাগুলো শুনে বিচার করলেন। চোরের চিকিৎসার যত টাকা লেগেছে সব ওই খেজুরগাছ ওয়ালা দিতে হবে। এভাবে ইউপি চেয়ারম্যান বিচার করলেন। তবে চালাকি করা ভালো অতি চালাকি ভালো নয়। তার চালাকির কারণে চোরের দুটি পা একদম ভেঙে গেল। এই কারণে সেই চোরের চিকিৎসার পুরা টাকা দিলেন। এই হচ্ছে অতি চালাকিও বিপদ।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/Jamal7183151345/status/1675176657781661696?s=20
খুব সুন্দর বিষয় উপস্থাপন করেছেন ভাই। আসলে বলা হয়ে থাকে অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয়। অতি চালাক ব্যক্তি তাৎক্ষণিক বিপদে না পড়লেও পরবর্তীতে বিপদে পড়ে থাকে। কথাই আছে অতি চালাকের গলায় দড়ি । খেজুরের রস চুরির চমৎকার গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে পোস্টটি পড়ে অনেক বিষয় উপলব্ধি করা যায়। এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ঠিক বলেছেন অতিরিক্ত কিছু করা ভালো নয়। অসাধারণ মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে।
বাপরে বাপ অতি চালাক লোক দেখলাম। তবে এর মত ভয়ংকর চালাক লোক দেখি নাই। খেজুরের রস চুরি করে কে নিয়ে যায়। তাকে ধরার জন্য সে গাছের মধ্যে লাঠি সরিয়ে কলা গাছের ভৌগলই দিয়েছেন। চোরটি খেয়াল না করাই লাঠি মনে করে ভৌগলই উপর দাঁড়িয়ে নিচে পড়ে গেল। তবে চোরের যে অবস্থা হয়েছে অন্য চোর গুলো তা থেকে শিক্ষা নিতে পারবে। তবে ইউপি চেয়ারম্যান যে বিচারটি করেছে আমার মনে হয় বিচারটি ভাল করে নাই। যাইহোক আপনি খুব চমৎকার একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর গল্প আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য।
তবে অনেকে বলেছে ইউপি চেয়ারম্যান যে বিচার ঠিক করেছে তা সঠিক করে নাই। সুন্দর মন্তব্য করার ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে লোকটা নিরুপায় ছিল । চোর ধরার জন্য উপায় বের করেছিল ।যেহেতু কেউ চোর ধরে দিতে পারছিল না অবশেষে লোকটি নিজেই উপায় বের করেছিল যার কারণে চোরটি ধরতে পেরেছিল । বিচারটি আমার কাছে ঠিক বিচার মনে হল না । চোরের উপযুক্ত শাস্তি হয়েছে ।অন্যের অনুমতি ছাড়া তার গাছের জিনিস চুরি করলে তার শাস্তি তাকে পেতেই হবে । এক্ষেত্রে আমি গাছ ওয়ালার কোন দোষ দেখি না। যাই হোক ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন কারো কিছু ধরতে হলে প্রথমে অনুমতি নিতে হয়। তবে চোরের যে হার হয়েছে সে অনেক দিন সুস্থ হতে লাগলো। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।