গল্প:- পরকে ফ্যামিলিতে আপন করলেও সমস্যা।(শেষ পর্ব)

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।

এরপর এরপর ফরিদের ওয়াইফ কে অনেক খোঁজাখুজি করতেছে। যদিও এই ঘটনাটি ছয় মাস আগের ঘটনা। ফরীদের বাড়ির সবাই আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে খোঁজ খবর নিতেছে। কেউ চিন্তাই করতেছে না সকালবেলা পারভেজ চট্টগ্রামের কথা বলে কোথায় গেল। যখন বিকেলবেলা ফরিদ জানতে পারলো তখন সেই জিজ্ঞাস করতেছে পারভেজ কোথায়। তখন তার মা বলতেছে পারভেজ সকাল বেলা চট্টগ্রামে গেল বন্ধুর বাড়িতে।

এরপর ফরিদ বলতেছে পারভেজ এর সাথে তার ওয়াইফ পালিয়ে গিয়েছে। কারণ বিদেশ থাকতে পারভেজ তার ওয়াইফের কথা সব সময় সুনাম করতেন। এরপর ফরিদের মাও বিশ্বাস করলেন মাঝেমধ্যে পারভেজ ফরিদের ওয়াইফের সাথে দুষ্টামি এবং সুন্দর সুন্দর কথা বলবেন। যদিও ফরিদের মা এতটা মাইন্ড করে নাই। এরপর ফরিদের মা হাউমাউ করে কাঁদতে লাগল। যে পারভেজকে আমরা ছোট কাল থেকে এত কিছু করলাম বিদেশ পর্যন্ত নিলাম। সেই পারভেজ আমাদের সাথে এত বড় গাদ্দারী করলো। এরপর পারভেজের মা বাবার সাথে যোগাযোগ করলেন।

তারা বলতেছে পারভেজের সাথে তাদের কোন যোগাযোগ নেই। পারভেজ আপনাদের কাছে থাকে। আমাদের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই। এদিকে তারা জলদি আত্মীয়স্বজন সবাইকে জানালেন যদি পারভেজকে দেখে একটু খবর দেওয়ার জন্য। কিছুদিন যাওয়ার পর খবর পাওয়া গেল পারভেজ ফরিদের ওয়াইফ কে নিয়ে বিয়ে করে ফেলেছে। এবং ফরিদকে সেই তালাকনামা দিয়েছে। তখন ফরিদের মা-বাবা এবং ফরিদ অনেক কষ্ট পেলেন। পারভেজের কারণে তাদের মান ইজ্জত সব নষ্ট হয়ে গেল।

যে পারভেজকে তারা বিদেশ নিয়েছে। এবং তারা তাদের আপন ছোট ভাইয়ের মতো তাকে দেখাশোনা করত। অতসব পারভেজের মনের ভিতর এত বড় খারাপ চিন্তা ভাবনা ছিল কেউ কল্পনাই করে নাই। আসলে মামাতো ভাই হলেও পারভেজ পর। এই কারণে সে ফুফাতো ভাইদেরকে আপন ভাই মনে করতে পারল না। যদিও ফরিদের পরিবারের অবস্থা খুব ভালো। আর পারভেজ এর পরিবারের অবস্থা একদম খারাপ। ভাই বোন সবাই আলাদা আলাদা।

এবং পারভেজের বাড়িতে কোন নির্দিষ্ট থাকার ঘর নেই। বলতে গেলে ফরিদের ওয়াইফ আবেগের কারণে ফরিদকে ছেড়ে পারভেজের সাথে চলে গেল। এবং অনেকে বলে পর কখনো আপন হয় না। কিছুদিন আগে ফরিদ ভাইয়ের সাথে আমার দেখা হয়েছিল। তখন ফরিদ ভাই আমাকে এই কথাগুলো বলল। যে মামাতো ভাইয়ের জন্য আমি কিনা করেছি। লাস্ট পর্যন্ত সে আমার সংসার ভেঙ্গে দিল। এই কারণে পর কাউকে ফ্যামিলিতে জায়গা দেওয়া ঠিক না। আশা করি আমার বাস্তব গল্পটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।