আম গাছের ছাল জাম গাছে লাগেনা
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে বাস্তব একটি ঘটনা শেয়ার করব। আমাদের এলাকায় একটি ফ্যামিলি আছে। ফ্যামিলিতে শুধু স্বামী আর স্ত্রী। আর কোন লোক নেই ফ্যামিলিতে। লোকটির নাম হচ্ছে আফসার। আফসার ভাই প্রেম করে বিয়ে করলেন। অনেক বছর আগে সেই প্রেম করে বিয়ে করেছে। বিয়ের পর থেকে তারা স্বামী স্ত্রী অনেক সুখে আছে। দুঃখের বিষয় একটাই তাদের সংসারে কোন ছেলে মেয়ে নেই। ছেলে মেয়ের জন্য তারা অনেক ডাক্তারি চিকিৎসা ও কবিরাজি চিকিৎসা করেছে।
তারপর ও তাদের কোন ছেলে সন্তান হয় নাই। আফসার ভাই অত্যন্ত ভালো মানুষ। কারণ সে তার ওয়াইফ কে অনেক পছন্দ করে। ওয়াইফের ছেলে-মেয়ে হচ্ছে না এই কারণে কখনো তাকে খারাপ ব্যবহার করেনা। একবার ডাক্তারি পরীক্ষা যখন করানো হল তখন ডাক্তার বলেছে তার ওয়াইফের সমস্যা। এই কারণে তার ছেলে-মেয়ে হচ্ছে না। এরপর আত্মীয়-স্বজন সবাই তাদেরকে বলতে লাগলো একটা ছেলে মেয়ে পালক নিয়ে আসতে। পালক ছেলেমেয়ে পারলে তাদের জন্য ভালো হবে। কারণ তার ওয়াইফের কোন ছেলে মেয়ে হবে না এই কারণে।
এরপর চারদিকে খোঁজ খবর দিতে লাগলো কোথাও যদি ছোট বাচ্চা কেউ পালক দেই তারা নেবে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তার এক আত্মীয় অনেক দূর থেকে একটি মেয়ের সন্ধান দিলেন। আফসার ভাই তার ওয়াইফ কে নিয়ে ওই মেয়েটিকে পালক হিসেবে নিয়ে আসলেন। এরপর আফসার ভাই ও তার ওয়াইফ মেয়েটাকে এতই আদর করতে যা বলে বোঝানো যাবে না। মনে হয় তাদের সংসারে স্বর্গ এসে বসবাস করতেছে। এভাবে একটা বছর পার হয়ে গেল পালক মেয়ে নিয়ে আসা। এরপর হঠাৎ করে তাদের সুখবর আসলো তার ওয়াইফের বাচ্চা হবে।
এরপর আফসার ভাই ও তার ওয়াইফ আরো খুশি হয়ে গেলেন। তাদের সংসারের নতুন অতিথি আসবে। যখন কিছু মাস হয়ে গেল তারপর তাদের নতুন অতিথি আসলো। এইবার তাদের ঘরে একটা ছেলে সন্তান হয়েছে। যখন ছেলেটি আস্তে আস্তে একটু বড় হয়েছে। তখন তার ওয়াইফ পালক মেয়েটিকে আর দেখতে পারে না। মেয়েটি আফসার ভাইয়ের ওয়াইফের চোখের বিষ হয়ে গেল। এইবার শুধু সারাক্ষণ মেয়েটিকে মারধোর করে এবং ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া দেয় না।
তখন মেয়েটির বয়স চার বছর এইরকম হবে। তাদের পাশে অন্য একটি ঘর আছে ওই ঘরে গিয়ে মেয়েটি সব সময় কান্নাকাটি করে। এবং পালক মেয়েটি আবসার ভাইদের ঘরে আসতে চায় না। আফসার ভাইয়ের ওয়াইফ কে দেখলে মেয়েটি অনেক ভয় পায়। কিন্তু আফসার ভাই মেয়েটিকে অনেক আদর করে। আফসার ভাইয়ের ওয়াইফ এর যন্ত্রণা মেয়েটি অনেক অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এবং বাড়ির সবাই এখন জানে আফসার ভাইয়ের ওয়াইফ মেয়েটিকে দেখতে পারেনা।
তারপর বাড়ির লোক গুলো তখন আফসার ভাইয়ের ওয়াইফ কে বলতে লাগলো। মেয়েটি যদি তাদের ভালো না লাগে তাহলে যেখান থেকে নিয়ে আসলো ওখানে দিয়ে আসার জন্য। তারপরও মেয়েটিকে না মারার জন্য বলতে লাগলো। হঠাৎ করে মেয়েটির জন্ম দেওয়া মা খবর পেয়ে আফসার ভাইদের বাড়িতে চলে আসলেন। এবং এই কথাগুলো শুনে মেয়েটির মা অনেক কান্নাকাটি করলেন। বলতে লাগলো আমার এই মেয়ে গর্ভে যখন হয়েছে তখন আমার হাজব্যান্ড এর সাথে আমার সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। এই কারণে আমি মেয়েটি পালক দিয়ে দিলাম।
যখন আমার মেয়েটি আপনাদের এইখানে দিলাম তখন আমি মনে করলাম আমার মেয়েটি অনেক সুখে থাকবে। কারণ এই মেয়েটি আমার বিয়ের পর একটি মাত্রই বাচ্চা। এবং আমার মা-বাবা আমাকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিবে বিদায় এই বাচ্চাটি আমি পালক দিয়ে দিলাম। আমি জানতাম না আমার মেয়ের পালক মা এত খারাপ হবে। এই বলে মেয়েটির মা মেয়েটিকে নিয়ে গেলেন। তখন বাড়ির সব লোকেই বলতে লাগলো আম গাছের ছাল জাম গাছে লাগেনা।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
কথাটা বুঝলাম না। যাই হোক আমাদের সমাজে এই ঘটনা অহরোহ ঘটে। এইটা ঠিক এক গাছের ছাল আরেক গাছে লাগে না। ভালো লাগলো আপনার লেখা সত্যি ঘটনা পড়ে। ধন্যবাদ
খুব ভালো লাগলো আপনি আমার ভুল ধরিয়ে দিলেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আসলে মায়ের মতন আপন পৃথিবীতে আর কেউ নেই। বাচ্চাটির জন্য খুবই কষ্ট হচ্ছে। সে মায়ের আদর থেকে বঞ্চিত হলো। বাচ্চাটিকে অন্য লোকে যত আদর করুক না কেন মায়ের মত আদর সে কখনো পাবে না । আপনি ঠিকই বলেছেন আম গাছের ছাল জাম গাছে লাগে না। এত সুন্দর গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আসলে কিছু কিছু মানুষ আছে তাদের কথা না বললেই চলে। সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমাদের সমাজে এমন লোক অনেক আছে যারা প্রথম বাচ্চা পালক হিসেবে নিয়ে আসে। কিন্তু পরে তাদের ঘরে বাচ্চা হলে পালক বাচ্চাটিকে আর দেখতে পারে না। আসলে ছোট বাচ্চাটির উপর অনেক অত্যাচার করেছে আফসার ভাইয়ের ওয়াইফ। যেহেতু মেয়েটির বয়স মাত্র চার বছর । মেয়েটি অনেক ছোট তারপরও আফসার ভাইয়ের ওয়াইফের একটু মায়া হলোনা। আপনি সব সময় কষ্টদায়ক পোস্টগুলো করে থাকেন।
আপনি ঠিক বলেছেন আপনার ভাইয়ের ওয়াইফ বাচ্চাটির জন্য একটু মায়া হলোনা। আসলে মায়ের মত আপন আর কেউ নেই।