গল্প :-শীতকালে চুরি করতে গেলে চোরের বিপদ।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।
আজকে আমি বাস্তব একটি গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। এক থেকে সাড়ে এক বছর আগের একটি ঘটনা। আমাদের বাড়ি ছোট ফেনী নদীর পাশে। আর আমাদের এলাকাতে বিভিন্ন ধরনের চাষবাস করে কমবেশি সবাই। বিশেষ করে আমাদের এলাকাতে নদীর পাশে পান ক্ষেত আছে। আর যারা পান ক্ষেতে করে তারা পান ক্ষেতের অনেক যত্ন করে। আগে আমাদের নিজেরও পান ক্ষেত ছিল। আমাদের এলাকায় শিক্ষিত ফ্যামিলির একটি ছেলেকে নিয়ে এই ঘটনা।
ছেলেটির বাবা এলাকাতে সম্মানিত লোক। আমাদের এলাকার সবাই ছেলেটির বাবাকে ইজ্জত করে। ছেলেটির নাম হচ্ছে রাসেল। রাসেল ওই সময় ডিগ্রিতে পড়ালেখা করে। শীতকালের সেই বাড়িতে আসলো হোস্টেল থেকে। ওই সময় রাত সম্ভবত আটটা হবে। যদিও নদীর পাশে দোকান আছে একটু দূরে। রাসেল আমার দূর সম্পর্কের এক চাচার পানের ক্ষেতে চুরি করতে গেল। যদিও পান ক্ষেত গুলো চার পাশ দিয়ে বিভিন্ন পাতা এবং গাছের ডাল দিয়ে ঘেরাও করে রাখে।
কারণ পান ক্ষেতে অলগা লোক দেখলে মনে করে কেউ দেখলে পান ক্ষেতের হবে। হঠাৎ করে রাত আটটা বাজে চোর চোর বলে চিৎকার করতে লাগলো পানের ক্ষেতের মালিক। তখন এলাকার অনেকগুলো লোক দুড়ে গেলেন চোর ধরার জন্য। পরে খোঁজাখুঁজির পর চোরটিকে কেউ দেখতে পেল না। আধা ঘন্টার পর নদীতে প্যানার মধ্যে নড়াচড়া করতেছে কে। উপরের লোক গুলো মনে পড়ল হয়তোবা মাছ হবে। কিছুক্ষণের মধ্যে দেখতে পেল একটা মানুষ ওখানে পানির মধ্যে লড়া ছড়া করতেছে। তখন সবাই বলতেছে চোর এখানে চোর আছে।
পরে সবাই দেখতেছে আমাদের এলাকায় রাসেল পানিতে ঠান্ডার কারণে মরে যাচ্ছে। আসলে রাসেল চুরি করতে গিয়ে ভয়ে পানির মধ্যে ডুব দিয়ে রইল। এবং পানি অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে সেই পানির মধ্যে মরে যাচ্ছে। যদিও ওই সময় তার ভাই ও ছিল চোর তাড়া করার জন্য। পরে আমাদের এলাকাবাসী লোক গুলো তাকে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেল। তখন বাজারের ডাক্তার তাকে দুটি সুই দেওয়ার পরও তার জ্ঞান ফিরে নাই। পরবর্তী তাকে তাড়াতাড়ি করে ফেনী হাসপাতালে নিয়ে গেল।
ডাক্তার বলতেছে আর কিছুক্ষণ থাকলে ঠান্ডার কারণে সে মারা যাইত। এবং চোর রাসেল অনেকদিন পর্যন্ত অসুস্থ ছিলেন। যার পান ক্ষেত ছিল সে বলতেছে আমি চোরকে মাফ করে দিয়েছি। কারণ পানখেতের মালিকের সাথে চোর রাসেলের বাবা সম্পর্ক ভালো। আসলে শিক্ষিত লোক অভাবের কারণে পান চুরি করার জন্য গেল। তাড়া খেয়ে চোরটি পানিতে পড়ে নিজের জীবন পর্যন্ত শেষ করতে লাগলো। এই হচ্ছে বাস্তব চুরির গল্প। শীতকালে চুরি করতে গিয়ে চোরের ও অনেক বিপদে পড়ল। আশা করি আমার এই গল্পটির পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/Jamal7183151345/status/1726136146072379471?t=-Ja2BNaQiam_BtY0iKOxnA&s=19
শীতকালে চুরি করতে গেলে চোরের বিপদ হয়, এটা জানা ছিল না তো। রাসেল শিক্ষিত হলেও অভাবের কারণে পান চুরি করতে গিয়েছিল। রাসেল যদি ও ভয়ে পানিতে ডুব দিয়েছিল, তবে ঠান্ডার কারণে মারা যাওয়ার মত অবস্থা হয়েছিল। যাই হোক পরবর্তীতে সবাই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কারণে সে বেঁচে গিয়েছিল এটা দেখে ভালো লাগলো।
হ্যাঁ শীতকালে চুরি করতে গেলে চোরের অনেক বড় বিপদ হয় ঠান্ডার কারণে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
দারুণ এক চুরি করার গল্প জানতে পারলাম আপনার পোস্টের মাধ্যমে। শীতের সময় চোরদের সত্যিই বিপদ কারণ পালানোর জন্য এরকম বিপদজনক রাস্তা খুঁজে নিলে নিজের জীবন নিজেই ধ্বংস করবে। শীতের সময় পানির ভিতর থাকা যায় না সেই কারণেই সে নড়াচাড়া করছিল ভালো লাগলো গল্পটি পড়ে।
শীতের সময় পানিতে যদি কেউ কিছুক্ষণ থাকে তাহলে তার মরার অবস্থা হয় যেমন চোরটির। গল্প নিয়ে সুন্দর মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
শীতকালে চুরি করতে গেলেও চোরের বিপদ লেখাটি প্রথমে পড়ে একটু অবাক হয়ে গেলাম কিন্তু পড়ে বিস্তারিত জানতে পারলাম। এ রকম ঘটনা এর আগে কখনো শুনিনি। রাসেল শিক্ষিত হয়েও হয়তো অভাবের কারণে চুরি করতে গিয়েছে। চুরি করতে গিয়ে তার জীবন বাঁচানোর বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। যাইহোক পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে এবং পান ক্ষেতের মালিক তাকে ক্ষমা করে দিয়েছে বিষয়টি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে ।ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
পান খেতে মালিকের সাথে চোরের বাবার ভালো সম্পর্ক। তবে সত্যি যেভাবে পানিতে চোর এভাবে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। আপনার মন্তব্য শুনে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
চোর তো দেখছি শীতকালে পান চুরি করতে গিয়ে বেশ মহা বিপদে পড়ে গিয়েছিল। ভয় পেয়ে পানিতে ডুব দিয়েছিল ঠিকই, কিন্তু কিছুক্ষণের জন্য হয়তো সে ভুলে গিয়েছিল তখন শীতকাল। অতিরিক্ত ঠান্ডা পানির মধ্যে ডুব দেওয়ার অনেকক্ষণ থাকার পরে মানুষের অনেক সময় মৃত্যু হয়। আর ওই চোরেরও এরকম অবস্থা হয়ে গিয়েছিল। তবে পরবর্তীতে তিনি সুস্থ হয়েছেন এটা ভালো লেগেছে। অনেক মানুষ পরিস্থিতির কারণে চুরি করে। ওই লোকটাও চোরকে মাফ করে দিয়েছে দেখে ভালো লেগেছে।
হ্যাঁ ভাইয়া চোর শীতকালে পান চুরি করতে গিয়ে মহাবিপদে পড়ে গেল। আপনার উৎসাহিতমূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক শিক্ষিত লোক আছে যারা পরিস্থিতির কারণে হয়তো বা চুরি করে। রাসেল শিক্ষিত লোক এবং তার বাবা এলাকায় সম্মানিত লোক তারপরও রাত্রে সেই পান চুরি করতে গেল। তবে অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে বেশিক্ষণ পানিতে ছিল বিদায় হয়তো বা সে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। যাহোক তাড়াতাড়ি তাকে হাসপাতালে নিয়েছে এই কারণে হয়তো বা বড় বিপদ থেকে বেঁচে গেল। আসলে এই ছুরি থেকে সে শিক্ষা নিলে ও সামনে ভালো হয়ে যাবে। বাস্তব একটি গল্প শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে সেই নদীর পানিতে থাকার কারণে তার ঠান্ডা লেগে গেল। গল্পটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
রাসেলের বাবা একটি সন্মানিত লোক।অথচো ছেলেটি নিমিষেই তাঁর বাবার মান সন্মান শেষ করে দিলো।আসলে সন্তান যদি ভালো হয় তাহলে বাবা মায়ের সন্মান বেড়ে যায়।আর যদি কুপথে যায় তাহলে তো বাবা মায়ের সন্মান শেষ করে ফেলে।ছেলেটি চুরি করতে গিয়ে ধরা পারার ভয়ে জলে ঝাপ দিয়ে মরা মরা অবস্থা।চুরি করতে না গেলে তো এমন হতো না।সেজন্য সব সন্তানের উচিত বাবা মায়ের মুখ সব সময় উজ্জ্বল রাখা।কুপথে না যাওয়া। না জানি চোর ছেলেটির বাবা কতোই না কষ্ট পেয়েছে এই ঘটনার পর।ধন্যবাদ পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
এটি ঠিক রাসল এক নিমেষে তার বাবার মান সম্মান নষ্ট করে দিল। এতে তার বাবা অনেক কষ্ট পেয়েছে। সুন্দর মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
শীতকালে চুরি করতে গিয়ে তো রাসেল বেশ জব্দ হলো।পানিতে ডুবে থেকে সামান্য পান চুরি করতে গিয়ে।শিক্ষিত হলেও অভাবে স্বভাব নষ্ট হওয়ার ফল আরকি।ভালো লেগেছে পোস্টটি ভাইয়া।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আমাদের এদিকে পান ক্ষেত গুলো অনেক বড় বড়। রাসেল চুরি করতে গেলে এটি অনেকে বিশ্বাস করতে পারতেছে না। মন্তব্য শুনে ভালো লাগলো তাই ধন্যবাদ আপনাকে।