ভ্রমণ :- মুসাপুর ঘুরতে যাওয়া মুহূর্ত।( দ্বিতীয় পর্ব)
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করবো। আসলে ঘুরতে যেতে কমবেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর আমি মনে করি মাঝেমধ্যে ঘুরতে গেলে মন ফ্রেশ থাকে। সেই জন্য আমি চেষ্টা করি কাজের ফাঁকে মাঝেমধ্যে ঘুরতে যাওয়ার। তেমনি আজকেও আপনাদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার কিছুটা মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব মুসাপুর ঘুরতে যাওয়া দ্বিতীয় পর্বটি। কিছুদিন আগে আমি শেয়ার করেছিলাম মুসাপুর ঘুরতে যাওয়া প্রথম পর্বটি। যখন আমরা মুসাপুর ঘুরতে গেলাম ওই সময় জোয়ার ছিল না। এই কারণে আমরা নদীর ধারে অনেকক্ষণ ঘুরে খাওয়া দাওয়া করে নিলাম। তারপর আমরা চিন্তা করলাম সবাই মিলে যেখানে নদীর জোয়ার সুন্দরভাবে দেখা যায় ওই জায়গাতে গিয়ে বসবো এবং সৌন্দর্য উপভোগ করব। তবে যে সময় নদীতে ভাটা থাকে ওই সময় এক ধরনের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। আর যখন জোয়ার আসে ওই সময় অন্যরকম আরেক সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। তবে যখন জোয়ার আসে তখন অনেক জোরে একটি শো শো শব্দ শোনা যায়।
এরপর আমরা সবাই যেখানে নদীর বিরিজের বড় বড় বড়ভা গুলো আছে সেইগুলোর সামনে গিয়ে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে দেখলাম। যদিও ওই বড়ভা গুলো বন্ধ ছিল এই কারণে নদীর একপাশে পানি আছে অন্য পানি নেই। তারপর আমরা পায়ে হেঁটে ১০ মিনিট সামনে গিয়ে বড় বড় ইটের ইন্টারলক এর উপর বসলাম। ওই জায়গাতে আরো অনেক লোক বসে রইল নদীর স্রোত দেখার জন্য। যদিও আমরা নদীর স্রোতকে জোয়ার বলে থাকি। তবে অনেকে বলতেছে বিকেল চারটা বাজে নদীর জোয়ার আসে। আমরা যেহেতু জলদি গেলাম এই কারণে আমরা ওখানে বসে রইলাম। তবে মজার বিষয় হল নদীর পাশে ছোট ছোট দোকানগুলোর মধ্যে জিনিসপত্রের অনেক দাম। পাঁচ টাকার জিনিস দশ টাকা করে বিক্রি করে। আর ২০ টাকার পানি ৩০ টাকায় এখানে বিক্রি করা হয়।
তবে যেই যার মত করে ব্যবসা করে যাচ্ছে। আমি আমার ওয়াইফ কে বললাম কিছু খাওয়া দাওয়া করবে নাকি। সে আমাকে বলতেছে কিছুক্ষণ আগে তো দুপুরের খাওয়া-দাওয়া করলাম এখন না একটু পরে। এরপর আমরা বসে বাদাম খেলাম। শুধু নদীর জোয়ার আসার অপেক্ষায় রইলাম। তবে আমার মেয়েটি অনেক খুশি ছিল। সারাক্ষণ আমার কাছে থাকলো এবং বাবা বাবা বলে ডাকতে লাগলো। আর ছোট বাচ্চাদের আওয়াজ শুনলে নিজের কাছেও তো অনেক ভালো লাগে। তারপর কিছুক্ষণের মধ্যে দেখতেছি অল্প অল্প করে নদীর পানি বৃদ্ধি হতেছে। ওই সময় আমার কাছেও খুব ভালো লাগলো।
এবং আমার মেয়ে মাইসুনকে আন্টির কাছে দিয়ে আমি নদীর ইন্টারলক গুলোর উপরে গেলাম। যদিও ইন্টারলক গুলোতে পানির কারণে চলাফেরা করতে কষ্ট হয়। যদি একটু স্লিপ করে নিচে পড়ে তাহলে আহত হবে। তবে ঐদিন সবাই খুব মজা করেছে নদীর জোয়ার দেখে। এরপর আমি নদীর পানি ধরে কিছু ফটোগ্রাফি করি। এবং অনেকক্ষণ নদীর ধারে দাঁড়িয়ে রইলাম। যদিও আমার ওয়াইফ বারবার বলতেছেন নদীর ধারে যেন না দাঁড়াতে। তবে অনেকক্ষণ ঘুরাঘুরি করার পর আমি এসে আমার ওয়াইফের পাশে কিছুক্ষণ বসলাম। তবে আমার ওয়াইফ অতিরিক্ত দুষ্টামি একদম পছন্দই করে না।
তবে মজার বিষয় হলো যখন জোয়ার আসলো কিছু লোক পানিতে নেমে একটু আনন্দ করতেছে। এমন সময় দেখি একটি ইয়াং ছেলে বারবার নদীর স্রোতের মধ্যে নেমে সবার সামনে হিরো সাজার চেষ্টা করতেছে। কিছুক্ষণ পর দেখতেছি নদীর জোয়ারে অনেক বড় একটি ইন্টার লকের সাথে অনেক ধাক্কা খেলেন হালকা আহত হয়েছে। তবে যখন নদীর জোয়ার আসলো তখন শো শো শব্দের সাথে পানি ও অনেক বেড়ে গেল। আর ওই সময় আবেগ বা সাহস দেখানোর কোন দরকার নেই। তবে ছেলেটিকে নিয়ে অনেকে অনেক ধরনের কথা বলতেছে। তবে নদীর ধারে বাদাম খেতে বেশ মজাই লাগে। এবং ঝাল মুড়ি খেতেও বেশ ভালো লাগে। তবে ঐদিন আমি ইন্টারলক এর উপরে বসে পানির স্রোতের সৌন্দর্য উপভোগ করলাম। যদিও এর আগে আমি বিদেশে এরকম আরব সাগরে গিয়ে পানির সুত এবং সৌন্দর্য উপভোগ করার চেষ্টা করেছি। তবে আজ এই পর্যন্ত।
(চলবে)
device : Huawei
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
https://x.com/Jamal7183151345/status/1810547943948394631?t=3E3XQ13y9ZObvrBuVaEUkw&s=19
আপনার মুসাপুর ভ্রমণের প্রথম পর্ব টা দেখেছিলাম। আজকে দ্বিতীয় পর্ব দেখে বেশ ভালো লাগলো। সবাই মিলে খুব ইনজয় করেছেন পুরো সময়টা। আর জায়গাটা তো ভীষণ সুন্দর। আজকের পর্বে সবাইকে দেখে ভালো লাগলো। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ঐদিন সবাই মিলে খুব ইনজয় করেছিলাম পুরো সময়টা। ভালো লাগলো সুন্দর মন্তব্য শুনে আপনার।
বাহ জায়গাটা সত্যিই অনেক সুন্দর। জোয়ার ছাড়া নদী সুন্দর লাগে না। আপনারা থাকতে থাকতেই নদীতে জোয়ার চলে এসেছে। মিনি কক্সবাজার বলা যায়। আর জিনিষ পত্রের দামের কথা বলে লাভ নেই। বাংলাদেশে কোন কিছুই নিয়ম কানুন আর আইন মেনে হয় না। ধন্যবাদ।
হ্যাঁ এটিকে মিনি কক্সবাজার বলা যায়। জায়গাটি আসলে এমনিতে অনেক সুন্দর। সুন্দর মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে
নদীর জোয়ার দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। গ্রামে যখন ছিলাম তখন নদীর জোয়ার দেখতে তিস্তা নদীর পাড়ে যেতাম। নদীর পাড়ে গেলে মনের প্রশান্তির খোঁজে পাওয়া যায়। আপনাদের আনন্দ মুহূর্ত গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
আসলে ভাইয়া নদীর ধারে বা নদীর আশেপাশে ঘুরতে গেলে এমনিতে ভালো লাগে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ।
এত সুন্দর কোন জায়গায় ভ্রমণ করতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আর যদি সবাই একসাথে কোথাও যাওয়া হয় তাহলে আরো বেশি ভালো লাগে। সবাই মিলে ঘুরতে গিয়েছিলেন আর সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ভালো লাগলো আপনার সুন্দর মন্তব্য শুনে। আসলে ঘুরতে গেলে এমনিতে মন ও শরীর দুটো ভালো ।