গল্প:-মা-বাবার ভুলের কারণে ছেলে-মেয়েদের জীবন নষ্ট।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে বাস্তব একটি গল্প শেয়ার করব। আমাদের এলাকার একটি ঘটনা। ঘটনাটি হচ্ছে একটি পরিবারকে নিয়ে। একটি পরিবারে মা বাবার কারণে ছেলেমেয়েদের জীবনের অনেক কষ্ট। আমাদের এলাকায় একটি পরিবারের দুটি ছেলে দুটি মেয়ে সবাই বড় হয়ে গেছে। তাদের মা-বাবা দুইজন আপন চাচাতো ভাই বোন। ওই সময় তারা আপন চাচাতো ভাই-বোন প্রেম করে ছিলেন। এক পর্যায়ে তারা চুরি করে বিয়ে করেছেন। বিয়ে হওয়ার পর তাদের সংসারে চারটি ছেলেমেয়ে হয়েছে।
তবে ছেলে মেয়েদের বাবার নাম হচ্ছে জেবু। আর ছেলে দুটো নাম হচ্ছে আফসার ও ওসমান এবং বোন দুটো নাম হচ্ছে নাজু ও আঞ্জু। যদিও তাদের মা-বাবা দুজন চাচাতো ভাই বোন এবং প্রেম করে বিয়ে করেছে এই কারণে তাদের দুইজনের বাড়ি একই টা। জেবু মিয়া এবং তার ওয়াইফ প্রথমে তাদের সংসারে অনেক মিল ছিল এবং সুখী ছিলেন। ছেলে মেয়ে চারজন বড় হওয়ার পর হঠাৎ করে ঝগড়া লেগে তারা একজনের সাথে একজন আলাগ হয়ে গেলেন। এবং একজনকে একজন ডিভোর্স দিয়ে দিলেন।
যে সময় তারা একজনকে একজন ডিভোর্স দিয়েছেন ওই সময় ছেলেমেয়েগুলো বড় হয়ে গেছে। মা-বাবার এই ঘটনার কারণে ছেলেমেয়েদের মুখ একদম ছোট হয়ে গেল। এবং বাড়ির ও এলাকার লোক গুলো সব সময় ছেলেমেয়েদেরকে বিভিন্ন ধরনের আজেবাজে কথা বলতেন। পক্ষান্তরে মেয়ে দুটোকে বিয়ে দিতে তাদের অনেক কষ্ট হয়েছে। বিশেষ করে বিয়ের সময় তাদের মা বাবার কথাগুলো সবাই বলে থাকে। বড় মেয়ের নাজুর অনেক বছর বয়সে বিয়ে হয়েছে। শুধু মা বাবার ভুলের কারণে এই সমস্যাটি হয়েছিল।
এবং ছোট মেয়ে আনজু অন্যের সাথে পালিয়ে বিয়ে করেছেন। বড় বোনের মতো তারও অনেকদিন বিয়ে হচ্ছে না। এছাড়া আঞ্জুর আর কোন পথও ছিল না বাড়ির এক ছেলের সাথে প্রেম করে বিয়ে বসলেন। যদিও তাদের বিয়েটি পরিবারের কেউ মেনে নেয়নি। এক পর্যায়ে আনজু এক সময় বিষ পান পর্যন্ত করেছে মা বাবার কথাগুলো সব সময় সবাই তাকে বলে বিদায়। অথচ মা-বাবার একটু ভুলের জন্য মেয়েদের জীবনে নেমে আসলো অন্ধকার।
এদিকে ছেলে দুটি এখনো বিয়ে করতে পারে নাই। বিয়ের জন্য যদি কোথাও যায় তাদের মা-বাবার কথাগুলো সবাই বলে থাকে। আর যদিও ছেলে দুটি অনেক শিক্ষিত বর্তমানে তারা ভালো চাকরি করতেছে। তারপরও তাদের চাকরির চেয়ে মা-বাবার কথাগুলো মানুষে খারাপ ভাবে বলে থাকে। অথচ দুটো ছেলের শিক্ষিত কারো সাথে ঝগড়া করেনা এবং মুখ দিয়ে কিছু বলতেও পারে না। বর্তমানে বড় ছেলে আফসার এর বয়স অনেক বেশি হয়েছে। মা-বাবা দুইজন আলাদা আলাদা কিন্তু তাদের কারণে ছেলেমেয়েদের আজকে এই অবস্থা। কিছু কিছু মা বাবার কারণে ছেলেমেয়েদের জীবনে অনেক কষ্ট নেমে আসে । এই হচ্ছে বাস্তব একটি গল্প। আশা করি গল্পটি পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাইয়া অনেক সময় মা বাবার ভুলের কারণেই সন্তানের জীবন নষ্ট হয়ে যায়। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে গল্পটি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। যদিও লোকগুলো আপনাদের এলাকার তারপরেও আমার মনে হয় প্রতিটি এলাকায় এরকম মানুষ রয়েছে। অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে।
https://twitter.com/Jamal7183151345/status/1733385648114155641?t=4b2JDYF6biNABwTEWRtmdw&s=19
আসলে এরকম ঘটনা গুলো এখন অহরহ ঘটে যাচ্ছে। বাবা মায়ের ভুলের জন্য এবং কি বাবা মায়ের ভুল সিদ্ধান্তের জন্য, তাদের সন্তানদের কত বড় যে ক্ষতি হয়, এটা তারা কখনো কল্পনাই করতে পারে না। তেমনি আপনাদের এলাকার ওই লোকটার এবং লোকটার বউয়ের কারণে, তাদের চার সন্তানের জীবন একেবারে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আপনি পুরো গল্পটা অনেক সুন্দর করে লিখেছেন, যেটা আমি সম্পূর্ণভাবে পড়ার চেষ্টা করেছি। আপনার গল্পগুলো আমার অনেক ভালো লাগে পড়তে। আপনার পরবর্তী গল্প পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম।
আমার গল্প পড়ে খুব সুন্দর করে মন্তব্য করেছেন তাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
মা-বাবার ফুলের কারণে অনেক ছেলেমেয়েদের জীবনটা একেবারেই নষ্ট হয়ে যায়। তারা নিজেদের ভালোর জন্য সন্তানদের জীবন নষ্ট করে দেয় এরকমটাও বলা যায়। প্রত্যেকটা বাবা মায়ের উচিত কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়া। কারণ তাদের এই সিদ্ধান্ত তাদের সন্তানের উপর কতটা প্রভাব ফেলতে পারে এটা প্রথমে ভাবা উচিত। আপনাদের এলাকার ওই লোকটা এবং লোকটার স্ত্রী, তাদের জীবনে এমন একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, যেটা তাদের চার সন্তানদের জন্য একেবারে অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। একে অপরকে ডিভোর্স দিয়েছিল তারা, আর এই জন্য তাদের সন্তানরা এত কষ্টে রয়েছে। পুরোটা পড়ে ভালো লেগেছে।
হ্যাঁ এটি ঠিক মা-বাবার ভুলের কারণে ছেলে মেয়েদের জীবন একেবারে নষ্ট হয়ে যায়। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।
এরকম অসংখ্য সম্পর্ক রয়েছে যেখানে সম্পর্কের শুরুটা অনেক সুন্দর কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই সম্পর্ক টিকে থাকে না ফাটল ধরে। সেই পরিণতি ভোগ করতে হয় সন্তানদের । সেটাই হয়েছে দেখছি। যেখানে মা-বাবা থাকলে ঠিকই সন্তানদের এইভাবে পথহারা হয়ে বঞ্চিত হতে হতো না। খুবই খারাপ লাগলো গল্পটি পড়ে।
মা-বাবার সম্পর্কের কারণে অনেক সময় জীবন নষ্ট হয়ে যায় তাদের ভুলের কারণে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
জেবু সাহেব ও ওনার স্ত্রী মোটেও কাজটা ঠিক করেনি।ছেলে মেয়েরা বড়ো হয়ে গেছে তাই তাদের তো লজ্জা লাগারি কথা।আবার মেয়েদের কে বিয়ে দিতে কষ্ট হওয়াটাই স্বাভাবিক কারণ এই বয়সে ডিভোর্স। ছেলে দুটো শিক্ষত ভদ্র কিন্তুু বাবা,মায়ের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে তাঁরা আজ এমন ছোট হয়ে গেছে। আসলে বাবা,মায়ের কারণে তাদের এই অবস্থা। পোস্ট টি পড়ে খারাপ লাগছে জেবু মিয়ার ছেলে,মেয়েদের কথা ভেবে।ধন্যবাদ ভাইয়া সত্যি ঘটনাটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ তাদের দুটি মেয়েকে বিয়ে দিতে অনেক কষ্ট হয়েছে। এবং শিক্ষিত দুটি ছেলেকে বিয়ে করাতে অনেক সমস্যার মুখে পড়তেছে। আপনার সুন্দর মন্তব্য শুনে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
এরকম অনেক ঘটনা আছে মা-বাবার ভুলের কারণে ছেলে মেয়েদের জীবন নষ্ট হয়ে যায়। জেবু মিয়া স্ত্রীর সাথে কোন ঘটনা নিয়ে আলাদা হয়ে গেলে এবং তাদের ডিভোর্স হয়ে গেল। এতে ছেলেমেয়েদের কোন হাত ছিল না বরং তাদের জন্য লজ্জার ছিল। অথচ এখন ছেলে মেয়েদের বিয়ে দিতে এবং করাতে সমস্যা হচ্ছে। যদিও অনেক কষ্টে মেয়েদের বিয়ে হল ছেলে দুটো বিয়ে করাতে কষ্ট হচ্ছে। এসব কষ্ট গুলো ছেলে মেয়েরা কারো সাথে প্রকাশ করতে পারে না নীরবে কষ্টগুলো বয়ে চলে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে বাস্তব একটি গল্প আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য।
বাস্তব অর্থে মা-বাবার কারণে ছেলেমেয়েদের জীবন একদম অতিষ্ঠ হয়ে গেল। ছেলেমেয়েগুলো কোথাও বড় কথা বলতে পারে না। গল্প পড়ে সুন্দর মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে বিচ্ছেদ কখনো ভালো কিছু বয়ে নিয়ে আসে না। তবে স্বামী বা স্ত্রীর অতিরিক্ত মাত্রায় খারাপ ব্যবহারের কারণে যদি বিচ্ছেদ হয় সেটা ভিন্ন ব্যাপার। তবে অনেক সময় দেখা যায় ছোট কোন বিষয় নিয়েও বিচ্ছেদ ঘটিয়ে থাকে। সত্যি এটা কিন্তু অনেক খারাপ একটা বিষয়। তবে সেটা যেভাবে বিচ্ছেদ হোক না কেনো কষ্ট পেতে হয় তাদের সন্তানদের। আবার অনেক সময় দেখা যায় যারা বিচ্ছেদ ঘটিয়েছে তারাও তাদের ভুল বুঝতে পারে। তবে ওনাদের ঘটনাটা শুনে বেশ খারাপ লাগলো। যাক দোয়া করি যেন মানুষ বুঝতে পারে যে ভুলটা তাদের না তাদের বাবা-মায়ের ছিল।
হ্যাঁ এটি ঠিক স্বামী-স্ত্রী সামান্য ভুলের কারণে অনেক সময় ছেলেমেয়েদেরও জীবনে কষ্ট নেমে আসে। আর বড় হলে ছেলে মেয়েগুলো তখন তো আরো বিপদ হয়ে যায়। চমৎকার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।