গল্প:- অন্যের ক্ষতি করে নিজের উন্নতি করা যায় না।(প্রথম পর্ব)
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।
আজকে আমি বাস্তব একটি গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করব আমাদের এক আত্মীয়র ঘটনা। একটি পরিবারের তিনটি ভাই এবং দুটি বোন আছে। বর্তমান সময়ে সবাই আলাদা আলাদা ভাবে বসবাস করতেছে এবং তাদের ছেলেমেয়েগুলো অনেক বড় হয়ে গেছে। তিন ভাইয়ের মধ্যে একজন হচ্ছে কলেজের শিক্ষক। তাকে সবাই সম্মান করে এবং এলাকার মানুষও তাকে অনেক ইজ্জত করে। বাকি দুই ভাই হচ্ছে একজন দোকানদারি করে অন্যজন কৃষি কাজ করে।
যেই ভাই কলেজের শিক্ষক তার নাম হচ্ছে নুরুল হুদা। নুরুল হুদাকে সবাই অনেক সম্মান করে এবং ভয় করে। বোন দুটোকে তারা অনেক আগে বিয়ে দিয়ে দিয়েছে এবং তাদের ছেলে মেয়েগুলো এখন বড় হয়ে গেছে। তাদের বাবার অনেক সম্পত্তি তিন ভাই দুই বোনের মধ্যে তার বাবা মারা যাওয়ার সময় সুন্দর করে বন্টন করে দেওয়ার জন্য তার ভাই নুরুল হুদা কে বলে গেল। নুরুল হুদামিয়া তার বাবা মারা যাওয়ার সময় বলেছে সেই সব সম্পত্তি সমান করে ভাগ করে দেবে।
নুরুল হুদা মিয়া তার বাবা মারার সময় এই কথা বলে ওয়াদা করেছে। তবে আমাদের গ্রাম অঞ্চলে ফ্রাই লোকের সম্পত্তি অনেক যদিও এই জায়গাগুলোর দাম কম। কিছু বছর আগে বোনেরা জানতে পারে তাদের নামে কোন জায়গা সম্পত্তি নেই। অনেক বছর আগে জায়গা সম্পত্তির হাল নাগাদ হয়েছিল। ওই সময় তার ভাই নুরুল হুদা চালাকি করে সব সম্পত্তি তিন ভাইয়ের নামে দলিল করে নিয়েছে। বলেছে তাদের কোন বোন নেই তারা বাবা-মায়ের তিন সন্তান।
এই করে বোন দুটিকে ঠকিয়েছে এবং তাদের নামে কোন সম্পত্তি রাখে নাই। কিছু বোঝার আগে বোন দুটি ভাইদের কাছে সম্পত্তির জন্য গেল তাদের সম্পত্তি গুলো দেওয়ার জন্য। তারা বলেছে ইসলামিক মোতাবেক যতটুকু সম্পত্তি পায় তাদের সম্পত্তি দেওয়ার জন্য। তখন তার ভাই নুরুল হুদা মিয়া তাদেরকে বলেছে আমি এখন ব্যস্ত আমার কলেজে অনেক কাজ। তোমরা পরে আসো তোমাদের সম্পত্তি আমি সুন্দর করে ভাগ করে দেব। এই বলে বোনদেরকে ঐদিন বিদায় করে দিল।
এভাবে কিছু মাস যাওয়ার পর বোনগুলো আবার জায়গা সম্পত্তির জন্য শিক্ষিত ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করতে লাগলো। তখন তার ভাই নুরুল হুদা মিয়া তাদেরকে অনেক বায়না ধরে ব্যস্ততা দেখায়। এবং বোনেরা যখন তাদের বাড়িতে যাই তাদের গাড়ি ভাড়া দেই নুরুল হুদা মিয়া ভালো সাজার জন্য। কিছু মাস আগে বোন দুটোর বাড়ির এক বড় ভাই বলেছে তোমাদের জায়গা সম্পত্তি নাই সবগুলো তাদের নামে তারা রেস্টোরি করে নিয়েছে। কাগজে তাদের কোন বোন নেই এই বলে উল্লেখ করেছে। আজ এই পর্যন্ত পরবর্তীতে পরের পর্ব নিয়ে হাজির হব। আশা করি আজকের পর্ব আপনাদের ভালো লাগবে। (চলবে)
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
খুবই সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। মানুষ তার স্বার্থের জন্য কতো কিছুই না করতে পারে। পারে রক্তের সম্পর্কের সাথে বেইমানি করতে। অন্যকে ঠকিয়ে নিজে জিততে চায় ,কিন্তু অন্যকে ঠকিয়ে নিজের উন্নতি সম্বব না। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
এরকম লোক গুলোর মধ্যে রক্তের সম্পর্ক বাঁধন না থাকাই ভালো। সুন্দর মন্তব্য শুনে ভালো লাগলো তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি আজকে অনেক সুন্দর একটা টপিক তুলে ধরে আজকের গল্পটা লিখেছেন। আপনাদের আত্মীয় দেখছি অনেক বেশি ঠকবাজ ছিল। নিজের বোনদেরকে কিভাবে ঠকালো এটাই ভাবতেছি। ওনার বোনেদের মৃত্যুর কথাটা কিভাবে বলতে পেরেছে। আর বোনদেরকে সম্পত্তির ভাগ তো দূরের কথা কোন কিছুই দিল না। এমনকি তাদেরকে মিথ্যা কথাও বলেছে অনেক বেশি। দ্বিতীয় পর্বে কি হয় এখন এটাই দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
এরকম লোক গুলো নিজের আপন বোনকে ও ঠকাতে পারে। সুন্দর মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/Jamal7183151345/status/1738114229306380634?t=eGg0lAkCm9VxqbAlXnMdkA&s=19
সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছিন আপনি পড়ে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। এ ধরনের ঘটনা এখন অহরহই হচ্ছে। ভাইয়েরা তার বোনেদের সম্পত্তিতে দিতে অস্বীকার করে। তার ভাই নুরুল হুদার এটি কখনোই করা উচিত হয়নি। তার বোনেরা যখন আমার সম্পত্তির জন্য আসে তাদেরকে বিভিন্ন রকম বায়না দিয়ে ঘুরাচ্ছে। পরবর্তীতে কি হলো তা জানার অপেক্ষায় রইলাম।
কিছু শিক্ষিত লোক আছে তাদেরকে সবাই সম্মান করে। কিন্তু তারা সে মর্যাদা রাখতে পারে না। সুন্দর মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন একেক জনের মানসিকতা একেক রকম।তবে নুরুল হুদা সন্মানিও শিক্ষক একজন শিক্ষত ব্যাক্তি তার দারা বোনেরা এভাবে ঠকবে এটা কল্পনার বাইরে।একদমই ঠিক কথা অন্যকে ঠকিয়ে কোনদিন নিজের উন্নতি করা যায় না।পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
হ্যাঁ এটা ঠিক বলেছেন একজন মানসিকতা এক এক রকম হয়। তবে কেউ সম্পত্তির লোভ সামলাতে পারে কেউ পারে না। সুন্দর মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে।
হায়রে মানুষ এতটাই খারাপ হয়ে গেছে মৃত্যুর ভয় একদম নেই। কারণ সামান্য সম্পত্তির লোভে তারা দুই বোনকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করল। এই ধরনের সম্পত্তি আসলেই মঙ্গল বয়ে আনে না। হয়তো তারা কিছু দিন সুখে থাকবে। একদিন সুখে থাকবে কিন্তু অভিশাপ তো মানুষের পিছু ছাড়ে না। তো পুরো লেখা পড়লাম আশা করি পরবর্তীতে আরো ভালো কিছু জানতে পারবো।
এরকম লোক গুলো মৃত্যুর ভয় করেনা নিজের চিন্তা করে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি তো মনে করি এখন নিজেদের আপন সম্পর্ক গুলো থেকে পর সম্পর্ক গুলো অনেক ভালো হয়। কারণ নিজের ভাই বোনরাও এখন নিজেদের সম্পর্কটা নষ্ট করে ফেলে। আমার মনে হয় ভাই বোন ভাই আমাদেরকে তাদের সম্পত্তি ভালোভাবে বুঝিয়ে দিলেই ভালো হতো। কোথাও কোথাও বোনেরা এসব কর্মের জন্য ভীষণ কষ্ট পায়। আপনার পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম তাড়াতাড়ি আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন।
নিজের ভাই বোনেরা এখন নিজের সম্পর্ক নষ্ট করে ফেলে শুধু লোভ করে। অসাধারণ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি টাইটেলে যে কথাটি করেছেন, এটা কিন্তু একেবারে সত্য কথা। নুরুল হুদা মিয়া দেখছি তার বোনদেরকে ঠকিয়েছে। এরকম ভাবে তার দুই বোনকে ঠকানো একেবারেই উচিত হয়নি। আবার দেখছি কাগজে উল্লেখ করেছে তাদের কোন বোন নেই। অর্থাৎ তারা শুধু তিন ভাই। আর তাদের বোন যখন তাদের কাছে গিয়েছিল, তখন তাদের ভাই নানারকম অজুহাত দেখিয়েছিল তাদেরকে। অনেক সুন্দর করে আপনি সম্পূর্ণ পোস্ট লিখেছেন। প্রথম পর্বটা ভালো লেগেছে। দ্বিতীয় পর্ব পড়ার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
হ্যাঁ আপু নুরুল হুদা মিয়া আপন বোনদেরকে ঠকিয়েছে। এরকম লোক গুলো সত্যি অনেক ভয়ঙ্কর। সুন্দর মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি ঠিক কথা বলেছেন, অন্যের ক্ষতি করে নিজের উন্নতি করা যায় না, কিছুদিন লাভবান হওয়া যায় কিন্তু উন্নতি করা যায় না। আপনার মাঝেমধ্যেই বাস্তব কিছু গল্পগুলি শুনতে আমার ভীষণ ভালো লাগে, বাস্তবতা তুলে ধরেন। বাস্তবতা বড়ই কঠিন ভাইয়া। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম
হ্যা ভাইয়া অন্যের ক্ষতি করে নিজের উন্নতি করা যায় না। হয়তো সাময়িক ভালো থাকে। যাই হোক অনেক সুন্দর মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে।