লাইফ স্টাইল :-মাদ্রাসায় ছাত্রদের সাথে ইফতার করার মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আমি আজকে একটি লেখার পোস্ট এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে অথবা কোথাও ঘুরতে গেলে ওইসব বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখতে অনেক ভালো লাগে। বেশিরভাগ সুন্দর মুহূর্ত গুলোর পোস্ট পড়তে এবং লিখতে অনেক ভালো লাগে। সব সময় চেষ্টা করি আমার সুন্দর মুহূর্তের অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ঘুরতে গেলে নিজে মনটাও ফ্রেশ থাকে। তাই সবসময় চেষ্টা করি কোথাও ঘুরতে যাওয়ার হাসিখুশির মুহূর্তটা আপনাদের মাঝেও শেয়ার করার জন্য। আশা করি আপনাদেরও পোস্টটি অনেক ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব মাদ্রাসায় ছাত্রদের সাথে ইফতার করার মুহূর্ত। আমাদের বাড়ির সামনে একটা মাদ্রাসা আছে। ওই মাদ্রাসা টা আমাদের বাড়ির প্রতিষ্ঠানে। এই মাদ্রাসার জায়গা আমাদের বাড়ির সবাই মিলে দিয়েছে। এবং এই মাদ্রাসায় আমি শিক্ষাগত করি। এ মাদ্রাসাতে হেফজ কোরআন শরীফ বিভাগ আছে। এবং এখানে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন ছেলের কোরআন হেফজ পড়তেছেন। যদিও মাদ্রাসার লাইনে ছাত্রছাত্রী অনেক বেশি। রমজান মাসে আমাদের এলাকায় অনেক পরিবার এই হেফজখানায় ইফতার এবং খাওয়া-দাওয়া দিয়েছে।
তবে এখনকার সময় মানুষ বাড়িতে রমজান মাসে খাওয়া-দাওয়া করাতে তেমন চাই না। তাই মাদ্রাসায় বা এতিমখানা খাওয়া-দাওয়া দিয়ে দেয়। কিছুদিন আগে আমার বাড়ির এক চাচা বলতেছে তাদের রমজান মাসের খাওয়া-দাওয়া মাদ্রাসায় দিয়ে দিবে। এ বলে আমার সাথে কথা বলেছে। তখন আমি তাদেরকে বললাম কোরআন শরীফ শিক্ষার বিভাগে ৫০ জন ছাত্র আছে তাদের খাওয়া-দাওয়া দেওয়ার জন্য বললাম। তারাও সাথে সাথে রাজি হয়ে গেল।
এরপর দুইদিন আগে মাদ্রাসায় ইফতার করার জন্য তারা কি কি লাগবে জিজ্ঞেস করতেছে। তখন আমি তাদেরকে বললাম ইফতারির জন্য বিরিয়ানি দিয়ে দেওয়ার জন্য। তারপর তারা ইফতারির জন্য চিকেন বিরায়ানি তৈরি করেছেন। যদিও তারা বাজার সদায় সব করে দিল। রান্নাবান্না আমাদের মাদ্রাসার পক্ষ থেকে করা হলো। তারা রাত্রে বেলা হেব্জ ছাত্রদের খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। এবং ছাত্রদের পাশাপাশি তারা শিক্ষকদেরকেও এবং আমাদের মসজিদের হুজুরদের দাওয়াত করলেন। আমার সাথে ইফতারিতে মাদ্রাসার ছাত্র এবং শিক্ষক ও মসজিদের হুজুররা ছিলেন।
সত্যি সবাই একসাথে ইফতার করতে অনেক ভালো লাগলো। কারণ এখানে কোরআন শিক্ষা দিতেছে এই ছাত্রদের সাথে ইফতার করতে সত্যি অন্যরকম ভালো লেগেছে। যদিও অনেক ছাত্র চিকেন বিরায়ানি খেতে পছন্দ করতেছে না। যারা চিকেন বিরায়ানি খেতে চাইতেছে না তাদের জন্য দোকান থেকে ইফতারি নিয়ে আসলো। তবে আমার বাড়ির চাচাতো ভাই ইফতারি খাওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন। সেই জিজ্ঞেস করতেছে যা যা লাগবে সব ব্যবস্থা করার জন্য। এবং বিরায়ানির পাশাপাশি ফলের ব্যবস্থা করেছেন। তবে আমাদের এই প্রতিষ্ঠানে রমজান মাসে অনেক জনে খুব আন্তরিকতা দেখালেন এবং খাওয়া দাওয়া দিতেছেন। আর মাদ্রাসায় এই পরিবেশের সবাই ইফতার করতে পেরে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। সত্যি ওই দিন সবার সাথে ইফতারি করে আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। আশা করি মাদ্রাসায় ছাত্রদের সাথে ইফতার করার মুহূর্ত আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। এবং আমার পোস্ট পড়ে এবং দেখে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/Jamal7183151345/status/1776161502405529842?t=XhsLHaGB18rRVj_SLMagaw&s=19
সবার সাথে ইফতার করার মধ্যে আলাদা একটা আনন্দ কাজ করে। আপনি মাদ্রাসায় ছাত্রদের সাথে ইফতার করেছেন।তাদের সঙ্গে সুন্দর সময় কাটিয়েছেন।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এতো সুন্দর একটা মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
হ্যাঁ আপু ঐদিন সবার সাথে ইফতার করতে গিয়ে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছি। তবে আপনার মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো।
খুবই ভালো লাগলো দেখে ভাই মাদ্রাসা ছাত্রদের সাথে ইফতারের আয়োজন করেছেন। এই রকম সুন্দর পরিবেশ দেখতে ভালো লাগে। সবাই একত্রিতভাবে ইফতার করার মজাই আলাদা। ছোট ছোট বাচ্চারা খুব সুন্দর ভাবে পাঞ্জাবি টুপি পড়ে ইফতার করছে দারুন ছিল বিষয়টি।
আসলে মাদ্রাসার ছাত্র গুলো অনেক সুন্দর করে চলাফেরা করে এবং মানুষের সাথে সুন্দর ব্যবহার করে। আপনার মন্তব্য শুনে অনেক ভালো।
কোরআনের এই পাখিগুলোর সাথে খুবই সুন্দর ভাবে ইফতারের মুহূর্তগুলো উপভোগ করেছেন। আসলে এরকম পরিবেশের মধ্যে ইফতার করারটাই অসাধারণ। আপনারা খুবই দারুণ একটা সময় উপভোগ করেছেন। দেখে খুবি ভালো লেগেছে আমার।
হ্যাঁ ভাইয়া কোরআনের পাখিগুলোর সাথে ইফতার করতে খুব ভালো লাগলো এবং সময় উপভোগ করেছি। অসাধারণ মন্তব্য শুনে অনেক অনেক ভালো লাগলো।
যাক ভাই জেনে ভালো লাগলো যে মাদ্রাসার ছাত্রদের সাথে ইফতার করেছেন। আসলে একত্রে ইফতার করতে অন্যরকম ভালো লাগে। বিশেষ করে যদি এই মাদ্রাসার ছাত্ররা হয় তখন আরো বেশি ভালো লাগা কাজ করে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।
আমার পোস্ট পড়ে অনেক সুন্দর করে উৎসাহিতমূলক মন্তব্য করেছেন। আপনার সুন্দর মন্তব্য শুনে সত্যি অনেক ভালো লাগলো।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন একটি লাইফস্টাইল পোস্ট। এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম আপনি মাদ্রাসার ছেলেমেয়েদের সাথে ইফতারি করে খুব দারুণ একটা সময় অতিবাহিত করেছেন। আসলে ভাইয়া সারাটা দিন রোজায় থাকার পরে ইফতার সামনে নিয়ে বসে থাকার মজাই আলাদা। বেশি ভালো লাগলো মাদ্রাসায় ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে খুব সুন্দরভাবে ইফতারি করেছেন দেখতে পেয়ে।
আপনার অসাধারণ মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো। সুন্দর মন্তব্য করে সাপোর্ট করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভ্রমন আমাদের মনকে ভালো করে এটা আমি বিশ্বাস করি।আপনি আপনার মাদ্রাসার ছাত্রদের সাথে অনেক সুন্দর মুহূর্ত পার করেছেন।আসলে সবাই মিলে এইভাবে খাওয়ার মধ্যে আলাদা একটা প্রশান্তি পাওয়া যায় মনে।আপনাদের খাওয়ানোর উদ্যোগটি সত্যিই প্রশংসার দাবিদার, ধন্যবাদ ভাইয়া।
হ্যাঁ আপু সবাই মিলে একসাথে খাওয়া খেলে অন্যরকম একটি প্রশান্তি পাওয়া যায়। অসাধারণ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এরকম একটি মুহুর্ত দেখে খুবই ভালো লাগলো৷ আপনি মাদ্রাসার ছাত্রদের সাথে ইফতার করেছেন৷ আসলে মাদ্রাসার ছাত্রদের সাথে ইফতার করার মজাই আলাদা৷ যখন সবাই একসাথে মিলে ইফতার করা হয় তখন তার থেকে বড় আনন্দের বিষয়ে আর কিছু হতে পারে না৷ আর আজকে আপনি সেরকমই কিছু মাদ্রাসার ছাত্রদের সাথে ইফতার করার মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এবং খুব সুন্দর লাগছে৷ ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সব কিছু ফুটিয়ে তুলেছেন যা দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
হ্যাঁ ভাই মাদ্রাসার ছাত্রদের সাথে ইফতার করার মজাই আলাদা। তবে আমার পোস্ট পড়ে অনেক সুন্দর করে মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে।
সবাই মিলে একসাথে ইফতার করার আনন্দটাই আলাদা তবে আপনার এই ইফতারের আয়োজন দেখে মনটা ভরে গেল। নিশ্চয়ই সবাই অনেক খুশি হয়েছিল আপনার এই আয়োজনে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া মাদ্রাসার ছাত্রদের সঙ্গে ইফতারের সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু ঐদিন সবাই অনেক খুশি ছিল একসাথে ইফতার করে। আপনার চমৎকার মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো।