গল্প :-মানুষের মুখের কথা বিষের চেয়ে ভয়ংকর।

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে বাস্তব একটি ঘটনা শেয়ার করব। ঘটনাটি দুইদিন আগে ঘটেছিল। এখন বর্ষাকাল সব জায়গাতে বর্ষার পানি থই থই করতেছে। বিশেষ করে বিভিন্ন জায়গাতে পানির কারণে মানুষের চলাফেরা করতে অনেক কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর অতিরিক্ত বৃষ্টি হচ্ছে। আমাদের এলাকায় একটি মেয়ের বিয়ে হয়েছে দুই দিন আগে। মেয়েটির বাবা আছে ঘরে সৎ মা। তবে বাবা মেয়েটিকে অনেক আদর করে। সৎ মা মেয়েটিকে দেখতে পারেনা। সারাক্ষণ মেয়ের বদনামি করে এবং সামান্য দোষ পেলে সেটাকে অনেক বড় করে ফেলে। যখন এই মেয়েটির বিয়ে ঠিক হয়েছিল ওই সময় বৃষ্টি ছিল না।

আর গ্রামাঞ্চলে অতিরিক্ত বৃষ্টি বাতাস হলে গাছপালা পরে রাস্তাঘাট অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়। যখন দুই দিন আগে মেয়েটির বিয়ের দিন ছিল। তখন তাদের বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন অনেক আসলেন বিয়েতে। ওই সময় কিছু লোক বলতেছে মেয়েটির বিয়ে তো অতিরিক্ত বৃষ্টি হচ্ছে। মেয়েটির ভাগ্য তেমন ভালো না। হয়তোবা কথার মাঝে কথাটি বলেছে। এমন সময় তার সৎ মা বলতেছে মেয়েটি এমনিতে অফাইয়া। জন্মের পর থেকে সে একটানা একটা বিপদ ডেকে আনতেছে। জন্মের পর সে তার মাকে খেলেন। এরপর তার ভাবার কোন কাজে কর্মে উন্নতি নেই।

আর এই ঘরে এসে আমি নিজেও শান্তি পাচ্ছিনা, মেয়েটির সৎ মা বলতেছে। এবং সৎ মায়ের আত্মীয়-স্বজন কিছু এই কথাকে সাপোর্ট করেছে। এই কথা যখন মেয়েটির বাবা শুনেছে তখন মেয়েটির বাবা মেয়েটির মায়ের সাথে ঝগড়া লেগে গেলো। মেয়েটির বাবা বলতেছে আমার মেয়ে ভাগ্যবান। তুমি খারাপ মহিলা আমার সংসারে আসার পর থেকে আমার মেয়েটির কোন সুখ নেই। এই কারণে আমার মেয়েকে আমি তাড়াহুড়া করে বিয়ে দিয়েছি। কারণ তুমি আমার মেয়েকে একদম দেখতে পারো না ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া দাও না। আমি ব্যাপারগুলো সবই জানি ‌। আর তুমি বড় বড় কথা বলতেছ। এবং মেয়েটির সৎ মা তার বাবার সাথে ঝগড়া লেগে গেল।

মেয়েটির নাম হচ্ছে অহনা। অহনা বর্তমানে দশম শ্রেণীতে পড়তেছে। তার বাবা ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে তাকে বিয়ে দিয়েছেন। ভালো ছেলে পেয়েছে এই কারণে বিয়ে দিয়ে দিলেন। হট করে অহনার সৎ মা বিয়ে থেকে রাগ করে চলে যাচ্ছে বাবার বাড়িতে। এ বিয়েতে সে থাকবে না তাকে অপমান করা হয়েছে। অথচ ও মহিলাটি তার সৎ মেয়েকে নিয়ে আজেবাজে কথা বলতেছে। আর এই কথাগুলো কোন দোষের না। অথচ অহনার বাবা প্রতিবাদ করার কারণে সেটা দোষে হয়ে গেল। এবং বাড়ির কিছু লোক বলতেছে তার সৎ মা যদি বিয়েতে না থাকে তার বিয়ের বদনাম হবে। এরপর অহনার বাবা বেশি চিন্তায় পড়ে গেলেন।

তারপর অহনার বাবা অহনার সৎ মাকে অনেক বুঝিয়ে সুজিয়ে বিয়ে থেকে না দেওয়ার জন্য বললেন। এবং বাড়ির লোক গুলো তাকে বুঝিয়ে বলেছেন। এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে অন্যায়কেও সাপোর্ট করতে হয়। সত্যি বলতে মেয়েটি আমাদের একদম পাশের বাড়িতে। ওই বিয়েতে আমি নিজেও গেলাম দাওয়াতে। মেয়েটি খুবই ভদ্র অথচ মেয়েটিকে নিয়ে তার সৎমা আজে বাজে কথা বলতেছে। অনেক ক্ষেত্রে সৎ মা কখনো আপন মা হয় না। অথচ ওই মহিলাটি নাকি সব সময় মেয়েকে আজেবাজে কথা বলে থাকতেন। এবং মেয়েকে সবসময় খারাপ চোখে দেখতেন। এই কথাগুলো বিয়ের পরে বাড়ির কিছু লোক বলতেছে। আসলে কিছু কিছু মানুষের মুখের কথা বিষের চেয়েও ভয়ঙ্কর। আশা করি আমার বাস্তব কাহিনীটি পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।