লাইফ স্টাইল :-মাদ্রাসায় ইফতার করার মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আমি আজকে একটি লেখার পোস্ট এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে অথবা কোথাও ঘুরতে গেলে ওইসব বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখতে অনেক ভালো লাগে। বেশিরভাগ সুন্দর মুহূর্ত গুলোর পোস্ট পড়তে এবং লিখতে অনেক ভালো লাগে। সব সময় চেষ্টা করি আমার সুন্দর মুহূর্তের অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ঘুরতে গেলে নিজে মনটাও ফ্রেশ থাকে। তাই সবসময় চেষ্টা করি কোথাও ঘুরতে যাওয়ার হাসিখুশির মুহূর্তটা আপনাদের মাঝেও শেয়ার করার জন্য। আশা করি আপনাদেরও পোস্টটি অনেক ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব কিছুদিন আগে অনেক বড় করে ইফতারি আয়োজন করার মুহূর্ত। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন আমাদের বাড়ীর সামনে আমাদের নিজের একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান আছে। আমি বিদেশ থেকে আসার পর থেকে ওই মাদ্রাসায় বাড়ির ছোট বড় সবাইকে নিয়ে একটা ইফতারি আয়োজন করে থাকি। এই ইফতারি আয়োজনে টাকা আমাদের বাড়ির আমরাই বহন করি। বিশেষ করে বিদেশ থেকে আসার পর এই কাজটি নিয়ে আমি নিজে উদ্যোগ নিয়েছি।
আর এই নিয়ে আমি তিন বছরে তিনবার বড় করে ইফতার আয়োজন অনুষ্ঠান করলাম। কিছুদিন আগে ২৭ রোজায় আমি এই অনুষ্ঠান করলাম। যদিও প্রথমে আমি ইফতার আয়োজন করার পক্ষে ছিলাম না। কারণ বড় করে ইফতার আয়োজন করতে হলে টাকা পয়সা এবং অনেক ধরনের টেনশন থাকে। হঠাৎ করে চিন্তা করলাম ইফতারি অনুষ্ঠান করব। এরপর আমি বাড়ি ২-৩ জন লোকের সাথে কথা বললাম এবং তারা সাড়া দিয়েছে।
যদিও তারা বলেছে মোটামুটি টাকা লাগবে কে দিবে। তারপর আমাদের বাড়ির যারা বিদেশ থাকে তাদের সাথে আমি মোবাইল ফোনে কথা বললাম। তারা আমাকে ইফতারি আয়োজন করার জন্য বলল। তারপর আমি ২৭ রোজার দিন এই অনুষ্ঠান করলাম। যদিও এবার আমি ১৫০ জন লোকের ইফতারি আয়োজন করলাম। এখানে আমাদের মাদ্রাসার ৫০ জন ছাত্র আছে। আর বাকিগুলো বাহিরে মানুষ দাওয়াত করলাম।
ঐদিন আমি সকাল থেকে অনেক ব্যস্ত ছিলাম। কারণ বাজার থেকে ইফতারি আয়োজনের সবকিছু যোগদান করলাম। আর আমি প্রথমে বলে দিলাম যে ইফতারির জন্য বিরায়ানি আয়োজন করব। তিন বছর আমি ইফতারির জন্য বিরায়ানি আয়োজন করে থাকি। যদিও সবকিছুর দাম অনেক বেশি। তাই আমি চিকেন বিরায়ানি আয়োজন করলাম। যখন বিকেলবেলা আমরা সবাই একসাথে ইফতার করার জন্য সবকিছু রেডি করলাম সত্যি অনেক ভালো লাগলো।
আর আমাদের আয়োজন থেকে ঐদিন লোক সংখ্যা অনেক বেশি হয়েছে। যেহেতু পাশে মসজিদ ছিল এই কারণে লোকসংখ্যা একটু বেশি হয়েছে। তবে আলহামদুলিল্লাহ সবকিছু অনেক সুন্দর করে করেছিলেন। তবে ১৫০ জনের বিরায়ানির আইটেম করার পর অন্তত 200 জন লোক এই ইফতারি বিরায়ানি খেয়েছে। তবে সত্যিই এই জিনিসটা আমার কাছে খুব ভালো লাগলো। অনেক মুরুব্বিগণ বলতেছে তুমি বিদেশ থেকে আসার পর সুন্দর একটি উদ্যোগ নিয়েছো। যতদিন পারো রমজান মাসে এই আয়োজন করার চেষ্টা করবে। আশা করি আমার ইফতারি আয়োজন পোস্ট পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/Jamal7183151345/status/1778358469080571985?t=oIXxuMJmEda12FLZnZ1o3A&s=19
সারাদিন রোজা থাকার পরে সব থেকে দারুন একটা মুহূর্ত হল ইফতারের মুহূর্ত। এই মুহূর্তের অনুভূতিটা মুখে বলে বোঝানো যায় না। আপনাদের মাদ্রাসা একটি ইফতারের আয়োজন করেছিলেন এখানে প্রায় ১৫০ জন ছিল। এতগুলো মানুষ এক সাথে ইফতারি করার মুহূর্তটা আসলেই দারুন। এত চমৎকার একটা সময় আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ভাই ঠিক বলেছেন এতগুলো মানুষের সাথে ইফতারি করার মুহূর্তটা আসলে দারুণ। মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো।
আসলে মাদ্রাসায় ইফতার করার মধ্যে একটি আলাদা ভালোলাগা কাজ করে৷ এরকম ইফতার করার মধ্যে আমাদের সকলের অনেক বেশি পরিমাণ ভালোলাগা চলে আসে৷ এই রোজার শেষ সময় সকলেই অনেক ধরনের ইফতারের আয়োজন করে থাকে৷ মাদ্রাসায় যখন সকলে ইফতার করা হয় তখন তার থেকে ভালো আর কিছুই হতে পারে না৷ অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে অনেক সুন্দর করে মন্তব্য করেছেন আমার পোস্ট নিয়ে।
আপনি বিদেশ থেকে আসার পর যে উদ্যোগটা নিয়েছেন, সেটা নিঃসন্দেহে অনেক ভালো ভাই। আপনি হয়তো আপনার বাড়ির পাশের মাদ্রাসার সবাইকে খাওয়াচ্ছেন, অন্যদিকে সবাই যদি এরকম করে চিন্তা করে তাহলে তো সেটা অবশ্যই ভালো একটা ব্যাপার। তবে ১৫০ জন লোকের বিরিয়ানির আয়োজন করা কিন্তু যথেষ্ট খরচ সাপেক্ষ। যদিও অন্যান্য জায়গা থেকে সাপোর্ট পেয়েছেন, তারপরও বলবো যে, এটা আপনারা খুব মহৎ একটা কাজ করেছেন।