গল্প:- পর কখনো আপন হয় না।(শেষ পর্ব)
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।
এদিকে তার বাবার সম্পত্তি এবং আফ্রিকার টাকা পয়সা সব তার মেয়ের নামে রাখলেন জাহাঙ্গীর ভাই আগে। এরপর তার আফ্রিকাতে দোকানগুলো বিক্রি করে ওই টাকাও মেয়ে এবং ওয়াইফ এবং তার মাকে ভাগ করে দিলেন। কিছু মাস যাওয়ার পর লিপিকে দেখে আবার তার মা আমাদের পাশের বাড়িতে একটি ছেলের কাছে বিয়ে দিয়েছে। যদিও ছেলেটি একদম গরিব শুধু লিপির টাকা পয়সা আছে বিধায় তাকে বিয়ে করেছে। এরপর লিপি তার নতুন স্বামীর বাড়িতে চলে গেল।
এদিকে লিপির মেয়েটি বাড়িতে একা। তাকে দেখাশোনার লোক নেই। বাবার বিটাতে মেয়েটি কার কাছে থাকবে এই কারণে নানুর কাছে থাকে। যদিও নানুর কাছে থাকাটি তার মামীরা ভালো চোখে দেখে না। এই কারণে লিপি তার স্বামীকে বললেন মেয়েটি তার কাছে নিয়ে যাবে। এতে লিপির দ্বিতীয় স্বামী রাজি হয়ে গেল এখানে থাক কোন সমস্যা নেই। কারণ মেয়েটি মায়ের কাছে থাকলে সবার জন্য ভালো হবে। এদিকে লিপির ঘরে আরেকটি ছেলে সন্তান হল। মেয়েটি যখন মায়ের কাছে চলে গেলেন।
তখন থেকে আস্তে আস্তে মেয়েটির থেকে টাকা পয়সা গুলো তার মা এবং তার দ্বিতীয় স্বামী আছে বিভিন্ন ধরনের অজুহাত দিয়ে টাকাগুলো নিয়ে যাচ্ছে। এবং মেয়েকে বলতে লাগলো থাকার ঘর নেই একটা ঘর দিতে হবে। এভাবে একদিন এক একটা করে বলে মেয়েকে বুঝিয়ে সুুঝিয়ে তার বাবার কষ্টের টাকাগুলো তারা সম্পূর্ণ হাতিয়ে নিয়েছে। কিছু মাসের মধ্যে লিপির দ্বিতীয় স্বামী বাড়ি দোকান এবং একটি হোন্ডা কিনেছেন। সবাই চিন্তা করত লাগল যে অন্যের জায়গা জমি কাজ করত সে হঠাৎ করে এত টাকা পয়সা কোথায় থেকে পেল।
যদিও লিপির দ্বিতীয় স্বামীর নাম হচ্ছে আজাদ। আজাদ অনেক ঠান্ডা মানুষ সেই কৌশলে সব নিয়ে জিতেছে। এবং সেই লিপি কাছে যে টাকা ছিল সেগুলো কৌশলে নিয়ে নিয়েছে। এবং লিপির মেয়েটির টাকা-পয়সাও সেই কৌশলে নিয়ে নিলো। অথচ আজাদ লিপির আগের ঘরের মেয়েকে অনেক আদর করে সবার সামনে। মেয়ে তার কলিজা এভাবে বলতে থাকে। ভিতর থেকে তার মনের মধ্যে হিংসে এবং জলম্ববাজ। লিপির মেয়ের সব টাকা পয়সা সে হাতিয়ে নিয়েছে।
কখন কোন সময় জাহাঙ্গীর ভাইয়ের মেয়ের জায়গা সম্পত্তি নিয়ে যায় এটাই দেখার বিষয়। এদিকে মেয়েটির দাদু এবং নানু দুজনে খুবই চিন্তিত। কারণ মেয়েটির সরল মনে তার মায়ের দ্বিতীয় স্বামীকে টাকা পয়সা দিয়ে দিল। অথচ এখন মেয়েটিকে আজাদ দেখতে পারে না। বলতে থাকে যার মেয়ে তাদের বাড়িতে চলে যেতে। আসলে পর কখনো আপন হয় না। এই হল আমার বাস্তব একটি গল্প। গল্পটি পড়ে অবশ্য আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
সত্যি বলেছেন ভাইয়া পর কখনো আপন হয় না।আসলে আজাদ কেন আমার মনে হয় পৃথিবীর দ্বিতীয় কোন বাবা এভাবে কারো সন্তান মেনে নিতে পারে না। তবে না মেনে নিলেও এভাবে আজাদের মতো ঠকায় না। যাইহোক ভাইয়া পর পরি থাকে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন পর পরে থাকে। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর করে আমার গল্প নিয়ে মন্তব্য করার জন্য।
আসলে কিছু কিছু মানুষ আছে তারা উপরে একরকম ব্যবহার ভিতরে অন্যরকম। জাহাঙ্গীর ভাইয়ের মেয়ের টাকা পয়সা গুলো কৌশলে তারা নিয়ে নিয়েছে। বিশেষ করে লিপি এবং লিপির হাসবেন্ড আজাদ মেয়েকে এমন ভাবে ব্যবহার করে এবং তাদের কলিজা বলে থাকে। দেখতেছি আজাদ স্বার্থের কারণে জাহাঙ্গীর ভাইয়ের মেয়েকে আদর করেছে। আসলে পর কখনো আপন হয় না কথাটি একদম বাস্তব বলেছেন আপনি। যেমনটি আজাদ দেখিয়েছে। বাস্তব একটি গল্প শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
গল্পটি পড়ে খুব সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
মেয়েটার কাছ থেকে তার বাবার সকল কষ্টের জায়গা টাকা সব কিছু নিয়ে নেওয়ার পর, এখন তাকে বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার কথা বলছে, আসলে এই বিষয়টা অনেক কষ্ট জনক। এরকম মানুষগুলো নীরবে সবকিছু করে ফেলে। তেমনি মেয়েটির দ্বিতীয় বাবা ও এরকম করেছিল। আসলে পর কখনো আপন হয় না এটা সত্যি। তেমনি মেয়েটির বাবা ও আপন হতে পারেনি। অনেক খারাপ লেগেছে গল্পটার শেষের পর্ব পড়ে।
আসলে তাদের যেটি টার্গেট ছিল সেটি তারা সফল হয়ে গেছে। এই কারণে এখন মেয়েটিকে তারা রাখতে চাইতেছে না। সুন্দর মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে।
https://twitter.com/Jamal7183151345/status/1717522030277562630?t=dr725_7oWPVsObj1_29amQ&s=19
আপনার এই গল্পটির প্রথম পর্ব আমার পড়া হয়েছিল। আজকে এই গল্পটার শেষ পর্ব পড়তে ভালো লেগেছে। তবে শেষের দিকটা পড়ে অনেক বেশি খারাপ লেগেছে আমার কাছে। মেয়েটার সব টাকা-পয়সা তার দ্বিতীয় বাবা নিয়ে গিয়েছিল। আসলে এরকম মানুষ গুলো অনেক বেশি নিষ্ঠুর হয়। পরে কখনো আপন হয় না এই কথাটার সাথে আমি পুরোপুরিভাবে একমত। আপনার গল্প গুলো বেশিরভাগ সময় পড়ে থাকি খুব ভালো লাগে।
ঠিক বলেছেন এরকম মানুষ গুলো অনেক নিষ্ঠুর হয়। মুখে এক ব্যবহার অন্তরে আর এক ব্যবহার। অনেক অনেক ধন্যবাদ গল্প পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।