গল্প:- অদক্ষ ডাক্তার

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি ডাক্তারের কাহিনী শেয়ার করব। ডাক্তার টি হচ্ছে আমাদের এলাকার গ্রামের ডাক্তার। ডাক্তারের নাম হচ্ছে নুর আলম। ছোট কাল থেকে সে ডাক্তারি শিখেছেন তার বাবার কাছ থেকে। তার বাবাও ডাক্তার ছিলেন এখন সে নিজেও ডাক্তার। অনেকে বলে তার চিকিৎসা অনেক ভালো কিন্তু তার ওষুধ গুলো একদম বাজে। কথাটা প্রথমে আমি বিশ্বাস করতাম না। কারণ তার ডাক্তারি অনেক ভালোই বলে সবাই। এই কথা অনেকেই বলে।

কিছুদিন আগে আমার মায়ের কানের মধ্যে ব্যাথা হয়েছে। এবং সে কানের ব্যাথার কারণে অনেক কষ্ট করতে লাগলো। সকালবেলা আমি নুর আলম ডাক্তার কে কল দিলাম মোবাইলে। আমার মায়ের কানের সমস্যা। ডাক্তার বাড়িতে এসে আমার মাকে দেখে ওষুধ দিলেন। বাড়িতে এসে দেখলেন এই কারণে ২০০ টাকা ভিজিট। আর কানের ওষুধ দিলেন 4 70 টাকার। চার পাঁচ দিন খাওয়ার পর আমার আম্মার কানের ব্যথা কমে নাই। এরপর আমি তাকে আবার বললাম কি সমস্যা তার কানে ব্যথা কমতেছে না। এরপর সে আমাকে আবারও প্রায় ৫০০ টাকার ওষুধ দিলেন।

এই ওষুধগুলো খাওয়ার পরও আমার আম্মার কানের ব্যথা ভালো হয় নাই। এরপর আমি আরেকটি ডাক্তার দেখালাম আমাদের পাশের এলাকার। ও মাত্র ২০০ টাকার ওষুধ দিলেন আমার মায়ের কানের ব্যথার জন্য। ওই ওষুধগুলো খাওয়ার পর আমার আম্মা সুস্থ হয়ে গেলেন। ওখান থেকে আমি ধারণা করেছি তার ওষুধ গুলো তেমন ভালো না। কিছুদিন আগে আমার সর্দি কাশি জ্বর হয়েছে। আমি তার থেকে ওষুধ নিলাম সে আমাকে 420 টাকার ওষুধ দিয়েছেন। ওষুধগুলো খাওয়ার পর আমার কোন উন্নতি হলো না বরঞ্চ আরো অসুখ বেড়ে গেল। এরপর আমি গ্রামের পাশে অন্য ডাক্তারকে দেখালাম। সে মাত্র আমাকে ৩০ টাকার ওষুধ দিলেন ওই ওষুধগুলো খাওয়ার পর আমি সুস্থ হয়ে গেলাম। আসলে এদের মত কিছুকে ডাক্তার আছে তারা ডাক্তারি না করে বিজনেস করে।

কারণ আমাদের এলাকায় ডাক্তার খুব কমে আছে। যদি আপনি কোনভাবে অসুস্থ হয়ে যান ওই ডাক্তার থেকে ওষুধ না নিলে তাহলে আপনাকে দেখতে আসবেনা। নুর আলম ডাক্তারের এই অভ্যাসটি অনেক খারাপ। কারণ তার থেকে ওষুধ না কিনবেন সেই রোগী দেখতে আসে না। আর তার থেকে ওষুধ নিলে সেই রোগীগুলো দেখতে আসে। আর তার ওষুধগুলো এতই বাজে যেগুলো খেলে রোগীদের কোন উন্নতি হয় না। এবং এত বাজে কোম্পানির ওষুধ সে কিভাবে রাখে তাই মাথায় ধরে না। আমার কাছে নুর আলম ডাক্তারের ডাক্তারি মনে হয় পলিটিক্স।

সে রোগ ধরতে পারে কিন্তু ওষুধগুলোর কারণে মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে পারতেছে না। যদি ওষুধগুলো ভালো লাগতো তাহলে সেই নামকরা ডাক্তার হতো আমাদের এলাকায়। তবে বাজে কোম্পানির ওষুধ হলেও ওষুধগুলোর দাম অনেক বেশি রাখে। কারণ এলাকার লোক গুলো তাকে না ডাকলে আবার আপদ বিপদের সময় তাকে পায় না। এই কারণে আমাদের গ্রামের মানুষগুলো খুব কমে বাহিরের ডাক্তার দেখায়। কারণ বড় হাসপাতাল এবং বড় ডাক্তার গুলো আমাদের এলাকার থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে।

অনেকদিন আগে সেই এক একপাতা ভিটামিন ওষুধ দিয়েছিল আমাদের বাড়ির একটি মহিলাকে। আমি বাজারে যাওয়ার সময় ওই মহিলা আমাকে ওষুধের পাতাটি দিলেন। ওষুধটি নিয়ে আসার জন্য। আমি চৌধুরীহাট বাজার সম্পূর্ণ দেখার পর ওই ভিটামিন ওষুধ পাতাটি পেলাম না। তখন অনেক ফার্মেসী আমাকে বলতে লাগলো এই ওষুধটি একদম বাজে কোম্পানির। আপনি যেখান থেকেও ওষুধের পাতা নিয়েছেন ওখানে এই ওষুধটা পেতে পারেন। এরপর আমি ওই মহিলা ভিটামিন ওষুধ না নিয়ে এসে বাড়িতে চলে আসলাম। এরপর আমি তাকে বললাম এই ওষুধটি বাজারে পেলাম। আর কিছু তাকে বললাম না। এই হচ্ছে অদক্ষ ডাক্তারের কাহিনী।