বিশ্বাস করে সম্পর্কে ফাটল ( পর্ব - ১ )
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আমি একজন নতুন ব্লগার। আপনাদের সহযোগিতায় এগিয়ে যেতে চাই। আজকে আপনাদের সাথে একটি বাস্তবিক গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে।
লোকটি আমার বাড়ির জ্যাঠাতো ভাই হয়। সেই ওমান থাকে এবং ছুটিতে এসে কিছু বছর আগে বিয়ে করলেন। তার স্ত্রী অনেক ভালো এবং নামাজি ছিল তাদের সংসার জীবন খুব ভালো যেতে লাগলো। আমার জেঠাতো ভাইয়ের নাম আলম। তার স্ত্রীর নাম ছিল রেখা। তাদের কয়েক বছর সংসার জীবন অনেক সুন্দর ভাবে যাচ্ছিল। হঠাৎ করে তাদের সংসারে এক বড় অশান্তি আসলো।
আলম ওমান থেকে অনেক টাকা তার স্ত্রীর কাছে দিয়েছিলে। কিন্তু তার স্ত্রী টাকাগুলো তার ছোট ভাইয়ের কাছে দিলেন। এবং আলম কে বলল এই টাকাগুলো আমার কাছে রেখে কোন লাভ হবে না। বরং এ টাকা গুলো ব্যাংকে রেখে একটি বীমা করে রাখবো। আলম ভাইয়ের স্ত্রী এ কথাগুলো তাকে বললেন। রেখার ছোট ভাই বীমা কোম্পানিতে কাজ করতেন। রেখার ছোট ভাইটির নাম ছিল নাছির। নাছির অনেক সুন্দর করে কথাগুলো তার বোনকে বুঝিয়ে বললেন এবং তার বোন সেগুলো তার স্বামীকে বললেন। কিন্তু আলম বীমা করতে রাজি ছিলেন না। সে বলতে লাগলো টাকাগুলো ব্যাংকে একাউন্টে রাখার জন্য।
রেখা এমনভাবে বলতে লাগলো আলাম নিজেও রাজি হয়ে গেলেন। এটি আলাম এর বিয়ের এক বছর থেকে দেড় বছর পরে ঘটনা। নাছির বহুত কায়দা করে তার বোন থেকে এই টাকাগুলো বিমার নাম করে নিয়ে গেলেন। এর কয়েক বছর পর আলাম যখন দেশে আসলেন। তার টাকাগুলোর কথা বলতে লাগলেন তার স্ত্রীকে। আলম চিন্তা করতে লাগলেন এই টাকাগুলো তুলে সেই ঘরের কাজ করবে। আলাম তার শালা নাছিরকে বলল টাকাগুলো তুলে দেওয়ার জন্য। নাচের কোনমতে সাড়া দিতেছেনা। তারপর আলাম এবং তার স্ত্রী দুইজন মিলে তাকে বলতে লাগলো বীমা পেপারগুলো দেওয়ার জন্য। রেখা নিজের ভাই বলে কোনদিন পেপারের কথা জিজ্ঞেস করলেন না।
এরপর নাছির তাদের সাথে অনেক ধরনের খারাপ ব্যবহার করতে লাগলেন। একদিন বাজারে আলাম কে বলতে লাগলো টাকা দেবো না কিছু করতে পারলে করার জন্য। তারপর আলম অনেক ক্ষেপে গেলেন। ক্ষেপে গিয়ে সে তার স্ত্রীর সাথে গরম হয়ে আজেবাজে কথা বলতে লাগলেন। আলাম তাকে বলল আমি বিদেশ থেকে এত কষ্ট করে তোমাকে টাকা দিয়েছিলাম। আমি বললাম টাকাগুলো ব্যাংকে রাখার জন্য। তুমি বললে তোমার ভাইয়ের বীমা একাউন্টে রাখার জন্য এবং বীমা করার জন্য। আমাকে বলতে লাগলে টাকাগুলো যত রাখবে তত লাভ আসবে। এখন আমার টাকাগুলো দিতেছে না তোমার ভাই।
এরপর রেখা বলতে লাগলো। আজ বিকেলে আমি আমাদের বাড়িতে গিয়ে মা এবং বাবা ও সবাইকে জানাবো ও কি বলে নাছির। আলাম বলতে লাগলো ঠিক আছে এটি জলদি সমাধান করো। নয়তো তোমার সাথে আমার সংসার জীবন নষ্ট করে ফেলব। রেখা ভয় পেয়ে কান্নাকাটি করতে লাগলেন। তারপর রেখা তাদের বাড়িতে গেলেন এবং সবাইকে জানালেন এবং তার মা-বাবা ও বড় ভাইকে। নাছির এত লোভ করলেন যে টাকাগুলো সেই কোনমতেই দেবেনা। ( চলবে )
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
Hello friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
সংসার জীবনে অশান্তি নেমে আসে একমাত্র টাকার কারনে। আর এই নিকৃষ্ট মানুষটা কেমন ভাই, যে বোনের সংসারের কথা ভাবছে না। অস্বীকার করছে এতগুলো টাকার কথা। আর যদি তার বোনের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে তার বোনের জীবনটাই শেষ। এ কেমন অমানুষ, যাইহোক জানিনা পরবর্তীতে কি হবে তবুও অপেক্ষায় রইলাম আপনার গল্পটি পড়ার জন্য। এত সুন্দর একটি গল্প উপহার দেওয়ার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আসলে টাকায় মানুষকে অনেক নিচে নামিয়ে দেয়। সে তার বোনের সংসারের কথা চিন্তা করলেন না। মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সংসার এর প্রায় সব অশান্তি এই টাকার জন্যেই হয়।আর কারো কাছে টাকা দেওয়া মানে তার সাথে সম্পর্ক নষ্ট হওয়া।আলমের জন্য অনেক খারাপ লাগল।পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
তার ওয়াইফ তার ভাইকে বিশ্বাস করেছে এটাই বড় সমস্যা। অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
অনেক ভুল একটা কাজ করেছে রেখা রক্তের সমর্পকেউ আজ বিশ্বাস নেই।যাইহোক পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করলাম।
অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য আপনাকে।
এই পৃথিবীতে নিজের মা-বাবাকে ছাড়া অন্য কাউকে বিশ্বাস করা যায় না। আর রেখা বিশ্বাস করে তার নজির নামে ভাইকে দিয়েছিল। আর সে তাদের বিশ্বাসের মর্যাদা টা রাখতে পারেনি। তাছাড়া যে খারাপ কাজ করবে সে এই পৃথিবীতে খারাপ কাজের শাস্তিটা পেয়ে যাবে। সংসারে তৃতীয় ব্যক্তি প্রবেশ করলেই সেটা ধ্বংস হয়ে যায় আসলে কথা ঠিক।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
সত্যি নিজের মা-বাপ ছাড়া কাউকে বিশ্বাস করা যায় না। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর করে সাজিয়ে মন্তব্য করার জন্য।
আপনার পোস্ট ভালো হয়েছে, সুন্দরভাবে গুছিয়ে লিখেছেন, তবে abb- school কে ১০ % না ৫% দিতে হবে, কাল থেকে সঠিক ভাবে দিবেন। ধন্যবাদ।
কালকে আমি ভুল করে ১০% দিয়ে দিয়েছি। আজকে আমি বরাবর ৫% দিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।