জেনারেল রাইটিং :- পুরুষদের উপর এ কেমন অবিচার!
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আমি আজকে একটি লেখার পোস্ট এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে। আমাদের চারপাশে এবং বাস্তবে কিছু শিক্ষনীয় বিষয় ঘটে যেগুলো আমাদেরকে অনেক কিছু শিক্ষা দেয়। আমাদের সবার উচিত ঐসব কিছু শিক্ষার বিষয় থেকে নিজেদেরও কিছু শিখা। আপনাদের সবাইকে দেখি এরকম বিভিন্ন রকম শিক্ষার বিষয় নিয়ে পোস্ট করতে। তাই আমিও চেষ্টা করতেছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষার বিষয় নিয়ে পোস্ট করার জন্য। আপনাদেরও আমার পোস্টে আশা করি খুবই ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব পুরুষদের উপর এ কেমন অবিচার। আপনারা সবাই জানেন এবং বোঝেন। বর্তমান সময়ে পুরুষেরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কাজে জিম্মি থাকে। বিশেষ করে আমরা যারা পুরুষ আছি দেখা যায় বিয়ে করার সময় আমাদের উপর এক ধরনের জুলুম করে থাকে। যেমন বিয়ের সময় পুরুষ এবং মেয়েদের বিয়েতে অতিরিক্ত কাবিন নামা দরে। আর এই কাবিন নামা গুলো পুরুষের জন্য বড় ধরনের একটি জুলুম।
বলতে পারেন কিভাবে জুলুম হয়। দেখেন বর্তমান সময়ে একটি বিয়েতে ৫ থেকে ১০ লাখ পর্যন্ত কাবিন নামা টাকা ধরে। আর কোনমতে যদি কোন কিছু হয় তাহলে এই কাবিন নামা গুলো পুরুষেরা মেয়েকে দিতে হয়। তবে আগে একসময় বাংলাদেশে দেখা যেত মেয়েদের বিয়েতে যৌতুক দিতেন। যদিও এটি মেয়েদের উপর এবং মেয়ের বাবার উপর অন্যায় করাই হত। বর্তমান সময়ে এই যোগ বা এই প্রচলন নেই বললেই চলে।
তবে এখন বর্তমানে ছেলেদের উপর এক ধরনের জুলুম বা যৌতুক বলা যায়। এরকম ঘটনা ঘটতেছে। একটি ছেলে যখন একটি মেয়েকে বিয়ে করে। কোন কারণে যদি তাদের সংসার নষ্ট হয়ে যায় তখন কি কারণে সংসার নষ্ট হয়েছে। এটি দেখে না দেখে বিয়েতে কাবিন নামা কত। এবং এই কাবিন নামা গুলো মেয়েকে বা মেয়ের ফ্যামিলিকে দিতে হবে। আর না দিতে পারলে হয়তো পালিয়ে থাকতে হবে নয়তো বা হাজতে থাকতে হবে।
কারণ এটি নাকি আইন। এই আইনের কারণে কত পুরুষ নিঃস্ব হয়ে গেল। এবং অনেক পুরুষ বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেল। বিগত কিছু মাস আগে আমাদের এলাকায় একটি ঘটনা ঘটেছিল। ঘটনাটি হচ্ছিল একটি মেয়েকে যখন বিয়ে দিয়েছে একটি ছেলের কাছে। তখন মেয়েটি হঠাৎ করে বলতেছে ছেলেটি তার পছন্দ না। তাও বিয়ের পরে বলেছে। যদিও ফ্যামিলি তাকে বুঝিয়ে ঠিক করার চেষ্টা করেছিল।
হঠাৎ করে একদিন মেয়েটি পালিয়ে গেলেন অন্য পুরুষের সাথে। আর যে পুরুষের সাথে সেই পালিয়ে গেলে সেটি হচ্ছে তার আগের স্বামীর বোনের হাসবেন্ড। বলতে গেলেন ননদের হাজবেন্ডের সাথে পালিয়ে বিয়ে করেছেন। তবে এটি কে প্রেম বা ভালোবাসা বলে না। এবং মেয়েটি তার আগে স্বামীকে চাপ দিতে লাগলো তার বিয়ের কাবিন নামা দিতে। এবং মেয়ের অপরাধ কেউ বলতেছে তার আগের স্বামী তার কাবিন নামা দিতে হবে।
এবং মেয়ে ও তার ফ্যামিলি ছেলের ফ্যামিলির সাথে ঝগড়া করতেছে। যদিও ছেলের ফ্যামিলি বলেছে আপনার মেয়ের কারণে আমার মেয়ের জীবন ও নষ্ট হয়ে গেল। আপনার মেয়ে যদি বাইরে একটি পুরুষের সাথে যেত তাহলে কোন সমস্যা ছিল না। আপনার মেয়ে আমার মেয়ের হাজবেন্ডের সাথে পালিয়ে গেছে এবং বিয়ে করেছে।
তবে মেয়েটির বাবা যখন বোর্ড অফিসে নালিশ করলেন। মেয়ের হাজবেন্ড থেকে কাবিন নামা পয়সা দেওয়ার জন্য। এবং মেয়েটির বিয়ের সময় কাবিন নামা ছিল ৫ লাখ টাকা। এবং ছেলেটি এই ৫ লাখ টাকা কাবিন নামা দিতে হবে মেয়েটিকে। বোর্ড অফিসের বিচার হওয়ার পর তিন লাখ টাকা কাবিন নামা দিতে হবে মেয়েকে। তবে এখানে ছেলের কারণে মেয়ের সংসার নষ্ট হয়নি।
মেয়েটির সংসার নষ্ট হয়েছে তার নিজের কারণে। বলতে গেলে সেই পরকীয়া করে তার ননদের স্বামীর সাথে পালিয়ে গেলেন। এবং মেয়েটির ভুলের কারণে তার সংসার নষ্ট হয়েছে। এই কথা কেউ বলে না। এবং সবাই বলে মেয়ের কাবিননামার পয়সা দিতে হবে। এখানে ছেলেটির কোন দোষই ছিল না। তারপরও ছেলেটি বাধ্য হয়ে তিন লাখ টাকা কাবিন নামা দিতে হবে। যদিও ছেলেটি এবং তার পরিবার সময় নিয়েছে টাকাগুলো দেওয়ার জন্য।
এখন এই কাবিন নামা বলতে গেলে পুরুষদের উপর একটি যৌতুকের মতো হয়ে গেছে। এবং ছেলেটি ৩ লাখ টাকা কাবিন নামা দিবে হয়তো বা সে কারো থেকে ধার নিতে হবে। নয়তো বা তার জাগা সম্পত্তি বিক্রি করে হলেও টাকাগুলো দিতে হবে। আর বর্তমান সময়ে বিয়ে মানি বড় অংকের কাবিন নামা। আর এই কাবিন নামার কারণে শর্ত শত সরল পুরুষদের জীবন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
আর আমি মনে করি এই কাবিন নামা ছেলেদের উপর বড় ধরনের জুলুম করতেছে। ইসলামিক আইনে যতটুকু কাবিন নামা থাকা দরকার ততটুকু থাকায় উত্তম। আর কাবিন নামা যদি বিজনেসের মতো কাজ করে তাহলে পুরুষদের জন্য অন্যায়। হয়তো আমার এই পোস্ট আপনাদের অনেকের কাছে ভালো লাগবে না। তারপরও আমি সত্য কিছু কথা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে। আর খারাপ লাগলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/Jamal7183151345/status/1791116432539017688?t=qncYVhO4dhC-ekv-J_bDrg&s=19
বর্তমান সমাজে এমন ঘটনা প্রায় ঘটছে। তাদের রুচি যে কেমন সেটাই বুঝতে পারি না। আর এরা যে কাজটা করল এটা পুরা জাহান্নামী কাজ। কারণ একটি মেয়ে তালাকের তিন মাসের আগে বিয়ে করতে পারে না। স্বামীর ঘর থেকে কিভাবে সে পর পুরুষের সাথে পালিয়ে যায়। যত দিন যাচ্ছে তত যেন সমাজ আরো ধ্বংসের দিকে নেমে পড়ছে। তবে এর জন্য আমাদের কঠোর হতে হবে কঠোর হতে হবে আইন ব্যবস্থা। ইসলামিক শাসন প্রতিষ্ঠিত থাকলে এমন কার্যকলাপ হতো না।
আমার পোস্টটি পড়ে অনেক সুন্দর করে মন্তব্য করেছেন। তাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।