গল্প :- সহজ সরল হবার কারণে ছোটবেলার প্রিয় বন্ধুর কাছেও ঠকে যেতে হয়।(প্রথম পর্ব)
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।
আজকে আমি বাস্তব একটি গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। গল্পটি হচ্ছে আমাদের পাশের বাড়ির একটি ফ্যামিলির গল্প। আমাদের পাশের বাড়ির একটি লোক রিস্তা আমাদের চাচা হয়। লোকটি অত্যন্ত ভদ্র এবং সহজ সরল লোক। তার মধ্যে কোন ভেজাল নেই। তবে লোকটি অনেক বড় জায়গার মধ্যে একা বাড়ি করেছে। তার তিনটি সন্তান আছে সবগুলো বিদেশ থাকে। মোটামুটি অনেক সুখী পরিবার। বিগত ২০ বছর আগে লোকটির একটি ভুলের কারণে তাদের ফ্যামিলির মধ্যে অন্ধকার নেমে আসলো।
লোকটির আমাদের বাড়ির এক চাচার সাথে বন্ধুত্ব। দুইজন ভালো সম্পর্ক একজনের ভালো-মন্দ একজন দেখে। তারা নাকি যুবক বয়স থেকে বন্ধুত্ব করেছে। তবে এই কাহিনী আমি শুনেছি আমার আপন বড় ভাইয়ের মুখ থেকে। ওই সময় আমাদের পাশের বাড়ির চাচা সিলেটে থাকতেন পরিবার নিয়ে। তবে তার বাড়িটির মধ্যে একটি লোক পাহারাদার হিসেবে থাকতেন। অনেক বছর আগে যখন জায়গাগুলোর খতিয়ান ঠিক করার জন্য বলতেছে। এবং খাজনা দেওয়ার কথা ওই সময় বলতেছে।
তখন লোকটি অনেক সহজ সরল ছিল। এবং পাশের বাড়ির চাচার নাম হচ্ছে আবুল কালাম। আর আমাদের বাড়ির চাচার নাম হচ্ছে কোরবান আলী। লোকটি যখন বাড়িতে আসলো একা পরিবার ছাড়া। এবং লোকটি তার বন্ধু কোরবান আলীর দিকে এসে উঠল এবং এখানে খাওয়া দাওয়া করতেছে। হঠাৎ করে বন্ধুকে বলল জমির খাজনা দিতে হবে কি করা যায়। তবে আমাদের বাড়ির কোরবান আলী অনেক চালাক লোক। সে বলতেছে সমস্যা নেই তুমি খাজনার টাকা আমার কাছে দিয়ে যাও আমি জমা দিয়ে দিব।
লোকটিও সহজ সরল ভাবে তাকে বিশ্বাস করল। এবং বলতেছে তোমার দলিল লাগবে জায়গা সম্পত্তির। এই বলে লোকটির বাড়ির দলিল তার বন্ধু কোরবান আলী নিয়ে নিলেন। এবং কিছুদিন পরে সেই বন্ধুর বাড়িতে আছে। এবং এই বন্ধু তাকে নিয়ে এদিক-ওদিক যাচ্ছে এবং জায়গা সম্পত্তির খাজনা দিতেছে এগুলো বলতেছে। হঠাৎ করে লোকটি বলতেছে আমি চলে যাব আমার পরিবার একা তাদেরকে দেখাশোনা করতে হবে। যদিও ওই সময় লোকটির ছেলেগুলো তেমন বড় হয় নি। এই অল্প কিছুদিনের মধ্যে আমাদের বাড়ির চাচা কোরবান আলী মিয়া তার বাড়ির দলিল নতুন করে বানিয়েছেন।
এবং লোকটিকে বলতেছে তোমার জায়গা সম্পত্তির খাজনা আমি দিয়ে দেবো। টেনশন নাই তুমি যেতে পারবে। তবে তুমি এই জায়গা সম্পত্তির খাজনা দেওয়ার জন্য আমাকে অনুমতি দিয়েছ। এজন্য তোমাকে কাগজের মধ্যে সাইন করে দিতে হবে। না হলে জায়গা সম্পত্তির খাজনা আমি দিতে পারবো না। আসলে আবুল কালাম মিয়া অত্যন্ত সহজ সরল বিধায় তার বন্ধুর কথা রাজি হয়ে গেল। এবং তার কথাই সে দলিলের মধ্যে সাইন করে দিলেন। এবং সাইন দেওয়ার পর সেই চলে গেলেন তার পরিবারের কাছে। তারপরে কি হলো এটা জানার জন্য অপেক্ষায় থাকুন।(চলবে)
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/Jamal7183151345/status/1777981029934088436?t=ylVphYKMPTkbuEbImYJkFQ&s=19
আপনার পোস্ট পড়ে যতোটুকু বুঝতে পেলাম আপনার বড়ো ভাই এর মুখে শোনা গল্পটিতে আমাদের গ্রামের সহজ সরল রিস্তার বন্ধু কামাল তাকে ঠকিয়েছে।পরবর্তী পর্বে বিস্তারিত জানার অপেক্ষায় রইলাম।
আমার গল্পটি নিয়ে সুন্দর মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার গল্পটি পড়ে যতটুকু বুঝতে পারলাম। আগেরকার মানুষগুলো জায়গা সম্পত্তি নিয়ে অনেক লোভ করতেন। হয়তোবা আবুল কালাম ও কোরবান আলী ভালো বন্ধু ছিল। আর তাদের বন্ধুত্বের কারণে তারা একজনকে একজন বিশ্বাস করতেন। এই কারণে আবুল কালাম মিয়া হয়তোবা কোরবান আলী মিয়ার বাড়িতে এসে থাকবেন। তবে আমার মনে হয় কোরবান আলী মিয়া অত্যন্ত চালাক লোক। এই কারণে আবুল কালাম মিয়া থেকে হয়তো বা সাইন নিয়েছে দলিলে। তবে এখনো পর্যন্ত এই পর্বে বোঝা যাচ্ছে না কোন ধরনের সমস্যা হচ্ছে। আশা করি পরের পর্বে বোঝা যাবে তাদের বন্ধুত্বের মধ্যে কি সমস্যা হলো। এবং পর্বটি খুব তাড়াতাড়ি আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন।
আপনার মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো। আশা করি পরের পর্ব খুব তাড়াতাড়ি শেয়ার করব।
সহজ সরল মানুষদেরকে প্রতিনিয়ত এভাবেই ঠকতে হয়। যদিও এখনকার দিনে সহজ সরল মানুষ খুঁজে পাওয়া যায় না। কিন্তু আগের দিনে সহজ সরল মানুষদেরকে ঠকিয়ে, তুলনামূলক ভাবে চালাক প্রকৃতির মানুষেরা এভাবে সম্পত্তি হাতিয়ে নিতো। আবুল কালাম মিয়ার জন্য খুব খারাপ লাগলো। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই।
আগেরকার মানুষগুলো বেশি সহজ সরল ছিল। সুন্দর মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে।
সহজ সরল মানুষ হলে পৃথিবীতে বেঁচে থাকা খুবই কষ্টকর এবং এই পৃথিবী যেভাবে প্রতিনিয়ত উন্নত হচ্ছে এবং যেভাবে চালাক মানুষগুলো সহজ সরল প্রকৃতির মানুষদেরকে বিভিন্নভাবে প্রতারণা করে তাদের কাছ থেকে সবকিছু ঠকিয়ে নিয়ে নিচ্ছে এর ফলে অনেকের কাছে অনেক কষ্ট হয়৷ আসলে কিছু কিছু চালাক প্রকৃতির মানুষ রয়েছে যারা সহজ সরল প্রকৃতির মানুষদেরকে মানুষ মনে করে না৷ তারা তাদেরকে যেরকম ভাবে বোঝায় তারা সেরকম ভাবে বোঝে৷ সেরকম একটি ঘটনা শেয়ার করেছেন আপনি। শুনে খুবই খারাপ লাগছে আবুল কালাম সাহেবের এই ঘটনাটি। পরবর্তী পর্বের আশায় রইলাম৷