গল্প :-সংসারে অশান্তি।(শেষ পর্ব)
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।
তবে রফিকের ওয়াইফ কিছুতে শুনতে রাজি না তার স্বামীর টাকা যেন তাদেরকে না দেই। এবং রফিক তার ছোট ভাই এবং ছোট বোনকে কিছু দিলে রফিকের ওয়াইফ ঝগড়া করে। এই নিয়ে শাশুড়ি এবং বউর মধ্যে ঝগড়া লেগে যায় প্রায় সময়। এমত অবস্থায় রফিক তার মাকে কিছু বলতে পারেনা এবং ওয়াইফকেও কিছু বলতে পারেনা। রফিক সব সময় টেনশন করে ফ্যামিলি নিয়ে কি করা যায়। এমত অবস্থায় রফিক তার ওয়াইফকে নিয়ে বাসায় চলে গেলেন।
রফিক চিন্তা করল তার ওয়াইফ বাসা থাকলে মা-বাবা বাড়িতে থাকলে তাহলে ঝগড়া হবে না। এবং রফিক তার মা-বাবার জন্য টাকা দেবে। কিন্তু রফিকের ওয়াইফ বাড়িতে টাকা দেওয়া একদম পছন্দ করে না। যদি রফিক না থাকে তার মা-বাবা এবং ছোট ভাইবোন গেলে রফিকের ওয়াইফ বাসার দরজা ও খুলেনা। এবং তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে। রফিক সামনে থাকলে খুব সুন্দর করে তাদের সাথে কথা বলে। যদিও ব্যাপারটি রফিক বুঝতে পেরেছে।
কিছুদিন আগে যখন আমার সাথে দেখা হল তখন আমি বসে বসে তার সাথে কথা বলতেছি। আমার পরিবারের সম্পর্কে সে জিজ্ঞেস করতেছে এবং আমিও তার পরিবার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতেছি। তখন রফিক এই কথাগুলো আমাকে বলল। যে আমি জীবনে যদি একটি মাত্র ভুল করে থাকি তাহলে আমি এই ভুলটি করেছি। তখন আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম কি এমন ভুল করেছত। আমি আবেগের মোহে আমার ওয়াইফকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে গেলাম।
তার সাথে আমার কোন প্রেমের বা প্রথম দেখা হয়েছে এরকম কিছুই ছিল না। আমার শ্বশুরবাড়ির একটি লোক বলার সাথে সাথে আমি তাকে বিয়ে করার জন্য রাজি হয়ে গেলাম। এখন সে আমার মা-বাবাকে এবং কাউকে দেখতে পারেন না আত্মীয়-স্বজনকে। যদিও রফিকের ফ্যামিলি ও তেমন পয়সাওয়ালা না। রফিক টাকা না দিলে তার ফ্যামিলি চলতে পারে না। এবং রফিকের ওয়াইফ শুরু তাকে নিয়ে সুন্দরভাবে জীবন যাপন করুক এটাই চাই।
এই কথাগুলো রফিক বলে আমার কাছে অনেক আফসোস করতেছে। তবে মা-বাবা কখনো সন্তানের অমঙ্গল চায়না। আমি না জানিয়ে বিয়ে করে অনেক বড় ভুল করেছি। আসলে আবেগ দিয়ে কখনো কিছু করা ঠিক না। এই কথাগুলো রফিক বলতেছে। যদিও বর্তমান সময়ের রফিক তার ওয়াইফ কে অনেক শক্ত অবস্থা রেখেছে। রফিকের ওয়াইফ বলে আমাকে ভালো না লাগলে বিদায় করে দাও। এই হচ্ছে রফিকের সংসারের অশান্তির বাস্তব গল্প।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/Jamal7183151345/status/1720462785354842230?t=d3OrKxwuzn503pg9SrLYWQ&s=19
ভালো লাগলো আপনার গল্পটি পড়ে। আসলে আমার মনে হয় যে এটা শুধু রফিকের সমস্যা নয়। এটা হাজারও মানুষের সমস্যা। এখন কেন জানি কেউ কাউকেই আপন করে নিতে পারে না। পারে না ভালোবাসতে। সবাই শুধু নিজের স্বার্থ নিয়ে পাগল থাকে। তবুও আশা করবো রফিকের সংসারের সকল সমস্যা গুলো অচিরেই সমাধান হয়ে যাবে।
এটা ঠিক হাজার মানুষের সমস্যা ফ্যামিলি নিয়ে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনি খুব সুন্দর করে গল্প নিয়ে মন্তব্য করার জন্য।
আসলে ভাইয়া রফিকের না দেখে বিয়ে করা মেটেও ঠিক হয়নি। তবে রফিকের বউ এর বুঝা উচিত ছিল সে কোথা থেকে এসেছে। সত্যিই তো বাবা মা কখনো সন্তানের খারাপ চাই না।যাইহোক বউ যদি খারাপ হয় তাহলে আর কিছুই করার থাকে না। সব সময় সংসারে অশান্তি লেগেই থাকে।
রফিকের এই ভুলের কারণে রফিক নিজে এখন সব সময় চিন্তা করে। যাইহোক অনেক সুন্দর করে মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া বর্তমান সময়ে প্রতিটি সংসারে অশান্তি লেগেই আছে। রফিকের জীবনটা সত্যি অনেক হতাশাজনক।না পারে ফ্যামিলির দিকে যেতে। না পারে বউএর দিকে যেতে।পুরুষ মানুষ এটাই।এটা খুবই খারাপ লাগার বিষয় যে রফিক তার ছোট ভাই ছোট বোনকে নিজের দায়িত্ব ভালোবেসে কিছু জিনিস দিতেই পারে তাই বলে বউ রাগ করবে 😶 এটা কোন কথা 💔আমার জানামতে এই রকম ওয়াইফ নিয়ে জীবনে উন্নতি করার সম্ভাবনা। সুখী হওয়া তো দূরের কথা শান্তি টাও পাওয়া যাবেনা।ভাইয়া মানুষ আবেগে পড়ে জীবন নষ্ট করে কিন্তু বিয়ের ক্ষেত্রে মেয়ের সবকিছু জেনে চারিত্রিক তার ব্যবহার এসব দেখেই বিয়ে করা উচিত। এ প্রেমের ক্ষেত্রে কিন্তু এটা দেখেনা। আবেগে পড়ে বিয়ে করে পরে পস্তায় । প্রতিটা বাবা-মা চায় তার সন্তান ভালো থাকুক। আপনি পোষ্টের মাধ্যমে সুন্দর একটি মেসেজ দিয়েছেন যে আবেগ দিয়ে জীবন চলে না। বাবা-মার দোয়া নিয়ে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।রফিকের জন্য খারাপ লাগতেছে আসলে রফিকের জন্য দোয়া রইল। সে যেন তার জীবনটা খুব সুন্দর ভাবে কাটাতে পারে ফ্যামিলি নিয়ে ।
আসলে ওয়াইফের দিকে এবং ফ্যামিলির দিকে মেন্ডেল করা অনেক কষ্টকর। এরকম জীবন গুলো আসলে অনেক খারাপ লাগে। অনেক সুন্দর করে মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার গল্পের প্রথম পর্ব আমি পড়েছিলাম। আসলে রফিক ভাইয়ের ওয়াইফ যেটি করতেছে এটি অন্যায়। রফিক ভাইকে পড়ালেখা করিয়ে তার মা-বাবা মানুষ করেছে কথাটি একদম সত্য বলেছে রফিক ভাইয়ের মা। আমি বুঝিনা রফিক ভাইয়ের ওয়াইফ কেন মা-বাবাকে দেখাশোনা টাকা দিতে মানা করে। এরকম মহিলা গুলো জীবনে কখনো শান্তি পাই না। অনেক সময় স্বামী অতিষ্ঠ হলে লাস্ট পর্যন্ত ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এবং রফিক ভাইয়ের ওয়াইফ যে ফ্যামিলি থেকে এসেছে রফিক ভাই জীবনে। এটা তাকে চিন্তা করা দরকার। যাহোক ফ্যামিলির সবাই মিলে সুন্দরভাবে মিলেমিশে জীবন যাপন করুক এটাই কামনা করি। সুন্দর একটি বাস্তব গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এটি ঠিক রফিকের এই পজিশনে আসার পেছনে তার ফ্যামিলির অবদান। ছোটকাল থেকে ফ্যামিলি সব ছেলে সন্তানকে পড়ালেখা করিয়ে বড় করে। খুব চমৎকার মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।