ভালোবাসার কঠোর পরিনতি। ( দ্বিতীয় / শেষ পর্ব )
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আমি একজন নতুন ব্লগার। আপনাদের সহযোগিতায় এগিয়ে যেতে চাই। আজকে আপনাদের সাথে এই গল্পটির দ্বিতীয় এবং শেষ পর্ব শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে।
একসময় জসিম এবং রুমকি বলতে লাগলো তাদেরকে বিয়ে না দিলে একসাথে তারা বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করবে। এভাবে যখন বলতে লাগলো তখন রুমকির বাবা এবং জসিমের বাবা কথা বলতে লাগলো। তারপর দুই ফ্যামিলি একসাথে তাদের বিয়ের কথা রাজি হলেন। এর কিছুদিন মধ্যে তাদের বিয়ে হলো রুমকি এবং জসিমের। এদিকে জসিম আর রুমকি একজনকে একজন পেয়ে খুব খুশি এবং খুব ভালো দিন যেতে লাগলো। এভাবে কয় মাস যাওয়ার পর রুমকি জসিম কে বলতে লাগলো তাকে বিদেশ যাওয়ার জন্য। সামনে দিনগুলো সুন্দর করার জন্য। জসিম বলতে লাগল এত টাকা কোথায় পাবে। এদিকে রুমকি বলতে লাগলো তার বাবার কাছে অনেক টাকা আছে সেই তাকে বলে বিদেশ পাঠানোর ব্যবস্থা করবে।
রুমকির বাবার কাছে রুমকি বললো জসিম কে বিদেশ পাঠানোর জন্য। এরপর রুমকির বাবা বলল এত টাকা সে দিতে পারবে না। এবং জসিমের বাবা থেকেও কিছু টাকা নেওয়ার জন্য বলেছেন। এদিকে জসিমের বাবা মানুষের কাছ থেকে কিছু টাকা ধার করে দিয়ে জসিমকে বিদেশ পাঠানোর ব্যবস্থা করলেন। এবং কিছুদিনের মধ্যে জসিমকে বিদেশ পাঠিয়ে দিলেন। এবং জসীম প্রতি মাসে বিদেশ থেকে টাকা পাঠাচ্ছেন এবং রুমকির সাথে খুব সুন্দর করে মোবাইলে কথা বলতে লাগলেন। এদিকে জসিমের ছোট ভাই এবং রুমকির ছোট বোন কখন যে কিভাবে কথা বলতে বলতে তাদেরও ভিতরে ভিতরে প্রেম চলতে লাগলো।
রুমকির ছোট বোনের নাম হলো চুমকি এবং জসিমের ছোট ভাইয়ের নাম হচ্ছে জাবেদ। চুমকি এবং জাবেদের প্রেমের কথা আস্তে আস্তে তাদের গার্জিয়ানদের কানে আওয়াজ যেতে লাগলো। জাবেদ প্রায় সময় বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে তার ভাবিদের বাড়িতে যেতেন। রুমকি ও ঠিকমতো জানতেন না কি কারনে জাবেদ তাদের বাড়িতে যেতেন। রুমকির মা-বাবা জাবেদ তাদের বাড়িতে যাওয়া আশা করে এটা পছন্দ করেন না। এদিকে জাবেদ এবং চুমকির ভালবাসার কথা বিদেশে জসিম জানতে পারে। জসিম রুমকিকে ফোন করে জিজ্ঞেস করলেন কথাটি সত্যি কিনা। রুমকি জসিমকে বলতে লাগলো সে এই ব্যাপারে তেমন কিছুই জানে না। জসিম রুমকিকে গরম দেখিয়ে বলতে লাগলো তুমি সব জানো আমাকে বলতেছনা।
এরপর জসিম রুমকিকে মোবাইলে বিভিন্ন ধরনের গালিগালাজ করতে লাগলো। ওদিকে রুমকির মা বাবা জসিমকে মোবাইল করে সব বলতে লাগল তার ভাই যেন তাদের বাড়িতে না আসে। এবং রুমকির বাবা জসিমের বাবাকে বাজেভাবে ব্যবহার করলেন দোকানে। এভাবে জসিমদের ফ্যামিলি এবং রুমকিদের ফ্যামিলির মধ্যে অনেক ধরনের ঝামেলা সৃষ্টি হয়ে গেলো। রুমকি জসিমকে মোবাইল করে অনেক ভাবে বোঝাতে চেষ্টা করলেন সে ব্যাপারটা ক্লিয়ার জানে না। এদিকে জসিমের বাবাও জসিমকে মোবাইল করে বললেন রুমকির বাবা তাকে দোকানে গালাগালি করলেন।
এভাবে দুই ফ্যামিলির মধ্যে যখন ঝামেলা চলতে লাগলো। একদিন রাতে জাবেদ চুমকিকে নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে গেলেন। সকালবেলা জাবেদ এবং চুমকি দুইজনকে পাচ্ছে না। দুই ফ্যামিলির মধ্যে অনেক ঝামেলা চলতেই লাগলো। কিছুদিন পর খবর পাওয়া গেল জাবেদ চুমকিকে বিয়ে করে ফেললেন। এই কথা শুনে রুমকির বাবা আরো গরম হয়ে জসিমের বাবার সাথে ব্যবহার খারাপ করলেন। এদিকে জসিম রুমকি কে মোবাইলে বিভিন্ন ধরনের কথা বলতে লাগলেন এবং বললো তোমার বোন যদি আমাদের বাড়িতে আসে ঐদিন থেকে তোমাকে আমি আর রাখবো না। এভাবে জসিম সব সময়ই রুমকির সাথে খারাপ ব্যবহার করতে লাগলো।
এভাবে অনেক দিন জাবেদ এবং চুমকি বাড়িতে আসলো না। কিছুদিন পর কেউ জসিমকে বলতে লাগলো এই কাজগুলো রুমকি জানে এবং সেই করিয়েছেন। এই কথা শুনে জসিম বিদেশ থেকে রুমকিকে ডিভোর্স দিয়ে দিলেন। রুমকি কথাটি শুনে একদম পাগলের মত হয়ে গেলেন। রুমকি যার জন্য এত কিছু করলেন সেই জসিম কিভাবে তাকে ডিভোর্স দিলেন সে বুঝতে পারতেছেন না। এবং রুমকি বলতে লাগল তার ভাই এবং আমার বোন একজনকে একজন পছন্দ করে এবং পছন্দ করে বিয়ে করলেন এখানে আমার কি দোষ। এবং রুমকি বলতে লাগলো আমি আর জসিম আমরা দুজন পছন্দ করে বিয়ে করলাম। জসিম কি আমার ভালোবাসার এই দাম দিলো। এখন রুমকি জসিমের জন্য পাগল হয়ে গেলেন। এত সুন্দর ভালোবাসার মাঝে কি করে এরকম দুর্ঘটনা ঘটে গেলো। এই হল রুমকি এবং জসিমের ভালোবাসা শেষ পরিণতি।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
আপনার গল্পের প্রথম পর্বটি আমি পড়েছি। প্রথম পর্বে জানতে পারলাম রুমকি এবং জসিম একজনকে একজন ভালোবেসে বিয়ে করেন। তবে আজকের পর্বটি পড়ে খুব খারাপ লাগলো। জসিমের ছোট ভাই এবং রুমকি ছোট বোনের কারণে। জসিম ও রুমকি সংসারে পাঠাল ধরলেন। এমনকি জসিম রুমকি কে ডিভোর্স দিয়ে দিলেন। আপনার গল্পটি পড়ে বুঝতে পারলাম। এইখানের রুমকির কোন দোষ আমি দেখতেছি না। তবে জসিম বিদেশ থেকে কান কথা শুনে রুমকিকে ডিভোর্স দিলেন। ডিভোর্সের কথা শুনে রুমকি কে বিশ্বাস করতে পারছে না।ভালোবাসার এমন পরিণতি দেখে আমার কাছে অনেক খারাপ লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য।
সত্যিই জসিম এবং রুমকির ভালবাসার মধ্যে এভাবে ফাটল ধরবে তা খুবই দুঃখজনক। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি তে আপনার এক্টিভিটিস নেই বললেই চলে। কিন্তু অন্যান্য কমিউনিটিতে আপনার এক্টিভিটিস ভালোই রয়েছে। এখানে কাজ করতে গেলে অবশ্যই আপনাকে কমিউনিটির নিয়ম মেনে কাজ করতে হবে এবং একটু অ্যাকটিভ থাকতে হবে। এভাবে কাজ করলে এছাড়া, আমি মনে করি আপনি পরবর্তী লেভেলের জন্য সুযোগ পাবেন না, ধন্যবাদ।
ভাইয়া আমি গত সপ্তাহে ব্যস্ততার কারণে একটু কম একটিভ ছিলাম। আশা করি এই সপ্তাহে বেশ ভালোভাবেই একটিভ থাকবো। বিষয়টা আমাকে বলার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।