গল্প:-রাত্রেবেলা মহা চুরি।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।
আজকে আমি বাস্তব একটি গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আমরা যেখানে বসবাস করি আমাদের বাড়ির এক পাশে ছোট নদী। আর আমাদের এই গ্রাম অঞ্চলে প্রায় রাত দশটা বাজে রাস্তাঘাটে মানুষ একদম দেখাই যায় না। বলতে গেলে ওই সময় আমাদের এই এলাকায় একদম নিঝুম হয়ে যায়। কিছুদিন আগে হঠাৎ করে আমাদের এলাকায় কিছু মানুষের গরু চুরি করে নিয়ে গেল। এতে আমার এক জ্যাঠাতো ভাইয়ের একটি গরু চুরি করে নিয়ে গেল।
আমার জ্যাঠাতো ভাইয়ের নাম হালিম। তিনি শখ করে একটি বড় গরু লালন পালন করতেছে। যদিও ওই গরুটি সব সময় একটি ঘরের মধ্যে থাকে। এবং গরুটি অনেক দুধ দেই। তবে এই গরুটি একদম ভিন্ন জাতের একটি গরু। আর আমাদের পাশের বাড়ির অন্য একটি বড় ভাইয়ের খামার থেকে রাত্রে একসাথে তার তিনটি বড় গরু নিয়ে গেল। যদিও ওই লোকটি রাত্রে প্রায় একটা বাজে গরু খামারের ওখানে ছিল। যখন একটার পর সেই বাসায় চলে গেল ঘুমানোর জন্য তারপরে তার তিনটি গরু নিয়ে গেল।
এবং খামারে তালা ভেঙে। এবং ওই লোকটি দেখেছে রাত্রে একটা বাজে একটি জরুরী ওষুধের গাড়ি আমাদের এলাকায় আসলো। যদিও সে দূর থেকে দেখতেছে ওষুধের গাড়ি এবং ওষুধের নাম লেখা আছে গাড়ির উপরে। এবং লোকটি মনে করলেন বাস্তবে কোন ওষুধ কোম্পানির গাড়ি হবে। এরপর লোকটি যখন বাসায় চলে গেলেন। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে যখন সেই খামারের দিকে গেল। দেখতেছে তার বড় খামারের দরজাটি খোলা। এরপর তাড়াতাড়ি সে খামারের ভিতরে গেলেন।
এবং দেখতেছে সে তার বড় তিনটি গরু নেই। মহত্বের মধ্যে সেই এদিক ওদিক খুঁজতে লাগলো। এদিকে আমার জ্যাঠাতো ভাইয় ও তার গরুটি খুঁজতে লাগলো। ফ্রাই সকাল থেকে দুপুর হয়ে গেল তাদের কোন গরুর খোঁজ ফেলো না। এবং তারা অনেক মানুষকে জিজ্ঞেস করল কোন দেখেছে কিনা। আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় ৬-৭ কিলোমিটার দূরে বাজার। তখন তারা বাজারের দিকে খোঁজ করতে লাগলো। ওই সময় কয়েকজন দোকানদার ব্যবসায়ীরা বলতেছে। আপনাদের এই রাস্তায় রাত্রে প্রায় একটা বাজে একটি জরুরী ওষুধের গাড়ি গেল।
যদিও আমাদের গ্রামাঞ্চলে বড় গাড়ি খুব কমে আসে। এরপর তারা বাজারের সিসি ক্যামেরা এবং আমাদের রাস্তার পাশে এক বড় ভাইয়ের বাড়ির ক্যামেরা চেক করে দেখলা। এবং তারা দেখতে পারলো ওই ওষুধ কোম্পানির গাড়ির সামনে পিছে কোন প্লেট নাম্বার নেই। শুধু গাড়ির সামনে সাইডে ওষুধের নাম লেখা আছে। এখন অনেকেই ধারণা করতেছে ওই গাড়ি করে আমাদের এলাকার এই গরুগুলো রাত্রেবেলা চুরি করে নিয়ে গেল।
আসলে যারা এই কাজ করেছে তাদের অনেক বড় বুদ্ধি আছে। আসলে এই লোকগুলো কষ্ট করে গরুগুলো লালন পালন করতেছে। তাদের গরুগুলো চুরি করে নিয়ে তাদেরকে অনেক ক্ষতি করে ফেললেন। এই হচ্ছে রাত্রেবেলা মহা চুরি। আশা করি আমার এই বাস্তব গল্পটি পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/Jamal7183151345/status/1758743229137342881?t=JVB4ZA8OVFpZsc3zf547uA&s=19
অভিনব পদ্ধতিতে চুরি। এর আগে ঔষধের গাড়ী ব্যবহার করে গরু চুরির ঘটনা কখনো শুনিনি। গরু চোরেরা এখন স্মার্ট হচ্ছে। কেউ যদি সন্দেহ করতে না পারে তাই ঔষধ কোম্পানির নাম ব্যবহার করে চুরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। পোস্টটি খুব ভালো হয়েছে। পোস্টটি থেকে চুরির অভিনব পদ্ধতি সম্পর্কে জানা গেল। যা আমাদের সবাইকে আরো সতর্ক ও সচেতন করে তুলবে। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু এর আগে আমি নিজেও কখনো শুনি নাই ওষুধের গাড়ি ব্যবহার করে গরু বা অন্যান্য চুরি করতে। সুন্দর মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এলাকাটা একটু ফাঁকা এজন্য চোর চুরি করতে পেরেছে। এধরনের ঘটনা গুলো প্রায় শোনা যায়। তবে খুব খারাপ লাগলো। অনেক টাকার গরু চুরি করে নিয়ে গেছে। দোয়া রইল
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলে এই ধরনের চুরি করা এর আগে কখনো শুনিনি । ওষুধের গাড়ি ব্যবহার করে। নতুন পদ্ধতিতে চুরি করেছে। কিন্তু যাদের গরু তারা তো খুব কষ্ট করে গরুগুলোকে লালন পালন করেছে। এবং গরুগুলো দিয়ে তারা সংসার চালায়। তাদের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেল। এ ধরনের পোস্টের মাধ্যমে মানুষ আরো সতর্ক হতে পারবে। সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি। ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ আপু এ ধরনের পোষ্টের মধ্যে মানুষ আরো সতর্ক হতে পারবে। তবে গরীব মানুষদের গরুগুলো নিয়ে গেল। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
গরুচোর শীতকালে অনেক বেড়ে যায়।আপনার জেঠ্যাতো ভাই এর খুব ভালো প্রজাতির গরুটি চুরি হয়ে গেছে জেনে খারাপ লাগলো।আপনাদের এলাকাটি নিরিবিলি হওয়াতে অনায়াসে চোরেরা অভিনব উপায়ে ঔষধের গাড়ির ছদ্মবেশে গরু চুড়ি করে নিয়ে গেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু আমাদের গ্রামটি খুব নিরিবিলি গ্রাম অঞ্চল। এই কারণে চোরের সুবিধা হল। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাই আপনার গল্পটি পড়ে সত্যিই ভীষণ খারাপ লাগলো। এত কষ্ট কষ্ট করে যারা গুরু লালন-পালন করে এই গরু যদি চুরি হয়ে যায় তাহলে তো ভীষণ খারাপ লাগার ব্যাপার। নিশ্চয়ই কোন একটি চক্র ধারাবাহিকভাবে আপনাদের গ্রামে এই চুরির অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। তবে গ্রামাঞ্চলে দশটার সময় এমনি লোকজন কম থাকে। এখন এই গরু চুরির ঘটনা প্রায় গ্রামেই শোনা যাচ্ছে ।যাইহোক আশা করি খুব দ্রুতই চোর ধরা পড়ুক এবং সকলের গরু ফিরে পাক। ধন্যবাদ।
আসলে আপু গরুগুলো চুরি হওয়ার পর থেকে অনেক ধরনের কথা শোনা যাচ্ছে। আর চক্র ছাড়া এই কাজ কেউ করে না। সুন্দর মন্তব্যের ধন্যবাদ আপনাকে।
চুরি করার পদ্ধতি একদম ভিন্নরকম। তবে এরকম চুরির ঘটনা আগে কখনো শুনি নাই। তোমার জ্যাঠাতো ভাই হালিম ভাইয়ের গরুটি ও চুরি করে নিয়ে গেল। আসলে ঐ দিন আরো এলাকা মানুষের গরু চুরি করেছে। আসলে ওষুধের গাড়ি করে এভাবে মানুষের গরু চুরি করে নিয়ে যাবে সেটি কল্পনার বাহিরে ছিল। আর গরীব মানুষদের গরুগুলো নিয়ে তাদের অনেক বড় ক্ষতি করেছে। আর মানুষ আরো সতর্ক থাকা দরকার। বাস্তব একটি পোস্ট করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ঠিক গরিব মানুষদের গরুগুলো চুরি করে তাদের অনেক বড় ক্ষতি করেছে। তোমার সুন্দর মন্তব্য শুনে খুব ভালো লাগলো।
দিন যত অতিবাহিত হচ্ছে চোরেরা তত বেশি স্মার্ট হচ্ছে। নতুন নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করে চোরেরা এখন চুরি করে থাকে। ঔষধের গাড়ি দিয়েই গরুগুলো চুরি করে নিয়ে গিয়েছে তারা। এতো কষ্ট করে গরুগুলো বড় করলো,কিন্তু এতো বড় ক্ষতি করে ফেললো। আসলে মানুষ এখন কারো ক্ষতি করতে দ্বিধাবোধ করে না। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ভাই এখন চুরি করতে চোর গুলো ভালই প্রথা অবলম্বন করে। আপনার সুন্দর মন্তব্য শুনে সত্যি অনেক ভালো লাগলো তাই ধন্যবাদ।
আপনার এই গল্পটি পড়ে খুব খারাপ লাগলো। আসলে এখনকার সময়ে চোরের উৎপাত এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে, কোন কিছুই ঠিকভাবে রাখা যাচ্ছে না । আপনাদের গ্রামে রাতের বেলা চোরচক্র মিলে সকলের গরু চুরি করে শুনে খুব খারাপ লাগলো। আসলে এরকম ঘটনা গ্রামেই বেশিরভাগ সময় শোনা যায়। তারা যেভাবে কৌশলে চুরি করে সেটা আমরা বোঝার আগে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। আশা করি খুব শীঘ্রই তাদেরকে ধরা যাবে এবং সকলেই তাদের গরু ফিরে পাবে।
আসলে যাদের গরু নিয়েছে তারা অসহায় মানুষ। এবং তাদের গরু গুলো ফিরে পেলে হয়তো তাদের জন্য ভালো হতো। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
মানুষের আসলে চুরি করার টেকনিক দিনে দিনে পরিবর্তন হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত ওষুধের গাড়ি ব্যবহার করে চুরি করতে হচ্ছে! আসলে আপনাদের ওই ধারণাই ঠিক, যে এখনো পর্যন্ত যতগুলো গরু চুরি হয়েছে সবগুলো ওই একই ভাবে হয়েছে এবং ওষুধের গাড়ি যেটা আপনাদের গ্রামে আসতো ওর ভিতরে করেই আসলে গরু নিয়ে চলে গেছে, এটা মোটামুটি কনফার্ম। এখন পরবর্তীতে যদি ওই গাড়ি আবার আপনাদের গ্রামে আসে তাহলে ধরে রেখে দেবেন। তারপর দেখবেন যে সব কথা বেরিয়ে আসছে।