এ কেমন বাবার বিচার ( পর্ব ১ )
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমাদের এলাকার একটি বাস্তব ঘটনা শেয়ার করব। ঘটনাটি হচ্ছে আমাদের এলাকার মধ্যে। আর এই ঘটনা সম্পূর্ণ আমি আমার ছোট চাচার মুখ থেকে শুনেছি। কিছু ঘটনা আমি নিজেও জানি তারপরও আমার চাচার থেকে আরো ক্লিয়ার জেনে নিলাম। আমাদের এলাকায় একটি লোকের নাম হচ্ছে কুদ্দুস মিয়া। কুদ্দুস মিয়া যখন যুবক ছিলেন তখন তার বাবা তাকে দেখে শুনে বিয়ে করালেন। এবং কুদ্দুস মিয়াকে এলাকার সবাই ভালো পেত। কুদ্দুস মিয়ার জায়গা সম্পত্তি অনেক আছে। কুদ্দুস মিয়া যখন বিয়ে করলেন। তখন কুদ্দুস মিয়ার ফ্যামিলি তো অনেক সুখ ছিল। কুদ্দুস মিয়ার বিয়ার দুই বছর পর তাদের ঘরে একটি ছেলে সন্তান হয়েছে।
সন্তান হওয়ার এক বছর পর হঠাৎ করে তার ওয়াইফ মারা গেলেন। হঠাৎ করে তার ডায়রিয়া হওয়ার কারণে তার ওয়াইফ মারা গেল। তখন কুদ্দুস মিয়ার একটি মাত্র ছেলেকে দেখাশোনা করার জন্য লোকের প্রয়োজন আছে। এদিকে কুদ্দুস মিয়ার মা-বাবা তার বিয়ার কিছুদিন পর মারা গেলেন। এখন ঘরে কুদ্দুস মিয়া ছাড়া আর কেউ নেই। এই অবস্থা তার ছেলেকে দেখাশুনা করার জন্য একটা লোকের বড়ই প্রয়োজন। কুদ্দুস মিয়ার প্রথম ওয়াইফ মারা যাওয়ার পর কিছু মাসের মধ্যে আবার সেই বিয়ে করলেন।
মূলত তার ছেলেটাকে দেখাশোনা করার জন্য সেই দ্বিতীয় বিয়ে করলেন। প্রথম অবস্থা কুদ্দুস মিয়া দ্বিতীয় ওয়াইফ তার ছেলেকে অনেক আদর করতেন। বাড়ির লোক গুলো দেখে সত্যি অনেক খুশি হয়েছেন কারণ কুদ্দুস মিয়ার ওয়াইফটি ভালো পড়েছে। প্রায় দুই বছর পর কুদ্দুসমিয়ার দ্বিতীয় ওয়াইফের ঘরে একটি সন্তান হয়েছে। দ্বিতীয় সন্তান হওয়ার পর থেকে কুদ্দুস মিয়ার ওয়াইফ তার আগের ঘরের সন্তানকে দেখতে পারে না। ছোট বাচ্চাটাকে অযথা মারতো এবং গালিগালাজ করতো।
কুদ্দুস মিয়া অনেক চিন্তায় পড়ে গেলেন। তিন থেকে সাড়ে তিন বছরের বয়স ছেলেটিকে সব সময় মারে তারপর দ্বিতীয় ওয়াইফ। এরপর একটু বড় হওয়ার পর কুদ্দুস মিয়া ছেলেটিকে মাদ্রাসায় দিয়ে দিলেন। মাদ্রাসায় থেকে যখন ছেলেটি বাড়িতে আসতো তখন তার ওয়াইফ ছেলেটিকে একদম দেখতে পারত না। শুধু তার দ্বিতীয় সন্তানটিকে তার ওয়াইফ আদর করতেন। এভাবে দেখতে দেখতে ছেলে দুটি বড় হতে লাগলো। কিছু বছর যাওয়ার পর তার বড় সন্তানকে লেখাপড়া করানোর জন্য মানা করলেন তার ওয়াইফ।
বলতে লাগলো জমি চাষবাস করার জন্য কুদ্দুস মিয়ার সাথে। এবং তার দ্বিতীয় সন্তানকে লেখাপড়া করাচ্ছেন কুদ্দুস মিয়া। দেখতে দেখতে ছোট ছেলেটি অনেক বড় হয়ে লেখাপড়া শেষ করলেন। কিন্তু বড় ছেলে জমি চাষ এবং বাড়ির দেখাশোনা করতেছে। অথচ এত পরিশ্রমের পর ও তার সৎ মা তাকে ঠিকমতো খাওয়া দেই না। এমত অবস্থা কুদ্দুস মিয়া তার বড় ছেলেকে বিয়ে করালেন। বিয়ে করার পর কুদ্দুস মিয়ার ওয়াইফ ছেলে এবং ছেলের বউকে দেখতে পারে না। (চলবে)
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
এরকম সমাজে অনেক ফ্যামিলি আছে। প্রথম সংসারের ছেলেকে তার বাবার পরের বিয়ে করা স্ত্রী দেখতে পারেনা। নিজের সন্তানকে সৎ মা অনেক আদর করে অথচ তার স্বামীর প্রথম সন্তানকে দেখতেই পারে না। কুদ্দুস মিয়া আসলে তা পরের ওয়াইফের খপ্পরে পড়ে গেলেন। প্রথম সন্তানকে দিয়ে কাম কাজ করাচ্ছেন। আর পরের সংসারের ছেলেকে পড়াচ্ছেন। অথচ প্রথম সংসারে ছেলেকে বিয়ে করার পর কুদ্দুস মিয়ার ওয়াইফ সন্তান এবং সন্তানের ওয়াইফ কে দেখতে পারে না। দেখা যাক দ্বিতীয় পর্বে কি ঘটে। আমার মনে হয় কুদ্দুস মিয়া এবং কুদ্দুস মিয়ার ওয়াইফের ভালো কিছু ঘটবে না। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর করে পোস্টটি করার জন্য।
ঠিক বলেছেন এরকম ফ্যামিলি সমাজে অনেক আছে। দ্বিতীয় বিয়ে করার পর প্রথম সংসারের ছেলে মেয়ে কে দেখতে পারে না। সুন্দর মন্তব্য করায় ধন্যবাদ আপনাকে।