গল্প:- সন্তান যখন অমানুষ হয়।(শেষ পর্ব)
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।
কিছুদিন পরে সোহেলের ওয়াইফ এবং ময়না অনেক বড় ঝগড়া লেগে গেল। এই কারণে সোহেলের বাবা সোহেলকে এবং ময়নাকে বলতেছে তারা বাড়ি থেকে চলে যেতে। তোমরা যদি বাড়িতে ঝগড়া করো তাহলে এখানে থাকতে পারবে না। এরপর সোহেল তার ওয়াইফ কে নিয়ে বাড়ি থেকে চলে গেল শ্বশুর বাড়িতে। যদিও সোহেলের বাবা ভালো হওয়ার জন্য এই কথা বলেছে। এদিকে সহেল বাহিরে বলে তাকে তার ওয়াইফকে তার মা বাবা দেখতে পারে না।
এই কারণে তাকে বাড়ি থেকে বাহির করে দিয়েছে। এ নিয়ে সহেল অনেক ধরনের বাজে কথা বলতেছে তার মা বাবাকে নিয়ে মানুষের কাছে। এই কথা সোহেলের বাবা যখন শুনলো তখন বলতেছে আমি ঝগড়া না করার জন্য এই কথা বলেছি। আসলে ছেলে মেয়ে দুটোর কারণে আমি প্রথম থেকে মানুষের কাছে ছোট হচ্ছি। এদিকে মেয়ের জামাই কে কিছু বলতে পারতেছে না সোহেলের বাবা। এভাবে কয়েকটা বছর গেল। এদিকে তার ছোট মেয়ে সুখী ও বড় হয়েছে।
এবং তাকেও দেখেশুনে ভালই ঘরে বিয়ে দিয়েছেন। তবে বর্তমান সময়ে ছেলে এবং মেয়েগুলো বাইরে থাকে। বাইরে বলতে তারা বাসা ভাড়া করে থাকে। তারা কেউ মা বাবার খোঁজ রাখে না। বরং সোহেল ও ময়না তার মা-বাবার বদনামি করে মানুষের কাছে। বলে তার মা বাবা তাদের জন্য কি করেছে। তারা তাদের নিজের ভুল না বুঝে তার মা বাবার দোষ ধরে। সহেল এবং ময়না যদি ঠিকমত চলত তাদের ফ্যামিলি টা খুব সুন্দর হতো। কিছুদিন আগে ময়না তার একটি মাত্র মেয়ে রেখে অন্য একটি ছেলের সাথে পালিয়ে গেলেন।
অথচ এই ময়না নিজে প্রেম করে লজিং মাস্টারের কাছে বিয়ে বসেছেন। অথচ ওই লজিং মাস্টারকে রেখে সে এখন অন্য মানুষের সাথে পালিয়ে গেল। আসলে এটাকে ভালোবাসা বলে না। এটা এক ধরনের ফাজলামি। এই নিয়ে এ এলাকায় সোহেল এবং ময়নার বাবার অনেক বদনামী হয়েছে। সবাই বলে ছেলে মেয়েগুলো অমানুষ ভালো না। দুঃখের বিষয় হচ্ছে এখানে সহেলের বাবার কোন দোষ নেই। সোহেল এবং ময়নার ভুলের কারণে তাদের জীবন এরকম হয়েছে।
অন্যদিকে সহেল কখনো তার মা বাবার খোঁজ রাখে না। এবং মানুষের কাছে বলে তার জায়গা সম্পত্তিগুলো তাকে ভাগ করে দেওয়ার জন্য। এদিকে সোহেলের বাবাও তার জায়গা সম্পত্তি গুলো ছেলে-মেয়েকে দিচ্ছেনা। আমি জীবিত থাকা অবস্থায় আমার সম্পত্তি তোমাদেরকে দেব না। আর সোহেলের বাবা তার মেয়ে ময়নাকে বলেছে কখনো তাদের বাড়িতে না আসতে। এবং তাকে তার মেয়ে বলে পরিচয় দেবে না। আসলে সন্তান যখন অমানুষ হয় তখন মা বাবার সুখ থাকে না। আশা করি আমার বাস্তব গল্পটি পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/Jamal7183151345/status/1763868192819249477?t=rbBHhKu2R6_N824XRAkDEg&s=19
আসলে ভাইয়া সন্তান অমানুষ হলে সত্যি বাবা মার দোষ হয়৷ আসলে এখানে যদিও বাবা-মার কিছু করার থাকে না। তবে এমন সন্তান বাবা মার বা সবারই জন্য অকল্যান কর।এই অমানুষ গুলোর জন্য পুরো সমাজ নষ্ট হয়ে যায়। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর লিখেছেন।
ঠিক বলেছেন এই অমানুষ গুলোর জন্য পুরো সমাজ নষ্ট হয়ে যায়। সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
গল্পটির প্রথম পর্ব আমি পড়েছিলাম।আসলে ছেলেমেয়েরা যখন অমানুষ হয় তখন মা বাবার অনেক কষ্ট হয়। ময়না এবং সোহেলের ওয়াইফ নিজেরাই ঝগড়া করতেন। আর বাড়িতে মুরুব্বী থাকলে এমনিতে ভালো হওয়ার জন্য ডাক দেয়। তবে একটি বিষয় অবাক করার মত ময়না প্রেম করে লজিং মাস্টারের সাথে বিয়ে হয়েছে। অথচ একটি মেয়ে হওয়ার পর সে ভালোবাসার মানুষকে সেরে অন্য একটি ছেলেকে নিয়ে পালিয়ে গেলেন। আসলে এটাকে ভালোবাসা বলে না। যাইহোক খুব সুন্দর করে বাস্তব গল্পটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে ময়নার ভালোবাসাকে ফাইজলামি বলা হয়। এদের কাছে প্রেম-ভালোবাসা বলতে কিছু নেই। সুন্দর মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বাবা মা সন্তানের ভালোর জন্যই সব কিছু করে। কিন্তু সন্তানরা তা বুঝতে চায় না। এ জন্যই তো সোহেল আর ময়না তাদের বাবা মার নামে খারাপ কথা বলে বেড়ায়। এরা এক সময় না এক সময় ঠিকই বুঝতে পারে। কিন্তু তখন দেরি হয়ে যায়। যাই হোক ভালো লাগলো গল্পটি পড়ে।
হ্যাঁ মা বাবা কখনো ছেলে মেয়ের খারাপ চাই না। হয়তোবা ছেলে মেয়েরা এগুলো বুঝে না। সুন্দর মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এই গল্পের প্রথম পর্ব আমি পড়েছিলাম৷ আজকে এর দ্বিতীয় পর্ব দেখে খুব ভালো লাগলো ব আসলে ময়না এবং সোহেলের স্ত্রী নিজেরা ঝগড়া করতেন এবং যখন বাড়িতে থাকে কোন মুরুব্বী তাদেরকে কোন ধরনের শাসন করতো তখন তারা তা খারাপ ভাবে নিত। মুরুব্বিরা অবশ্যই শাসন করবে৷ কারণ সকল মুরুব্বিরা চায় সকলে যেন ভালোভাবে সবকিছু করতে পারে এবং মিলেমিশে সকলে থাকতে পারে৷ এই বিষয়টি শুনে অনেকটাই খারাপ লাগলো যে ময়না প্রেম করে তার পছন্দের মানুষকে বিয়ে করেছিলে৷ পরবর্তীতে সে অন্য একটি ছেলের সাথে পালিয়ে গিয়েছে৷ এরকম গঠনা সকলকে অনেক কষ্ট দেয়।
হ্যাঁ ভাই এটি অবাক করার মত বিষয় ময়না প্রেম করে বিয়ে করে তার মনের মানুষকে বিয়ে করল। অথচ তাকে ফেলে অন্য মানুষের সাথে চলে গেল।
এর মধ্য দিয়ে বোঝা যায় তাদের ভালোবাসার তেমন একটা গুরুত্ব ছিলনা এবং অন্য ছেলের প্রতি তার একটু বেশি আসক্তি ছিল৷
ময়না তো দেখছি আসলেই ফালতু টাইপের মেয়ে। নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করে, নিজের মেয়েকে রেখে আরেকজনের সাথে পালিয়ে গিয়েছে। সোহেল এবং ময়না দুজনেই খারাপ। তাদের জন্য এই পরিবারের সবার মান সম্মান একেবারে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সোহেলের বাবা সম্পত্তি না লিখে দিয়ে খুব ভালো কাজ করেছে। এমন কুলাঙ্গার সন্তানদের সম্পত্তি না দেওয়া ই ভালো। যাইহোক এতো সুন্দর একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।