গল্প:-কিছু কিছু মৃত্যু আছে মরে গেলে মানুষ আফসোস করে।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বাস্তব একটি ঘটনা। এইতো কিছুদিন আগে আমাদের এলাকাতে একটি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আর এই লোকটির মৃত্যু হওয়ার পর অনেকে আফসোস করতেছে। আসলে লোকটির বয়স ৪৫ থেকে ৫০ বছর হবে। লোকটি সকালবেলা আমার সাথে দোকানে দেখা হল। এবং একই দোকানে বসে আমরা নাস্তা করেছি। লোকটিকে আমি সালাম দেওয়ার সাথে সাথে আমাকে জিজ্ঞেস করতেছে কেমন আছেন। একতো আমাদের বাড়ির পাশে অন্যদিকে লোকটি আমাদের সাথে বিদেশ ছিল।
লোকটি দোকান থেকে যাওয়ার পর বাড়িতে যখন গেলেন। তখন তার মেয়ে বলতেছে আম গাছের মধ্যে একটি পাকা আম আছে। যদিও তার মেয়েটি বড় হয়েছে। কথাটি শোনার পর এই লোক গাছে উঠে আম পারার জন্য বলতেছে। এবং লোকটির নাম হচ্ছে ইলিয়াস। ইলিয়াস মিয়া সিরিয়াস মেয়ে মানা করল গাছে না ওঠার জন্য। লোকটি ও নাপর বান্দা ছিল। সেই আম গাছ থেকে উঠে এ আম নেবে। যদিও ঐদিন রাত্রে আমাদের এদিকে বৃষ্টি হয়েছে। এই কারণে গাছের মধ্যে হালকা পানিও ছিল।
এবং ইলিয়াস মিয়া একটি লাঠি নিয়ে গাছের মধ্যে উঠে গেলেন। আমটি অনেক উপরে ছিল। যখন লাঠি দিয়ে আম নেওয়ার জন্য চেষ্টা করতেছে হঠাৎ করে আম গাছ থেকে সেই পড়ে গেল নিচে। সাথে সাথে অনেক জোরে একটি আওয়াজ দিলেন। বাড়ির লোক গুলো এবং তার মেয়ে আম গাছের নিচে গিয়ে দেখলো। ইলিয়াস মিয়া ওখানে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। যদিও তাদের বাড়ি একদম নদীর পাশে ছিল। তাড়াতাড়ি গাড়ি ঠিক করার চেষ্টা করতেছে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য। একটু পরে গাড়ি ঠিক করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন তার পরিবারের ও বাড়ির লোক গুলো।
তবে লোকটিকে গাড়ি করে নেওয়ার সময় কোন আওয়াজ বা নিঃশ্বাস তার নেই। দাগনভূঞা হাসপাতালে যখন তাকে নেওয়া হল ডাক্তার বলল তাকে বড় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য। লোকটির অবস্থা তেমন ভালো না। তাকে তাড়াতাড়ি ফেনী হাসপাতালে নিয়ে গেল চিকিৎসা দেওয়ার জন্য। ওখানে ডাক্তার বলতেছে লোকটি অনেক আগে মারা গেল। আসলে ইলিয়াস মিয়া একটি আমের জন্য এত বড় গাছে উঠে গেল সবাই এ নিয়ে আফসোস করতেছে।
তবে আমগাছটি তাদের ঘরের একদম সামনে। এখন এই আম গাছের দিকে তাকিয়ে তার মেয়ে এবং ওয়াইফ কান্নাকাটি করে। এরপর লোকটিকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে এসে মাটি দিয়ে দিলেন। আমাদের এলাকার কমবেশি সবাই লোকটিকে দেখতে গেলেন। এবং যে আম গাছ থেকে পড়েছে ওই আমগাছটিও অনেকে গিয়ে দেখতেছে। আর মানুষ গেলে তার মেয়ে ও ওয়াইফ কান্নাকাটি করে ইলিয়াস মিয়ার জন্য। এবং অনেকে বলতেছে এই আমগাছ তাদের ঘরের সামনে সব সময় এই আম গাছের দিকে তাকিয়ে তার পরিবার কান্নাকাটি করবে।
কারণ এই আম গাছের মধ্যে উঠে ইলিয়াস মিয়া নিচে পড়ে দুনিয়া থেকে চলে গেল। আসলে গাছের মধ্যে বৃষ্টির কারণে পানি ও ছিল। হয়তোবা এই লোকের হায়াত এতোটুক ছিল। এখন অনেকে বলে মেয়ে যদি না বলতো আমের কথা তাহলে তার বাবা গাছে উঠত না। এই কথাগুলো মেয়ে শুনলে আরও বেশি কান্নাকাটি করে। আসলে কিছু কিছু মৃত্যু আছে যে মৃত্যু গুলো মেনে নেওয়া যায় না। যেমনটি ইলিয়াস মিয়ার মৃত্যুটি।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
https://x.com/Jamal7183151345/status/1796503109738602994?t=nAL5aWKHa89i8icMOBuAWg&s=19
খুবই দুঃখজনক ঘটনাটি।আসলেই কিছু কিছু মৃত্যু মেনে নেয়া যায় না।সারাজীবন আপসোস হয় মৃত্য ব্যাক্তির জন্য। একটি আম পাড়তে গিয়ে মৃত্যু হলো আপনার পরিচিত ইলিয়াস মিয়ার।খুব বেদনাদায়ক। ইলিয়াস মিয়ার বৌ,মেয়ে সারাজীবন এ কষ্ট বহন করবেন। ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
হ্যাঁ এমন মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না আপু। গল্পটি পড়ে খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
এজন্যই তো কবি বলেছেন এমন জীবন করিও না গঠন মরিলে কাঁদিবে হাসিবে ভুবন।
এমন জীবন করিও গঠন মরিলে হাসিবে কাঁদিবে ভুবন।
আসলে ভালো মানুষের কথা চিরদিনই মানুষ মনে রাখে। আর সব থেকে বড় কথা হলো মানুষের ভালো ব্যবহার। যেহেতু আপনার পাশের এলাকার এবং একই সাথে বিদেশে ছিলেন সে তো আপনার সাথে ভালো সখ্যতা ছিল উনার। আপনি নিজেই বলছেন উনি খুব ভালো মানুষ ছিলেন। আসলে মৃত্যুর পরে একজন মানুষকে যদি সবাই ভালো বলে তাহলে তার জীবনটা ধন্য।
দোয়া রইল ভাইয়ের জন্য আল্লাহ যেন জান্নাত নসিব করেন।
আসলে কিছু কিছু মৃত্যু আছে মেনে নেওয়া যায় না। আর এই লোকটির ব্যাপারেও তাই। ভালো থাকবেন।
আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক খারাপ লাগলো। আসলে কিছু কিছু মরণ আছে যেগুলো শুনলে খুব খারাপ লাগে। ইলিয়াস মিয়া আপনার পরিচিত একই এলাকার লোক। এবং বিদেশ একসাথে ছিলেন। আসলে লোকটি একটি আমের জন্য গাছে উঠে পড়ে মারা গেল। এই মৃত্যুটি যতদিন তার পরিবার বেঁচে থাকবে ততদিন মনে রাখবে এবং কাঁদবে। যাইহোক এ ধরনের মৃত্যু কখনো কেউ কামনা করে না। আল্লাহ যেন সবাইকে হেফাজত করে। বাস্তব একটি ঘটনা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ এই ধরনের মৃত্যু কেউ কামনা করে না। তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে লোকটি গাছ থেকে পড়ে মারা গেলেন। আপনার মন্তব্য শুনে ভালো লাগলো।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। যেহেতু বৃষ্টি হয়েছিল এভাবে গাছে ওঠা ঠিক হয়নি। হয়তো তার মৃত্যুটা এভাবে হবে সেজন্য তাকে গাছে উঠতেই হলো। যার হায়াত যতটুকু আছে সৃষ্টিকর্তাই বেশ ভালো বুঝবেন। কিন্তু আফসোস একটা আমের কারণে মৃত্যুবরণ করলো। হয়তো মেয়েও মনকে বোঝাতে পারবে না তার বাবা তার কারণেই মারা গেলো। যেহেতু মেয়ে তার বাবাকে আম দেখায় না দিলে সেই আমের জন্য গাছে উঠতো না। যাক সৃষ্টিকর্তা যেটা ভালো বোঝেন সেটাই করলেন। ইলিয়াস মিয়ার আত্মার শান্তি কামনা করছি।
হ্যাঁ আপু ওই দিন রাত্রে আমাদের এখানে বৃষ্টি হয়েছে। হয়তোবা গাছের মধ্যে পানিও ছিল। তবে আপনার মন্তব্য শুনে খুব ভালো লাগলো।
এগুলো আসলে নিয়তি ভাই। কে কখন কীভাবে মৃত্যু প্রাপ্ত হবে এটা সৃষ্টিকর্তা কতৃক নির্ধারিত। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। ব্যাপার টা শুনে খুবই খারাপ লাগছে ইলিয়াস মিয়ার জন্য। তার পরিবারের অবস্থা টাও এখন কঠিন। সত্যি ব্যাপার টা বেশ হৃদয়বিদারক।
তারপরও ভাই কিছু কিছু মরণ আছে আফসোস থেকে যায়। তবে আপনার মন্তব্য শুনে খুব ভালো লাগলো।
এধরনের মৃত্যু গুলো আসলেই মানা যায়না ভাইয়া।একটি আমের জন্য গাছে উঠেছিল বেচারা।গাছ থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যুগুলো আসলেই কষ্টের।তবে তার মৃত্যু এভাবেই লেখা ছিল।আপনারা একসাথে বিদেশে ছিলেন নিশ্চয় অনেক খারাপ লাগছে আপনার।তিনি জান্নাত বাসী হন দোয়া করি।
হ্যাঁ তার মৃত্যুর কথা শুনে আমার কাছে খুব খারাপ লাগলো। আসলে এই ধরনের মৃত্যুর কেউ কামনা করে না। ভালো থাকবেন আপু।
মৃত্যু আমাদের কত কাছে তা আমরা কখনো চিন্তাও করি না। এরকম সুস্থ সবল মানুষ হুট করে কোন একটা অ্যাক্সিডেন্টে মারা যাচ্ছে। আসলে লোকটির বাড়ির লোকজনের আম গাছটি দেখে তো কষ্ট লাগারই কথা। এই সামান্য একটি আম গাছ থেকে পড়েই লোকটি মারা গেলো। তাদের উচিত আম গাছটি কেটে ফেলা। তা না হলে যতদিন ওই আমগাছ থাকবে ততদিন তাদের কষ্ট দূর হবে না।
হ্যাঁ এটি একদম ঠিক বলেছেন যতদিন আম গাছটি থাকবে ততদিন তার কথা বেশি মনে পড়বে। তবে আপনি খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
আসলে কখন কার সাথে কি ঘটে যায় তা কেউই বলতে পারেনা৷ আপনার আজকের এই ঘটনাটি পড়ে খুবই খারাপ লাগছে৷ আসলে এরকম ঘটনা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না৷ আসলে ওই ব্যক্তি যেভাবে মারা গেল তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়ার মতো নয়। হয়তো তার মৃত্যু এভাবে লেখা ছিল তাই তার এভাবে মৃত্যু হয়ে গিয়েছে৷ তবুও সকলকে সাবধানতা অবলম্বন করে চলা উচিত৷
তবে ভাই সবার মৃত্যু আছে তবে কিছু কিছু মৃত্যুর কারণে আফসোস থেকে যায়। আপনি খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
সামান্য আম পাড়তে গিয়ে একটা মানুষের জীবন চলে গেল, এটা অনেক দুঃখজনক। তবে লোকটা যদি তার মেয়ের কথা শুনে আম গাছে না উঠতো, তাহলে হয়তো লোকটা জীবিত থাকতো। তবে মৃত্যু কখন কার কোথায় আছে, সেটা তো স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আর কেউ জানে না। যাইহোক, অনেক খারাপ লাগলো ভাই, আপনার শেয়ার করা গল্পটা পড়ে।
আসলে ভাই কিছু মানুষের লোভ আছে লোভ ছাড়তে পারে না। তবে আপনি খুব সুন্দর করে গল্পটি পড়ে মন্তব্য করেছেন।