লাইফ স্টাইল :- ওয়াইফের বড় ভাই বিদেশ যাওয়ার মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আমি আজকে একটি লেখার পোস্ট এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে অথবা কোথাও ঘুরতে গেলে ওইসব বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখতে অনেক ভালো লাগে। বেশিরভাগ সুন্দর মুহূর্ত গুলোর পোস্ট পড়তে এবং লিখতে অনেক ভালো লাগে। সব সময় চেষ্টা করি আমার সুন্দর মুহূর্তের অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ঘুরতে গেলে নিজে মনটাও ফ্রেশ থাকে। তাই সবসময় চেষ্টা করি কোথাও ঘুরতে যাওয়ার হাসিখুশির মুহূর্তটা আপনাদের মাঝেও শেয়ার করার জন্য। আশা করি আপনাদেরও পোস্টটি অনেক ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব আমার ওয়াইফের বড় ভাই বিদেশ যাওয়ার মুহূর্ত। আপনারা সবাই জানেন এই প্লাটফর্মের একজন সদস্য ভিডিওম্যান আমার ওয়াইফ। তার একটি মাত্র ভাই বিদেশ থাকেন। আমার বিয়ের সময় সে দেশে ছিলেন না। তার নাম হচ্ছে শান্ত ভাই। তার সাথে মোবাইলে এবং ভিডিও কলে মাঝে মধ্যে কথা হতো। বিগত কয়েক মাস আগে সে ছুটিতে বাড়িতে আসলেন। আসার পর থেকে আমাদের সাথে খুব হাসিখুশি কথা বলতে এবং চলাফেরা করবেন। খুব শান্ত এবং ভালো মনের মানুষ। আমার কাছে শান্ত ভাইয়াকে অনেক ভালো লাগে।
বিগত পাঁচ মাস সেই দেশে ছিলেন। আমি তার সাথে অনেক জায়গা ঘুরতে গেলাম এবং অনেক অনুষ্ঠানেও গেলাম। বড় ভাই হলেও তার চলাফেরা ছিল বন্ধুর মতো। গত জুন মাসে ৬ তারিখ সে আবার বিদেশ চলে যাচ্ছে। যাওয়ার একদিন আগে আমি আর আমার ওয়াইফ তাদের বাড়িতে গেলাম। তবে শান্ত ভাইয়া আমাদের সাথে অনেকক্ষণ বসে কথা বলেছিলে। কালকে চলে যাবে হিসেবে তার মন খুব খারাপ ছিল। এরপর সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে সবাই একসাথে বসে নাস্তা খেলাম। খাওয়ার পর সকাল দশটার দিকে সেই রেডি হচ্ছে বাইরে যাওয়ার জন্য। কারণ সন্ধ্যাবেলা তার ফ্লাইট। সেই দুবাইতে থাকে। এরপর সে যখন রেডি হয়ে বাইর হচ্ছে তখন তার মা বোন সবাই তার জন্য কান্নাকাটি করতেছে। তবে সাথে আমি আর রকি ভাই যাচ্ছিলাম তাকে এগিয়ে গাড়িতে তুলে দেওয়ার জন্য।
এরপর বাড়ির সবার সাথে সে দেখা করে বাইর হয়েছে। বাড়ির সামনে অনেকক্ষণ সবার সাথে কথা বললেন দেখা করলেন মুরুব্বীদের সাথে। এরপর আমি এবং শান্ত ভাইয়া ও রকি ভাই একটি গাড়ি নিয়ে ফেনীতে যাওয়ার জন্য রওনা দিলাম। ওই সময় লোকটি খুব হাসিখুশি আমাদের সাথে কথা বলতেছে। আসলে বিদেশ যারা থাকে তারা বুঝে যাওয়ার সময় কত কষ্ট লাগে। এরপর আমরা ফেনীতে বাসস্ট্যান্ডে গেলাম। তারপর আমরা ফেনী স্টার লাইন গাড়ির টিকিট কাটলাম। আমি আর শান্ত ভাইয়া এবং রকি ভাইয়া একসাথে ওখানে ঠান্ডা পান করলাম। এবং আমি আর রকি ভাই তার সাথে চট্টগ্রাম এয়ারপোর্ট যাওয়ার জন্য চেষ্টা করলাম। সেই আমাদেরকে যাওয়ার জন্য মানা করলেন।
বলতেছে আমি গাড়ির কাউন্টার থেকে একটি সিএনজি নিয়ে এয়ারপোর্টে চলে যাব। তোমরা এত কষ্ট করে যাওয়ার দরকার নাই। তারপরও আমরা বলতেছি সাথে যাওয়ার জন্য। এরপর ভাইয়া বলতেছে জায়গা গুলো সেই চিনে যাওয়ার কোন দরকার নেই। তারপর আমি আর রকি ভাইয়া খুব শান্ত ভাইয়া একসাথে দাঁড়িয়ে এবং গাড়ির কাউন্টার ওখানে কিছু ফটো তুললাম। এরপর ভাইয়াকে গাড়িতে তুলে দিলাম। যতক্ষণ পর্যন্ত গাড়ি না সারলো আমি আর রকি ভাইয়া ওখানে দাঁড়িয়ে রইলাম। এবং এবং ভাইও অনেকক্ষণ আমাদের দিকে তাকিয়ে রইল।
গাড়ি ছাড়া এক মিনিট আগে । আমাদেরকে ডেকে বলতেছে ভালো মতে চলার জন্য এবং ফ্যামিলির দিকে খেয়াল রাখার জন্য। এবং সবাই মিলেমিশে চলার জন্য। এরপর ভাইয়ার বাড়ি যখন চলে যাচ্ছে আমরা অনেকক্ষণ তাকিয়ে রইলাম। তারপর রকি ভাইয়া আমি আবার একটি গাড়ি নিয়ে বাড়িতে চলে আসতেছি। আসার সময় ভাইয়ার কথা অনেক মনে পড়েছে। যখন বাড়িতে আসলাম তখন আমার শশুর শাশুড়ি এবং তাদের ফ্যামিলির সবাই মন খারাপ এবং তার কথা বারবার জিজ্ঞাস করতেছে। তাদের ঠিকমত গাড়িতে তুলে দেওয়া হয়েছে কিনা। আসলে আপন মানুষ যখন দূরে চলে যায় তখন লোকগুলোর কথা বেশি মনে পড়ে। আসলে ভাইয়া চলে যাওয়ার পর খারাপ লাগলো। ভাইয়া চলে যাওয়ার মুহূর্ত আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আসার পরে ও আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগে।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
জী ভাইয়া বিডিওম্যান আপুকে আমরা সবাই চিনি। আপনাকেও চিনি। যারা প্রবাসে যায় তাদের মনটা পাথর করে যেতে হয়। যাওয়ার সময় সবার মন খারাপ থাকে। কারন কত হাজার মাইল দুরে থাকে। বিপদে পরলে বা অসুস্থ হলে দেখার কেউ নেই। যায়হোক যেখানেই থাকুক সুস্থ থাকুক। সেই কামনা করি। ধন্যবাদ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/Jamal7183151345/status/1689230713185603584?s=20
যদিও জীবিকার তাগিদে মানুষ বিদেশে বসবাস করেন কিন্তু অনেক খারাপ লাগে আত্মীয়-স্বজন যদি বাইরের দেশে বসবাস। আপনি তো শান্ত ভাইয়ের সম্পর্কে অনেক সুন্দর সুন্দর মতামত দিলেন বেশ ভালো লাগলো। শেষ মুহূর্তে হাসি খুশিতে বিদায় দিলেন এবং মুহুর্তটি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন অনেক ভালো লাগলো। শান্ত ভাইয়ের জন্য অনেক দোয়া ও শুভকামনা রইল।
আমি নিজেও দীর্ঘদিন যাবত বিদেশ ছিলাম। এই কারণে বিদেশ যাওয়ার সময় সবাই যদি হাসিখুশি বিদায় দে তাহলে তার কাছে ভালো লাগে। সুন্দর মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা একদম সত্যি কথা বলেছেন ভাই, বিদেশ যারা যায় অথবা থাকে তারাই বুঝবে যাওয়ার সময় কতটা কষ্ট হয়। বাইরের এক্সপ্রেশনে যতটা না বোঝা যায় তার থেকে প্রায় দশগুণ কষ্ট হয় ভিতরে ভিতরে। এই ব্যাপারটা আমাদের সাথেও হয়েছে তাই এই ব্যাপারটা জানি। যাইহোক আপনার ওয়াইফের বড় ভাই এর বিদেশ যাত্রা শুভ হোক সেই শুভকামনা রইলো।
আপনার সুন্দর মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
তিনি যেন ভালোভাবে বিদেশে পৌঁছাতে পারে সেই কামনাই করি। বড় ভাই হলেও আপনারা তার সাথে বন্ধুর মতো সময় অতিবাহিত করেছেন।
আপনার স্বাভাবিক মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে প্রিয় মানুষকে যখন বিদেশে যাওয়ার উদ্দেশ্য বিদায় দিতে হয় তখন বেশ কষ্ট লাগে। বড় ভাই বিদেশ যাওয়ার অনুভূতি বেশ চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। শান্ত ভাইকে খুব সুন্দর করে বিদায় দিয়েছেন। আপনাদের সবাইকে একসাথে দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাই।
ঠিক বলেছেন প্রিয় মানুষগুলো যখন বিদেশ যায় তখন অনেক কষ্ট লাগে। আপনার সুন্দর মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।