গল্প:-জন্মদিলে বাবা হওয়া যায় না।(শেষ পর্ব)
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।
যদিও মেয়েটির বয়স ৬ বছর কিন্তু ভাইয়ের জন্য অনেক টানছিল। মেয়েটি প্রায় সময় বসে বসে কান্নাকাটি করত আমি নিজেও দেখেছি। এক পর্যায়ে মানিক ভাইয়ের ছেলেটিকে তার এক খালা নিয়ে গেল সেই লালন পালন করতেছে। হঠাৎ করে একদিন মানিক ভাই তার মেয়েকে অন্য জায়গা দিয়ে দিলেন পালক হিসেবে। এরপর মানিক ভাই আবার বিয়ে করলেন। যদিও মানিক ভাই আর ছেলে মেয়ে দুটোর কোন খোঁজ খবর রাখে না। সেই নতুন করে বিয়ে করে সেদিকে মনোযোগী হলেন।
এদিকে আসতে আসতে তার ছেলেমেয়ে দুটি বড় হতে লাগলো। তবে মেয়েটি তাদের পাশের এলাকায় পালক হিসেবে একটি ভালো ফ্যামিলিতে দিয়েছেন। তার মেয়েটির নাম হচ্ছে নুপুর। নুপুর কাউকে পরিচিত দেখলে তার ভাইয়ের জন্য টাকা পাঠাতেন। তবে তার ভাই পলাশ অনেক কষ্ট করে খালার কাছে মানুষ হচ্ছে। এভাবে ছেলে মেয়ে দুটো অনেক বড় হয়ে গেল কষ্ট করে। বর্তমানে নুপুরের ভালো জায়গাতে বিয়ে হয়েছে জামাই সরকারি চাকরি করে। এবং নুপুর অনেক পড়ালেখা করলো।
এবং মানিক ভাইয়ের ছেলে পলাশ এখন বড় হয়ে চাকরি করে। অথচ মানিক ভাই এর পরে আরো দুটো বিয়ে করলেন। কিন্তু একটি বউ ছিল না সবাই চলে গেল। বলতে পারি এখন মানিক ভাইয়ের ছেলেমেয়ে দুটি ভালই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মানিক ভাইয়ের ছেলে পলাশ খালার কাছে মোটামুটি কষ্ট করে মানুষ হওয়ার কারণে সেই বাবার উপরে ঘৃণা জন্মালো। বর্তমানে পলাশ বাবার নামও শুনতে পারেনা। এবং নুপুর ভালো জায়গায় বিয়ে হয়েছে এই কারণে মাঝেমধ্যে পলাশ বোনের কাছে যাই দেখা করতে।
কখনো বোন বাইকে অবহেলা করে না। তবে নুপুর এবং পলাশ মানিক ভাইয়ের নাম শুনতে পারে না। এখন মানিক ভাই ছেলে মেয়ে দুটোকে মাঝেমধ্যে দেখলে কথা বলার চেষ্টা করে। কিন্তু ছেলে মেয়ে দুটো তার বাবা বলে মনে করে না। ঐদিন মানিক ভাই বলতেছে আমাকে তার ছেলে মেয়ে দুটো তাকে দেখতে পারে না একটা টাকা দেনা খরচা করার জন্য। আমি তাদের বাবা এই বলে কথা বলতেছে। তবে আমি নিজেও জানি মানিক ভাই ছেলেমেয়েদের উপর অনেক অত্যাচার করেছে।
তাদেরকে খাওয়া দাওয়া দেয় নাই এবং তাদের খোঁজ খবরও নেই নাই। অথচ আজকে ছেলেমেয়ে দুটো বড় হওয়ার কারণে সেই বলতেছে আমার ছেলে-মেয়ে। যদিও নুপুরের জামাই সরকারি চাকরি করে মাঝেমধ্যে শশুরকে দেখলে টাকা পয়সা দেই। তবে নুপুর শুনলে তার জামাইকে চিল্লাই টাকা না দেওয়ার জন্য। এবং নুপুর বলে সেই বাবার নামে কলঙ্ক। তার কারণে তার মা অনেক কষ্ট করেছে এবং আমরা দুটো ভাই বোন অনেক কষ্ট করেছি। আসলে জন্ম দিলে বাবা হওয়া যায় না কথাটি তাদেরকে দেখলে বোঝা যায়। আশা করি আমার এই বাস্তব গল্পটি আপনাদের পড়ে অনেক ভালো লাগবে।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/Jamal7183151345/status/1745790156643488155?t=k0OH2ez8X_eTruV7KDgp8w&s=19
আপনার বাস্তব জীবনের গল্পটির প্রথম পর্ব আমি পড়েছিলাম দ্বিতীয় পর্ব পড়েও আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছে। বড় হয়ে ভাই বোন ভালো আছে জেনে আমার কাছেও বিষয়টি বেশ ভালো লেগেছে। আসলে কষ্ট সারা জীবন থাকে না। আপনার মানিক ভাই ছেলেমেয়েদের অন্য জায়গায় দিয়ে দিলেও তাদের খোঁজখবর নেওয়া উচিত ছিল। তাই এখন ছেলেমেয়েরা ওনার খোঁজ নিতে চায় না। যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু মানুষের কষ্ট সারা জীবন থাকে না। গল্পটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে।
তবে আপনার পোস্টটি পড়ে সত্যি আমার কাছে অনেক খারাপ লাগলো। মানিক ভাই তার ছেলেমেয়েদের ছোট থাকা অবস্থায় খোঁজ খবর রাখে নাই। এবং মেয়েটিকে অন্য জায়গা পালক হিসেবে দিয়ে দিলেন। ছেলে মেয়ে দুটো মা-বাবা চলে যাওয়ার পর অনেক কষ্ট করেছে শুনে সত্যিই অনেক খারাপ লাগলো। তবে আমার মতে ছেলে মেয়েরা এখন বড় হয়ে মানিক ভাইকে দেখতে পারে না এটা তার বড় ফল। হয়তো ছেলেমেয়েরা তাকে ঘৃণার চোখে দেখে। বাপ হয়ে সে তার বাপের মর্যাদা রাখতে পারল না। আসলে ঠিক বলেছেন জন্ম দিলে বাবা হওয়া যায় না। ধন্যবাদ আপনাকে বাস্তব একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ছেলে মেয়ে দুটো মানিক ভাইকে এখন ঘৃণার চোখে দেখে। আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বাবার এমন কঠিন সিদ্ধান্তের পরেও পলাশ আর নূপুর দুজনেই নিজেদের জীবনকে সুন্দরভাবে গুছিয়ে নিয়েছে কিন্তু মানিক ভাই নিজেকে স্বাভাবিকভাবে তুলে ধরতে পারেনি। সে আরো কয়েকটি বিয়ে করেছে কিন্তু সেটা স্থায়ী হয়নি। আসলেই এই গল্প থেকে একটি শিক্ষা নেয়া যায় জন্মদিলেই পিতা হওয়া যায় না।
মানিক ভাই আরো কয়েকটি বিয়ে করেও স্থির হতে পারে নাই। বর্তমানে তার অবস্থা খুব খারাপ। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
খুব সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করেছেন। এই গল্পের প্রথম পর্বটি আমি পড়েছিলাম৷ আজকে আবার এই গল্পের শেষ পর্বটি পড়তে পেরে খুব ভালো লাগলো৷ এই গল্পের মধ্যে আপনি একদম সঠিক কথা বলেছেন৷ যখন ওই মানিক সাহেব ছেলে-মেয়েদের অন্য জায়গায় দিয়ে তাদের খোঁজখবর নিতো না তখন তার সন্তানরাও তার খোঁজ খবর নিতে চায় না৷ এর মধ্যে তারই ব্যর্থতা৷ তাই আপনি একদম ঠিক বলেছেন জন্ম দিলেই বাবা হওয়া যায় না৷
কিছু কিছু বাবা আছে তাদের কারণে ছেলেমেয়েরা কষ্ট করে। এখন মানিক ভাই হারে হারে টের পাচ্ছে। অসাধারণ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।