লাইফ স্টাইল :- ছোট ভাগিনা ভাগ্নিদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আমি আজকে একটি লেখার পোস্ট এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে অথবা কোথাও ঘুরতে গেলে ওইসব বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখতে অনেক ভালো লাগে। বেশিরভাগ সুন্দর মুহূর্ত গুলোর পোস্ট পড়তে এবং লিখতে অনেক ভালো লাগে। সব সময় চেষ্টা করি আমার সুন্দর মুহূর্তের অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ঘুরতে গেলে নিজে মনটাও ফ্রেশ থাকে। তাই সবসময় চেষ্টা করি কোথাও ঘুরতে যাওয়ার হাসিখুশির মুহূর্তটা আপনাদের মাঝেও শেয়ার করার জন্য। আশা করি আপনাদেরও পোস্টটি অনেক ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব ছোট ভাগিনা ভাগ্নিদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত। কোরবানি ঈদের পরের দিন সকালবেলা আমার বড় বোন এবং ছোট বোনের ছেলে মেয়ে গুলো আমাদের বাড়িতে আসলো বেড়ানোর জন্য। যখন দুপুরবেলা আমরা সবাই একসাথে বসে খাওয়া খাচ্ছিলাম। তখন আমার ছোট বোনের ছেলে তালহা বলতেছে বিকেল বেলা আমরা সবাই মামার সাথে নদীর ধারে ঘুরতে যাব। এই কথা আমার ভাগ্নি দুটি ও সমর্থন করলেন। তারপর আমার ভাগিনা বলতে লাগলো দুপুরের খাওয়া শেষ করে এখন যাবো ঘোরার জন্য।
তারপর আমি তাদেরকে বললাম বিকেল চারটা বাজে তাদেরকে নিয়ে যাব নদীর ধারে ঘোরানোর জন্য। এরপর থেকে আমার ভাগিনা ভাগ্নি গুলো আর ঘুমাচ্ছে না তারা বসে রইল। কারণ দুপুর বেলা খাওয়া-দাওয়া করে সবাই কমবেশি একটু শুয়ে থাকে। এরপর আমার ভাগিনা তালহা বায়না ধরেছে তাদেরকে ভালো নাস্তাও করাতে হবে ওখানে নিয়ে। তারপর আমি তাদেরকে বললাম নদীর ধারে ঘুরতে যাব এরপর আমরা নদীর পাড়ের উপরে যে দোকানটি আছে ।ওখানে একসাথে নাস্তা খাব। এবং ওখানে যে নাস্তা আছে তা তোমাদেরকে খাওয়াবো।
এর পর বিকেল চারটা বাজে আমরা সবাই একসাথে বাহির হলাম নদীর ধারে ঘুরতে যাওয়ার জন্য। আপনারা হয়তো সবাই জানেন ছোট ফেনী নদী আমাদের বাড়ি একদম পাশে। আমাদের বাড়ি থেকে নদীর ধারে যেতে মাত্র 5 মিনিট সময় লাগে। তবে এখন বর্ষাকাল তাই নদীর ধারে একটু কাদা আছে। যখন আমি বাড়ি থেকে বাহির হলাম তখন তাদের একটি ফটো তুললাম। এরপর ভাগ্নি তিনজন ভাগিনা এবং আমি মোট পাঁচজন নদীর ধারে ঘুরতে গেলাম। নদীর ধারে সরকারি ঝাউ গাছ লাগিয়েছে এগুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগে এখন। তবে ভাগিনা ভাগ্নি গুলো নদীর ধারে গিয়ে খুব মজা করতেছে।
এরপর আমরা নদীর ধার দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে চেয়ারম্যান ঘাটে গেলাম। ওই সময় আমার ভাগিনা তালহা বায়না ধরেছে নৌকা করে নদীর ওই পাড়ে যাবে। কিন্তু আমার ভাগ্নি গুলো নৌকায় উঠে ভয় পাই এই কারণে আমরা নদীর ওই পারে যায়নি। এরপর ভাগিনা ভাগ্নি সহ আমি নদীর ধারে উপর ছোট্ট একটি দোকান আছে ওখানে গেলাম। তা ওখানে নাস্তা করবে যেটা থাকে ওটাই। যখন দোকানটিতে আমরা গেলাম তখন চা ঠান্ডা কেক ছাড়া আর কিছুই নেই। এরপর তারা বায়না ধরেছে এত কম দামের জিনিস তারা খাবে না। তখন আমি তাদেরকে বললাম তোমরা এখানে যে নাস্তা আছে তা খাও।
তবে তোমাদের ঈদের সালামি আমি আগেই দিয়ে দিলাম। এখন আমি তোমাদেরকে কিছু টাকা দেবো যেগুলো দিয়ে তোমরা পরে কিছু আনিয়ে যা মন চায় তা খাবে। এরপর তারা ওই দোকান থেকে ঠান্ডা কেক এবং রং চা খেলেন। তারপর আমরা একসাথে হয়ে আবার বাড়ির দিকে চলে আসতে লাগলাম। কারণ আমাদের বাড়ির পাশের নদী থেকে আমরা একটু দূরে গেলাম হাঁটতে হাঁটতে। পথের মধ্যে আবার আমার ভাগিনা বায়না ধরেছে তাদের নাস্তার স্টা টাকাগুলো আগে দেওয়ার জন্য। এরপর আমি কিছু টাকা দিয়ে তাদেরকে মোটামুটি শান্ত করলাম। এই হচ্ছে ছোট ভাগিনা ভাগ্নি সবাইকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার মুহূর্ত।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
ঘুরতে গেলে আমার কাছেও খুব ভালো লাগে ভাই। আপনি ভাগিনা ভাগ্নিদের নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত আমাদের মাঝে চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন। পড়ন্ত বিকেলে প্রাকৃতিক প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য বেশ দুর্দান্ত ভাবে উপভোগ করেছেন । ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আসলে বিকেল বেলা নদীর ধারে ঘুরতে গেলে এমনিতে অনেক ভালো লাগে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ছোট ভাগ্নিনাদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত। আসলে ছোট ভাগিনাদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত পড়ে ভালোই লেগেছে আমার কাছে। আপনারা পাঁচজন নদীর ধারে বেশ সুন্দর সময় উপভোগ করেছিলেন। আসলে ঈদের সালামি আপনি অনেক আগে দিয়ে দিয়েছিলেন তাও জানতে পারলাম এই পোস্ট এর মাধ্যমে।
ঠিক বলেছেন ছোট ভাগ্নি ভাগিনাদের সাথে খুব ভালই সময় কাটিয়েছি। সুন্দর মন্তব্য করে অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ছোট ভাগিনা ভাগ্নিদের সাথে বিকাল বেলা নদীর পাড় খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। মাঝে মাঝে কিন্তু বাচ্চাদের সাথেও সময় কাটাতে ভালো লাগে। তখন নিজেকে বাচ্চাই লাগে। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
তারা বায়না ধরেছে তাদেরকে নদীর ধারে ঘুরানোর জন্য। সুন্দর মন্তব্য করেছেন তাই অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাগিনা ভাগ্নিদের সাথে বেশ আনন্দঘন সময় পার করছেন বোঝাই যাচ্ছে। আসলে ছোটরা একটু ঘোরাঘুরি করতে পছন্দ করে। এই ভ্রমনের মাধ্যমে তারা অনেক কিছু জানতে পারে এবং তাদের মানসিক প্রশান্তি লাভ হয়। সবমিলিয়ে দারুন একটি উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
আসলে ঐদিন ভাগিনা ভাগ্নিরা অনেক খুশি হয়েছে। নদীর ধারে ঘুরতে গিয়ে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
https://twitter.com/Jamal7183151345/status/1681570675897831426?s=20
ছোট ভাগিনা তালহা তাহলে দুপুরবেলা খাওয়ার সময় বায়না ধরেছে তাদেরকে নদীর ধারে থেকে ঘুরিয়ে আনার জন্য। ছোট ভাগিনা ভাগ্নিদের কে নিয়ে তাহলে ফেনী ছোট নদীর ধারে ঘুরতে গেলেন। আসলে সবাই ঘুরতে কম বেশি মন চায়। আর ঈদের সময় হলে তাহলে তো কথাই নেই। যাইহোক ভাগিনা ভাগ্নিদের কে নদীর ধারে হালকা নাস্তাও খাওয়ালেন। ধন্যবাদ আপনাকে বাগিনা এবং ভাগ্নিদের কে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন সবাই কম বেশি ঘুরতে মন চায়। আপনার উচ্চারিত মূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ছোট ভাগিনা ভাগ্নির সাথে বেশ মজা করেছেন। বিকেলবেলা প্রাকৃতির মাঝে এরকম ভাগিনা ভাগ্নিদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার মজাটাই আলাদা। ফটোগ্রাফিতে ওদেরকে দেখে বোঝা যাচ্ছে খুব আনন্দের সময় কাটিয়েছেন। বিকেলে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ঈদের সময় ভাগিনা ভাগ্নিরা আমাদের বাড়িতে আসলো। তাই ঈদের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য সবাই ঘুরতে গেলাম। সুন্দর মন্তব্য করেছেন ধন্যবাদ তাই আপনাকে।
আসলেই ভাইয়া ঘুরতে বেশ ভালোই লাগে। বিশেষ করে সেটা যদি হয় ভাগ্নে ভাগ্নিদের সাথে। বাড়ি থেকে নদী কাছে থাকার সুবিধাই হয়েছে খুব। ভালো সময় কাটিয়েছেন অনেক। শুভকামনা রইলো ভাই।
ছোট নদী আমাদের বাড়ি থেকে যেতে ৫ মিনিট সময় লাগে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করায় অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে ছোট ছোট ভাগিনা ভাগ্নি থাকলে কত রকম বায়না ধরে। একটা আপনার ছোট ছোট ভাগিনা নদীর পাড়ে খুব সুন্দর একটা সময় কাটিয়েছেন। ওদেরকে দেখে বোঝা যাচ্ছে খুব ছোটা ছুটি করেছে খুব আনন্দ করেছে। ভালোই করেছেন অবশেষে ওদেরকে কিছু খাওয়ার জন্য টাকা দিয়ে দিয়েছেন।
নদীর ধারে ঘুরতে গিয়ে তাদের অনেক ভাইনা শুনতে হয়েছে। এবং মোটামুটি সবাই খুশি হয়েছে ঘুরতে গিয়ে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।