গল্প :- চাচা ভাতিজার কান্ড।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে সুন্দর চাচা ভাতিজার কান্ড শেয়ার করব। গল্পটি হচ্ছে আমাদের বাড়ির পাশে একটি চাচার মজার কাহিনী। চাচাটির নাম হচ্ছে আবুল কালাম। তবে তাকে সবাই আবুল বলে ডেকে থাকে। কিন্তু লোকটি খুব মজার কথা বলে এবং সবার সাথে মজা করে। শুনেছি তার বাবাও নাকি অনেক সুন্দর কথা বলতেন এবং মানুষের সাথে মজা করতেন। বর্তমান তার ছেলেগুলো একই অবস্থা খুব সুন্দর এবং মজার কথা বলে। আবুল কালাম মিয়া আরো অনেক বছর আগে বাড়িতে হঠাৎ করে কিছু মেহমানকে দাওয়াত করলেন এবং এলাকার কিছু আলেম মানুষকেও দাওয়াত করেছেন। মূলত সে ঠিক করেছে কিছু লোককে একদিন ভালো-মন্দ খাওয়াবে।
আবুল কালাম মিয়া একটি চাচা আছে। যদিও আবুল কালাম মিয়ার বাবা অনেক বছর আগে মারা গেল। যখন যেদিন মেহমান আসবে সেই দিন সকালবেলা তার চাচাকে দাওয়াত দিলেন। এবং ব্যক্তিগত কারণে চাচা ভাতিজা সম্পর্কটা তেমন ভালো না। তারপরও দুপুরবেলা আবারো তার চাচাকে বলল আমার ঘরে আজকে দুপুরে খাওয়া দাওয়া করবেন আপনার দাওয়াত। এবং আবুল কালাম মিয়া চাচা বলতেছে তার সময় নেই সে দাওয়াত খেতে যাবে না। তারপরও আবুল কালাম মিয়া অনেক রিকোয়েস্ট করে বলতেছে আপনি আমার বাবার সমতুল্য আপনি আমাদের ঘরের দাওয়াতে যাবেন। তারপরও তার চাচা যাবে না বলেন।
এরপর আবুল কালাম মিয়া চাচা চিন্তা করলো বাড়িতে থাকলে দুপুরের সময় জোর করে নিয়ে যাবে খাওয়া-দাওয়া করানোর জন্য। এই কারণে লোকটি চৌধুরী হাট বাজারে দুপুর বেলা চলে যাচ্ছে। কারণ ওখানে দুপুর বেলা খাওয়া-দাওয়া করবে এবং ওখানে থাকবে। যদিও ওই সময় আমাদের এলাকাতে তেমন গাড়ির ব্যবস্থা ছিল না। এই কারণে গরমের সময় তার চাচা রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছে বাজারে। হঠাৎ করে ২ কিলো মিটার হেঁটে যাওয়ার পর গরমের কারণে আবুল কালাম চাচা রাস্তার উপর অজ্ঞান হয়ে গেল। এর কিছুক্ষণ পর বাড়িতে খবর আসলো আবুল কালাম মিয়ার চাচা রাস্তার উপর মাথা ঘুরে পড়ে গেল। এই কারণে বাড়ির লোকগুলো হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে ওইদিকে যাইতেছে। এমন সময় আবুল কালামিয়া বাড়ি থেকে একটি মোটা লাঠি নিয়ে যাচ্ছে।
তবে বাড়ির মহিলা গুলো বলতেছে কেন লাঠি নিয়ে যাচ্ছে ওখানে কার সাথে ঝগড়া করবে। এ পর আবুল কালাম মিয়া লাঠি নিয়ে ওখানে গিয়ে তার চাচাকে মারার জন্য চেষ্টা করতেছে। বলতেছে আমি দুপুরে খাওয়া দাওয়া করার জন্য বলেছি আমার ঘরে আপনি বলেছেন আপনার টাইম নেই। এখন আপনি এত টাইম কোথায় থেকে পেলেন এখানে শুয়ে আছেন। এ অজ্ঞান হয় নাই এই ইচ্ছা করে এখানে শুয়ে আছে। এই বলে আবুল কালাম মিয়া তাকে মারার জন্য লাঠি দিয়ে চেষ্টা করতেছে। যদি ওখানে লোক ছিল তারা তাকে মারতে দেয় নাই।
এরপর আবুল কালাম মিয়ার চাচা ওখান থেকে উঠে দৌড় দিয়ে একটি বাড়ির দিকে চলে গেলেন। এবং আবুল কালামিয়া সবাইকে বলতেছে আমি দাওয়াত করেছি খাওয়া-দাওয়া করতে তার টাইম নেই। এখন এত টাইম কোথায় থেকে ফেলো এই কারণে তাকে মারতে আসলাম আমি। এবং ওখানে লোক গুলো তাকে বুঝিয়ে বলেছে হয়তো বা ঝগড়ার কারণে খাওয়া দাওয়া করতেছে না তোমার ঘরে। আর সবাই হাসাহাসি করতেছে আবুল আসলেই আবুল রয়ে গেল। আবুল অনেক বড় একটি লাঠি নিয়ে আসলো তাকে মারার জন্য। এ হচ্ছে একটি বাস্তব ঘটনা আবুল কালাম সাহেবের। যদিও এই ঘটনাটি অনেক বছর আগের। আশা করি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
আপনার লেখা এই পোস্টটা অনেক সুন্দর ছিল। আমার কাছে তো শেষের দিকটা পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। আর শেষের অংশটা পড়ে আমি হাসতে হাসতে একেবারে শেষ। আবুল কালাম মিয়া দেখছি একেবারেই আবুল রয়ে গিয়েছে। লোকটা আসলেই অনেক মজার একটা মানুষ। তবে ওনার চাচা দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার কথাটা আরো বেশি হাস্যকর ছিল। অনেক বছর আগের একটা ঘটনা আপনি আমাদের মাঝে এত সুন্দর করে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লেগেছে।
আমার পোস্টে পড়ে আপনি সত্যি চমৎকার মন্তব্য করেছেন। আসলে লোকটির কথা শুনলে এমনিতে হাসি আসে।
https://x.com/Jamal7183151345/status/1837780860096872675?t=eF68gOP7zN3UO_EQHeJqUg&s=19
চাচা মিয়া অজ্ঞান হয়ে রাস্তায় পড়ে গেলেও টোটাল বিষয়টা বেশ হাস্যকরই বলতে হবে। শুধু মাত্র দাওয়াত খাওয়া থেকে বাচতে চাচার যে প্রয়াস তাতে তার আবুল নাম করন সার্থক বলেই মনে হচ্ছে।
ধন্যবাদ বাস্তব একটা গল্প শেয়ার করার জন্যে।
আসলে লোকটির নাম আবুল তার কাজগুলো আবুলের মত হয়। ভালো লাগলো আপনার চমৎকার মন্তব্য শুনে।
আপনার শেয়ার করা গল্পটি পড়ে বেশ মজা পেলাম ভাইয়া। আবুল কালাম মিয়া তার চাচাকে বড় লাঠি দিয়ে মারার বিষয়টি বেশ ভালো লেগেছে। গল্পটি থেকে একটু শেখানোর আছে আবার হাসির ও আছে। আবুল কালাম মিয়া তার চাচাকে দাওয়াত দিয়েছিল কিন্তু আসেনি তাই তার মনে হয় অনেক রাগ হয়ে গিয়েছিল। যাইহোক খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া গল্পটি পড়ে ধন্যবাদ।
আসলে পরিবারের দ্বন্দ্বের কারণে তার চাচা তার দাওয়াত গ্রহণ করল না। ভালো লাগলো আপনার সুন্দর মন্তব্য শুনে।
আপনার গল্পটি তো পড়ে বেশ ভালই লাগলো। ভাতিজা চাচাকে দাওয়াত করলেন দুপুরে খাওয়া দাওয়া করতে। আর তার চাচা দাওয়াত না খাওয়ার জন্য চলে যাচ্ছে বাজারে। তবে আমার কাছে মনে হয় গরমের কারণে তার চাচা রাস্তার উপর অজ্ঞান হয়ে পড়েছে। তবে মজার বিষয় হচ্ছে ভাতিজা আবুল কালাম মিয়া লাঠি নিয়ে তাকে মারতে যাচ্ছে। আর সেই ভয়ে চাচা ওখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে গেল। ঘটনাটি অনেক বছর আগের হলেও শুনতে এবং পড়তে বেশ ভালই লাগলো।
ব্যাপারটা তো দেখছি আসলেই বেশ মজার। চাচা ভাতিজার কাহিনী শুনে তো আমি হাসতে হাসতে একেবারে শেষ। তবে আবুল হচ্ছে বোকা টাইপের লোক। তাইতো তার বাড়িতে দাওয়াত খেতে না যাওয়ায়, লাঠি নিয়ে চাচাকে মারতে গিয়েছিল। যাইহোক গল্পটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।