বাবার কষ্ট।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে বাস্তব একটি ঘটনা শেয়ার করব। ঘটনাটি হচ্ছে আমাদের পাশে এলাকা একটি ঘটনা। একটি মানুষকে আমি অনেক ছোটকাল থেকে চিনি লোকটির নাম হচ্ছে নুর নবী। কারণ নবী ভাই ছোটকাল থেকে মাছের ব্যবসা করতেন। সে আমাদের এলাকায় মাছ বিক্রি করতে আমি ছোটকাল থেকে দেখেছি। লোকটির বাড়ি ছাড়া আর কোন জায়গা জমি নেই। লোকটি এখন একদম বৃদ্ধ হয়ে গেছে। নবী ভাইয়ের দুটি ছেলে আছে।
ছেলে দুইটিকে আমি চিনি। ছেলের দুটি আমার সাথে ওমান থাকতেন। বর্তমানেও ছেলে দুটি ওমানে আছেন। এবং ছেলে দুটি ও ওমানে ভালো চাকরিও করেন। আজকের দুপুর বেলা যখন আমি বাজারে যাচ্ছিলাম। তখন আমি একটি বয়স্ক লোকের অটো রিকশায় উঠি। প্রথমে আমি লোকটিকে ভালোভাবে খেয়াল করিনি। পরে যখন আমি বাজারে গেলাম তখন গাড়ি ভাড়া দেওয়ার সময় লোকটির কথার আওয়াজ আমার কাছে পরিচিত মনে হল। তখন লোকটিকে আমি জিজ্ঞেস করলাম আপনি নবী ভাই না। কারণ লোকটিকে আমি বিদেশ যাওয়ার আগে দেখেছি। প্রায় দশ বছর আগে।
লোকটি উত্তর দিল হ্যাঁ আমি নবী ভাই। তখন নবী ভাইকে আমার পরিচয় দিলাম এবং তাকে হোটেলের ডাকলাম নাস্তা খাওয়ার জন্য। প্রথম সে বলতে লাগলো নাস্তা খাবে না। তারপর আমি জোরাজোরি করার পর আমার সাথে বসে নাস্তা খেলেন। তখন আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম আপনি এই বয়সে কেন গাড়ি চালাচ্ছেন। আপনার দুটি ছেলে ওমান আছে। এবং আমি আপনার ছেলে দুটিকে চিনি। তারা আমার পাশের বিলাতে ছিলেন। তারাতো ভালো চাকরি করে এবং ভালো টাকাও পায়।
এবং ছেলে দুটির সাথে আমার ওখানে কথা হয়েছে। ওরাতো আপনাকে এবং আপনার ওয়াইফ কে সম্পূর্ণ দেখাশুনা করে। তখন নবী ভাই হাউমাউ করে কেঁদে দিলেন। এবং বলতে লাগলো দুটি ছেলে আমার বিদেশ আছে কিন্তু কখনো তারা আমার জন্য ১০০ টাকাও দেয় না। ছেলে দুটি বউ এবং বাচ্চা নিয়ে আলাগ হয়ে গেছে। এখন আমি আর আমার ওয়াইফ বাড়িতে আছি। আমি গাড়ি চালিয়ে যা কয় টাকা পাই তা দিয়ে আমি আর আমার ওয়াইফ চলি। এবং নবী ভাই বলতে লাগলো তার ছেলে দুটি বিগত ১০ বছর ধরে ওমানে আছে।
কখনো তাদের জন্য কিছু পাঠাই না এবং কলও করে না। এবং নবী ভাই বলতে লাগলো আমি বয়স্ক বিদায় আমার অটো রিক্সায় কোন লোক উঠতে চাই না। পেসিদার মনে করে আমি বয়স্ক লোক কোথাও এক্সিডেন্ট করলে। এই কারণে আমি ঠিকমত বাড়াও পাই না। আসলে লোকটির কথা শুনে আমার নিজেরও চোখে পানি চলে আসলো। এই বয়সে নবী ভাই এবং তার ওয়াইফকে ছেলে দুটি দেখাশোনা করতেছে না। অথচ দুই মুঠো ভাতের জন্য তারা কত কষ্ট করতেছে।
সত্যি বলতে নবী ভাইয়ের কথাগুলো শুনে অনেক খারাপ লাগলো আমার কাছে। তাই আজকে আমি তার জীবন কাহিনী আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আসলে সমাজে এমন লোক অনেক আছে যারা বৃদ্ধ মা বাবার দেখাশোনা করে না। এই হলো বাবার কষ্ট।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক খারাপ লাগলো। নূরনবী ভাই এই বয়সে অটো রিক্সা চালাচ্ছে। অথচ তার দুটি সন্তান ওমানে ভালো চাকরি করে। আপনি যখন ছোট ছিলেন তখন সে আপনাদের এলাকায় এসে মাছ বিক্রি করতেন। এবং সে অনেক কষ্ট করে তার ছেলে দুটি মানুষ করেছে। অথচ এখন ছেলেদের টাকা আছে কিন্তু মা-বাবার খোঁজ নেয় না এবং তাদেরকে টাকা-পয়সার দেইনি। তবে আমার মতে এরকম ছিলেন থাকার চেয়ে না থাকা ভালো। সত্যি নবী ভাইয়ের জন্য কষ্ট হচ্ছে এই বয়সের কারণে প্যাসেঞ্জার তার গাড়িতে ওঠে না।
আমি যখন ছোট ছিলাম নবী ভাই আমাদের এলাকাতে মাছ বিক্রি করতেন। এই ছেলেগুলোকে অনেক কষ্ট করে সে মানুষ করেছে। আপনার মন্তব্য শুনে ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/Jamal7183151345/status/1658141754925912066?s=20
এরকম ঘটনা গুলো আমাদের আশপাশে অহরহই হচ্ছে।বাবার কষ্ট এই গল্পটি পড়ে আমার কাছে খুবই খারাপ লেগেছে। মা-বাবা কত কষ্ট করে সন্তানদের লালন পালন করে কিন্তু সেই সন্তানে যদি মা-বাবাকে বৃদ্ধ বয়সে না দেখে তাহলে এর চেয়ে কষ্ট মনে হয় আর কিছুই নেই। আপনার নবী ভাইয়ের দুটি ছেলে ওমান থাকা সত্ত্বেও এক মুঠো ভাতের জন্য সে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে এবং বৃদ্ধ হওয়ার কারণে তার রিক্সায় কেউ উঠতেও চায়না। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। যাই হোক এরকম একটি বাস্তব ঘটনা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন নবী ভাই এই বয়সে দুই মুঠো ভাতের জন্য রিক্সা চালাচ্ছে। আপনি অনেক সুন্দর করে মন্তব্য করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া সত্যি একটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে আপনি আজ বাবার কষ্টনামে গল্পটি শেয়ার করলেন।সত্যি ই খুব খারাপ লাগলো। আমাদের সমাজে এমন ঘটনা আমরা অহড়হই হতে দেখি।ছেলেমেয়েকে শিক্ষিত করা হলেও মানবিক শিক্ষা তাদের দেওয়া হয়নি।এই শিক্ষার কি দাম আছে, যে সন্তান তার মা-বাবাকে দেখে না।খুবই কষ্টকর ঘটনা শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে বাস্তবিক এই ঘটনাটি শেয়ার করার জন্য।
মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো।
কিছু কিছু ছেলেরা আছে যে বড় হয়ে মানুষ হয় না। তারা কিভাবে পারে যে জন্মগত পিতা-মাতাকে এভাবে ফেলে দিতে। এমন অমানুষ ছেলেদের জন্যই কিছু কিছু বাবাকে এই বৃদ্ধ বয়সে এসেও কাজ করতে হয়। বৃদ্ধ জন্য লোকটির রিক্সায় কেউ ওঠে না জেনে খুব খারাপ লাগলো। দুই ছেলে মিলে অল্প কিছু টাকা পাঠালেই তো বৃদ্ধ বাবা মা এর আরামে থাকতে পারে। এদের মনুষ্যত্বের যে কি হয় আল্লাই জানে।
ঠিক বলেছেন আপু দুই ছেলে মিলে অল্প টাকা দিলেও মা-বাবা খুব সুন্দর করে জীবন যাপন করতে পারতো। আপনার মন্তব্য শুনে ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
ভাইয়া, আপনার এই পোষ্টটি পড়ে নুর নবী ভাইয়ের দুঃখের কথাগুলো শুনে আমার মনটা খুবই খারাপ হয়ে গেল। আসলে আপন ছেলেরা যদি বাবা-মায়ের সাথে এমন বিরূপ আচরণ করে, তাহলে সেই বাবা-মায়ের শেষ পর্যন্ত কষ্ট করেই টিকে থাকার চেষ্টা করতে হয়। নুর নবীর ভাইয়ের দুই ছেলে যদি ওমান থেকে তার বাবার জন্য টাকা পাঠাতো, তাহলে হয়তো নূর নবীর শেষ বয়সে এসে এত কষ্ট করতে হতো না। আমাদের সকলের উচিত আমাদের পিতা মাতাকে যথার্থ সম্মান দেওয়া এবং তাদের ভরণ-পোষণ করা।
ঠিক বলেছেন আমরা সবাই মা-বাবাকে যথার্থ সম্মান দেওয়া উচিত। বৃদ্ধ বয়সে তাদের পাশে থাকা দরকার। আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।