চাচাতো ভাইয়ের সাথে কেনাকাটার মুহূর্ত।

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আমি আজকে একটি লেখার পোস্ট এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে অথবা কোথাও ঘুরতে গেলে ওইসব বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখতে অনেক ভালো লাগে। বেশিরভাগ সুন্দর মুহূর্ত গুলোর পোস্ট পড়তে এবং লিখতে অনেক ভালো লাগে। সব সময় চেষ্টা করি আমার সুন্দর মুহূর্তের অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ঘুরতে গেলে নিজে মনটাও ফ্রেশ থাকে। তাই সবসময় চেষ্টা করি কোথাও ঘুরতে যাওয়ার হাসিখুশির মুহূর্তটা আপনাদের মাঝেও শেয়ার করার জন্য। আশা করি আপনাদেরও পোস্টটি অনেক ভালো লাগবে।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব চাচাতো ভাইয়ের সাথে টলি ব্যাগ এবং হাত ব্যাগ কেনার মুহূর্ত। আমার চাচাতো ভাই রফিক কিছুদিন আগে বিদেশ থেকে আসলেন। মূলত সেই জন্মের পর থেকে আমেরিকাতে সপরিবারে বসবাস করে। কিছুদিন আগে রফিক বাড়িতে আসলো। তার সারাক্ষণ চলাফেরা আমার সাথে। এবং সে আমার সমবয়সীয়। আমার থেকে মাত্র তিন মাসের ছোট। বিদেশ থেকে আসার পর তার মা আমাকে কল করেও বললেন। তাকে একটু এদিক ওদিক ঘুরানোর জন্য নিয়ে যাওয়ার জন্য। আমিও যতটুক সময় পাই তাকে সময় দেওয়ার চেষ্টা করি।

গত শুক্রবার রফিক আর আমি দুজন ফেনীতে গেলাম। মূলত বিকেল বেলা একটু ঘুরাঘুরির জন্য এবং কিছু কেনাকাটাও করবে। আমরা দুপুর বেলা খাওয়া খেয়ে বাড়ি থেকে বের হলাম। এরপর অনেকক্ষণ ঘুরে কেনাকাটা করার জন্য মার্কেটে গেলাম। যখন রফিক আমাকে বলল একটি টলি ব্যাগ হাত ব্যাগ আর এমনি ব্যাগ নেবে। আমরা কয়েকটি দোকান প্রথমে ঘুরে ঘুরে ব্যাগ গুলো দেখলাম। এরপর একটি দোকানে গিয়ে প্রথম লাল ব্যাগটি দেখে কথা বললাম। লাল টলি ব্যাগ টি পছন্দ করলাম। এরপর দোকানদার কে ওই ব্যাগের দাম জিজ্ঞেস করলাম।

দোকানদার আমাদের কাছে বারোশো টাকা দাম চাইলো। এরপর আমরা ওই ট্রলি ব্যাগ দাম করে ৮০০ টাকা দিয়ে নিলাম। যদিও আমার চাচাতো ভাই রফিক বাংলাদেশের সম্বন্ধে তেমন কিছুই জানেনা। সবকিছু আমি নিজে পছন্দ করে কেনাকাটা করলাম। ওই লাল টলি ব্যাগটি পছন্দ করলেন। এরপর আমরা অন্য দোকানে গিয়ে একটি হাতব্যাগ ও আরেকটি বড় ব্যাগ দেখলাম। হাত ব্যাগ আমাদের সাথে দরদাম করে মিলছে না। ওই হাত ব্যাগ আমাদের থেকে ৮০০ টাকা দাম চাইলো। পরে ওই ব্যাগ আমি মাত্র ৩০০ টাকা বললাম। অনেকক্ষণ কথাবার্তা বলার পর ৪৫০ টাকা দিয়ে ব্যাগটি কিনলাম।

এরপর আমরা প্লাস্টিকের মধ্যে ওই বড় ব্যাগটি দাম দান করতে লাগলাম। যদিও দোকানদার ওই ব্যাগের দাম আমাদের থেকে তেমন বেশি চাইলেন না। আমাদেরকে সিদা বললেন ৫০০ টাকা দিলে ওই ব্যাগ দিয়ে দেবে। এরপর আমরাও আর কথা না বাড়িয়ে ব্যাগটি নিয়ে নিলাম। ওই দোকানদারের থেকে আমরা দুটি ব্যাগ কিনেছি। এরপর টাকা দিয়ে আমরা দোকান থেকে বের হয়ে একটি রিক্সা নিয়ে সিএনজি স্থান চলে আসলাম। আমরা সিএনজি স্টানে এসে নাস্তা খেতে লাগলাম । এরপর আমরা একটা পছন্দ রেস্টুরেন্ট ঢুকে নাস্তা খেতে লাগলাম।

এমন সময় আমার চাচাতো ভাই বলতে লাগলো ওই মার্কেটটিতে সে আবার যাবে। তার আরো কিছু কেনাকাটা করতে হবে। মূলত সে এমেরিকাতে নেওয়ার জন্য। এরপর আমরা গিয়ে আরেকটি ছোট হাতের ব্যাগ কিনলাম। মূলত ছোট ব্যাগ পার্সোনাল কোন কিছু রাখার জন্য। এরপর আমরা আবার মার্কেট থেকে বাইর হয়ে গেলাম। তবে রিক্সা গুলোর মধ্যে ঘুরতে অনেক ভালো লাগে। এরপর আমরা কেনাকাটা শেষ করে আবার রিক্সা করে সিএনজি স্টানে চলে আসলাম। ওখান থেকে পরে একটি সিএনজি নিয়ে বাড়িতে আসলাম। আশা করি আমার কেনাকাটা মুহূর্ত পড়ে আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে। ভালো লাগলে অবশ্যই জানাবেন।