গল্প:- অতি অহংকার ভালো নয়।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করতেছি। আমাদের বাড়ির সামনে দোকানদারের গল্প। দোকানদার আমাদের পাশের বাড়ির। এবং দোকানদারের নাম হচ্ছে হারুন। হারুন ভাই অনেক বছর ধরে আমাদের এখানে দোকান করতেছে। বর্তমানে হারুন ভাইয়ের দুটি ছেলে একটি মেয়ে আছে। হারুন ভাই যখন একদম ছোট ছিলেন মাত্র দুই বছর বয়স ছিল তখন তার মা মারা গেল। এর কয়েক মাস পর তার বাবার নতুন করে বিয়ে করলেন। হারুন ভাই খুব শান্ত শিষ্ট লোক ছিলেন। তবে তার দ্বিতীয় মাও তাকে অনেক আদর করতেন। এবং তার বাবা অনেক ভালো মানুষ ছিল।
হারুন ভাইয়ের বয়স যখন দশ বছর হয়েছে তখন সে চট্টগ্রাম চলে যান। দুই তিন বছর পর মাঝেমধ্যে বাড়িতে আসতেন। তার বাবা অনেক সাইতেন বাড়িতে থাকার জন্য এবং পড়ালেখা করা জন্য। কিন্তু হারুন ভাই পড়ালেখা করে নাই এবং চট্টগ্রাম ওখানেই থাকতেন এবং ওখানে বড় হলেন। যখন তার বাবা মারা গেল তখন বাড়িতে আসলেন। কখনো তার বাবাকে সে টাকা দেয় নাই খরচ করার জন্য। তার বাবা পরে যেখানে বিয়ে করলেন ওখানে একটি ভাই একটি বোন ছিল। তাঁদেরকে ও দেখাশোনা করতেন না। বিগত কয়েক মাস আগে সে দোকানে বসে আমাদের সাথে খুব মজা করে বলতেছে।
বলতেছে হারুন ভাই মা-বাবার অভিশাপ এর কারণে আজ আমি এ পর্যন্ত আসলাম। তখন খোদ আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম। কি কারনে আপনার মা-বাবা আপনাকে অভিশাপ দিয়েছে। সে আমাদেরকে বলতে লাগলো ছোট কালে মা মারা গেছে তাকে কখনো আমি এক টাকা চকলেট ও খাওয়াতে পারি নাই। আমার বাবা ছিল কিন্তু আমি চট্টগ্রাম ছিলাম। তবে কখনো আমি তার জন্য ১০০ টাকাও পাঠাইনি। এই কারণে তারা তো কখনো আমার জন্য দোয়া করবে না। বরং তারা আমাকে অভিশাপ দিয়েছে। এবং তারা অভিশাপ দেওয়ার পরও আমি আজকে অনেক ভালো অবস্থায় আছি।
আমি যখন গ্রামে আসলাম তখন আমার কাছে মাত্র 2000 টাকা ছিল। এই 2000 টাকা দিয়ে ব্যবসা করে আজ আমি অনেক টাকার মালিক হয়েছে। তখন আমি আর আমার চাচাতো ভাই তাকে বললাম মা-বাবা কখনো সন্তানকে অভিশাপ দেয় না। তারা আপনার জন্য দোয়াই করেছে। ও আবারো আমাদেরকে বলতেছে তারা আমাকে অভিশাপ দিয়েছে দোয়া করে নাই। কারন আমার বাবা আমাকে অনেক গালাগালি করেছে আমি তাকে টাকা দিতাম না তাই। তোমরা আমার বাবার সম্পর্কে জানো না। বরং এগুলো বলতে বলতে এবং হাসতে হাসতে বলতেছে । এরপর আমরা আমাদের বাড়ির দিকে চলে আসলাম।
যখন সকালবেলা হল তখন বাড়িতে ছোট ছেলেগুলো বলতে লাগলো হারুন ভাইয়ের দোকান রাত্রে চুরি হয়েছে। সবকিছু করে নিয়ে গেছে চোরে কিছুই রাখে নাই। রাত্রে সে অনেক বড় মুখ করে বলতেছে মা-বাপের অভিশাপের কারণে এতটুকু আসলো। অথচ রাতের মধ্যে তার দোকান সম্পূর্ণ চুরি হয়ে গেল। সকালবেলা আমরা দোকানে গিয়ে দেখতে পেলাম চোর তার সব নিয়ে গেছে। এরপর আমি তাকে বলতেছি মা-বাবার অভিশাপের কারণে আজকে চোরে সব নিয়ে গেল আপনার।
এই কথা আমি আর আমার চাচাতো ভাই তাকে বললাম। এরপর হারুন ভাই আমাদের উপর অনেক গরম হয়ে গেল। পরে দোকানে আরো কয়েকজন লোক ছিল তারা বলতেছে কালকে রাত্রে সেই এভাবে তার মা-বাবাকে নিয়ে কথা বলেছে। তখন সবাই বলতেছে এত অহংকার করে বলা ও ঠিক হয় নাই। তার মা-বাবা তার জন্য দোয়া করেছে নাকি অভিশাপ দিয়েছে সে কিভাবে বলেছে। সত্যি লোকটির জন্য অনেক মায়া হল। এক রাতে তার টাকা পয়সা এবং দোকানের সব সমান করে নিয়ে গেল। এই হচ্ছে অতি অহংকার ভালো নয়।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
আসলে অহংকার করা আমাদের একদমই ঠিক নয়। অহংকার পতনের মূল। আপনার হারুন ভাইয়ের বেলা তো ও তাই হয়েছে। আপনার পুরো গল্পটি পড়ে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। তবে আপনার হারুন ভাইয়ের জন্য একটু খারাপ লেগেছে। এত সুন্দর একটি বাস্তবিক গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
অহংকার করা একদম ভালো নই কথাটি একদম ঠিক বলেছেন। সুন্দর মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/Jamal7183151345/status/1677336555940384768?s=20
একটি প্রবাদ রয়েছে অহংকার পতনের মূল আসলে এটি বাস্তব। কারণ যে বেশি অহংকার করবে তার পতন অবশ্যই একদিন না একদিন হবে। যাই হোক অনেক বাস্তবিক একটি বিষয় আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ ।
সুন্দর মন্তব্য করাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
বলা হয়ে থাকে অহংকার পতনের মূল। কোন বিষয় নিয়ে অহংকার করা কখনো উচিত নয়। আমাদের সমাজে দেখা যায় অনেকে অহংকার করা থাকে। আপনার পোস্ট পড়ে খুব ভালো লাগলো। বাস্তব বিষয় আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপনার চমৎকার মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো। তাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
হারুন ভাই দোকানে বসে তাহলে অহংকার করে বলেছে মা-বাবার অভিশাপে এতোটুকু এসেছে। মা-বাবা কখনো ছেলেমেয়েদেরকে অভিশাপ দেয় না। হয়তো তার ব্যর্থতা সে মা-বাবা সেবা করতে পারে নাই। যদিও ছোটকালে তার মা মারা গেছে। সন্তান হিসেবে সেই বাবাকে টাকা পয়সা দেওয়া দরকার ছিল। তবে হারুন ভাইয়ের জন্য খারাপ লাগলো এত টাকার দোকান এক রাতে চুরি করে চোরে সব নিয়ে গেল। বাস্তব একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন মা-বাবা কখনো মুখ দিয়ে সন্তানকে অভিশাপ দেই না। আসলে হারুন ভাই কথাগুলো বোয়াই করে বলেছে। চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে মানুষ অহংকার করার সময় একটু বেশি করে পেলে। যার জন্য মানুষ অনেক খারাপ পরিস্থিতিতে পড়ে যায়। রাতের বেলায় হারুন ভাই অনেক অহংকার করে তার বাবা-মায়ের সম্পর্কে অনেক কিছুই বলেছে। আর সকালবেলায় তার দোকান এর সব মাল এবং টাকা পয়সা চোর নিয়ে গিয়েছে। যদিও তার দোকানের চুরির কথা শুনে খারাপ লেগেছে, কিন্তু তার একটা শাস্তি হয়েছে বেশি অহংকার করার কারণে। আমাদের কারোরই উচিত না অতি অহংকার করা।
হ্যাঁ রাতের বেলা অহংকার করে সে মা-বাবার কথা অনেক কিছুই বলে ফেলেছে। এবং সেই রাতে তার দোকান চুরি হয়েছে। সুন্দর মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যে অনেক বেশি অহংকার কাজ করে। আর তারা অহংকার করার সময় একটু বেশি অহংকার করে থাকি। আর এরকম অতি অহংকার করা একেবারেই উচিত নয় আমাদের কারোই। হারুন ভাই নিজের বাবা-মাকে নিয়ে অনেক বেশি অহংকার করেছিল, তিনি একেবারে গ্যারান্টি দিয়ে বলেছিলেন ওনার মা-বাবা ওনাকে অভিশাপ দিয়েছে। কারোই কোন কিছু গ্যারান্টি দিয়ে বলা উচিত না, তাও আবার এত বেশি অহংকার করে।
আসলে অতিরিক্ত কিছু করা বা বলা ভালো নাই। আপনার চমৎকার মন্তব্য শুনে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। তাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আসলে দোকানে ব্যবসা করার ফলে হারুনের বেশ টাকা-পয়সা হয়ে গিয়েছিল, তাই তার মনে এক ধরনের অহংকারের সৃষ্টি হয়েছিল। আর এই অহংকার এর ফলে সে তার বাবা-মা সম্পর্কে নেগেটিভ ধারণা করেছিল। তবে অহংকার যে পতনের মূল সেটা এক রাত্রের মধ্যেই প্রমাণ হয়ে গেছে। যদিও কারো জিনিসপত্র চুরি হয়ে যাওয়াটা ভালো কাজ নয়। তারপরও বলবো এভাবে অহংকার করে নিজের আপন বাবাকে ও মাকে অপমান করা কোন সন্তানের জন্য ঠিক নয়। বাস্তব একটি ঘটনা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে কারো ক্ষতি বা চুরি করা একদম ভালো না। আপনার সুন্দর মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো তাই ধন্যবাদ আপনাকে।