জেনারেল রাইটিং:-কিছু মানুষের মরণ আছে যেটা মেনে নেওয়া যায় না।
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আমি আজকে একটি লেখার পোস্ট এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে। আমাদের চারপাশে এবং বাস্তবে কিছু শিক্ষনীয় বিষয় ঘটে যেগুলো আমাদেরকে অনেক কিছু শিক্ষা দেয়। আমাদের সবার উচিত ঐসব কিছু শিক্ষার বিষয় থেকে নিজেদেরও কিছু শিখা। আপনাদের সবাইকে দেখি এরকম বিভিন্ন রকম শিক্ষার বিষয় নিয়ে পোস্ট করতে। তাই আমিও চেষ্টা করতেছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষার বিষয় নিয়ে পোস্ট করার জন্য। আপনাদেরও আমার পোস্টে আশা করি খুবই ভালো ভালো লাগবে পড়ে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বাস্তব একটি ঘটনা। একজন লোক এক্সিডেন্ট হয়েছে ২২ তারিখে। আমি এবং আমাদের মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষক মিলে আমরা অফিসে কাজ করতেছি। হঠাৎ করে আমাদের শাহাবউদ্দিন স্যারের মোবাইলে কল আসলো তার বোনের হাসবেন্ড এক্সিডেন্ট করেছে। তখন সেই মোবাইলে জিজ্ঞেস করতেছে কিভাবে এক্সিডেন্ট করলো। এমন সময় মোবাইলের ওই পাশ থেকে বলতেছে বিয়ের গেট বানানোর সময় এক্সিডেন্ট করেছে।
এরপর শাহাব উদ্দিন স্যার আমার সাথে বসে কাজ করতেছে। এবং শাহাব উদ্দিন স্যার মনে করল হয়তোবা স্বাভাবিক কোন এক্সিডেন্ট হয়েছে। এর তিন থেকে চার মিনিট পর আবার মোবাইলে কল আসলো। তার বোনের হাজব্যান্ড এক্সিডেন্ট করে মারা গেল ওখানে পড়ে আছে। সাথে সাথে শাহাব উদ্দিন স্যার জিজ্ঞেস করতেছি কি বলেন। এবং আমি নিজে ও তাকে জিজ্ঞেস করতেছি কি হয়েছে।
এমন সময় শাহাব উদ্দিন স্যার আমাকে বলতেছে আমার বোনের হাজবেন্ড নাকি বিয়ের গেট বানানোর সময় পরে মারা গেল। যদিও লোকটি আমার পরিচিত। সাথে সাথে আমাদের মাদ্রাসার গাড়ি নিয়ে আমি নিজেও শাহাব উদ্দিন স্যারের সাথে গেলাম। আমাদের চৌধুরী হাটবাজারে একটি কমিটি সেন্টার আছে বিয়ের। এবং ওই কমিটি সেন্টারে সামনে একটি বিয়ের গেট আছে। ওই গেটের মধ্যে সেই কাপড় লাগাচ্ছে সাজানোর জন্য। আসলে কার মৃত্যু কিভাবে হয় কেউ জানে না।
দিনের সাড়ে ১১ টার দিকে যখন সেই বিয়ের গেটে কাজ করতেছে। সেই সাত থেকে আট হাত উপরে ছিল গেটের মধ্যে। তখন হঠাৎ করে গরমের কারণে তার মাথা চক্কর দিয়ে দিল। সাথে সাথে সে উপর থেকে নিচে পড়ে গেল। যদিও পড়ার সময় তার মাথাটি নিচে পড়েছে পাকা রাস্তার উপরে। সাথে সাথে তার মাথার ভিতর থেকে মগজ বের হয়ে গেল। এবং সাথে সাথে সেই লোকটি সেখানে মারা গেল।আসলে কিছুদিন ধরে অতিরিক্ত গরম পড়তেছে। এবং লোকটি গরিব বিধায় কাজ করতেছে। গরমের কারণে সেই নিচে পড়ে মারা গেল।
সত্যি আমি যখন নিজেও ওখানে গেলাম লোকটির বড়ি যেভাবে পড়ে রইল আমি নিজেও দেখেও ভয় পেয়ে গেলাম। শুধু একবার তাকিয়ে আর দ্বিতীয়বার ওইদিকে তাকালাম না। কারণ লোকটির মৃত্যু বরণ করার কারণে কেউ তার গায়ে আর হাত দিল না তুলার জন্য। কিছুক্ষণ পর থানা থেকে পুলিশ এসে এবং তাদের ফ্যামিলির লোক এসে নিয়ে গেল। আর এই লোকটির শরীর যেভাবে পড়ে রইল আমি সহজে ভুলতে পারবো না। আমার চোখের উপর তার শরীরটি যেন দেখা যাচ্ছে। আসলে এই গরমে টাকার জন্য জীবন দেওয়ার কোন দরকার নেই।
অতিরিক্ত গরমের কারণে এই লোকের আজকে এই বিপদ হল। এবং লোকটির ছোট দুটি বাচ্চার কথা শুনেছি শুনে খুব খারাপ লাগলো। আর অতিরিক্ত গরমের কারণে আজ লোকটির ফ্যামিলিতে অন্ধকার নেমে আসলো। সত্যি বলতে লোকটার জন্য আমার অনেক খারাপ লাগলো। কারণ এখন যে গরম পড়তেছে এই গরমে সবারই কমবেশি অনেক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। বিশেষ করে মানুষের কাজে কর্মে অনেকটাই অসুবিধা হচ্ছে। এই লোকটা যা হয়েছে আমি বলতে চাই সবাই খুব সতর্কভাবে থাকবে। যাতে এমনভাবে কোন পরিবার আর অসুবিধায় না পড়ে। পোস্টটা লিখতে গিয়ে অনেকটাই খারাপ লাগলো। যাই হোক আশা করি সবাই সতর্ক থাকবেন আর আমার পোস্টে আপনাদের ভালো লাগবে।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/Jamal7183151345/status/1783379486471585975?t=asuum846JHADr5e6jqpAYg&s=19
কখন যে কার কিভাবে মৃত্যু হয় কেউ জানে না ভাই। তবে এমন আকর্ষিক মৃত্যু গুলো সত্যি মেনে নেওয়া যায় না। প্রচন্ড রোদ গরমের কারণে ঠিক এমন ঘটনা প্রায় ঘটছে আর অসংখ্য মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এই মুহূর্তে নিজেদের সচেতন থাকতে হবে পাশাপাশি নিজেদের আপনজনদের সজাগ রাখতে হবে এই বিষয়ে। আপনার পোস্ট পরিবেশ নিজের দিক থেকেও সজাগ হয়ে গেলাম।
এটি একদম ঠিক বলেছেন কখন যে কার কিভাবে মৃত্যু হয় কেউ জানে না। আপনার মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো।
এই প্রচন্ড গরমে অনেক মানুষ রোদের তাপমাত্রা সহ্য না করতে পেরে মারা যাচ্ছে। তার থেকেও বড় কথা হচ্ছে কখন যে কার মৃত্যু হয় বলা যায় না। আপনার বোনের হাজব্যান্ড বিয়ের গেট বানানোর জন্য ৭ থেকে ৮ হাত উঁচুতে উঠেছিল সেখানে গিয়ে রোদের তাপমাত্রা সহ্য না করতে পেরে মাথা ঘুরে পরে মারা গেছে। বিষয়টা সত্যিই অনেক দুঃখজনক। আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত এই রোদ গরমে সতর্ক থাকা ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু আমার বোনের হাজবেন্ড না। আমাদের মাদ্রাসায় শাহাব উদ্দিন স্যারের বোনের হাসবেন্ড। যাইহোক মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক খারাপ লাগলো। কারণ এরকম মৃত্যু কেউ আশা করে না। আপনাদের মাদ্রাসার সাহাব উদ্দিন স্যারের বোনের হাজব্যান্ড কাজ করতে গিয়ে গরমের কারণে উপর থেকে পড়ে মারা গেল। যদিও মৃত্যুর উপর কারো হাত থাকে না। আর এই গরমে আসলে সবাই একটু সাবধান থাকা দরকার। অতিরিক্ত গরমের সময় বাহিরে কাজ করা একদম উচিত না। যাইহোক পোস্টটি করেছেন ভালো হয়েছে আমরা অনেকেই একটু সচেতন হতে পারলাম।
কথাটি ঠিক বলেছেন এই গরমে সবাইকে একটু সাবধানে থাকা দরকার। সময় এবং টাকার চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি। ভালো থাকবেন।
আসলে কার মৃত্যু কোথায় কিভাবে লেখা আছে আমরা কেউ জানিনা। যে গরম পড়ছে গরমের তাপমাত্রা সহ্য করতে না পেরে হয়তো মাথা ঘুরিয়ে পড়ে গিয়েছিল। বিষয়টা আসলে খুবই দুঃখজনক। আমার নিজের ও খুব খারাপ লেগেছে। আল্লাহ পাক উনাকে জান্নাতে নসিব করুন। সচেতন মূলক একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলে আপু কিছুদিন এত গরম পড়তেছে যা বলার বাইরে। আপনার মন্তব্য শুনে সত্যি অনেক ভালো লাগলো।
আহারে কি মরন এরকম মরন যেন কোন শত্রুর ও না হয়। জন্ম,মৃত্যু, বিয়ে বিধির কলম দিয়ে এটা সত্যি কিন্তুু এরকম অকাল মৃত্যু মেনে নিতে ভীষণ কষ্ট হয়।কিছু কিছু মৃত্যু সারাজিবন চোখের সামনে আজীবন ভেসে থাকে এবং যতোবার মনে পড়ে ততবার কষ্ট হয়। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে আপু এরকম মৃত্যু গুলো কেউ কখনো কামনা করে না। এবং লোকটির মৃত্যুর কারণে তার ফ্যামিলির অনেক ক্ষতি হয়েছে। আর আপু সবাই সবার জন্য দোয়া করা দরকার।
আপনার এই পোস্টটি পড়ে একেবারে খারাপ লাগলো। আসলে এরকম ঘটনা কখনো মেনে নেওয়া যায় না। এখন যেভাবে গরম পড়ছে এর ফলে সকলেই অনেক অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। অসুস্থ হওয়ার ফলে অনেকে অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে এবং এর ফলে অনেকে মৃত্যুবরণ করছে। আপনার কাছ থেকে এরকম একটি ঘটনা পড়ে খুব খারাপ লাগলো৷ দোয়া করি আল্লাহ যেন উনাকে জান্নাতবাসী করেন৷