লাইফ স্টাইল :-ভাগ্নি সাদিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়ার মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আমি আজকে একটি লেখার পোস্ট এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে অথবা কোথাও ঘুরতে গেলে ওইসব বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখতে অনেক ভালো লাগে। বেশিরভাগ সুন্দর মুহূর্ত গুলোর পোস্ট পড়তে এবং লিখতে অনেক ভালো লাগে। সব সময় চেষ্টা করি আমার সুন্দর মুহূর্তের অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ঘুরতে গেলে নিজে মনটাও ফ্রেশ থাকে। তাই সবসময় চেষ্টা করি কোথাও ঘুরতে যাওয়ার হাসিখুশির মুহূর্তটা আপনাদের মাঝেও শেয়ার করার জন্য। আশা করি আপনাদেরও পোস্টটি অনেক ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব ভাগ্নি সাদিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে কাঁচি বিরিয়ানি খাওয়ার মুহূর্ত। পায় অনেকদিন আগে আমাদের ভাগ্নি আমাদেরকে হোটেলে কাচ্ছি বিরিয়ানি খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাদিয়া বলতে আমার ওয়াইফের বড় বোনের মেয়ে। তবে ভাগিনা ভাগিনা সবার বড় হচ্ছে সাদিয়া। এই কারণে সাদিয়াকে সবাই অনেক আদর করে। সাদিয়া জন্মদিন উপলক্ষে আমি আগে বলেছিলাম জন্মদিনে আমাদেরকে গিফট দিতে হবে। এই কারণে রকি ভাইকে একদিন মোবাইলে কল করে বলল বাজারে আসতে।
যদিও রকি ভাই ব্যস্ততার কারণে বাজারে যেতে রাজি হয় নাই। বলতেছে তার সময় নেই। তবে কি কারণে বাজারে যেতে বলেছে সেটি সাদিয়া বলে নাই। এরপর আমাকে মোবাইলে কল করে বলল বাজারে আসার জন্য। এবং বলেছে যেভাবেই হোক রকি মামাকে সাথে নিয়ে আসবেন। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম কি কারনে বাজারে যেতে হবে। এবং ভাগ্নি বলতেছে আসলে দেখা যাবে। এরপর আমি অনেক রিকোয়েস্ট করে রকি ভাইকে রাজি করিয়েছি। কারণ দাগনভূঞা বাজার আমাদের বাড়ি থেকে অনেক দূরে।
তারপর সন্ধ্যার পরে আমি আর রকি ভাই একসাথে বাজারে গেলাম একটি জায়গাতে। ওখানে সাদিয়া নিজেও আসলো। তারপর আমাদেরকে একটি হোটেলে নিয়ে গেল। এবং বলতেছে কি খাবে। আমরা যা খাইতে চাই আছে খাওয়াবে। যদি আমরা জিজ্ঞেস করলাম কি কারনে। এবং বলতেছে তার জন্মদিন উপলক্ষে। এরপর আমি আর রকি ভাই বললাম তুমি যা অর্ডার কর। এরপর সাদিয়া কাচ্চি বিরিয়ানি ওয়াটার করলেন। একসাথে আমরা বসে কাচ্চি বিরিয়ানি জন্য অপেক্ষা করতেছি।
আসলে অর্ডার দেওয়ার পর দশ মিনিটের মধ্যে আমাদের কাচ্চি বিরিয়ানি দিয়ে দিলেন দোকানদার। এরপর আমরা খুব মজা করে তিনজন মিলে কাচ্চি বিরিয়ানি খেলাম। আসলে একসাথে বসে কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়ার মজাই আলাদা। এবং সাদিয়া আরো বলতেছে কাউকে বলি নাই আপনারা মামা দু'জনকে টিট দিয়েছি। আসলে বাগদি সাদিয়ার আন্তরিকতা দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। কোথায় আমরা তাকে খাওয়াবো সে আমাদেরকে ও জন্মদিন উপলক্ষে বিরিয়ানি খাওয়াচ্ছে।
এরপর আমরা বিরিয়ানি খেতে খেতে ভালো-মন্দ সব জিজ্ঞেস করতেছি। তারপর বিরিয়ানি খাওয়ার পর আমরা টাকা দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু ভাগ্নি রাজি ছিল না। কারণ আমি আজকে পাটির পয়সা দেবো বলে আপনাদেরকে ডেকেছিল। সত্যি বলতে ঐদিন কাচ্চি বিরিয়ানি খেতে অনেক ভালো লাগলো। যদিও বিদেশের তুলনায় বাংলাদেশের বিরিয়ানি খুব কম দেয়। তারপর রকি ভাইয়া আর সাদিয়া চলে গেল আর আমিও একটি গাড়ি নিয়ে আমাদের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। যদিও আমার ওয়াইফ জানে না সাদিয়া জন্মদিন উপলক্ষে আমাদেরকে কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়ালো। আশা করি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/Jamal7183151345/status/1773995466583318816?t=1fuuV3KKYuz-tEyZjLOWNg&s=19
i dontknow bangla,but like to comment and vote to all bengalis
বাহ আপনারা দেখতেছি ভাগ্নি সাদিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে কাচ্চি বিরিয়ানি খেয়েছেন। তবে এটি দেখে ভালো লাগলো সাদিয়া তার মামা দুইজনকে বিরায়ানি খাওয়ালেন। তবে আন্টিদের বাদ দিয়ে দিলেন। আপনি দেখতেছি বিরায়ানির সাথে ভালো কাঁচা মরিচ ও খাচ্ছেন। তবে রকি ভাই ব্যস্ততার মাঝেও যাই হোক আপনার রিকোয়েস্টে বিরায়ানি খেতে গেলেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর করে পোস্টটি করার জন্য।
হ্যাঁ সাদিয়া মামা দুইজনকে কাচ্চি বিরায়ানী খাওয়ালো। আর আপনাদেরকে বাদ দিয়ে দিলেন।
আমি আপনার ভাগ্নিকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। তবে ফটোগ্রাফিতে দুই আপুকে দেখলে বেশ ভালো লাগতো। আপনারা দেখছি একা একাই বিরিয়ানি খেতে চলে এসেছিলেন। আপনার মরিচ খাওয়া দেখে তো আমি অবাক হয়ে গেলাম। যাইহোক বেশ ভালো লাগলো সুন্দর মুহূর্ত পড়ে। ধন্যবাদ ভাইয়া কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়ার সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
আসলে আপু মরিচ খাওয়া হচ্ছে আমার খুব প্রিয়। তাই যে কোন কিছুর সাথে একটু ঝাল খেতে চাই। আপনার মন্তব্য শুনে খুব ভালো লাগলো।