ভ্রমণ :- বাড়ির পাশে সবজি ক্ষেত ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করবো। আসলে ঘুরতে যেতে কমবেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর আমি মনে করি মাঝেমধ্যে ঘুরতে গেলে মন ফ্রেশ থাকে। সেই জন্য আমি চেষ্টা করি কাজের ফাঁকে মাঝেমধ্যে ঘুরতে যাওয়ার। তেমনি আজকেও আপনাদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার কিছুটা মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি শেয়ার করব বিভিন্ন ধরনের সবজি ক্ষেত ঘুরতে যাওয়ার মত। এখন শীতকালে এই কারণে প্রচুর ঠান্ডা পড়তেছে। এবং কৃষকেরা কাজ করতে তাদের অনেক সমস্যা হচ্ছে। সকালবেলা কোথাও বাহির হওয়া যায় না। এই কারণে বিকাল বেলা মাঝেমধ্যে ঘুরতে যাই। কিছুদিন আগে বিকেলবেলা আমি একটু ঘুরতে বাইরে যাব। চিন্তা করতেছি কোথায় যেতে পারি। এমন সময় আমার ওয়াইফ বলতেছে সে শসা খাবে। যদিও আমরা শশা কে এই দিকে খিরা বলে থাকি। তাই আমি চিন্তা করলাম আমাদের বাড়ির পিছনে বড় একটি চর আছে।
ওই চরের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করেছে অনেকে। তখন আমি বিকেল বেলা নামাজ পড়ে ওই দিকে চরের দিকে ঘুরতে গেলাম। ঘুরতে গিয়ে দেখি আমাদের মাইনুদ্দিন ভাই অনেক বড় জমির মধ্যে খিরা এবং বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করেছে। যদি আমি যাওয়ার সময় রাস্তার মধ্যে একটি রাস্তার ফটোগ্রাফি করি। এরপর আমি ওই চিড়া খেতে গেলাম এবং মাইনুদ্দিন ভাইয়ের সাথে কথা বলতে লাগলাম। কারণ মাইনুদ্দিন ভাই আমাদের সাথে ছোটকালে একসাথে পড়ালেখা করেছে। যদিও সে বয়সে একটু আমাদের বড় আমাদের পাশের বাড়ির লোক।
এরপর আমি তার সাথে আরো কতক্ষণ বসে কথা বলতেছি এবং তার খিরা এবং সবজি কেমন তা নিয়ে কথা বলতেছি। কিছুক্ষণ পর দেখতেছি আমার চাচাতো ভাই তৌহিদ ওদিকে ঘুরতে গেল। এরপর আমরা মাইনুদ্দিন ভাই থেকে তিন কিলো খিরা কিনে নিলাম। যদিও খিরা গুলো ওই সময় মাইনুদ্দিন ভাই জমি থেকে তুলে দিলেন। এরপর আমি আর আমার চাচাতো ভাই বসে অনেকক্ষণ খিরা খেলাম। যদিও দুইজনে মিলে ফ্রাই এক কিলো মতো খিরা খেলাম। এরপর মইনুদ্দিন ভাইয়ের সাথে আরো অনেক কিছু কথা বলতে লাগলাম।
এবং সে বলতেছে সে বিভিন্ন ধরনের সবজি এবং আঁখ চাষ করেছে। এবং সে বলতেছে সে সারাক্ষণ বিভিন্ন ধরনের সবজি নিয়ে জমিতে কাজ করে। এবং বর্তমানে যে সব সবজি চারা রোপন করেছে সেগুলো সরকারিভাবে পেয়েছে। ওই সময় সে একটি জমি মধ্যে রাস ব্যবহার করতেছে। রাস বলতে মেডিসিন কে বোঝানো হয়। এবং আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম কি কারনে এই মেডিসিন ব্যবহার করা হচ্ছে। বলতেছে পোকামাকড় আর ফসল নষ্ট করবে না। এ কথা আমাদেরকে মাইনুদ্দিন ভাই বলতেছে।
এরপর সে আরো বলতেছে এখানে অনেকগুলো জায়গা সে লিস্ট নিয়েছে জমির মালিক থেকে। এবং বছর বছর টাকা দেই। এরপর আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম বর্তমানে খিরা কেমন পেতেছেন। বলতেছি খিরা কম তবে দাম অনেক বেশি। আমরা তিন কিলো খিরার দাম তাকে দেড়শো টাকা দিলাম। এবং সে বলতেছে ফ্রাই অনেক লোক জমিতে এসে খিরা কিনে নিচ্ছে। এবং বলতেছে আলহামদুলিল্লাহ এভাবে কিছুদিন যদি দাম থাকে তাহলে অল্প দিনের মধ্যে তার সব পুঁজি চলে আসবে। আসলে মাইনুদ্দিন ভাইয়ের সাথে কথা বলে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। এই হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের সবজি ক্ষেত ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত। আশা করি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
device : Huawei
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/Jamal7183151345/status/1746073470759551277?t=SC7vIAlXC18ujUVv__-Lig&s=19
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন বাড়ির পাশে সবজি ক্ষেত ভ্রমন। সবজিগুলো দেখে খুবই ভালো লাগছে। দারুন ভাবে মনে হচ্ছে সবজি চাষ করছেন ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপনার সুন্দর মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো। তাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
তুমি বাড়ির পাশে মাইনুদ্দিন ভাইয়ের সবজি ক্ষেত ভ্রমণ করেছো। আমি নিজেও শুনেছি মাইনুদ্দিন ভাই বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করে। এবং তোমাদের বাড়িতে তার ছেলে মেয়ে সবজি এনে বিক্রি করে। দেখতেছি খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছো মাঈনউদ্দিন ভাইয়ের সবজি বাগানে ঘুরতে গিয়ে। তবে ঘুরতে গিয়ে ভালই করেছ আমাদের জন্য খিরা নিয়ে আসলে খাওয়ার জন্য। যাইহোক ঐদিন যদি আমাকে বলতে আমিও যেতাম তার সবজি ক্ষেত দেখার জন্য। অনেক সুন্দর করে পোস্টটি করেছো তাই ধন্যবাদ তোমাকে।
সামনে একদিন ঘুরতে গেলে তোমাকে নিয়ে যাব। তোমার সুন্দর মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো তাই ধন্যবাদ।
আমরা শসা ও খিরুইকে আলাদা বলি।কেননা দুটি দেখতেও আলাদা রকমের।যাইহোক আপনার স্ত্রীর কথায় আপনারা সবজি ক্ষেত পরিদর্শনে গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।আসলেই জিনিসপত্র খুবই দাম বেশি।ধন্যবাদ ভাইয়া।
বর্তমান সময়ে সবকিছুর দাম একটু বেশি। আপনার অসাধারণ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
মাঠে গিয়ে এরকম সবজি কেনা সত্যি অনেক আনন্দের হয়। আপনার কাছ থেকে তিন কেজি খিরার দাম ১৫০ টাকা নিয়েছিল, তাহলে তো ঠিকঠাক দামই নিয়েছিল ভাই। আপনি এবং আপনার চাচাতো ভাই সেখানে বসেই তিন কেজির এক কেজি খেয়ে নিয়েছিলেন জেনে অবাক হলাম। আপনাদের ওখানে কি সরকারিভাবে সবজির চারা বিতরণ করা হয় নাকি ভাই? যাইহোক, বাড়ির পাশের সবজি ক্ষেতে গিয়ে খিরাই কিনার পুরো ঘটনাটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো।
যাদের কাছে কৃষি কাজের কার্ড আছে তাদেরকে সরকারিভাবে সবকিছু দিয়ে থাকে চাষ করার জন্য। আপনার সুন্দর মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাদের দেশে কৃষি কাজের কার্ড আছে জেনে ভালো লাগলো। আমাদের দেশে এরকম কোন ব্যবস্থা আছে কিনা সেটা যদিও আমার জানা নেই ।
আসলে আমরাও শশা কে খিরা বলে থাকি আবার শশাও বলে থাকি। যাই হোক আপনার ওয়াইফ শশা খেতে চেয়েছিল যার জন্য আপনি বিকেল বেলায় হাঁটতে হাঁটতে শসা ক্ষেত এ গিয়েছিলাম শসা কিনতে জেনে ভালো লাগলো। যাইহোক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সবজি ক্ষেতে ঘোরাঘুরি নিয়েই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।