ভ্রমণ :- ছোট ফেনী কাঠের ব্রিজে ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি।
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করবো। আসলে ঘুরতে যেতে কমবেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর আমি মনে করি মাঝেমধ্যে ঘুরতে গেলে মন ফ্রেশ থাকে। সেই জন্য আমি চেষ্টা করি কাজের ফাঁকে মাঝেমধ্যে ঘুরতে যাওয়ার। তেমনি আজকেও আপনাদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার কিছুটা মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
ঈদের দুই দিন পর আমি আর আমার বন্ধু দুইজন ঘুরতে গেলাম ছোট নদী কাঠের ব্রিজ ঘুরতে গেলাম। মঞ্জু আমার ছোটকালের বন্ধু। আবার মনজুর মা আমার মা ছোট কালের বান্ধবী। এই কারণে আমরা স্কুল জীবন হতে কলেজ জীবন খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলাম। আমার বন্ধু যখন মঞ্জু আমাকে দোকানে বলতে লাগলো কোথাও ঘুরতে যাবে। তখন আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম কোথায় ঘুরতে যাবে। তখন আমার বন্ধু মঞ্জু বলতে লাগলো ছোট ফেনী কাঠের ব্রিজ দেখতে যাবে।
এরপর আমিও বললাম ঠিক আছে তাহলে চল ঘুরে আসি। এরপর আমি আমার বন্ধু মঞ্জু হেঁটে হেঁটে যাচ্ছিলাম কার্ডের ব্রিজ দেখার জন্য। ব্রিজটি আমাদের বাড়ি থেকে মোটামুটি একটু দূরে আছে। তবে আমরা দুই বন্ধু কথা বলতে বলতে ব্রিজ টি দেখতে গেলাম।ব্রিজ টি যতটুক কাছে মনে করলাম নিজেকে আমাদের অনেক কষ্ট হলো হেঁটে হেঁটে যেতে। প্রায় এক ঘন্টার উপরে হেঁটে আমরা ব্রিজটির কাছে গেলাম। তখন আমি রাস্তা থেকে কয়েকটা নদীর ফটোগ্রাফি করেছি।
এরপর আমরা দুজন ছোট ফেনী নদীর সামনে যেতে লাগলাম। তবে রাস্তাটি কাঁচা হওয়ার কারণে রাস্তার মধ্যে মাটির দুল অনেক ছিল। আর রাস্তা দিয়ে রিকশা এবং গাড়ি অনেক ছিল। এরপর ১০ মিনিট হাঁটার পর ছোট ফেনী কাঠের ব্রিজের উপরে গেলাম। ঈদের কারণে মানুষজন অনেক ছিল। তবে নদীর মধ্যে ছোট ছোট নৌকা থাকার কারণে ছেলেমেয়েরা নদীতে ঘুরতেছে নৌকা করে । নদীর দুইপাশের দুটি ছোট ছোট দোকান আছে। এবং কাস্টমার এত বেশি যে বসার কোন জায়গা ছিল না দোকানের মধ্যে।
তবে দোকানগুলোর মধ্যে বিভিন্ন ধরেন নাস্তা ছিল। পাশে দিয়ে ছোট একটি ভ্যান গাড়ির মধ্যে ফুচকা এবং চটপটি ও বেচাকেনা হচ্ছে। সত্যি বলতে ছোট ফেনী কাঠের ব্রিজ দেখতে গিয়ে আমি অবাক হয়ে গেলাম। নদীর দুইপাশে এত মানুষ ছিল যা বলে বোঝা যাবে না। আমরা অনেকক্ষণ দাঁড়ানোর পর দোকানটির মধ্যে বসার জায়গা পেলাম। ওখানে আমরা হাতের নাস্তা খেলাম। তবে ওখানকার দোকানগুলোতে ভালো মানের চা পাওয়া যায়। খাঁটি গরুর দুধের চা বিক্রি করা হয়। আমি একসাথে বসে দুটি চা খেলাম।
এরপর আমি ওখান থেকে আরো কয়েকটি ফটোগ্রাফি করেছি। তারপর আমার বন্ধুকে বলতে লাগলাম এখন আমরা বাড়িতে চলে যাব। ঐদিন আমরা দুই বন্ধুর মিলে সত্যি ওখানে অনেকক্ষণ সময় ঘুরে ছিলাম। তারপর আমাদের পরিচিত একটি ড্রাইভার ছিল ওখানে। গাড়ি করে আমরা বাড়িতে চলে আসলাম। এই হল ঈদের দুই দিন পর বন্ধু মঞ্জুর সাথে ঘুরাঘুরি সময়।
device : Huawei
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/Jamal7183151345/status/1664321238670647296?s=20
https://twitter.com/Jamal7183151345/status/1664321238670647296?s=20
আপনি তো দেখতেছি আপনার ছোটকালের বন্ধু মঞ্জুকে নিয়ে ঈদের দুই দিন পর ঘুরতে গেলেন। তবে কাঠের ব্রিজটির কথার নাম অনেক শুনেছি। এখনো সামনে থেকে ওই ব্রিজ দেখার সৌভাগ্য হয়নি আমার। আসলে ছোট কালের বন্ধুদেরকে নিয়ে ঘুরতে যে গেলে অনেক ভালই লাগে। আপনার ফটোগ্রাফি দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেকক্ষণ সময় দিয়ে কাঠের ব্রিজ দেখলেন। আর আপনার ফটোগ্রাফির মধ্যে বোঝা যাচ্ছে ওই দিন ব্রিজ দেখতে অনেক লোক আসলো মনে হয়। আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
ঐদিন কাঠের ব্রিজ দেখার জন্য অনেক লোক আসলো। সুন্দর মন্তব্যর জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
এরকম কাঠের ব্রিজের উপর হাটাহাটি করার মজাই আলাদা। ঈদ উপলক্ষে কাঠের ব্রীজের উপর অনেক মানুষের আগমনী ঘটেছে। যাহোক ভাইয়া, ছোট ফেনী কাঠের ব্রিজে ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি গুলো খুবই চমৎকারভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো তাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।