লাইফ স্টাইল:-বন্ধু মাহিনের সাথে দেখা করতে যাওয়ার মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আমি আজকে একটি লেখার পোস্ট এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে অথবা কোথাও ঘুরতে গেলে ওইসব বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখতে অনেক ভালো লাগে। বেশিরভাগ সুন্দর মুহূর্ত গুলোর পোস্ট পড়তে এবং লিখতে অনেক ভালো লাগে। সব সময় চেষ্টা করি আমার সুন্দর মুহূর্তের অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ঘুরতে গেলে নিজে মনটাও ফ্রেশ থাকে। তাই সবসময় চেষ্টা করি কোথাও ঘুরতে যাওয়ার হাসিখুশির মুহূর্তটা আপনাদের মাঝেও শেয়ার করার জন্য। আশা করি আপনাদেরও পোস্টটি অনেক ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বন্ধু মাহিনের সাথে দেখা করতে যাওয়ার মুহূর্ত। বন্ধু মাহিন আমার ক্লোজ বন্ধু। যদিও বন্ধু মাহিন বয়সে আমার বড়। সে আমার ভাইয়ের বন্ধু ছিল। একসাথে চলার কারণে আমরা ফ্রি হয়ে গেলাম। এবং আমি আর মাহিন একই এলাকার। মাহিন প্রথম আমার ভাইয়ের বন্ধু ছিল। আমার ভাই মারা যাবার পর থেকে আমার সাথে খুব ভালো সম্পর্ক হয়ে গেল। যদিও পড়ালেখা আমরা একসাথে করেছিলাম ছোটকালে।
কিছুদিন আগে শুনেছিলাম মাহিন অনেক অসুস্থ ছিল। এরপর আমি চিন্তা করলাম মাহিন যখন বাড়িতে আসবে তার সাথে দেখা করতে যাব। কারণ সে অনেকদিন যাবত ঢাকায় ছিল তার চিকিৎসার কারণে। এই কারণে কালকে আমি তাকে দেখতে যাওয়ার চিন্তা-ভাবনা করেছিলাম সকালবেলা। কারণ সে এখন বাড়িতে আসলেন মোটামুটি একটু সুস্থ আছে বাড়িতে। যদিও আমি তার সাথে দেখা করার জন্য বিকেলবেলা গেলাম। এবং প্রথমে তাকে মোবাইলে কল করে জিজ্ঞেস করলাম কোথায় আছে।
এরপর সে আমাকে বলতেছে নদীর ধারে দোকানে বসে রইলো। আমি সাথে সাথে তার সাথে দেখা করার জন্য নদীর ধারে যাওয়ার জন্য রওনা দিলাম। কারণ আমাদের নদীর ধারে জায়গাটি অনেক সুন্দর। বিশেষ করে দোকান এবং সরকারি গাছপালা মানুষকে বেশি আকৃষ্ট করে। কিছুক্ষণের মধ্যে আমি দোকানে পৌঁছে গেলাম মাহিনের সাথে দেখা করার জন্য। দেখতেছি মাহিন তার ছেলে-মেয়ে দুটো নিয়ে বসে রইলো।
এরপর তার সাথে বসে কথা বলতে লাগলাম এবং তার ছেলেমেয়েদেরকে কিছু নাস্তা কিনে দিলাম। এবং একসাথে বসে চা ও প্রাণ করলাম। তারপর আমি তার শারীরিক কি অবস্থা তা জিজ্ঞেস করতে লাগলাম। তবে মাহিন বলতেছে আলহামদুলিল্লাহ ভালো শুনে আমার কাছেও খুব ভালো লাগলো। তবে হঠাৎ করে মহিন বিগত একমাস আগে অনেক অসুস্থ হয়ে পড়তো। আসলে প্রিয় মানুষগুলোর সাথে দেখা করতে গেলে অন্যরকম ভালো লাগে। যদিও মাহিন অসুস্থ এ কারণে তার খোঁজখবর নেওয়া আমাদের দায়িত্ব।
তবে মাহিন বলতেছে হঠাৎ করে সে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এই কারণে তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেল। যদিও ঢাকায় নেওয়ার কারণে সুস্থ হয়ে গেলেন। তবে মাহিন বলতেছে আমি অসুস্থ হওয়ার পর আমি আমার ছেলে মেয়ের জন্য বেশি চিন্তা করেছি। কারণ আমার ছেলে মেয়ের দেখাশোনা করার জন্য বাবার দরকার। মাহিনের কথা শুনে বুঝতে পারলাম আসলে ছেলে মেয়ের জন্য বাবা কি জিনিস। অনেকক্ষণ কথা বলে পরে আমি চলে আসতে লাগলাম। এই হচ্ছে বন্ধু মাহিনের সাথে দেখা করতে যাওয়ার মুহূর্ত।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
https://x.com/Jamal7183151345/status/1802204097694556321?t=-uhY76eJ0IzBNfPWLcmc1Q&s=19
খুব ভালো কাজ করলেন ভাইয়া অসুস্থ রোগীকে দেখতে যাওয়া অনেক ভালো কাজ। কারণ মাহিন আপনার বন্ধু মানুষ আপনি দেখতে গেলেন আপনার একটা দায়িত্ব আছে। আপনি বাচ্চাদেরকে নাস্তা পানি কিনে দিলেন বন্ধুর খোঁজ খবর নিলেন এর চেয়ে আনন্দের আর কি হতে পারে। অসুস্থ রোগীরা তো শুধু এটাই চাই আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে। অনেক ভালো লাগলো ব্লগটি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন
হ্যাঁ আপু মাহিন আমার ছোট ভাইয়ের বন্ধু। তাকে দেখতে গিয়ে আমার নিজের কাছে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
তাহলে আপনি আপনার বন্ধু মাহিন ভাইকে দেখতে গেলে। মাহিন ভাই অসুস্থ ছিল তাকে দেখতে গেলেন খুব ভালোই করেছেন। যদিও সেই আপনার ছোটকালের বন্ধু। আসলে আপন মানুষগুলো যখন অসুস্থ হয় তখন তাদেরকে দেখতে গেলে নিজের কাছেও ভালো লাগে। তার ছোট ছেলেমেয়েকে নাস্তা কিনে দিয়েছেন খুব ভালো করেছেন। সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
কথাটি ঠিক বলেছেন আপন মানুষগুলো অসুস্থ হলে দেখতে গেলে নিজের কাছে ভালো লাগে। খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন আপনি।
শুধু বন্ধু বলে কথা নয় যেকোনো অসুস্থ তাকে দেখতে গেলে অনেক সওয়াব হয়। যেহেতু আপনার বন্ধু মাহিন অসুস্থতার কারণে অনেকদিন ঢাকা চিকিৎসা নিয়েছে। এখন যেহেতু বাড়িতে এসেছে আপনাকে দেখতে যাওয়া খুবই জরুরী। আপনারা যে জায়গায় বসে কথা বলেছেন লেখাটা খুবই সুন্দর ধন্যবাদ ভাইয়া।
হ্যাঁ সব অসুস্থ রোগীকে দেখতে গেলে সওয়াব হয় কথাটি ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনার বন্ধু অসুস্থ আপনি তাকে দেখতে গিয়েছেন এটা ভালো লাগলো।আসলে আমাদের সমাজটা এরকমই হওয়া উচিত একজনের বিপদে সাহায্য না করতে পারলেও তাকে মনের দিক থেকে ভরসা দেওয়া।আপনি বাচ্চাদের খাবার কিনে দিলেন।বন্ধুত্বের দায়িত্ব পালন করলেন।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।