মুখের ভাষায় মুগ্ধ।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে বাস্তব একটি ঘটনা শেয়ার করব। ঘটনাটি আমাদের আত্মীয়র মধ্যে হয়েছে। একটি ফ্যামিলির মধ্যে দুটি ভাই। বড় ভাই ছোট ভাইকে অনেক আদর করে। বড় ভাই ছোট ভাইকে এক নজর না দেখলে কিরকম করে। বড় ভাইয়ের নাম হচ্ছে মিন্টু আর ছোট ভাইয়ের নাম হচ্ছে বাবলু। বড় ভাই একটি সরকারি স্কুলের শিক্ষকতা করে। আর ছোট ছোট ভাই তখন সপ্তম শ্রেণীতে পড়ে। বড় ভাইকে তার মা-বাবা সরকারি চাকরি পাওয়ার পর পরে বিয়ে করিয়েছেন।
যখন বড় ভাই চাকরি করে তখন স্কুলের পাশে একটি বাসা নিয়েছে। তখন ওই বাসায় বড় ভাই এবং বড় ভাইয়ের ওয়াইফ গেলেন। ছোট ভাই তার মা বাবার সাথে গ্রামের বাড়িতে থাকে। তখন বড় ভাই বলতে লাগলো ছোট ভাইকে তার কাছে রেখে ভালো করে পড়ালেখা করাবে। এই কথা বলে বাড়ি থেকে ছোট ভাইকে বড় ভাই তার কাছে নিয়ে গেলেন। যেদিন থেকে বাসায় নিয়ে গেল বড় ভাই সেদিন থেকে ভাবির মুখটি বার হয়ে গেল।
বড় ভাই যখন সামনে থাকে তখন ভাবি কত সুন্দর করে কথা বলে। তার ব্যবহার শুনলে বড় ভাই মুগ্ধ হয়ে যায় তার ওয়াইফ এত সুন্দর করে কথা বলে। যখন বড় ভাই স্কুলে বা পাইভেট পড়াতে যায়। তখন তার ওয়াইফ তার ছোট ভাইয়ের সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করে। কি কারনে বাসায় আসলি তোকে এখানে কে নিয়ে আসলো। এবং সন্ধ্যা বেলা ও সকাল বেলা নাস্তা বানালে তার ছোট ভাইকে নাস্তা দেই না। যখন বড় ভাই জিজ্ঞেস করে তখন তার ওয়াইফ বলে তাকে সামনে রুমে নাস্তা দিয়েছে।
অনেক সময় ভাত খাওয়ার সময় জিজ্ঞেস করলে বলে তাকে আগে ভাত দিয়ে দিলাম ও খেয়ে ফেলেছে। এভাবেই তাকে খাওয়া-দাওয়া এবং ব্যবহার অনেক কষ্ট দিতে লাগলো তার বড় ভাইয়ের ওয়াইফ। ছোট ভাই কিছুই বলতে পারেনা কারণ বড় ভাইয়ের কারণে। এবং ছোট ভাই এই কথাগুলো তার মা-বাবার সাথে শেয়ার করলেন। তখন তার মা-বাবা গিয়ে তার ছোট ভাইকে নিয়ে আসতেছে। এমন সময় বড় ভাই ছোট ভাইকে বলতে লাগলো পড়ালেখা করবি না বিদায় বাড়িতে চলে যাচ্ছিস। এই বলে মিন্টু ভাই আরো আজেবাজে কথা বলতে লাগলো
যখন মিন্টু ভাইয়ের মা বলতে লাগলো তোর ওয়াইফ তাকে ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া এবং নাস্তা দেই না তার সাথে ভালো ব্যবহার করেনা। এমন সময় মিন্টু ভাই বলতে লাগলো আমার ওয়াইফ আমার ছোট ভাইকে অনেক আদর করে আমার সামনে কত সুন্দর করে কথা বলে। এই কথাগুলো তোমরা বানিয়ে কথা বলতেছ। এবং মিন্টু ভাইয়ের ওয়াইফ বলতেছে আমি তাকে কত আদর করি এগুলো আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতেছে।
এরপর মিন্টু ভাই তার মা বাবাকে বলতে লাগলো তার ছোট ভাই বাবলু যেন তার বাসার সামনেও না আসে। এই বলে মা বাবা এবং ছোট ভাইকে অনেক অপমান করলেন। আসলে মিন্টু ভাইয়ের ওয়াইফের মুখে এক অন্তরে অন্য একরকম। এই হচ্ছে বাস্তব ঘটনা।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
ভাইয়ের ভাইয়ের সম্পর্ক নষ্ট করতে একটা লোকে যথেষ্ট। বড় ভাই ছোট ভাইকে অনেক আদর করতেন কিন্তু তার বউয়ের কারণে তাদের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে গেল। আসলে বাবলুর বড় ভাইয়ের ওয়াইফ মনে হয় মানুষের মত না। তা না হলে হাসবেন্ডের ছোট ভাইকে নাস্তা এবং খাওয়া দাওয়া ও ভালো ব্যবহার করেনা। অথচ মিন্টু ভাই সামনে থাকলে খুব সুন্দর ব্যবহার করে। এ ধরনের লোক গুলো সত্যি অনেক খারাপ। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক খারাপ লাগলো।
আসলে দুষ্ট লোকের মিষ্টি ব্যবহার। আপনার মন্তব্য শুনে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
https://twitter.com/Jamal7183151345/status/1660695447642718208?s=20
আসলে ভাইয়া এরকম ঘটনা আমাদের সমাজে অনেক ঘটে চলছে। সত্যি এমন মানুষ অনেক ভয়ংকর মুখে মধু অনন্তরে বিষ।যাইহোক মিন্টুর উচিত ছিল তার বাবা মার কথা বিশ্বাস করা। আসলে বর্তমান বউয়েরা কারো সাথে থাকতে চায় না তারা দুজন ছাড়া।আপনার গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগল।
ঠিক বলেছেন আসল বর্তমান বউয়েরা কারো সাথে থাকতে চাই না তারা দুজন ছাড়া। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আসলে ভাইয়া আমাদের সমাজে এ ধরনের ঘটনা অহরহ ঘটছে । দেখা যায় যে বিয়ের আগে পারিবারিক সম্পর্ক এক রকম থাকে এবং বিয়ের পরে অন্যরকম সম্পর্কে রূপ নেয়। এটি তারই বাস্তব প্রমাণ । একটু ভালো ব্যবহার করলে পারিবারিক অশান্তি হয় না । এটাই অনেকে বুঝতে চায় না । আপনাকে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।
কিছু কিছু মানুষ আছে যারা শিক্ষিত হয়েও তাদের আচার ব্যবহার অনেক খারাপ। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার লেখা গল্পটি পড়ে ভালো লাগলো ভাই। আসলে সমাজের বাস্তবতা গল্পের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন। এই ধরনের ঘটনা আমাদের সমাজে ঘটে থাকে। আপনার গল্প লেখার উপস্থাপন বেশ চমৎকার । এত চমৎকার বাস্তবধর্মী গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
এমন বহুরূপ নাটকীয় ধরনের মানুষ অনেক আছে যারা সামনে এক পিছনে অন্য রূপ। বড় ভাইয়ের ওয়াইফ ছোট ভাইয়ের সাথে এমন আচরণ মোটেও ভালো হয়নি। তবে সেই মুহূর্তটি তার সারা জীবন মনে থাকবে। আর মানুষের জীবনের সব সময় এক যায় না অভাব অন্টন এদিক-ওদিক হয়। বাস্তব একটি গল্প শেয়ার করেছেন পড়ে অনেক ভালো লেগেছে।
বড় ভাইয়ের ওয়াইফ অনেক খারাপ লোক তার ব্যবহার ও অনেক খারাপ। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই ভাইয়া, আশেপাশের ঘটে যাওয়া ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত।এমন বাস্তব ঘটনা আমাদের সমাজে অহরহ ঘটে চলেছে।তাছাড়া মানুষ চেনা খুবই কঠিন।সামনে ভালো ব্যবহার করে লোক দেখানো এবং পিছনে খারাপ ব্যবহার করে যেটা মোটেও ঠিক নয়।ভালো লিখেছেন, ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঠিক বলেছেন সামনে ভালো ব্যবহার করে লোক দেখানোর জন্য পিছনে খারাপ ব্যবহার করে। আপনার মন্তব্য শুনে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।