গল্প:-মাছ ধরতে গিয়ে ঝগড়া।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।
আজকে আমি বাস্তব একটি গল্প আপনাদের মাঝে উপস্থাপনা করব। গল্পটি হচ্ছে মাছ ধরতে গিয়ে ঝগড়া। আমাদের এলাকায় অনেক বড় বড় জমি ও পাশে নদী আছে। বর্ষার সময় জমিগুলোতে পানি থাকে এই কারণে জমিগুলোতে পশুর মাছ পাওয়া যায়। যদি জমির পাশে ছোট জায়গাতে মাটি খনন করে খালি রাখা হয় ওইখানে অনেক মাছ পাওয়া যায়। আমাদের এদিকে ফাই জমিতে এরকম ছোট ছোট মাটির খনন করে গাধা করে রাখে।
এই জমির মধ্যে গাথার গুলোর মধ্যে অনেক মাছ পাওয়া যায়। কিছুদিন আগে বড় একটি জমি নিচু ছিল কিন্তু জমির মধ্যে পানি সামান্য পরিমাণ পানি আছে। এলাকা তিন চার জন ছেলে মিলে ওই জমিটি বালতি দিয়ে পানি শেষ করে মাছ ধরতেছে। এবং সময় আরো দুই তিন জন ছেলে অন্য বাড়ির এসে বলতেছে এই জমিটি আমাদের আত্মঈয়র। তোমরা কেন এই জমির মাছ ধরতেছ। এরপর প্রথম ছেলেগুলো বলতেছে এই জমির মাছ আমরা গত বছর ধরেছি এ কারণে ধরতেছি।
এরপর অন্য যে দুই তিন জন ছেলে ছিল তারা বলতেছে তোমরা মাছ ধরতে পারবে না। তবে দুই পক্ষের ছেলেগুলো জমির মালিকের কিছুই হয় না। এই নিয়ে তারা ছেলে দুই পক্ষের ঝগড়া লেগে গেল। যদিও জমিটিতে তেমন মাছ পাওয়া যাবে না কারণ এখানে সামান্য পরিমাণে ছোট মাছ পাওয়া যাবে। এক সময় পক্ষপাতিত্ব করে ছেলে দুই পক্ষে অনেক বড় ঝগড়া লেগে গেল। প্রথম যারা পানি শেষ করে মাছ ধরতেছে ওইখানে ছেলে ছিল তিনজন পরে যারা এসে বাধা দিয়েছিল তারা ছিল তিনজন।
একপর্যায়ে লাঠি সোটা নিয়ে ছেলেগুলো ঝগড়া করে একজনের মাথা একজনে পাঠিয়ে দিয়েছে। পরে বড়গুলো গিয়ে ভেজালটের সমাধান করতেছে। তবে যেসব ছেলেগুলো ঝগড়া করেছে তাদের বয়স ১৫ বছরের নিচে। যেই দুইজনের মাথা ফাটিয়ে গিয়েছে তাদেরকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেল। সত্যিই দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে অন্যের জায়গাতে মাছ ধরতে গিয়ে ছেলেগুলো অযথাই ঝগড়া লেগে গেল। এরপর যে জমির মালিক তাকে জিজ্ঞেস করা হলো তার জমিনে মাছ ধরার জন্য সে বলছে নাকি।
সে বলতেছে আমি মাছ ধরার জন্য কাউকে বলি নাই। কে বা কারা মাছ ধরতেছে আবার কারা গিয়ে বাঁধা দিতেছে আমি জানিনা। এরপর দুই পক্ষের ছেলেগুলোর বাবারা একসাথে হয়ে ছেলেদেরকে শাসন করবে বলেছে। আসলে এরকম ছোটখাটো ঝগড়া নিয়ে যখন বড় ঝগড়া হয়ে যায় তখন এই ছোট ছেলেগুলো অনেক সাহস পেয়ে যায়। যদি অভিভাবক গুলো একটু সচেতন হয় তাহলে নিজের জন্য এবং ছেলে মেয়েদের জন্য ভালো। এই হচ্ছে মাছ ধরা নিয়ে ঝগড়ার কাহিনী। আশা করি আমার বাস্তব গল্পটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/Jamal7183151345/status/1730582432947294485?t=RhI5ZOG50umab1QdBoJzWw&s=19
বাংলায় একটা প্রবাদ রয়েছে না তিল থেকে তাল হওয়া, এ তো দেখছি একদম সেই প্রবাদের বাস্তব উদাহরণ! তবে এত ছোট বয়সেই রক্ত এতো বেশি গরম হওয়াটা ঠিক না। পাশাপাশি এদের দুই পক্ষেরই সঠিক শিক্ষার অভাব রয়েছে। এ কারণেই এত বড় অন্যায় কাজ করার সাহস হয়েছে ।
এটি ঠিক ছোট অন্যায় থেকে এক সময় বড় ধরনের অন্যায় করে ফেলে। সুন্দর মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে।
এমন ছোট থেকেই যদি বাটপারি শিখে যায়, বড় হলে কি করবে সেটাই ভাবছি। কারণ যার জমি তার কোনো খবর নেই, এদিকে দুই পক্ষ মাছ ধরা নিয়ে তুমুলঝগড়া করে ফেললো। বর্তমানে কেউ কাউকে ছাড় দিতে চায় না। একটু এদিক সেদিক হলেই ঝগড়াঝাটি শুরু করে দেয়। মা বাবার উচিত এসব ছেলেদেরকে শাসন করা। নয়তো ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ কিছু ঘটতে পারে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আসলে সামান্য জিনিস মাছ ধরতে গিয়ে ঝগড়া লেগে গেল। এবং যার জমি সে এই ভেজালের সাথে জড়িত নেই। যাইহোক সুন্দর মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার মাছ ধরার গল্প পড়ে খারাপ লাগলো একটু। তবে এইরকম ছোট খাটো বিষয় নিয়ে ঝগড়া না করায় ভালো।একটি ছোট ঝগড়ার কারনে কত কি হয়ে গেলো।যাইহোক যদি অভিভাবক ঠিক থাকে তাহলে আর সমস্যা হয় না। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
ছোটখাটো ঝগড়া থেকে অনেক সময় বড় ধরনের ঝগড়া হয়ে যায়। তবে দুই পক্ষের অভিভাবক গুলো খুব সচেতন । চমৎকার মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে।
অন্যের জমিতে মাছ ধরতে গিয়ে ঝগড়া। তাও আবার যেগুলো ঝগড়া করেছে তাদের বয়স ১৫ বছরের নিচে। তবে গ্রাম অঞ্চলে নিচু জমি গুলোর মধ্যে মাছ পাওয়া যায়। আমার মতে এত অল্প বয়সে তারা ঝগড়া করে বড় ধরনের সাহস পেয়ে যাবে। পরিবারের লোকগুলো এদেরকে শাসন করা দরকার। যেহেতু যার জমি তার থেকে কেউ অনুমতি যখন নেয় নাই সামনে এ ধরনের ভুল যেন না করে। বাস্তব একটি গল্প শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ এটি ঠিক পরিবারের লোকগুলো এদেরকে শাসন করা দরকার। অনেক সুন্দর করে মন্তব্য করেছেন সুন্দর মন্তব্য শুনে ভালো লাগলো তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া, পাঠিয়ে জায়গায় মনে হয় ফাটিয়ে হবে।এছাড়া এরকম অনেক ছোট ছোট বানান ভুল রয়েছে পোষ্টের মধ্যে।যাইহোক আপনি সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে পোষ্ট করেছেন।যদিও এই ধরনের ঝগড়ার কাজগুলো মর্মাহত করে মনকে।তবে অভিভাবকরা অসচেতন বলেই এমন ছোট থেকে বড় ঘটনা ঘটে যায়।ধন্যবাদ আপনাকে।