সবাই মিলে রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করার মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আমি আজকে একটি লেখার পোস্ট এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে অথবা কোথাও ঘুরতে গেলে ওইসব বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখতে অনেক ভালো লাগে। বেশিরভাগ সুন্দর মুহূর্ত গুলোর পোস্ট পড়তে এবং লিখতে অনেক ভালো লাগে। সব সময় চেষ্টা করি আমার সুন্দর মুহূর্তের অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ঘুরতে গেলে নিজে মনটাও ফ্রেশ থাকে। তাই সবসময় চেষ্টা করি কোথাও ঘুরতে যাওয়ার হাসিখুশির মুহূর্তটা আপনাদের মাঝেও শেয়ার করার জন্য। আশা করি আপনাদেরও পোস্টটি অনেক ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব আমরা সবাই মিলে রেস্টুরেন্টে গিয়ে নাস্তা খাওয়ার মুহূর্ত। আমাদের পাশে বসুরহাট কোম্পানিগঞ্জে অনেক বড় একটি মেলা বসেছিল। যদিও মেলাটি আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় 8 থেকে 9 কিলোমিটার দূর হবে। সেই পোস্টটি অন্যদিন করব। তবে যখন আমরা যাব ঠিক করেছিলাম তখন আমার ওয়াইফ বলছিল যে ভালো রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়া করাতে হবে। আমি তখন বললাম ঠিক আছে কোন সমস্যা নেই। যদিও আমার ওয়াইফ ওই সময় তাদের বাড়িতে ছিল আমি কথাগুলো মোবাইলে বললাম। এরপর বিকেলবেলা হঠাৎ করে আমার ওয়াইফ বলতে লাগলো আমরা মেলাতে যাব।
এরপর আমার ওয়াইফ তাদের ফ্যামিলি সোনিয়া আপু রকি ভাইয়া এবং বড় আপুর দুটো মেয়ে এবং আমার ওয়াইফ সবাই মিলে মেলাতে আসলো। এদিকে বাড়ি থেকে আমি একা গিয়েছিলাম তারপর কেনাকাটা শেষ করে আমরা একটি রেস্টুরেন্টে গেলাম। যদিও রেস্টুরেন্টে উপরে মহিলা বসার জায়গা আছে। এরপর আমার ওয়াইফ আমাকে বলতে লাগলো কি খাওয়াবে। কারণ আমরা সবাই একসাথে বসলাম। তারপর আমি আমার ওয়াইফ কে বললাম তুমি যেটা অর্ডার করবে সেটা আমরা সবাই খাব। এরপর আমার ওয়াইফ সোনিয়া আপু এবং রকি ভাইয়াকে জিজ্ঞেস করল কি খাবে।
এমন সময় রকি ভাইয়া বলল তুমি যেটা বলো আমরা সবাই ওটাই খাব জামাল ভাই বলেছে। এরপর আমার ওয়াইফ চিকেন ফ্রাই পরোটা ঠান্ডা অর্ডার করলেন। সত্যি কথা নাস্তাগুলো খেতে অনেক মজা লাগলো আমরাও বসে একসাথে গরম গরম নাস্তা খেলাম। যখন আমরা পরোটা গুলো অর্ডার করলাম মনে করলাম এতগুলো পরোটা লাগবে না। এরপর আমি আরো কিছু পরোটা অর্ডার করে খেলাম সবাই মিলে। তবে আমার মেয়ে মাইসুন এখনো ছোট চেয়ে বসে বসে দেখতেছে আর অনেক হাসতেছে। এক পর্যায়ে আমরা যখন খাওয়া-দাওয়া শেষ করলাম তখন আমার ওয়াইফ বলতে লাগলো।
আরো একটি জিনিস এখানে খাবে। তখন আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম কি এমন জিনিস এখানে। তখন আমার ওয়াইফ বলতে লাগলো তোমার প্রিয় জিনিস। সাথে সাথে আমি বুঝে গেলাম চা খাওয়ার কথা বলতেছে। এরপর সবাইকে জিজ্ঞেস করল কি চা খাবে কিনা। সাথে সাথে সবাই বলতে লাগলো চা খাবে । এরপর আমরা বসে একসাথে চা খেলাম। সত্যি রেস্টুরেন্ট খাওয়াগুলো অনেক মজা লাগলো। এই রেস্টুরেন্ট আমি আগে যাই নাই খাওয়ার জন্য। রকি ভাইয়া এবং সোনিয়া আপু অনেকবার গিয়েছে এই রেস্টুরেন্ট।
এরপর যখন আমরা বিল দেওয়ার জন্য কাউন্টারে আসলাম। তখন আমি জিজ্ঞেস করলাম কত টাকা হল। যদিও তারা আমাদের হাতে মেনো কার্ড দেই নাই কত টাকার। এরপর তারা বলতেছে 822 টাকা হয়েছে। এমন সময় আমার ওয়াইফ বলতে লাগলো টাকাগুলো আমি দিই। তখন আমার ওয়াইফকে আমি বললাম তুমি দেওয়া আর আমি দেওয়া এক কথা। এরপর আমি টাকাগুলো পেমেন্ট করে দিলাম ।এবং ওখানে যে লোকটি আমাদেরকে অনেক সুন্দর করে নাস্তা দিয়েছে তাকে আমি সম্মান করেছিলাম টাকা দিয়ে। সত্যিই ঐদিন রেস্টুরেন্ট নাস্তা খাওয়ার মুহূর্ত অনেক ভালো লাগলো। সবাই একসাথে বসে নাস্তা খেলাম। আশা করি আমার এই পোস্ট পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
আমাদের ঘোরাঘুরি করতে বেশ ভালই লাগে। আপনারা ঘুরতে যাওয়ার হাসি খুশি মুহূর্তে শেয়ার করেছেন। জেনে বেশ ভালো লাগলো। আমি আজকে জানতে পারলাম আপনি মুনিয়া আপুর হাজব্যান্ড। যাক বেশি ভালো লাগলো আজকে পোস্টের মাধ্যমে সকল খবর জানতে পারলাম। মাইসুন সম্পর্কে আমি সেটা রকি ভাইয়ের পোস্টে দেখেছিলাম। মাইসন খুব ভয় পাচ্ছিল ভাইকে দেখে। পরে চুল কেটে ফেললো। সর্বোপরি আপনারা সবাই মিলে খুব সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন রেস্টুরেন্টে। আমার ভীষণ ভালো লাগলো
তাহলে ভাইয়া আজকে জানতে পারলেন মুনিয়া এবং আমি স্বামী-স্ত্রী। আপনি খুব চমৎকার ভাবে মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://x.com/Jamal7183151345/status/1717036717319004194?s=20
তাই তো দেখছি পরিবারের সাথে দারুন সময় উপভোগ করেছেন রেস্টুরেন্টে গিয়ে । এখানে যারা উপস্থিত সবার সাথেই অনেক পরিচিত অনেক ভালো লাগলো তাদেরকে একসাথে দেখতে পেয়ে। এরকম সুন্দর মুহূর্ত আরো উপভোগ করতে পারেন সেটাই প্রত্যাশা করি। ভালো লেগেছে আমার কাছে।
আপনার সুন্দর মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
সুন্দর একটি মুহূর্ত আজকে আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন বেশ ভালো লাগলো আপনার এই অসাধারণ মুহূর্তটা। যেখানে সবাই মিলে একসাথে রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করেছেন এবং তা আমাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করেছেন। দেখে খুশি হলাম।
আমার পোস্ট নিয়ে সহমত পোষণ করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঘুরতে গেলে কোথাও সবাই মিলে না খেলে কি চলে।আপনারা সবাই মিলে রেস্টুরেন্টে বসে আপুর পছন্দসই খাবার অর্ডার করে খুব মজা করে খেয়েছেন।মেয়ে তো মাশাল্লাহ বড় হয়ে গেছে।সবাই খাওয়া-দাওয়া শেষ করে চা পান করলেন।আসলে নাস্তা খাওয়ার পর চা পান না করলে অসম্পূর্ণ থাকে। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে আমাদের সাথে অনুভূতি গুলো শেয়ার করে নেয়ার জন্য।
আসলে পরিবারের সবাই মিলে যদি এত সুন্দর করে বাইরে সময় কাটানো যায়। সেই সাথে এতো মজার মজার খাবার খাওয়ানো যায় তাহলে বেশ ভালই লাগে। সবাই মিলে তো দেখছি অসাধারণ একটি সময় কাটালেন। তাছাড়া এত মজার মজার খাবার খেলেন। খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো খুবই লোভনীয় ছিল। তাছাড়া আপনাদের সবার ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ লেগেছে। মুহূর্তটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ঐদিন সবাই মিলে অনেক ভালো সময় কাটিয়েছি। আপনার সুন্দর মন্তব্য শুনে ভালো লাগলো তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
ঐদিন সবাই মিলে রেস্টুরেন্ট খাওয়া দাওয়া করতে গেলাম খুব ভালোই লাগলো। তবে সবাই আমাকে বলল যেটি আমিও অর্ডার করি সবাই সেটি খাবে। তখন আমি অনেক দিদা দন্দে পড়ে গেলাম। সত্যি বলতে মাঝেমধ্যে সবাই এভাবে একসাথে ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা। ঐদিন তোমার একটি কথা আমার খুব ভালো লাগলো। আমি টাকা দেওয়ার জন্য চাইলাম তুমি বললে আমি আর তুমি দেওয়া একই কথা। যাইহোক পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ তোমাকে।
হ্যাঁ এটি একদম ঠিক তুমি বিল দেওয়া আমি দেওয়া এক কথা। তোমার মন্তব্য শুনে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। সুন্দর মন্তব্য করেছ তাই ধন্যবাদ তোমাকে।
পরিবারের সবাই কে নিয়ে যদি কোথাও যাওয়া যায় তাহলে কিন্তু অনেক ভালো লাগা কাজ করে । আপনার এখানে তো বেশীর ভাগ মানুষগুলো আমাদের সকলের কাছে বেশ প্রিয়। তবে এটা কিন্তু ঠিক নাস্তা খাবো আর চা খাবো না সেটা কি করে হয় বলেন তো।
চা খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আর ওইখানে চা গুলো খেতে অনেক মজা। স্বাভাবিক মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে।
মাঝেমধ্যে রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করতে খুব ভালো লাগে। তাই আমি আমার ওয়াইফকে নিয়ে মাঝেমধ্যে রেস্টুরেন্টে খেতে যাই। আপনারা একসাথে বেশ কয়েকজন রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছেন,এটা দেখে খুব ভালো লাগলো। একসাথে কয়েকজন গেলে আড্ডা দিতে দিতে, খাওয়া দাওয়া করতে আরও বেশি ভালো লাগে। আপনাদের সবাইকে একসাথে দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। খাওয়া দাওয়া এবং আড্ডা দিয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছেন আপনারা। যাইহোক এতো সুন্দর অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ এটাই ঠিক সবাই একসাথে গেলে খাওয়া দাওয়া এবং আড্ডা দিতে অনেক ভালো লাগে। আমার পোস্ট নিয়ে অনেক দারুন মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে।