লাইফ স্টাইল :-মায়ের সাথে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার মুহূর্ত।

in আমার বাংলা ব্লগ5 months ago

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আমি আজকে একটি লেখার পোস্ট এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে অথবা কোথাও ঘুরতে গেলে ওইসব বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখতে অনেক ভালো লাগে। বেশিরভাগ সুন্দর মুহূর্ত গুলোর পোস্ট পড়তে এবং লিখতে অনেক ভালো লাগে। সব সময় চেষ্টা করি আমার সুন্দর মুহূর্তের অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ঘুরতে গেলে নিজে মনটাও ফ্রেশ থাকে। তাই সবসময় চেষ্টা করি কোথাও ঘুরতে যাওয়ার হাসিখুশির মুহূর্তটা আপনাদের মাঝেও শেয়ার করার জন্য। আশা করি আপনাদেরও পোস্টটি অনেক ভালো লাগবে।

IMG_20240130_102651.jpg

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব আমার মাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার মুহূর্ত। জানুয়ারি ৩০ তারিখে আমি আমার মাকে ডায়াবেটিস হাসপাতালে ডাক্তার দেখানোর জন্য নিয়ে গেলাম। তবে ডায়াবেটিস হাসপাতালে যেতে হলে খুব সকালে ওখানে যেতে হয়। যদিও এই ডায়াবেটিস হাসপাতাল আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় ১৩ থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে। আমি ফজরের নামাজ পড়ার পর আর ঘুমাই নাই। যদিও আমি গাড়িটি সকাল ছয়টা বাজে আসার জন্য বললাম।

এরপর গাড়িটি 6:45 মিনিটে আমাদের বাড়িতে আসলো। সকালবেলা এত তাড়াতাড়ি গেলাম সেই কারণে নাস্তাও করতে পারলাম না। যদিও ডায়াবেটিস হাসপাতালে যেই রোগী যায় সকাল বেলা সে খাওয়া-দাওয়া করতে পারে না। এই কারণে আমরা তাড়াতাড়ি বাড়ি থেকে বাইর হলাম। এরপর আমরা আটটা বাজার আগে ওখানে পৌঁছে গেলাম। দেখি আমাদের আগে আরো ৯ থেকে ১০ জন রোগী অপেক্ষা করতেছে। এরপর আটটা বাজে হাসপাতাল ওপেন করেছে। এরপর আমরা ডায়াবেটিস হাসপাতালে বইটি জমা দিলাম।

IMG_20240130_071755.jpg

কিছুক্ষণের মধ্যে সবাই নাম ডেকে ডেকে টাকা জমা নিতেছে এবং দুটি পেপার দিতেছে। তারপর একটি পেপার কাউন্টারে জমা দিয়ে অন্যটি হাতে নিয়ে রক্ত পরীক্ষা করার জন্য রুমে যেতে বলল। এরপর কিছুক্ষণের মধ্যে আমার মায়ের ব্লাড টেস্ট করার জন্য নিয়ে নিলেন। যদিও আমার মা বয়স্ক এবং দুর্বল মানুষ। এই কারণে রক্ত নেওয়ার সাথে সাথে তার মাথা ঘুরতেছে। এরপর আমি তাড়াতাড়ি করে একটি চেয়ারে বসিয়ে রাখলাম। কিছুক্ষণ পর তার জন্য বাহির থেকে আমি নাস্তা নিয়ে আসলাম এবং আমি নিজেও খেয়ে নিলাম।

IMG_20240130_073717.jpg

IMG_20240130_102726.jpg

এরপর আমরা অনেকক্ষণ ওখানে অপেক্ষা করতে লাগলাম। কারণ ডাক্তার এসে রিপোর্টগুলো দেখে তারপর রোগী ডেকে ওষুধগুলো লিখে দেবে এবং রোগীকে দেখবে। তারপর আমরা একঘন্টা বসার পর আমাদের নাম ধরে ডাক দিলেন। এর কিছুক্ষণ পর ডাক্তারের চেম্বারে আমার মা গেলেন। এরপর ডাক্তার দেখে বলতেছে আলহামদুলিল্লাহ আগের থেকেও ওর ডাইবেটিস এখন অনেক কম। যদিও আমার মা খাওয়া দাওয়া অনেক খেয়াল করে থাকেন। এবং ডাক্তার বলল নিয়মিত সকাল বেলা তাকে ব্যায়াম করতে এবং রুটিন মতে খাওয়া দাওয়া করতে।

তারপর আমি আমার মাকে নিয়ে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে গেলাম। তবে আমাদের এদিকে গাড়ি আসতে রাজি হচ্ছে না। এরপর আমি বাজার পর্যন্ত একটি গাড়ি নিয়ে আমার মাকে নিয়ে আসলাম। আসলে ওইদিকের গাড়িগুলো গ্রামের দিকে আসতে তেমন চাইনা। তারপর বাজারে এসে আমার মায়ের ওষুধ গুলো এবং পান কি নিলাম। আসলে ঐদিন ডাক্তারের কাছে মায়ের সাথে যাওয়ার কারণে অনেক খুশি হয়েছে। আমি ব্যস্ততার কারণে তার সাথে ডাক্তারের কাছে যেতে পারি না। যদিও এর আগে আমার ওয়াইফ মায়ের সাথে ডাক্তারের কাছে যেতেন। আশা করি আমার আজকের পোস্টটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে। এবং সবাই আমার মায়ের জন্য দোয়া করবেন।

IMG_20240130_071854.jpg

IMG_20240130_084520.jpg

IMG_20240130_081551.jpg

আমার পরিচয়

IMG_20221006_094439.jpg

আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।

35FHZ8gBpndbrF88KC8i6DmfoqNdVfSnhzJshZCJksDJs27YpCCUjp1oaP6ko3mLJbQtLE76ZKc5r3aFXKh8EK2Xg2XbxHP97436Dksrat...K3RRDcGvdyC6bx3TE39Zctd2ho1pJ1hm9nj6RC6gfhhSEVDEf6zHmiqsgBwDTEDG8onxfxrWKe5ZMmiwAvtnX6XvsCqykCT5aFqMFBq2wcdKNs74j1RgTuza3g.png

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjde9gvbjDSDFUe2t87sHycAo9yh4cXNBQ2uKuZLC2jPzA8Qx5HRSqkJDxCm2F1P...XMCuWWrUK8WEzc1spvbtGymKcxp9cSaiY7YD7nmGv2yy3TJjQK1R5Bx6mMsJqHLdPZ4gBXB1M3ZGWR3ESWZxh8hd9tvb68pfdL8xHrioiqDnHuRUqd8FYt5aog.png

ধন্যবাদ সবাইকে

Sort:  
 5 months ago 

ভাইয়া আগামীকাল আমি আমার আম্মাকে সাথে নিয়ে কুষ্টিয়া সেব ডায়াগনস্টিটিতে যাচ্ছি, দোয়া করবেন আমার আম্মার জন্য। আমি দোয়া করি আপনার সহায়তা যেন মহান আল্লাহ কবুল করেন এবং আপনার আম্মুকে সর্বদা সুস্থ রাখেন। অবশ্য মিষ্টি জাতীয় জিনিস যেগুলো ডায়াবেটিসের জন্য মানা সেগুলো সঠিক নিয়মে যেন মেনে চলে। আর সকাল বিকাল হাটাহাটি করা টেনশন মুক্ত থাকা জরুরী।

 5 months ago 

ডায়াবেটিস হাসপাতালে খুব সকাল সকাল যেতে হয়। এর আগে কয়েকবার আমি মায়ের সাথে ডাক্তারের কাছে গেলাম অনেক সকাল বেলা। আসলে ডাক্তারের কাছে গেলে তারা অনেক পরামর্শ দেয় বিশেষ করে খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে। শাশুড়ি আম্মু অনেক বছর ধরে ডায়াবেটিস আক্রান্ত। যদিও এইবার ঠান্ডার কারণে মাইসুন ছোট একারণে আমি যেতে পারলাম না। যাইহোক খুব সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে তুমি উপস্থাপনা করেছ।

 5 months ago 

আপনার মায়ের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। সবসময় আন্টিকে ব্যায়াম করতে বলবেন এবং খাওয়া দাওয়া পরিমিতভাবে করতে বলবেন। তাছাড়া নিয়মিত চেক-আপ করলে খুব ভালো হয়। এতো ব্যস্ততার মাঝেও আন্টিকে নিয়ে হসপিটালে গিয়েছেন,এটা দেখে খুব ভালো লাগলো। মাইসুন যেহেতু ছোট,এই ঠান্ডার সময় আপনার ওয়াইফকে হসপিটালে না পাঠিয়ে নিজে গিয়েছেন,এটা খুব ভালো হয়েছে। যাইহোক আপনার পুরো পরিবারের প্রতি অনেক অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইল ভাই।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.029
BTC 58248.35
ETH 3136.18
USDT 1.00
SBD 2.36