কেমন আছ তুমি ? || 10% for shy-fox and 5% for abb-school.
আকাশ কলেজের ভাল ছাত্র এবং ভদ্র একটা ছেলে দেখতে খুবই সুন্দর লম্বা ৬ ফুট ৯ ইঞ্চি, যে কেউ তার প্রেমে পরে যাবে। হল তাই গ্রামের এক প্রভাবশালীর মেয়ে তার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে, কিন্তু আকাশ তা খেয়ালই করছেনা কারণ তার স্বপ্ন একদিন সে অনেক বড় হবে অনেক টাকা পয়সার মালিক হতে হবে, আকাশের বাবা অনেক কষ্ট করে আকাশের পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু রিমি তাকে চায়ই চাই। এভাবে কিছু দিন যেতেই আকাশকে রিমির ফাঁদে আঠকিয়ে ফেলে। আকাশ রিমি ছুটিয়ে প্রেম করছে, এদিকে রিমির বাবা তাদের বিষয়টি জেনে ফেলে।
একদিন আকাশের বাবাকে ডেকে এনে রিমির বাবা অনেক অপমান করে, কিন্তু কোন রকম প্রতিবাদ করেনি আকাশের বাবা, অপমানিত হয়ে বাড়িতে গিয়ে আকাশ কে বলে বাবা তুমি রিমিকে ভুলে যাও কারণ তাদের সাথে আমাদের দূরত্ব অনেক। আর এত দূরত্বের কখনো মিলন হতে পারেনা তাই তোমাকে বলি তুমি রিমিকে ভুলে যাও।বাবার কথায় কিছুটা আঘাত পেলেও, বাবার কথা রাখার জন্য রিমিকে ভুলার চেষ্টা করছে, আকাশের সাথে রিমির দূরত্ব রাখার চেষ্টা করছে। কিন্তু রিমি নাচোর বন্ধা আকাশ কে ছেড়ে যাচ্ছে না আবার উল্টো আলটিমেটাম দিয়েছে যদি আকাশ রিমিকে ভুলে যাই তাহলে রিমি আত্মহত্যা করে আকাশকে দায়ি করে ফাসিয়ে যাবে।আকাশ এখন বড়ই বিপদে। কি করবে আকাশ।
আর এদিকে রিমির বাবা গ্রামের সকল পঞ্চায়েত মিলে এক শালিশ ডাকে। আকাশের পরিবারের সকল লোকজন ডাকে। গ্রামের পঞ্চায়েত কি আর আকাশের কথা বলবে তারা তো টাকাকেই প্রধান্য দেয় তারা কি ন্যায় অন্যায় বিচার করে?আকাশের বেলায় হল তাই, শালিশে রায় হল, হয় আকাশ কে এই গ্রাম চেড়ে চলে যেতে হবে, নয় তার পুরো পরিবার গ্রাম ছাড়া করে দেবে, এখন আকাশ কি করবে আকাশ সবাইকে জানিয়ে দিল আকাশ নিজেই গ্রাম থেকে চলে যাবে আর কখনো কোন দিন গ্রামে আসবেনা যে গ্রামে কোন বিচার নাই সেই গ্রামে থাকবনা, এবলে আকাশ বাড়িতে গিয়ে মা বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে, রাতে আকাশ বাড়ি থেকে বেড় হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রেল স্টেশন এসে দেখে রিমি তার জন্য অপেক্ষা করছে।
আকাশ রিমিকে অনেক বুঝিয়ে চেষ্টা করছে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য কিন্তু রিমি কথাই শুনতে চাই না। এক সময় রিমি আকাশের হাত ধরে ঢাকায় এক বন্ধুর কাছে চলে আসে। বন্ধু তাদের বিয়ের ব্যাবস্তা করে ছোট্ট একটি রুমে তাদেরকে থাকার ব্যবস্তা করে
এবং একটি চাকুরী ও যোগার করে দেন। আর এদিকে রিমির বাবা তাদের খোজার জন্য লোকজন চারদিকে লাগিয়ে রেখেছে। একমাস পর রিমি যখন ঢাকার এক বাজারে বাজার করতে যায় তখন রিমির এক ভাই রিমিকে দেখে ফেলে, তখনই তাকে জোর করে বাড়িতে নিয়ে যায়, আকাশ অফিস থেকে এসে রিমিকে অনেক খোঁজাখুজি করে অবশেষে জানতে পারে রিমির বাবা রিমিকে ধরে নিয়ে গেছে। কি আর করা আকাশ যদি রিমিকে আনতে যায় তাহলে তার পরিবারের সমস্যা হবে। পরিবারের কথা মনে করে আকাশ তার ভালবাসাটাকে জিবিত কবর দিয়ে দিয়েছে।
এক বছর হয়ে গেল রিমি একবারও আকাশকে একটা ফোনও দিলনা। out of side out of mind. অর্থাৎ চোখের আড়াল হলেই মনের আড়াল এটাই যেন বাস্তব রিমি আকাশকে ভুলে গেল, ভুলে গেল তার সাজানো এক মাসের একটি সংসার, ভুলে গেল আকাশ নামে কেউ ছিল তার জীবনে, ভুলে গেল কেউ তাকে ভালবাসার কারণে আজ গ্রাম ছাড়া। রিমির বিয়ে হয়ে গেল এক টাকা ওয়ালা প্রবাসীর সাথে চলে গেল হাওয়াই যাওয়া জাহাজে উড়ে দূর প্রবাসে।চলছে রিমির সুখের সংসার। আর এদিকে আকাশ তার একাকিত্ব জীবন নিয়ে ছুটে চলছে অবিরাম আজ দুই যোগ পার হয়ে গেল আকাশ তার যৌবন শেষ করে দিল তবু্ও রিমির জায়গায় কাউকে আজ পযন্ত জায়গা দেয়নি। আকাশ তার গ্রামে আসা যাওয়া করে কেউ কোন বাঁধা দেয়নি কেনইবা দেবে রিমির তো বিয়ে হয়ে গেছে আজ দুই যোগ হয়ে গেছে।
একদিন আকাশ বাড়ির উদ্দেশ্যে রেল স্টেশন বসে আছে রেল গাড়ির অপেক্ষায়। এমন সময় রিমি তার স্বামী তার দুই ছেলে মেয়ে ও সেই রেল গাড়ির অপেক্ষায় বসে আছে।আকাশ হঠাৎ চোখ ঘোরাতেই দেখে রিমির মত কে যেন বসে আছে, একটু সামনে যেতেই রিমিও আকাশ কে দেখে ফেলে, দুজনের চোখ চোখ পরে যায়। রিমি তখন আকাশে উদ্দেশ্য করে বলে আপনি আকাশ ভাইনা। আকাশ মাথা নেড়ে জবাব দেয় হ্যা আমি আকাশ এ বলেই রিমি চলে গেল তার স্বামীর কাছে। আর আকাশ মনে মনে বলতে লাগল কেমন আছ তুমি? ভাল আছতো আমাকে ভুলে।
কেনইবা এসেছিলে জীবনে আমার, আবার কেনইবা চলে গেলে? মাঝখান থেকে আমার জীবনটাকে বিষাদময় করে দিয়ে গেলে, ভালই তো ছিলাম আমি ছাত্র জীবনে একা, কেন জোর করে ভালবেসে আমার জীবনটাকে শেষ করে নিজের জীবন কে রাংগিয়ে তুললে হায় রে মানুষ । তবু্ও ভাল থেকো তুমি সারা জীবন।
আপনার এই গল্প টি আমার খুবই ভালো লেগেছে।কী জানি মানুষ এরকম করতে পারে। ভালোবাসা আমার খুবই প্রিয় শব্দ। কিন্তু অনেক মানুষ এর মর্ম বুঝে না। আপনার এই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য মঙ্গল কামনা করি।