শেষ বেলাতে। 10% for shy-fox
তখন হয়তো বর্ষাকাল ছিল। ঠিক করে মনে করতে পারছি না। কিন্তু যেভাবে রাত দিন শুধু বৃষ্টি আর বৃষ্টি হতো আমার ধারণা বর্ষাকালে হবে তখন। দিনটা ছিল শুক্রবার। ভোর বেলা থেকেই বৃষ্টি পড়ছে। তও অনেক জোরে। মুষলধারে বৃষ্টি। গতকালও পুরাটাদিন এমন বৃষ্টি হয়েছে , কিন্তু কাল আবার সন্ধ্যার আগে আগেই বৃষ্টি থেমে গিয়েছিলো। আজও যদি কালকের মতো সারাদিন বৃষ্টি হয়ে সন্ধ্যায় থামে তাহলে এতদিনের সব পরিকল্পনা জলে যাবে। এমনিতেই সকাল সকাল বের হওয়ার কথা ছিল আমাদের। এখন আকাশের যে অবস্থা মনে তো হচ্ছে না এখন কোনো ভাবেই বৃষ্টি থামবে। এখন বাজে প্রায় সকাল ৮ টা।
দেখতে দেখতে আরো ২ ঘন্টার মতো চলে গিয়েছে। আর এখন যদি বের না হয় তাহলে দেরি করে বেরিয়ে কোনো লাভ নেই। আচ্ছা , বলাই তো হয়নি , আমাদের পরিকল্পনার কথা। আমাদের সবার আজ , সিলেট যাওয়ার কথা ছিল। অনেক আগে থেকেই প্ল্যান করে রেখেছিলাম। আজকে যদি যেতে পারি তাহলে ২ দিন থেকে আবার বাসায় ব্যাক করবো। আর এখন যে একটা পরিস্থিতি , অফিস থেকে ছুটি পাওয়াটাও অনেক কষ্টের। যদি আজকে না যেতে পারি তাহলে হয়তো এইবার আর যাওয়ায়ই হবে না। এখন শুধু আল্লাহর কাছে প্রার্থনা ছাড়া কোনো উপায়ও নেই। বসে ছিলাম , বৃষ্টি থামার অপেক্ষায়।
দুপুর প্রায় ঘনিয়ে এলো। ১২ টা বাজে তখন হয়তো। না হয় তার থেকে একটু কমবেশি। হটাৎ দেখি বৃষ্টি আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে। ১০ মিনিট পরই দেখি বৃষ্টি থেমে রোদ উঠেছে। যেহেতু আমরা সবাই রেডি হয়ে বসে ছিলাম তাই , বৃষ্টি থামার সাথে সাথেই আমরা বেরিয়ে পরি। কোনো রকম ভাবে গাড়িতে বসতে পারলেই হয়। কিন্তু আমাদের বাড়ি থেকে স্টেশন অনেকটা দূরে ছিল। যেতে যেতে প্রায় ৩০ - ৪০ মিনিট এর মতো লেগে যায়। আচ্ছা যাই হোক , কথা হচ্ছে আমরা বাসা থেকে বের হওয়ার পর আর বৃষ্টি হয়নি। আমরা ভেবেছিলাম হয়তো সিলেট হয়তো বৃষ্টি হচ্ছে। এখন যে একটা মৌসম , বৃষ্টি হওয়াটাই স্বাভাবিক।
কিন্তু না , আমাদের সিলেট যাওয়ার যাত্রা শেষ হয় পড়ে সন্ধ্যার দিকে। সন্ধ্যায় সেখানে পৌঁছে। হোটেলএ উঠি। রাতটা কাটানোর পরই সিলেট চা বাগানের উদ্যেশে রওয়ানা দেই। সত্যি প্রকৃতির সুন্দর্যের সাথে কৃত্তিম সুন্দর্যের কোনো তুলনাই হয়না। এমনটা মনে হয় যে পৃথিবীর সব সুন্দর্য সবই যেন আল্লাহ তায়ালা প্রকৃতির মাঝে ঢেলে দিয়েছেন। আসলে , প্রকৃতির সুন্দর্য কখনই বলে শেষ করা যাবে না। আর আমাদের এই বাংলাদেশটা তো পুরো সবুজ - শ্যামল প্রাকৃতিক সুন্দর্য দিয়ে ঘেরা। এটার সুন্দর্য কি আর মুখে বলে বুঝানো সম্ভব ?
আপনি ঠিকই বলেছেন ভাই আপনার এই কথাটা আমার এত ভালো লেগেছে বলে বোঝাতে পারবো না। যদিও আপনাদের সিলেট যাওয়া তে বৃষ্টি বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল কিন্তু তা আবার কিছু সময় পরে ঠিক হয়ে যাওয়ায় আপনারা খুব সুন্দর ভাবে সিলেটে যেতে পেরেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার সিলেট যাত্রার চমৎকার অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া।
অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে আমি সিলেটে পৌঁছাতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগছে। আপনি একদম যথার্থই বলেছেন প্রকৃতির সৌন্দর্যের মাঝে কৃত্রিম সৌন্দর্যের কোনো তুলনাই হয় না। এই যেমন আপনার দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি টা পেছনে সবুজ প্রকৃতির মাঝে লাল ফুলগুলো কি ভালোই না লাগছে। আমাদের সবুজ বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য গুলো সব সময়ই দেখে মনটা ভরে যায়। বিশেষ করে সিলেটের চা বাগানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য গুলো সবার মত আমারও অসাধারণ লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে অনুভূতিগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।