গ্রাম আর শহর ।
আমি গ্রামের ছেলে, গ্রাম আমি অনেক ভালবাসি গ্রামেই আমার বেড়ে উঠা, এক সময় পড়া লেখা শেষ করে গ্রামেই আছি যদি শহরে কোন একটা চাকরি পাই তাহলে চলে যাব শহরে, শহরে যাওয়া অনেক ইচ্ছা কারণ না জানি কত সুন্দর শহর কতই সুন্দর মানুষ খুব ইচ্ছা করে।গ্রামে একটি মেয়ে আমাকে অনেক ভালবাসে নাম তার আলেয়া। নিজের জীবনের চেয়েও বেশি ভালবাসে সে আমাকে। আমি তাকে তেমন একটা ভালবাসি না আবার বাসিও কারণ মনোবিজ্ঞানীদের ভাষা অনুযায়ী কেউ যদি তোমাকে শত ভাগ ভালবাসে তার প্রতি তোমার ভালবাসা অন্তত ২৫ ভাগ থাকবে ঐ হিসেবে আমি তাকে ভালবাসি।
আলেয়া চাই না আমি তাকে ছেড়ে অন্য কোথাও যায় বা শহরে যাই, ঐ কারণে তাকে আমার ভাল লাগতোনা। তবে আলেয়া আমাকে যে তার জীবনের চাইতেও বেশি ভালবাসে সেটা আমিও জানি কারণ প্রতিটা মূহুর্তে সে আমার খবর নেয় আমি কি করি কোথায় যায় কিখাওয়া দাওয়া করি, আমার পছন্দের খাবার কি। আমার পছন্দের কালার কি আমি কি পড়তে ভালবাসি ।
এক কথায় সে আমাকে নিয়েই সারাক্ষণ ব্যাস্ত। একদিন আমার এক বন্ধু আমার জন্য চাকরি যোগাড় করে এক প্রাইভেট কোম্পানিতে।আগামীকাল আমি ঢাকা চলে যাব আমার কাছে অনেক অনেক আনন্দ লাগছে, আর ঐ দিকে আলেয়া কেঁদে কেঁদে চোখ ফুলিয়ে না খেয়ে বসে আছে, আমি তাকে বলতে গেলেই সে আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে আর আমাকে বলে তুমি আমাকে ছেড়ে যাইওনা আমি তোমাকে না দেখলে পাগল হয়ে মারা যাব, কে শুনে কার কথা, আমি একটু বিরক্ত হয়ে তাকে ঠেলা মেরে চলে আসি তার পরের দিন আমি ঢাকা চলে আসি ।
ঢাকায় এসে চাকরিতে যোগ দেয় বেশ ভালোই চলছে দিন আর ঐ দিকে যে আলেয়া দিন দিন না খেয়ে আমার জন্য কেঁদেই চলেছে তার খবর তো আমার কাছে নেই, আলেয়া অনেক চেষ্টা হয়তো করেছে আমার সাথে যোগাযোগ করার আমার কাছে তো মোবাইল নেই তাই হয়তো পারেনি। ঢাকায় এসেছি আজ পাঁচ মাস হয়েছে তার মাঝেই একটি শহরের মেয়েকে আমার ভাল লেগে যায় আমি তাকে ভালবেসে ফেলি এবং ভালবাসার কথা গুলো তাকে বলে ফেলি সেও আমাকে সহজেই মেনে নেয়, এভাবেই চলতে আছে আমাদের ভালবাসা, কিন্তু আমি তাকে যত ভালবাসি আমার মনে হয় সে আমাকে এতটা ভালবাসেনা, শহরের ভালবাসা বুঝি এমনই হয়। কিছুটা কমতি থাকে, আমি যাকে ভালবাসি তার নাম বৃষ্টি।
আমি যা বেতন পাই সব টাকা দিয়েই যেন বৃষ্টির চাওয়া পাওয়া শেষ করতে পারিনা। তবুও বৃষ্টিকে হারানোর ভয়ে থাকি সারাক্ষণ । যদি সে কোনও কিছু কমতির জন্য চলে যায়, আমি তাকে আমার সর্বোচ্চ দিয়ে আগলে রাখার চেষ্টা করি, এভাবেই চলে গেল দু বছর আমি বাড়িতে যায় না মাঝে মাঝে বন্ধুর মোবাইল দিয়ে বাড়িতে যোগাযোগ করি হঠাৎ একদিন বৃষ্টি আমার কাছে মোটা অংকের দামের একটি মোবাইল চেয়ে বসে যা আমার তিন মাসের বেতনের চেয়েও বেশি ।আমি অনেক চেষ্টা করেছি বৃষ্টির আবদার টুকু রাখার কিন্তু আমি পারিনি, এ নিয়ে বৃষ্টি আমাকে বলে যদি মোবাইল দিতে পার তাহলে যোগাযোগ করতে, না পারলে যেন যোগাযোগ না করি।
আমি তখন পাগল হয়ে ছুটে যায় তার কাছে আমি তাকে অনেক বুঝিয়েছি কিন্তু সে আমাকে বার বার অপমান করছে এক পর্যায়ে সে ফোন করে বাহির থেকে কয়েকটা ছেলে এনে আমাকে পিঠিয়ে বের করে দিয়েছে সাথে এ ও বলে দিয়েছে আমি যেন দুই দিনের মধ্যে এলাকা ছেড়ে চলে যায় না হলে আমাকে তারা মেরে ফেলবে, আমি তখন আমার বন্ধুকে সব খুলে বলি । উত্তরে বন্ধু আমাকে বলে শহরের মেয়ে ছেলেরা এমনই হয় ইট পাথরের শহরের লোক জনের মনটাও ইট পাথরের মত শক্ত। তুই বাড়িতে চলে যা আর কখনোই এই এলাকাতে আসিসনা।
আমি আমার প্রানের ভয়ে ঢাকা ত্যাগ করি। বাড়িতে এসে আলেয়াকে খুঁজতে থাকি যদি পৃথিবীতে কেউ আমাকে সত্যিকারের ভালবেসে থাকে সে হল আলেয়া। আমি আলেয়ার বাড়িতে গিয়ে দেখি আলেয়াকে পায়ে শিকল বেধে আঠকিয়ে রেখেছে, আমি জানতে চাওয়াতে আমাকে আলেয়ার মা বলে আলেয়া আমি ঢাকা যাওয়ার পর থেকেই সে আস্তে আস্তে পাগল হয়ে যায়, সেই দিন থেকেই আমি শপত নিয়েছি ভাল যদি বাসতে হয় আমি আলেয়াকেই ভালবাসব, আর আজ অবদি এখনো পাগল আলেয়াকেই আমি ভালবাসি ।পরিশেষে কবির ভাষায় বলতে হয় ।তুমি যাকে ভালবাসবে তাকে বিয়ে করনা।
ভাই আপনার আলিয়ার সম্পর্ক অনেকটা লায়লা মজনুর মত। আলেয়ার জন্য খুবই খারাপ লাগলো। আলেয়া কি আর কখনো অসুস্থ হবে না ভাইয়া??? আলেয়ার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল এবং ওর জন্য সুস্থতা কামনা করছি।তবে আপনার শেষে কবির ভাষায় কথাটা বুঝলামনা।
আপু শেষের কথার মানে হল,
আপনি যাকে ভালবাসবেন তাকে বিয়ে করনা, কারণ আপনি তাকে ভালবাসেন, সে আপনার প্রতি ঐ রকম ভালবাসা নাও থাকতে পারে, আর যে আপনাকে ভালবাসে তাকে বিয়ে করুন, একদিন না একদিন সুখ আসবেই, কারণ সে আপনাকেই ভালবাসে,আর আপু, গল্পটা সম্পুর্ন কাল্পনিক, ধন্যবাদ আপু ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন সব সময় আমার বাংলা ব্লগের সাথে থাকবেন,,,
আপনার কাহীনি টি সিনেমাকে হার মানিয়েছে। ঘটনার সত্যতা জানিনা তবে আলেয়ার সুস্থতা কামনা করি। আর শেষের কথাটি আমি বুজলাম না ভাইয়া। আপনিকি আলেয়াকে বিয়ে করেছিলেন? জানতে ইচ্ছে করছে। রিপ্লাই এর অপেক্ষায় রইলাম।
প্রথমেই ধন্যবাদ আপু আপনাকে এত ব্যস্ততার মাঝেও যে আমার গল্পটা পড়েছেন, আর আপু গল্পটা সম্পুর্ন কাল্পনিক, আর শেষের দুটি লাইন, যাকে আপনি ভালবাসবেন তাকে বিয়ে না করে, যে আপনাকে ভালবাসবে তাকে বিয়ে করুন জীবন সুখময় হবে, আপু ভাল থাবেন সুস্থ থাকবেন আমার বাংলা ব্লগের সাথে থাকবেন,,,
সম্পূর্ণটা তো বুঝতে পারলাম ভাইয়া। বিশেষ করে আলেয়ার অবস্থার কথা শুনতে পেয়ে কথাটা খারাপ লাগলেও বুঝাতে পারব না। কিন্তু শেষের কথাটা কি বললেন। কবিতা লিখেছেন এখন আপনি পাগল আলিয়া কেই ভালোবাসেন। কিন্তু আপনি আমাকে বিয়ে করেননি ? এই কথাটা জানার ইচ্ছে রইল। তাছাড়া এখন আলেয়া কোথায় রয়েছে? কথাগুলো ক্লিয়ার করলে মনে হয় ভালো হয়।
ধন্যবাদ আপু এত ব্যস্থতার মাঝেও আমার গল্পটা পড়েছেন। গল্পটা আপু কাল্পনিক। শেষের দুটি লাইন
আপনি কাউকে ভালবাসলেন সে আপনাকে ভালবাসলনা তারপরও সে আপনাকে বিয়ে করল, তাতে কিন্তু ভালবাসার কমতি থেকে যাবে আপনি ভালবাসতে পারবেন কিন্তু আপনি ভালবাসা পাবেননা
আর যদি যে আপনাকে ভালবাসে তাকে যদি বিয়ে করেন তাহলে আপনি কিন্তু পরিপূর্ণ ভালবাসা টুকু পাবেন, আশা করি কিছুটা হলেও বুঝাতে পেরেছি, ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আমার বাংলা ব্লগের সাথে থাকবেন,,,
গল্পটা পড়ে খুবই আন্তরিক ভাবে দুঃখ পেলাম। বিশেষ করে আলেয়ার এমন পরিস্থিতির জন্য। তবে আপনি একটু মাঝেমধ্যে খোঁজখবর নিলে হয়তোবা আলিয়ার এমন পরিণতি হতো না। আর আপনার গল্পে আলিয়ার শেষ পরিণতি সম্পর্কে জানা হলো না। তবে আমার একটা অনুরোধ থাকবে আলেয়া যদি একেবারে পাগল হয়ে থাকে, তাহলে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ ভাইজান গল্পটা পড়ার জন্য, আমার কষ্টটা হয়তো কিছুটা সার্থক, যে আপনারা সময় নিয়ে গল্পটা পড়েছেন, আর ভাই গল্পটা সম্পুর্ন কাল্পনিক, ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আমার বাংলা ব্লগের সাথেই থাকবেন।