দাওয়াতের দিনের গল্প। 10% for shy-fox
ঢাকায় এসেছি প্রায় ১০ বছর এর মতো হয়ে গিয়েছে। ঢাকায় আমার তেমন কোনো আত্মীয় নেই। সবাই বাড়িতে থাকে। তাই সত্যি বলতে তেমন বেশি একটা দাওয়াতও খাওয়া হয়না। হ্যা , মানে এই না যে একদম এ দাওয়াত খাওয়া হয়না। আসলে গ্রামের তুলনায় এইটার সংখ্যা একেবারেই তুচ্ছ। আচ্ছা যাই হোক , এখন যে গল্পটা বলতে যাচ্ছি এইটা ঢাকাতেই। যেহেতো , ঢাকায় অনেক কমই এমন দাওয়াত খাওয়া হয় , তাই ভাবলাম কেন না এই গল্পটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক। কয়েকদিন আগের কথা , আমার ফুফাত বোনের বিয়ে। ছোট ফুপ্পির , ছোট মেয়ে।
বিয়ে ঢাকাতেই হবে। ওদের বাসা আমার বাসা থেকে বেশি একটা দূরে না যদিও। প্রায় ঘন্টা খানেক এর রাস্তা। বিয়ের ১ দিন আগেই ফুফু বলেছিলো চলে যেতে। তাই বিয়ের চলে যাই। ঐদিন ঢাকার রাস্তা অনেকটা ফাঁকা ছিল তাই যেতে তেমন একটা অসুবিধা হয়নি। আধা ঘন্টার মধ্যেই পৌঁছে গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি গ্রাম থেকে অনেকেই এসেছে। ওদের সাথে দেখা হয়ে ভালোই লাগলো। ওদের সাথে দেখা হয়না প্রায় কয়েক বছর। যদিও কথা হয় ফোনের এর মাদ্ধমে। এখন যে যুগ চলে এসেছে , যার সাথে জীবনেও দেখা হয়না তারও খোঁজ খবর প্রতিদিন নেয়া সম্ভব।
বিয়ে বাড়ি মানেই তো আনন্দ। অনেক মানুষের সমাগম। সব কিছুই জমজমাট। কাল গায়ে হলুদ আজকেই সবাই ঘর বাহির গুছানোতে ব্যস্ত। আজকে আমার তেমন কোনো কাজ নেই। শুধু গল্প করা ছাড়া। ঐদিন রাতে ঘুমাইনি , ঐযে বললাম না গ্রাম থেকে কিছু পরিচিত ভাইরা এসেছে। উনাদের সাথে গল্প করতে করতে ওই দিন রাতে আর ঘুমই হয়নি। পর দিন সকালে ঘুম থেকে উঠতে কষ্ট হয়ে পড়ছিলো , আর আজকে হচ্ছে গায়ে হলুদ , অনেক কাজ। আবার এইদিকে ঘুম থেকেও উঠতে পারছি না। হযবরল একটা অবস্থা। তাও অনেক কষ্ট করে ঘুম থেকে উঠি। আর গুছানোর কাজে একটু একটু সাহায্য করতে শুরু করি।
বিকেলের দিকে সব হৈহুল্লাস শুরু হয়ে গিয়েছে। গান বাজনা সব কিছু একসাথে , অনেক আনন্দ হচ্ছিলো। রাতের বেলা বৌকে গায়ে হালুক লাগানোর পালা এসেছে। সবাই তখন আনন্দে আত্মহারা। সত্যি বলতে ওই দিনটা আসলেই অনেক আনন্দের ছিল। যদি সম্পূর্ণ ঘটনা বলে বুঝতে যাই অনেক বড় হয়ে যাবে। কিন্তু হাঁ , ওই দিনটা জীবনের স্মরণীয় একটা দিন হিসাবে গণ্য হবে।
ভালোই হলো,দাওয়াত ও খাওয়া হলো, মজাও হলো।এক ঢিলে দুই পাখি।ভালো ছিলো।ধন্যবাদ
জি আপু , অনেক মজা হয়েছে সেখানে। আপনাকে ধন্যবাদ।
ভাই আপনি তো দেখছি খুব ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন। আর আধা ঘন্টার মধ্যেই আপনার গন্তব্যে পৌঁছে গিয়েছিলেন। ঢাকা আধা ঘন্টা গুলিস্তানের জ্যামে বসে থাকতে হয়। ভালো ছিলো আপনার গল্পটি।
হ্যা ভাইয়া। ঐদিন রাস্তা ঘাট একদম ফাঁকা ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
বিয়ের দাওয়াত খেতে আসলে ভালই লাগে। খাওয়া-দাওয়া করা যায় আর মজাও করা যায়। আপনি খুবই ভালো সময় কাটিয়েছেন এবং সাথে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন খুব ভালো লাগছে আপনার গল্পটি।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া ।
বিয়ের দাওয়াত খাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করেছেন যা পড়তে বেশ মজাই লাগলো ।এ ধরনের দাওয়াত খেতে আমার কাছে অনেক মজা লাগে ।
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া ।